চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (রিয়াদ) নামে এক যুবক দ্বারা হয়রানি ও অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মনিয়ন্দ গ্রামের শেখ মার্কেটের সামনে মানববন্ধনে অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে ভূক্তভোগীরা। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রিয়াদ ওই গ্রামের আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা, মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া, প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রভাব সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে রিয়াদ চৌধুরী মানুষকে হয়রানি করে আসছে বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়। মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল মৃধা।
প্রতিবাদ সমাবেশে মনিয়ন্দ গ্রামের মজিবুর রহমান লিলু চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, রিয়াদ চৌধুরী মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার পরিবারকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। সে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করছে। সে মামলা থেকে জামিন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে, পুলিশের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। আশা করি, পুলিশ প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে। না হলে তার অত্যাচারে সাধারণ মানুষ ঘুমাতে পারবে না।
ভূক্তভোগী মাঝিগাছা গ্রামের হিরন মিয়া বলেন, মাস খানে আগে এক প্রতিবেশির সাথে আমার ঝগড়া হয়। এসময় তারা আমাকে মাধরধর করে। এঘটনায় রিয়াদ চৌধুরী ডাক্তারি সার্টিফিকেট এবং থানায় মামলা রুজু করে দেওয়ার কথা বলে রিয়াদ আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু কোন কাজ করে দেয় নাই। এখন টাকা চাইলে আমাকে উল্টো ভয় দেখায়।
মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল মৃধা বলেন, রিয়াদ চৌধুরী প্রশাসনের কথা বলে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। তার অত্যাচারে সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। এ বিষয়ে তার অভিভাবককে জানিয়েও বিচার পাচ্ছি না। আমরা অধৈর্য্য হয়ে আজকে মানববন্ধন করেছি। আমরা তার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে বিষয়টি অবগত করব।
আরেক ভূক্তভোগী রুবেল চৌধুরী বলেন, রিয়াদ চৌধুরী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। সে দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনকে ব্যবহার করে গ্রামের সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রিয়াদ বলেন, এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে মেলা দেখতে গিয়ে আটকে পড়া ১০ জনসহ ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে তারা দেশে ফিরেছেন।
ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন-চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রমের দুলাল নাথের ছেলে রুবেল কুমার নাথ, উত্তর গুজরা গ্রামের মিলন বিশ্বাসের ছেলে রাজিব বিশ্বাস, সুলতানপুর গ্রামের মিলন দের ছেলে শঙ্কর দে, একই গ্রামের বিষু দাসের ছেলে জয় দাস, কাজল দাসের ছেলে সঞ্জয় দাস, অনিল দাসের ছেলে উল্লাস দাস, সুকুমার চৌধুরী দাসের ছেলে দীপক দাস গুপ্তা, মন্টু রাম ঘোষের ছেলে রুমন ঘোষ, যোগেস ঘোষের ছেলে রুবেল ঘোষ, রনধীর দাসের ছেলে প্রান্ত দাস, একই জেলার হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম দেওয়ান নগরের মো. হোসেনের মেয়ে নাহিদা শেখ এবং তার দুই শিশু সন্তান ফয়েজ ইসলাম শেখ ও ফাইজা শেখ।
শূন্যরেখায় দেশে ফেরত আসা দীপক দাস গুপ্তা বলেন, আমরা ১০ জন খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। মেলা থেকে আগরতলার একটি মন্দির দেখে ফেরার পথে আমাদের বহনকারী ভারতীয় গাড়িটির চালক আমাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যের পরিবর্তে স্থানীয় একটি থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ আমাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আমাদের অনুপ্রবেশের দায়ে এক মাস করে সাজা দেন। কারাভোগ শেষে আমরা একটি সেইফ হোমে ছিলাম। সেখান থেকে চার মাস পর বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে আমরা আজ দেশে ফিরলাম।
ফিরে আসা নাহিদা শেখ বলেন, আমি, আমার স্বামী ও এক সন্তানসহ গত তিন বছর আগে স্বামীর চিকিৎসার জন্য অবৈধ পথে ভারতের মুম্বাই শহরে গিয়েছিলাম। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে এক বছর কারাভোগ করি। এরপর একটি হোমে ছিলাম। তখন আমার আরেকটি সন্তানের জন্ম হয়। গত ছয় মাস আগে ওখানে আমার স্বামীর মৃত্যু হলে সেখানেই দাফন করা হয়। দীর্ঘ তিন বছর পর আমি আমার দুই সন্তান নিয়ে দেশে ফিরেছি।
আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তা ওমর শরীফ বলেন, ১৩ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে এক নারী ও দুটি শিশু ছাড়া বাকি ১০ জন এসেছিলেন মেলা দেখতে। তারা দেশে ফেরার পথে ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে সাজাভোগ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাচাই শেষে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম, বিএসএফের ১২০ মোম্পানি কমান্ডার বিবেক ধীমান, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, ৬০ বিজিবির আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার শাহ আলমসহ অনেকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় এবছর এসএসসি সমমান পরীক্ষায় বসছে ২হাজার ১৪০ ছাত্রছাত্রী। সুষ্ঠু পরিবেশে নকলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এবছর এরই প্রেক্ষিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলো। ইতোমধ্যে পরীক্ষা গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে এসএসসি সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭টি মাদ্রাসা ও ১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল স্কুল থেকে ২হাজার ১৪০ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিবে। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৭৩৮ জন, দাখিল পরীক্ষার্থী ৩১৪ জন এবং ভোকেশনালের পরীক্ষার্থী ৮৮ জন। মোট পরীক্ষার্থীর ৮৯৬ জন ছাত্র এবং ১ হাজার ২৪৪ জন ছাত্রী।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো হলো আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় ছতুরা চান্দপুর স্কুল এন্ড কলেজ, আখাউড়া টেকনিক্যাল মাদ্রাসা, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল। এছাড়া নাছরীন নবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার একটি ভেন্যু রয়েছে।
