অনলাইন ডেস্ক :
হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূজা চেরি জাজ মাল্টিমিডিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাসটি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়।
পূজা চেরি লেখেন, ‘আমার ১৪ বছর বয়সে জাজ আমাকে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করিয়েছে। আমি জাজেরই সৃষ্টি, জাজেরই মেয়ে। আগে মনে করতাম জাজ মানে শুধুই জাজ। কিন্তু আসলে আবদুল আজিজ ভাইয়া, খোকন ভাইয়া, বাপ্পি ভাইয়া, মাহি আপু, নুসরাত ফারিয়া আপু, রোশান, সিয়াম, সৈকত নাসির ভাইয়া, রায়হান রাফি ভাইয়াসহ আরো অনেকে মিলেই জাজ। আমার অল্প বয়সের কারণে আমি একটি ভুল করেছি। আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে আপনাদের ছোট বোন ও সহকর্মী হিসেবে ক্ষমা করে দেবেন।
উল্লেখ্য, জাজ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে নাম লেখান পূজা চেরি। এ প্রতিষ্ঠানেরই কয়েকটি চলচ্চিত্রে টানা অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। ‘নূরজাহান’, ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’ ছবিগুলোর নায়িকা তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজের সঙ্গে পূজার প্রেমের গুঞ্জন রটেছিল। এরপর ব্যক্তিগত মনোমালিন্য তৈরি হয়। জাজ থেকে বেরিয়ে আসেন পূজা।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি চাইছিল পূজা চেরি শুধু তাদের সঙ্গেই কাজ করুক। পূজার সঙ্গে তাদের তেমনই চুক্তি ছিল। ১৪ বছর বয়সে চুক্তিটি করেন পূজা।
অল্প বয়সে করা সেই চুক্তি থেকে বের হয়ে পূজা সবার সঙ্গে কাজ করতে চাইলেও স্বাচ্ছন্দ্যে পারছিলেন না।
এদিকে আবদুল আজিজও বারবার পূজা চেরিকে তাদের প্রতিষ্ঠানে ফেরাতে চাইছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার কথাবার্তা হয়েছে বলে জানা গেছে। আবদুল আজিজের মোহাম্মদপুরের আদাবরের বাসায় মিটিংও হয়েছে। এরপরই পূজা ফিরতে জাজে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শক-অনুরাগীদের মুগ্ধ করেছিলেন নার্গিস ফাখরি। সময়ের পালাবদলে বলিউডের সাথে এ অভিনেত্রীর দূরত্ব বেড়েছে। সিনেমার আলোচনা থেকে এখন বহুদূরে এই অভিনেত্রী।
জানা গেছে, বলিউডে দুই দুইবার মন ভাঙার পর সব কিছু গুটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান নার্গিস। প্রথমবার রণবীর কাপুরের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। দ্বিতীয়বার উদয় চোপড়ার সাথে নার্গিসের সাথে প্রেমের আলোচনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয় বলিউডজুড়ে। কোনো সম্পর্কই তাকে শান্তি দেয়নি। এবার গোপনে বিয়ে করে আবারও সংবাদের শিরোনামে এলেন নার্গিস।
নার্গিস ফাখরির বিয়ের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন জাগে-পাত্র কে? জানা গেছে, উদয় চোপড়ার সাথে প্রেম ভাঙার পরই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক টোনি বেগের সাথে মন দেওয়া-নেওয়া শুরু হয় নার্গিস ফাখরির। বছর খানেক সম্পর্কের পর এবার তার সাথেই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন এ অভিনেত্রী।
ঢাকঢোল পিটিয়ে জাঁকজমক পরিবেশে নয়, বরং লস অ্যাঞ্জলসে দুই পরিবারকে সাক্ষী রেখে গোপনে সাধারণ পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেন নার্গিস ফাখরি। এ সময় তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও উপস্থিত ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ‘ওয়েডিং কেক’র ভাইরাল ছবি নিয়ে তার বিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। যেখানে বর-কনের নামের আদ্যাক্ষর লেখা- ‘এনএফ’ এবং ‘টিবি’। সাথে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে ‘শুভ বিবাহ’।
