চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ফসলি জমি রক্ষার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাইতলা, গোয়ালী এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে কসবা উপজেলার ইশাননগরের ফরহাদ মিয়ার ২টি কাইতলার শফিক মিয়ার ১টি ,কসবা উপজেলার মেহেরীর আইয়ূব নবীর ১ টি সহ ৪ টি অবৈধ ড্রেজার জব্দ করেন।
এ সময় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সবাই ড্রেজার শ্রমিক তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের দোবাওরা।
জানাযায়, উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ফসলী জমি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে ভূমিদস্যুরা নির্বিঘ্নে শত শত একর জমির মাটি কেটে অন্যত্রে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
মাটি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘন করে অনুমতি বিহীন জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর করে মাটি কাটায় আশেপাশের ফসলি জমিগুলো এমনিতেই ভেঙে পরে। এতে করে বেশির ভাগ সাধারণ কৃষক বাধ্য হয়ে কম মূল্যে ফসলি জমি বিক্রি করে নিঃস্ব হচ্ছে।
বিগত কয়েক বছরে উপজেলায় অন্তত কয়েক হাজার একর ফসলি জমি ধ্বংস করে দিয়েছে ভূমিদস্যুরা। সাধারণ কৃষকের অভিযোগ ও কৃষি জমি রক্ষার্থে প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে জেল জরিমানা সহ ড্রেজার জব্দ করলেও কোন কাজে আসছে না। কারণ প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় অবৈধ ড্রেজার পরিচালনা করেন।
ইতিমধ্যেই নবীনগরের বেশ কয়েকজন রাঘববোয়ালদের অবৈধ ড্রেজার জব্দ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল সিদ্দিক বলেন উপজেলায় আর কোন অবৈধ ড্রেজার চলবেনা, কৃষি জমি রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন এখন থেকে নিয়মিত মাঠে থাকবে। অবৈধ ড্রেজার পরিচালনার দায়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ছয়টি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিটঘরে ধর্ষক সন্দেহে আব্দুল খালেক নামে এক যুবককে গণপিটুনি দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৪ মার্চ সোমবার সকাল ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিলটি বিটঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিটঘর বাজার প্রদক্ষিণ করে বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিটঘর গ্রামের মোঃ জসিম, এনামুল ইসলাম, মাসুক মিয়া, ইকবাল হোসেন, মোঃ দুলাল, জেসমিন আক্তার, ইয়াছমিন আক্তার, ফাতেমা বেগম, সাজেদা বেগম, রোজিনা আক্তার ও শেফালি আক্তার। বক্তারা বলেন, আব্দুল খালেক একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আব্দুল খালেককে গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ঢেকে এনে ধর্ষক সন্দেহে স্থানীয় ছাত্র-জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়। তারা বলেন, ঐদিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খালেককে ছাত্র-জনতার গণপিটুনি থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে তুলে দেয়। বর্তমানে সে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আব্দুল খালেককে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী জাফর দস্তগীর জানান, ঐদিন ধর্ষণ চেস্টার ঘটনাটি শুনে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই ছাত্র-জনতা খালেককে ধরে এনে গণপিটুনি দেন। বিষয়টি নিয়ে ধোয়াশা আছে। আমি চাই প্রশাসনের তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ঘটনাটি বেরিয়ে আসুক।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস এবং মেঘনা নদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুটি প্রধান নদী। এ দুটি নদীর অববাহিকায় কৃষক আবাদ করছে বাদাম, টমেটো, শাক সবজি সহ নানাবিধ ফসল। তারমধ্যে অন্যতম একটি ফসল হচ্ছে মিষ্টি আলু।
এখানে কৃষি জমিতে যতদূর চোখ যায় এ যেনো এক টুকরো মিষ্টি আলুর রাজ্য। নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নবীনগরে ২২৮ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর আবাদ হয়েছে। এখানে মিষ্টি আলুর স্থানীয় জাতের পাশাপাশি কৃষকরা ওয়াকিনাওয়া জাতের জাপানি মিষ্টি আলুর চাষাবাদ শুরু করে সফল হয়েছেন। এ জাতের মিষ্টি আলু অন্য জাত থেকে উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ, রোগ বালাইয়ের প্রকোপও কম হয়। যার ফলে এ জাতের মিষ্টি আলু চাষে স্থানীয় কৃষকদের সফলতা দেখে এখন আশেপাশের অনেকেই মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তারা ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলু আবাদে অল্প বিনিয়োগে যেমন ভাল ফলন পাচ্ছে তেমনি তারা আর্থিকভাবেও বেশ লাভবান হচ্ছেন।
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের কৃষক নুরুল আমীন জানান, অধিকাংশ স্থানীয় জাতে উৎপাদন কম হয়, ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলুর উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ, রোগ বালাই প্রকোপ কম। আমরা এই জাত নিয়ে আশাবাদী। কৃষি বিভাগ নিয়মিত মাঠে এসে তদারকি করছেন।