তবে, সরজমিনে রেলওয়ে স্কুল, আখাউড়া টেকনিকেল মাদ্রাসা ও মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি। বিদ্যালয় প্রধানরা বলেছেন ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে।
জানতে চাইলে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শশাঙ্ক রায় চৌধুরী বলেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে বলা হয়েছে। কমিটি ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২২টি ক্যামেরা লাগানো হবে তিনি জানান। তবে এখনও লাগানো হয়নি।
আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে পূর্ব থেকেই ১৬টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। সিসি ক্যামেরা থাকায় পরীক্ষা মনিটরিং করতে সুবিধা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশেরও সহায়ক হবে।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুষ্ঠু পরিবেশে নকুল মুক্ত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য আমরা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর জানান, এসএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্তে পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে সুষ্ঠু পরিবেশে নকুলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণে সহায়ক হবে। মনিটরিং করতে সুবিধা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন এই আপনারা যে কাজটি করেছে এই কাজটি এই বাংলাদেশে আমরা বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। এই কারণে আপনারা হলেন শ্রেষ্ঠ সন্তান।
আজ ৩ মার্চ শুক্রবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের আয়োজনে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের সভাপতি আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আরও বক্তৃতা করেন সুপ্রিম রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন আমি যখন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলাম চেয়ারম্যান হিসেবে তখন আমার মনে পড়ত আমার সামনে মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষী দিচ্ছে। আমার কোর্টে বিচার হয়েছে আলী আহসান মোজাহিদ, মীর কাশেম আলী, এইচ এম কামরুজ্জামান, মাওলানা ইউসুফ। ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা জিনিস আমি লক্ষ করেছি তারা কখনো সাক্ষী দিতে গিয়ে বাড়িয়ে কথা বলতে না। তারা বলেছে আমি এইটুকু করেছি।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন আমরা ৫ম সংশোধনী মামলায় বলেছি জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেব, খন্দকার মোশতাক তারা যে কাজটি করেছিল এই কাজটি ছিল বেআইনী কাজ ছিল। ৫ম সংশোধনী মামলা তখন বিচারপতিরা বলেছেন অবৈধ। এবং বলেছেন ৫ম সংশোধনী মামলায় যতগুলো কাজ হয়েছে সেগুলোও ছিল অবৈধ। তারা আরও বলেছেন সায়েম সাহেবের ক্ষমতা দখল ও আহরণ ছিল বেআইনী। জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা দখল বেআইনী ছিল। এই বেআইনী কাজটি তারা জাজম্যান দিয়ে বলেছেন বেআইনী। একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনীর সাহায্যে করেছে এইটাও ছিল বেআইনী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে আবেগের তারনায় হোক বা বঙ্গবন্ধুর মায়ার কারণেই হোক যারা অস্ত্র হাতে নিয়ে এই বেআইনী কাজের প্রতিবাদ করেছে ও একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্ত্র দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে একটি অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে জারি করেছিল। তাদের বিরোধে যারা অস্ত্র ধরে ছিল, তাদের সেই দিনের এ্যাকশন আর আমাদের ৫ম সংশোধনী মামলায় সুপ্রিমকোর্ট যে কথা বলেছেন। কাজ তো একটায়। আমরা কলমে করেছি। আর তারা অস্ত্র হাতে নিয়ে চেষ্টা করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কক্সবাজারগামী আন্তঃনগর পর্যটক এক্সপ্রেসট্রেনের ধাক্কায় মধু শীল (৫৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মধু শীল নয়াদিল উত্তর পাড়ার হরিধন শীলের ছেলে।
জানা যায়, সকালে মধুশীল ধানের চারা নিয়ে জমিতে যাচ্ছিলেন। নয়াদিল এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। আত্মীয়-স্বজন তাকে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতাল প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়ার পথিমধ্যে বেলা ১২ টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আমাদের অফিসার আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা,জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী জনসচেতনতা, বাল্য বিবাহ বন্ধকরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও স্থানীয় পর্যায়ে কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ হাবিবুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়াহিদ সারোয়ার, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবু ইউসুফ নূরুল্লাহ, প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি মোঃ রফিকুল ইসলাম, মাদরাসার সুপার কাজী কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদী, ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা কাজী মাইনুদ্দিন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা, আখাউড়া পৌরশহরের যানজট নিরসন, ফুটপাত হকার দখল মুক্ত, দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ, মাদক পাচার রোধ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নত করণে জেলা প্রশাসনের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান আখাউড়াকে জনবান্ধব করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পৌর মেয়র ও ইউএনওকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখতে হবে। নীতি নৈতিকায় সবাইকে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুস্থ বিনোদনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোন টেটা বল্লম থাকবে না। কেউ টেটা বল্লম তৈরি করতে পারবে না। ভোক্তাদেরকে গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানান। প্রশাসনকে বেশি বেশি বাজার মনিটরিং করার নির্দেশ দেন তিনি। সবার সামনে পজেটিভ ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তুলে ধরতে হবে। এজন্য তিনি জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। আলোচনা শেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানকে শুভেচ্ছা স্মারক ক্রেস্ট দেওয়া হয়। পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পরে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২টি বনজ ও ঔষধী গাছ রোপন করেন।