চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ১ মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়।
গার্ড অব অনারের পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, রাজনৈনিক দল এবং সামাজিক সংগঠনের জন্য শহীদ মিনার উম্মুক্ত করে দেয়া হয়। পরে পর্যায়ক্রমে বিচার বিভাগ, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সদর উপজেলা প্রশাসন, বাউনবাইরার কতা গ্রুপ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,জেলা আওয়ামী যুবলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বিভিন্ন দফতরের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
পুষ্পস্তক অর্পন শেষে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, একুশ আমাদের চেতনা, একুশের হাত ধরেই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। তিনি বলেন একুশ আমাদেরকে একটি অসম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ দেবে। একুশের হাত ধরেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো আমরা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় আজকের এই দিনটি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আজ বাংলাদেশের পাশাপাশি পুরো বিশ্বে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে। এটি আমাদের বাঙ্গালী জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতি খাতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ এবং বরাদ্দকৃত অর্থ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সুষম বন্টনের দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জোটের আহবায়ক আবদুন নূর।
জোটের সদস্যসচিব সঞ্জীব ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সমাবেশে দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের জেলা সহ সভাপতি ডা. অরুণাভ পোদ্দার, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, আবরণী আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের মুমিনুল ইসলাম বাবু, খেলাঘরের মিনহাজ নবী খান পলাশ, তরী বাংলাদেশের সভাপতি শামীম আহমেদ, নারী নেত্রী ফজিলাতুন্নাহার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রয়াসে জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি সময়ের দাবি। তারা বরাদ্দকৃত অর্থ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সুষম বন্টনের ও দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার নিহত নাইমা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রাম থেকে নাইমা আক্তার (১৩) ও মাইমুনা আক্তার (১৫) নামের দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষক হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার (২৮) ও হাফেজ রায়হান খন্দকার (২৬) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের আব্দুল খায়ের খন্দকারের ছেলে।
মামলার পর পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গত ৬ মাস যাবত নাইমা আক্তার ও ২০২১ সাল থেকে মাইমুনা আক্তার পড়াশুনা করে আসছে। অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর মাদ্রাসা এক সপ্তাহের জন্যে বন্ধ থাকায় তারা দুইজন বাড়িতে চলে যায়। মাদ্রাসা খোলার পর গত ২৩ আগস্ট তাদের দুইজনকে যার যার পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় এনে শিক্ষকদের কাছে দিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে মাদ্রাসা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হয় নাইমা ও মাইমুনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই খবরে মাদ্রাসায় গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়নি। তাদের দুইজনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট ভোরে সাদেকপুরে নাইমা ও মাইমুনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর দুইজনের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। মরদেহের অবস্থা ও বর্ণিত আলামতের প্রেক্ষিতে বাদী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে দুই শিক্ষক সহোদর হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, হত্যা মামলার পর মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অজ্ঞাত ট্রেনে কাটা পড়ে মো. কবির আলম (৩২) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার ভোরে শহরের শিমরাইল কান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
কবির আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের গুজিয়াখাইল গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।
কবির আলম শহরের কাউতলী নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের পাশে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির (আইসি) এসআই মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কবির আলম ঢাকা বঙ্গ বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। গত বৃহস্পতিবার সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসে। কবির আলম শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল।
শনিবার ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অজ্ঞাত ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন অতিক্রম করার সময় শিমরাইল কান্দি এলাকায় কবির আলম ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরো বলেন, কি কারণে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েছে তা বলা যাচ্ছে না। কবির আলমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ময়নাতদন্তের পরে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ম্যারাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে শহরের শেখ হাসিনা সড়কে তিতাস সেতু থেকে প্রতিযোগীতা শুরু হয়। এতে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ সহ দৌড়বিদরা অংশ গ্রহণ করেন।
আয়োজক ও অংশ গ্রহণকারিরা জানান, সুস্থ দেহ এবং সবল মনের জীবন গড়তে দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। আগামী দিনে আরো বৃহৎ প্রতিযোগীতার কথা জানান আয়োজক সহ সংশ্লিষ্টরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জৈষ্ঠের প্রচন্ড দাবদাহে ভোরের আলো ফুটে উঠার আগেই শুরু হয় ম্যরাথন।
শহরের শেখ হাসিনা সড়কের তিতাস সেতু থেকে দৌড় শুরু করেন প্রতিযোগীরা। পরে মনিপুর সেতু ঘুরে আবারো তিতাস সেতুতে এসে ১০ কিলোমিটার দৌড় শেষ করেন অংশ গ্রহণকারিরা। সুস্থ, দেহ সবল মনের জন্যে দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তারা।
দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া শাহআলম পাটোয়ারি জানান, আমি সরকারী কলেজের ছাত্র। আজ এই প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করতে পেরে আমি অনেকটাই খুশি। আমি মনে করি প্রত্যেকের জীবন সুস্থ এবং সবল রাখার জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই আসুন আমরা সবাই প্রতিদিন দৌড়াই।
অপর প্রতিযোগী আমির হোসেন জানান, আমি পাঁচ কিলোমিটার প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করেছি বেশ ভাল লেগেছে। এমন আয়োজন আরো বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির সমন্বয়ক অলি আহাদ রতন জানান, ” আমরা সুস্থ দেহ সবল মনের জন্য এবং মাদক থেকে দূরে রাখার জন্যে এবং সুস্থ দেহ সবল মনের জন্যেই এই আয়োজন। আমরা আগামী অক্টোবর মাসে আর্ন্তজাতিক মানের বড় পরিবেশে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজন করব।
দৌড় প্রতিযোগীতাকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উপদেষ্টা প্রফেসর দিলারা আক্তার, জানান, আমরা বেশ কয়েকবার এমন প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে। মূলত যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য আমাদের এই প্রয়াস। তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে আর্ন্তজাতিক মানের বড় পরিবেশে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজন কবর। গতবার ৪ টি দেশের দৌড়বিদরা অংশগ্রহণ করেছিলো। আমরা আশা করি এবার আরো বেশি দেশের মানুষ আমাদের আয়োজনে অংশ নিবে।
ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় মোট দুটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন বয়সী ১৪০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার পুরস্কার তুলে দেন আয়োজকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩২৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে ও রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার চান্দপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন ও একই উপজেলার কাছাইট গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে মোঃ বাদল মিয়া। এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে তার কাছে ৩৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
অপর দিকে শনিবার রাত ১০ টার দিকে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে ২৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানায় খুন ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে এবং আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ২১মে রবিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।