বলিউড সূত্রে জানা যায়, টোনি বেগ যুক্তরাষ্ট্রের একজন সফল উদ্যোক্তা। মূলত তিনি কাশ্মীরি পরিবারের ছেলে। যুক্তরাষ্ট্রেই তার বেড়ে ওঠা। বিগত তিন বছর ধরে নার্গিস ফাখরির সাথে প্রেম করেছেন। যদিও সম্পর্কে থাকাকালীন বিষয়টা গোপনেই রেখেছিলেন টনি-নার্গিস। এবার তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারি হিলসের একটি বিলাসবহুল হোটেলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়ের কোনো ছবি এখনো প্রকাশ্যে আসেননি। কিন্তু বর্তমানে এ দম্পতি সুইজারল্যান্ডে হানিমুন করছেন। সেখান থেকে একটি ছবি শেয়ার করেই অনুরাগীদের মাঝে বিয়ের জল্পনা-কল্পনায় নতুনামাত্রা যোগ করলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
বড় দলকে বাংলাদেশ প্রথম হারাল, এমন নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর সুখস্মৃতি এখনও খুব একটা দূরের গল্প নয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়টা আলাদা। তাদের সঙ্গে প্রথম বলে তো অবশ্যই , একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে খেলার ধরন, মানসিকতা, উইকেট সবকিছু মিলিয়েই।
সপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন বিকেল তিনটায় খেলা, তবুও গ্যালারি ছিল ভর্তি। তাদের গর্জনের সুরেও বোধ হয় ‘ভালো দল’ দেখার সেই সাক্ষী। মিরপুরে সন্ধ্যে নামার আগে জ্বলে উঠা মোবাইলের ফ্লাশলাইটে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে বদলে যাওয়ার শুরু হলো কি না, উঠবে এখন এই আলোচনাও।
অনেকদিন ধরে হতাশার টি-টোয়েন্টি দল বিশ্বকাপের পর খেলতে নেমেছিল প্রথমবার। একাদশ, স্কোয়াডেও বদলও এসেছিল বেশ কিছু। ‘পারফরমারদের’ নিয়ে গড়া ‘সাকিব আল হাসানের দল’ দেখিয়েছে নতুন আশার আলো, দিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার বার্তাও।
আজ ১২ মার্চ রবিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ আগেই প্রথমটিতে জেতা স্বাগতিকদের জন্য নিশ্চিত হয়েছে সিরিজও। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড পায় ১১৭ রানের সংগ্রহ। ৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। সফরকারীদের স্কোরকার্ডে তখন জমা হয়েছে ১৬ রান, ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। তাকে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যানে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দেন ডেভিড মালান। ৮ বল খেলে এই ব্যাটার করেন ৫ রান। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা মঈন আলীকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ফিল সল্ট। ইংলিশদের চাপে ফেলতে তাসকিনকে দিয়ে টানা তিন ওভার করান সাকিব। উইকেটের দেখা না পেলেও ওই ওভারগুলোতে ১৯ রান দেন এই পেসার।
সপ্তম ওভারে নিজেই বোলিংয়ে এসে সল্টকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের ফ্লাইটেড ডেলেভারিতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বসেন ইংলিশ ওপেনার। সাকিব দারুণ ক্যাচ নিলে ১৯ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সল্ট।
এরপর দারুণ এক ইয়র্কারে জস বাটলারের স্টাম্প ভাঙেন হাসান। ৪ রানে বাটলার ফিরে গেলে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারির তালুবন্দি হন মঈন। ৫৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
এরপর স্যাম কারানের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন বেন ডাকেট। তাদের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ১৬ বলে ১২ রান করা কারান হয়েছেন স্টাম্পিং। এক বল পরেই ক্রিস ওকসকেও শূন্য রানে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।
এই স্পিনার ৪ ওভারে কেবল ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। কম খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারই। তাসকিন আহমেদ নিজের ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, এক উইকেট নিতে সাকিব ৩ ওভারে দেন ১৩ রান। ১ উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ ২ ওভারে ১০ রান দেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের দরকার ছিল কেবল উইকেটে টিকে থাকা। মাঝেমধ্যে বড় টার্ন নিচ্ছিল বল, পিচও ছিল কিছুটা স্লো; কিন্তু মিরপুরের এই উইকেটে কীভাবে খেলতে হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদেরই তা সবচেয়ে ভালো জানা। শুরুটা অবশ্য ছিল কিছুটা হতাশার।
রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন দাস এদিনও আউট হন হতাশাজনকভাবে। ৯ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার স্যাম কারানের বলে পুল করতে যান। ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ফিল সল্টে হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৬ রানে এসে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রনি তালুকদারও পারেননি নিজের ইনিংস লম্বা করতে।
১৪ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার ক্যাচ তুলে দেন মঈন আলীর হাতে, জফরা আর্চারের বলে। তাওহীদ হৃদয় ব্যাটিংয়ে এসে দারুণ দুটি শট খেলেন। কিন্তু এই ব্যাটারও পারেননি ইনিংস টেনে নিতে। ২ চারে ১৮ বলে ১৭ রান করে পয়েন্টে দাঁড়ানো ওকসের হাতে তিনি ক্যাচ দেন রেহান আহমেদের বলে।
বাকিরা যখন পথ ধরছেন সাজঘরে, ফর্মে থাকা শান্ত তখন একাই টেনেছেন দলকে। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন কেউই তাকে দিতে পারেননি যোগ্য সঙ্গ। এক পর্যায়ে এসে ভয়ই ধরেছিল বাংলাদেশের। এর মাঝে অবশ্য মিরাজের ১৬ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান কিছুটা চাপ কমায়। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আফিফ হোসেন ধ্রুব যখন ফেরেন, তখনও বাংলাদেশের ১৩ বলে দরকার ১৩ রান।
শান্ত ফিরলেই বাংলাদেশের জন্য ছিল হারের বড় শঙ্কা। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের করা ১৯তম ওভারে প্রতি আক্রমণে যান তাসকিন আহমেদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ওভারে দুজন মিলে হাঁকান তিন বাউন্ডারি, শান্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৩ চারে ৪৬ রান করে। জর্ডানের পঞ্চম বলে তাসকিনের চারে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো মিরপুর।
নাজমুল হোসেন শান্ত জড়িয়ে ধরেন ক্রিজে থাকা আরেক ব্যাটার তাসকিন আহমেদকে। শান্ত চিৎকার করে এমন কিছুই বলতে চাইলেন কি না, ‘আমরা এসেছি নতুনের বার্তা নিয়ে’ এটুকু অবশ্য নিশ্চিত হওয়া গেল না।
জয়ের বড় কৃতিত্ব অবশ্য ব্যাটিং করতে শেখা তাসকিনেও। তিনি পরপর দুই চার মেরে সাত বল থাকতে দেশকে সিরিজ জেতান।
অনলাইন ডেস্ক :
জিতলেই ইতিহাস। প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা ছোঁয়ার অনুভূতি। কারণ প্রথমবার ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে ইংল্যান্ড ও স্পেন। যে লড়াইয়ে ১-০ গোলে জিতে ইতিহাস গড়েছে স্পেন। স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় স্বপ্নের সোনালি শিরোপা উৎসব করেছে লা রোজিরা।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে স্পেনের ওলগা কারমনা গোল করেন। তার ওই গোলেই স্বপ্নের শিরোপা হাতে উঠেছে লা রোজিদের হাতে। বিশ্বকাপের সপ্তম ফুটবলার হিসেবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এছাড়া পঞ্চম দেশ হিসেবে স্পেনের নারীরা ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক চারবার নারীদের ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছে। জার্মানি দু’বার ঘরে তুলেছে বিশ্বকাপের শিরোপা। বিশ্বকাপের সোনালি শিরোপা হাতে উঠেছে নরওয়ে এবং জাপানের হাতেও।
শেষ বাঁশি বাজতেই ভূপাতিত হয়ে পড়েন ইংল্যান্ড ফুটবলাররা। উল্লাসে মাতেন স্পেনের মেয়েরা।
অন্যদিকে দু’বার দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে শিরোপা বঞ্চিত থাকতে হলো কিংবদন্তি সারিনা উইগম্যানের। ফুটবল কোচিংকে সহজ বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। দলকে টানা চার আসরের ফাইনালে তুলেছেন। নেদারল্যান্ডসকে ইউরো জেতালেও বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেও শিরোপা জেতাতে পারেননি তিনি।