নবীনগর উপসহকারী কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম এনি জানান, স্থানীয় জাতের পাশাপাশি এখানে গত কয়েক বছর ধরে আবাদ হচ্ছে জাপানি মিষ্টি আলু ওয়াকিনাওয়া। স্থানীয় আলুর তুলনায় এই আলুর আকার বেশ বড় এবং ভিতরের অংশ কমলা রঙের। এ জাতের মিষ্টি আলু অন্য ফসলের তুলনায় উৎপাদন যেমন বেশি, বাজার দরও ভাল। এখানে মিষ্টি আলু চাষে কৃষকরা বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, উপজেলার সবচেয়ে বেশি মিষ্টি আলু আবাদ হয় নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুর, লাপাং, চর লাপাং, দড়িলাপাং গ্রামের নদীর অববাহিকায়। তাছাড়া বীরগাঁও, কৃষ্ণনগর, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মিষ্টি আলুর আবাদ হয়। তিনি বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় জাপানি মিষ্টি আলু ওয়াকিনাওয়া অনেক বেশি ফলন হয়। যার ফলে এ জাতের মিষ্টি আলু চাষ করে কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভের স্বপ্ন দেখছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) তথা অনার্সের চুড়ান্ত পরীক্ষা কেন্দ্র নবীনগরে স্থানান্তরের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
আজ ১১ নভেম্বর সোমবার নবীনগর প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা। নবীনগর সরকারি কলেজে আটটি বিষয়ে অনার্স বিভাগ চালু রয়েছে। এই আটটি বিভাগে প্রতিবছর প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। বর্তমানে এই অনার্স বিভাগে ১৪০০ শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। নবীনগর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে হয়। নবীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এত দুর যাওয়া নানান সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। যাতায়াতের নানান সীমাবদ্ধতা, দুর্ঘটনার স্বীকার, শীতকালে শৈতপ্রবাহ- কুয়াশা, গ্রীষ্মকাল ঝড় বৃষ্টি তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পরীক্ষার সময় ও আসা যাওয়ায় সাত আট ঘন্টা সময় লেগে যায়। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যায়। এতে তাদের নিরাপত্তাহীনতাসহ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাদের দুর্ভোগের এই চিত্র তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা নবীনগর সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষার কেন্দ্রটি নবীনগর সদরে নবীনগর মহিলার ডিগ্রী কলেজের স্থানান্তরের দাবী জানান।
মানববন্ধনে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী শুভেন্দু চক্রবর্তী শুভ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কামরুল হাসান, কানিজ ফাতেমা মিম, নাদিশা আলম, কামরুল হাসান, শাহ্ পরান,আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আব্দুল খালেদ (২৫) নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে স্থানীয় জনতা।
১৯ মার্চ বুধবার রাতে নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটক খালেদ বিটঘর গ্রামের আনিছ মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ১৮ মার্চ বিকেলে বিটঘর গ্রামের উত্তর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে আব্দুল খালেক শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেলে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। বিষয়টি বুধবার জানাজানি হলে জনগণ তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারথে রিপোর্ট :
‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্য কে নিয়ে সারা দেশের ন্যায় নবীনগরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাক্ষরতা দিবস- ২০২৩ র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ রেলিতে অংশ গ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নবীনগর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম সরকার, একাডেমিক সুপার ভাইজার হাসনাত জাহান, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম সবুজ, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবু কাওসার, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন- যেখানে জাতীয় পর্যায়ে স্বাক্ষরতার হার অনেক বেশি সে অনুপাতে আমাদের নবীনগর উপজেলায় সাক্ষরতার হার কম, সাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য যেখানে দুর্বলতা রয়েছে সেই জায়গা গুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে, জাতীয় পর্যায়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের সাক্ষরতাকে এগিযয়ে নিয়ে যেতে হবে, প্রয়োজন হলে আমরা সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক এবং সমাজের শিক্ষিত জনদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করব।