চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় উপজেলা দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে প্রাণীসম্পদ চত্বরে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জুয়েল মজুমদার, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম প্রমুখ। প্রদর্শনীতে ২৩টি স্টল রয়েছে।
পরে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। প্রদর্শনীতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খামারীরা গরু, মহিষ, ছাগল, গাড়ল হাঁস-কবতুরসহ বিভিন্ন পশু প্রদর্শণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার বাজেট দিয়েছে ৭ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকা। বিএনপি দাতাদের পরামর্শে বাজেট দিত। সেই চিত্র এখন পাল্টেছে। আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছি। বঙ্গবন্ধুর সেই কথা আমাদেরকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমরা জাতির পিতার সন্তান। আমাদেরকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না ইনশাল্লাহ।
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল আরো বলেন, কর্ণফুলী টানেল হয়েছে, মেট্টে রেল হচ্ছে। বাজেট ঘোষণার পর দেখা গেছে, আমাদের দারিদ্র সীমা কমে এসেছে। চাকরী প্রার্থীর সংখ্যাও আস্তে আস্তে কমে আসছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নতি করার প্রচেষ্টা এগিয়ে চলছে। কিন্তু দু:খের বিষয় সেই উন্নয়ন কারও কারও চোখে ভাল লাগছে না। এরমধ্যে বিএনপি যারা লুটপাট করে বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়েছিল। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি প্রমান করে দিয়েছিল। একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র করার সকল সরঞ্জাম তৈরি করে ফেলেছিল। তারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে পায় না। চোখ থাকতেও তারা অন্ধ। এখন কিছু ষড়যন্ত্রকারীও তাদের সাথে যোগ হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের কথা মনে রাখতে হবে। গতকাল শুক্রবার সকালে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মোগড়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপির শেষ সময়ে বাজেট দিয়েছিল ৬৩ হাজার কোটি টাকা। বিএনপি দাতা দেশের পরামর্শে বাজেট দিত। মিটিং হতো প্যারিসে। বড় বড় রাষ্ট্রগুলো থেকে টাকা নিয়ে বাজেট দিত। বাজেটে লিখা থাকতো শতকরা ৮০ টাকা আসবে বিদেশ থেকে আর বাকী টাকা দিবে দেশের জনগণ। সেই চিত্র এখন পাল্টে গেছে। আজকে এত বিপুল পরিমাণ টাকার বাজেট দেওয়ার পরও শতকরা ৮৩ টাকা দিবে বাংলাদেশের জনগণ। আর বাকী টাকা আসবে বিদেশ থেকে।
সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে না। কারণ নির্বাচন দিলেই তারা বলে নির্বাচনে যাবে না। গত নির্বাচনে বিএনপি প্রতিটি আসনে ৩/৪ জন প্রার্থী দিয়েছে। তারপরে বলে নির্বাচন করবে না। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন করবে না। নিবার্চন নষ্ট করবে। মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মারবে। এ ব্যপারে সবাইকে সর্তক থাকার আহবান জানান তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, সুদখুররা যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকবেন। ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন বাংলার মানুষ, বাংলার ছাত্রছাত্রীরা শেখ হাসিনার সাথে আছে। ষড়যন্ত্র করে পার পাবে না। ষড়যন্ত্র করলে জনগণ উচিত শিক্ষা দিয়ে দিবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বারের পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা আখাউড়া। এ উপজেলার বেশীভাগ লোকজন কৃষি কাজে উতপ্রোত ভাবে জড়িত। বর্তমানে চলছে ইরি-বোরো ধান আবাদের ভরা মৌসুম। স্থানীয় কৃষকরা কনকনে শীতকে অপেক্ষা করে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধান আবাদ শুরু করেছে। কৃষকরা জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ উঠানো, প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপনে এক প্রকার ব্যস্ত সময় পার করছে। ধান আবাদ নিয়ে এখন সর্বত্র চলছে এক প্রকার উৎসবের আমেজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকরা।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। রোপনকৃত জমির মধ্যে উন্নতফলনশীল জাতের ব্রি-২৯, ২৮, ৫০, ৮৫, ৮৭, ৮৮-৯৩, ৯৪, ৯৫ বঙ্গবন্ধু ১০০সহ নানা প্রজাতির ধান রয়েছে। এ মৌসুমে বোরো ধান রোপণের জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ৫হাজার দুইশত কৃষককে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে ২৫০০ কৃষককে বীজ ধান, ১০ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিওপি সার এবং ২৭০০ কৃষককে শুধুমাত্র বীজ দেওয়া হয়।
পৌর এলাকায় তারাগন, দেবগ্রাম, নারায়নপুর, উপজেলার নুরপুর, হীরাপুর, উমেদপুর, ধাতুর পহেলাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় কৃষকরা বোরো ধান আবাদে জমি প্রস্তুত, চারা উত্তোলন ও রোপনের কাজে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরমধ্যে ফসলি জমিতে কেউ কেউ ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করছেন। কেউ কেউ শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন, আবার কেউ বা ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠাচ্ছেন। মাঠ জুড়ে বোরো আবাদের ধুম পড়ায় সূর্যের মুখ দেখা না গেলেও কোমর বেঁধে মাঠে নেমে কাজ করছেন কৃষকরা। কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকালে বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি আবাদে কাজ চলছে যেন পুরোদমে। এদিকে তীব্র শীতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা রাতে বীজতলা ঢেকে রাখছেন। সব মিলিয়ে স্থানীয় কৃষকরা বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষক মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, এ মৌসুমে বোরো ধান আবাদ করতে সহায়তা হিসাবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার পেয়েছেন। গত আমনে ধান ৭ বিঘা জমি আবাদ করে ফলন ও বিক্রিতে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হয়েছি। তাই এবার ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হবে।