ইংল্যান্ডের সঙ্গেও হলো তা-ই। লায়নেসদের দায়িত্ব নিয়ে ইউরো জিতিয়েছেন সাবেক এই ফিজিক্যাল ইডুকেশন টিচার। কিন্তু বিশ্বকাপের শিরোপা জেতাতে পারলেন না। অন্যদিকে স্পেনও দেখিয়ে দিয়েছে ফুটবল কৌশলে পিছিয়ে নেই তারাও। তাদের পজিশন প্লেয়িংয়ের কাছে খেই হারালে ম্যাচে ফেরা কঠিন।
স্পেন নারী দলের কোচ জর্জ ভিলদার দল বলের দখলেই শুধু এগিয়ে ছিল না আক্রমণেও তার দল ছিল ঢের এগিয়ে। গোল মুখে ইংল্যান্ডের আট শটের তুলনায় ১৩টি শট নিয়েছে লা রোজিরা। এর মধ্যে লায়নেসদের মাত্র তিনটি শট ছিল গোল হওয়ার মতো। স্পেন ভয় ধরানো শট নিয়েছে আটটি।
অনলাইন ডেস্ক :
বলিউডের অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানকে নিয়ে মন্তব্য করে খানিকটা বিপাকেই পড়লেন পাকিস্তানী অভিনেতা খাকান শাহনওয়াজ। ভারতীয় এই অভিনেত্রীকে নিয়ে পাকিস্তানের অভিনেতার মন্তব্যকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারিনার অনুরাগীরাও সামাজিক মাধ্যমে খাকানের উদ্দেশে ছুড়ে দিয়েছেন কটাক্ষ।
সম্প্রতি পাকিস্তানের এক অনুষ্ঠানে অভিনেতার উদ্দেশে এক অনুরাগী বলেন, তিনি কারিনার বিপরীতে খাকানকে দেখতে চান।
জবাবে পাকিস্তানি এই অভিনেতা বলেন, ‘হ্যাঁ, সেটা করতেই পারি। তিনি তো আমার থেকে বয়সে অনেকটাই বড়। তাই তার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করতেই পারি।’ এরপরই এই অভিনেতাকে ভারতীয়দের কটাক্ষের শিকার হতে হয়। কারিনার অনুরাগীদের দাবি, খাকান বলিউড অভিনেত্রীকে অপমান করেছেন।
এক অনুরাগীর কথায়, ‘কোনও অভিনেত্রীকে তার বয়স নিয়ে অসম্মান করা উচিত নয়।’ অন্য একজন লেখেন, ‘খাকান কে? তিনি কোন যুক্তিতে কারিনা প্রসঙ্গে অবমাননাকর মন্তব্য করেন!’
উল্লেখ্য, ২৭ বছর বয়সি খাকান একজন মডেল ও অভিনেতা। অভিনেত্রী মাহিরা খান প্রযোজিত ‘বারওয়া খিলাড়ি’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে প্রচারের আলোয় আসেন তিনি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন।
এদিকে, কারিনা প্রসঙ্গে নেটিজেনদের কটাক্ষের জবাবে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি খাকান।
অনলাইন ডেস্ক :
রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগা শিরোপার লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছে । বার্সেলোনাকে কতক্ষণ অপেক্ষায় রাখতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আর্জেন্টাইন তরুণের চার গোলে জিরোনার বিপক্ষে ৪-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। লিগ শিরোপাও তুলে দিয়েছে বার্সার ঘরে।
জিরোনার মাঠে ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে রিয়াল মাদ্রিদ। গোল করেন নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে ধারে স্প্যানিশ ক্লাব জিরোনায় যোগ দেওয়া ২৪ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ভ্যালেন্টিন মারিয়ানো জোসে। যিনি ট্যাটি কাস্তেলানোস নামে পরিচিত।
এরপর ২৪ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন পাঁচ ফিট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফরোয়ার্ড। ৩৪ মিনিটে রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস গোল করে দলকে ম্যাচে ফেরান। ২-১ গোলে প্রথমার্ধ শেষ করে রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে আবার ভালেন্টিন শো। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই তিনি দলকে ৩-১ গোলের লিড এনে দেন। এরপর ৬২ মিনিটে নিজের ও দলের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন চিলি ও উরুগুয়ের লিগ হয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে গিয়ে ১০৮ লিগ ম্যাচে ৫০ গোল করা এই ফরোয়ার্ড।
পরে ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ভিনির সহায়তায় গোল করে লুকাস ভাসকেস হারের ব্যবধান কমান। তার আগে ২১ শতকের প্রথম ফুটবলার হিসেবে রিয়ালের বিপক্ষে চার গোল করার কীর্তি গড়েন ট্যাটি। জয়ে জিরোনা পয়েন্ট টেবিলে নয়ে উঠেছৈ। আর এক ম্যাচ বেশি খেলে রিয়াল ১১ পয়েন্টে বার্সার চেয়ে পিছিয়ে গেছে।