কৃষক মো: জামশেদ মিয়া বলেন, এক সময় বোরো ধান আবাদ করতে পানির খুবই সমস্যা হতো। অতিরিক্ত টাকায় সেচ দিতে হতো। গত কয়েক বছর ধরে সোলারের মাধ্যমে সেচ দিতে পারায় খরচ অনেক কমে এসেছে। তাছাড়া উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদে ফলন ও বিক্রিতে দর ভালো পাওয়ায় ধান চাষে লাভবান হচ্ছি। এ মৌসুমে ৮ বিঘা জমির মধ্যে ৫ বিঘা জমিতে চারা লাগানো শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বাকী জমিতে লাগানোর কাজ শেষ হবে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, উপজেলার সর্বত্র কৃষকরা জমি প্রস্তুত করে পুরাদমে বোরো ধান আবাদ শুরু করেছেন। মাঠজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে এবং সেচ ব্যবস্থা ঠিকমতো থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের এসএসসি সমমান পরীক্ষার বিজ্ঞান বিভাগের শেষ পরীক্ষা ছিল আজ ২৭ মে শনিবার। এদিন পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে সুষ্ঠু পরিবেশে বেলা ১টায় পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই তিন তলা ভবনের উপর থেকে ছাত্রদের শোরগোল চেচামেচি ভেসে আসে। হঠাৎ এমন অস্বাভাবিক শোরগোল শুনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দু’জন অফিস পিয়নকে বিষয়টি দেখতে পাঠান। অফিস পিয়নরা গিয়ে দেখে ছাত্ররা ময়লা ফেলার প্লাষ্টিকের ঝুরি ও পানি খাওয়ার গ্লাস ভাংচুর করছে। শ্রেণী কক্ষের কয়েকটি টেবিল এলোমেলো পড়ে আছে।
পরে শিক্ষকরা এগিয়ে এলে ছাত্ররা বিদ্যালয় ত্যাগ করে। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় এসএসসি পরীক্ষার সাব সেন্টার নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রে রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, আমোদাবাদ শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয় এবং হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়।
এদিকে টানা একটি মাস সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিলেও শেষ দিন এসে ছাত্রদের এমন আচরণের কারণ খোঁজে পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। শিক্ষকদের ধারনা, এবছর প্রথমবারের মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। ক্যামেরা লাগানোর ক্ষোভ থেকে এমনটি করে থাকতে পারে দুষ্টু ছাত্ররা।
শনিবার বিকাল ৫টায় সরজমিনে নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, তিন তলার একটি ওয়াশ রুমের লুকিং গ্লাসের কাঁচ ভাঙ্গা। একটি কক্ষের সিসি ক্যামেরা উপরের দিকে ঘুরানো। বিদ্যালয়ে প্রবেশের ছোট গেটের একটি অংশ দেয়াল থেকে খুলে পড়ে আছে। পানি সাপ্লাইয়ের ৪টি ট্যাপের মাথা ভাঙ্গা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন পরীক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের একজন পিয়ন এক ছাত্রের শার্টের কলারে ধরেছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অন্য ছাত্ররা এমন করেছে।
নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ ইকবাল বলেন, আমি সকালেই আভাস পেয়েছিলাম। আজ শেষ পরীক্ষা ছাত্ররা গোলমাল করতে পারে। ক্যামেরা লাগানোর কারণে ছাত্ররা ক্ষুব্ধ ছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের পরামর্শে এবছর এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। ছাত্ররা সারা বছর যা পড়ালেখা করেছে এখন তারা ভালো করে পরীক্ষা দিবে। এতে অসুবিধা কোথায়। সিসি ক্যামেরা লাগানোর কারণ এ ধরনের আচরণ করে থাকতে পারে বলে তিনি বলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম কিনেছেন ১৫৪৯ জন নারী। সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন উপলক্ষে মোট ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি। ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থিত দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, গত তিন দিনে মোট মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১৫৪৯টি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সেই সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
এসময় প্রার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেল কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত নির্বাচনের সময় কত সংখ্যক প্রার্থী ছিল সেটা কি মনে আছে? চৌদ্দশ’র বেশি ছিল। তখন সিট ছিল ৪৩টা, এখন ৪৮টা। ৫টা বেশি আছে।
তিনি বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক যে চর্চা, আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, বাংলাদেশে যতটুকু অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা হয়, সেটা আওয়ামী লীগের ভেতরেই হয়। আমরা নিয়ম কানুন মেনে সবকিছু করে থাকি। ভুল ত্রুটি হয় না তা নয়, কারণ পারফেক্ট পৃথিবীতে কেউ নয়। এছাড়া আমরাই এদেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রের কথা মুখে বলি না, নিজেদের ঘরে চর্চা করি। আর বিএনপি সেটা করে না। তাদের কনফারেন্সও হয় না কত বছর।
গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য আওয়ামী লীগের ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। যা আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। শেষদিন দলটি ২১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। বিপরীতে আয় করে ১ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
গতকাল দ্বিতীয় দিন ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়। এ থেকে মোট আয় হয় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ১৬৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭৮টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২২টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৩৬ টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৬৮টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৬০টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৪৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়।
প্রথম দিন বিক্রি হয়েছিল ৮১০টি ফরম। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২৬টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৫৬টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৭৭টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৯০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল।