নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে টমেটোর বাম্পার ফল হয়েছে। বীরগাঁও ইউনিয়নের শোভারামপুর ও নজরদৌলত গ্রামের ইনজামামুল হক ও রফিকুল ইসলাম- আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণ করে মাত্র ৩০ হাজার ৫ শত টাকা খরচ করে ৩৩ শতাংশ জমিতে গত বছর প্রায় ১ লক্ষ টাকা আয় করেন। এবারও চলতি মৌসুমে ইনজামামুল ঐ জমিসহ ২০০ শতক জমিতে রাজা জাতের টমেটোর চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। ইনজামামুল ও রফিকের টমেটো চাষের সাফল্যের কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার লোকজন প্রতিদিন তাদের জমি দেখার জন্য ভিড় করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন তাদের টমেটো চাষের সাফল্যের কারণ সঠিক ভাবে জমি প্রস্তুুত, উন্নত বীজ, পর্যাপ্ত সার ও সেচ এবং প্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার। এতে তাঁদের ব্যাপক সফলতা লাভ করেন। তাঁর এই সাফল্যে এলাকার যুব সম্প্রদায় ও চাষীদের মাঝে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে, ইনজামামুলের মতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে ২০০ শতক জমিতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারব। সারা বিশ্বে আলুর পরই টমেটো উৎপন্ন হয়, অধিকাংশ দেশেই টমেটো অন্যতম প্রধান সবজি। টমেটো কাঁচা-পাকা এবং রান্না করে খাওয়া হয়। প্রতি মৌসুমে বিপুল পরিমাণ টমেটো সস, কেচাপ, চাটনি, জুস ইত্যাদি তৈরিতে ব্যহৃত হয়,এর রং, রূপ ও স্বাদ অনন্য। টমেটোর পুষ্টির পাশাপাশি ভেষজ মূল্যও আছে,এর শাঁস ও জুস হজম কারক এবং ক্ষুধা বর্ধক, রক্ত শোধক হিসেবে ও কাজ করে।
টমেটো একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি প্রতি ১০০ গ্রামে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হল – পানি ৯৩.১ গ্রাম, প্রোটিন ১.৯ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, খনিজ ০.৬ গ্রাম, আঁশ ০.৭ গ্রাম, সোডিয়াম ৪৫.৮ মি.গ্রাম, পটাশিয়াম ১.১৪ মি.গ্রাম, কপার ০.১৯ মি.গ্রাম, সালফার ২৪ মি.গ্রাম, ক্লোরিন ০.৩৮ গ্রাম, ভিটামিন-এ ৩২০ মি.গ্রাম, থায়ামিন ০.০৭ মি.গ্রাম, রিবোফ্লাবিন ০.০১ মি.গ্রাম, নিকোটিনিক এসিড ০.৪ মি.গ্রাম, ভিটামিন-সি ৩১ মি.গ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ১৫ মি.গ্রাম, ফসফরাস ৩৬ মি.গ্রাম এবং লৌহ আছে ১.৮ মি.গ্রাম।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উল্লেখযোগ্য জাত গুলো হল বারি টমেটো- ৩, বারি টমেটো- ৪, বারি টমেটো- ৫, বারি টমেটো-৬, বারি টমেটো- ৭, বারি টমেটো- ৯,মানিক, রতন, ইত্যাদি। এ বছর নবীনগর উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ করা হয়। চাষকৃত উল্লেখযোগ্য ইউনিয়ন গুলো হল- বীরগাঁও, বড়াইল, কৃষ্ণনগর, শ্যামগ্রাম, বড়িকান্দি ও সলিমগঞ্জ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শহিদ ‘সুজয়’-এর স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সব শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সম্মতিক্রমে বিটঘর পুকুরপাড়ের তিন রাস্তার মোড়কে ‘শহিদ সুজয় চত্বর’ নামকরণ ও তার পাশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সুজয় বিটঘর ইউনিয়নের একমাত্র শহিদ। জাতির দ্বিতীয় স্বাধীনতার দিনে বিজয় উদযাপনের সময় স্বৈরাচার সরকার তাকে পুড়িয়ে মারে। নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের তরুণ টগবগে যুবক তানজিল মাহমুদ সুজয় (১৯) গত ৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পেট্রলের আগুনে পুড়ে মারা যায়।
সুজয় ছিলেন বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে সরব। সরকার পতনের ঠিক আগের দিন নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন; যা এখন রীতিমতো ভাইরাল। পোস্টে সুজয় স্বৈরশাসককে উদ্দেশ করে লিখেন- ‘আমি বেঁচে থাকলে বীর, মরলে শহিদ। তুই বাঁচলে টোকাই মরলে আলহামদুলিল্লাহ। হিসাবটা মিলা’।
সুজয়ের বাবা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে এই সরকারের দুঃশাসনের বিপক্ষে সবসময় সরব ছিল। বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিদিন আন্দোলনে যোগ দেয়। সরকারের পতন ঘটলে সবার সঙ্গে আমার ছেলেও আনন্দে আত্মহারা হয়ে উদযাপন করতে রাস্তায় নামলে সাভার থানায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি পুলিশের পোশাক পরে এলোপাতাড়ি গুলি করে তাকেসহ ১১ জনকে একটি কাভার্ডভ্যানে তুলে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানে সবারই মৃত্যু হয়।
সুজয়ের বাবা ছোটখাটো একটি ব্যবসা করতেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা এখন পরিবারের ভবিষ্যত কী হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত।
শহিদ সুজয়ের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার প্রত্যয়ে বিটঘর ইউনিয়ন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক, অনলাইন গেমসসহ বিভিন্ন ধরনের নেগেটিভ কাজ থেকে যুবসমাজকে দূরে রাখার প্রয়াসে নবীনগর পৌরসভা সহ ২১ টি ইউনিয়নের আলাদা আলাদা ফুটবল টীমের সমন্বয়ে শুরু হওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উক্ত খেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান, ওসি তদন্ত মো. সোহেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামস আলম, পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আজম, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম এলাহী, মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের সভাপতি মো. আবু কাওসার, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড ইসহাক মিয়া, প্রেষক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ সহ রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নবীনগর ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সাগরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পশ্চিম ইউনিয়ন ও সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন ২-০ গোলে জয় লাভ করেন।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন প্রভাষক আবু সাইদ রনি সার্জেন্ট অবসরপ্রাপ্ত জহিরুল হক, ডাক্তার শ্যামল ও অবসরপ্রাপ্ত কর্পোরাল দুলাল মিয়া।
সমাপনী বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও টুর্নামেন্টের সভাপতি সুন্দরভাবে টুর্ণামেন্টের আয়োজন করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান, এবং জেলা পর্যাযয়ে নবীনগর উপজেলা যাহাতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সকলকে বলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নবীনগর প্রেসক্লাব থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীমকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ২৩ অক্টোবর বুধবার রাতে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ বিদয়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, নবীনগরে আমার কর্মকালীন সময়ে আপনাদের যে সহযোগিতা পেয়েছি, তা ভুলব না, আমার প্রথম সাংবাদিকতার কর্মজীবনে জাতীয় প্রেসক্লাবে সদস্য হওয়ার ইচ্ছে ছিল, সেটা সেখানে পূরণ না হলেও আপনারা এই নবীনগর প্রেসক্লাব আমাকে আজীবন সদস্য করার যে ঘোষণা দিলেন তাতে আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি চেষ্ঠা করেছি নবীনগরে শিল্প সাহিত্যের উন্নয়নে কাজ করার, আপনাদের দাবির প্রেক্ষিতে নবীনগর গণগন্থাগারে লাইব্রেরিয়ানকে পৌরসভায় মাষ্টাররোলে চাকুরির সিদান্ত গ্রহন করা হয়েছে এবং সার্বজনীন সার্বজনীন ট্যারিটেবল ট্রাস্ট থেকে মাসিক একটা সম্মানি দেওয়া কথা ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন শান্তি আমাকে জানান। তিনি বলেন, আমি আপনাদের পাশে আছি,থাকব, বিভিন্ন সময়ে আপনাদের প্রয়োজনে ও দাওয়াতে আসার চেষ্টা করব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তার বক্তব্যে ক্লাবের সিদ্ধান্তের আলোকে সাংবাদিকবান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীমকে নবীনগর প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য হিসেবে ঘোষণা করে বলেন, প্রেসক্লাব একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান, সেখানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, সমাজের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষসহ সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের প্রবেশের অধিকার রয়েছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন, নবীনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ হুমায়ুন কবির, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবু কামাল খন্দকার, নবীনগর মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুক্লা রানী দেব, উপজেলা বিএনিপ’র সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাজু, সাবেক ভিপি গোলাম হোসেন খান টিটু, জামায়েত ইসলামের পৌর শাখার সেক্রেটারী শাইফুল ইসলাম বাশার, সমাজসেবক মাওলানা সানাউল্লাহ, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম লিটন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম সবুজ, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সামছুন্নাহার বেগম, শ্রমিকদল নেতা ইলিয়াস আলী।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনাজ, প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাপ্তাহিক মলয়া পত্রিকার প্রকাশক মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, সাপ্তাহিক গ্লোবালনেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক পিয়াল চৌধুরী মিঠু,প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আই কে ইব্রাহিম, প্রেসক্লাবের সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাবু, প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মিঠু সুত্রধর পলাশ, প্রেসক্লাবের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আবদুল হাদী, সাংবাদিক জামাল হোসেন পান্না, প্রেসক্লাবের সদস্য শাহনূর খান আলমগীর, সাংবাদিক খলিলুর রহমান, সাংবাদিক মাহাবুব মোর্শেদ, সাংবাদিক সোহেল, সাংবাদিক আলম, সাংবাদিক খন্দকার আলমগীর, প্রেসক্লাব কার্যকরি পরিষদের সদস্য পিয়াল হাসান রিয়াজ, প্রেসক্লাব কার্যকরি পরিষদের সদস্য মো: মনির হোসেন প্রমুখ।
এ সময় উক্ত অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মাওলানা সানাউল্লাহ্ প্রেসক্লাব উন্নয়নের এক লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে লাইফ জ্যাকেট বিহীন স্পীডবোট চালানোসহ অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নৌ-যান চলাচলের অভিযোগে ৮টি মামলায় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় উপজেলার মধ্যপাড়ায় একটি অবৈধ খনন যন্ত্র জব্দ করা হয়।
২ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও নবীনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন নবীনগর লঞ্চঘাট থেকে স্পীডবোট ও নৌ-যানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর, নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, বাঞ্ছারামপুর, আশুগঞ্জ, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় যাতায়ত করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। প্রতিনিয়তই নবীনগর লঞ্চঘাট থেকে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় চালকেরা। এছাড়া লঞ্চঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে বিভিন্ন ধরণের নৌযান চলাচল করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান নবীনগর লঞ্চঘাটে অভিযান পরিচালনা করে। এসসয় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নৌযান চলাচল এবং লাইফ জ্যাকেটবিহীন যাত্রী বহনের দায়ে ৮টি মামলায় আটজনকে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিন বিকেলে উপজেলার মধ্যপাড়া এলাকায় অবৈধ খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলনে দায়ে একটি খনন যন্ত্র জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে উপজেলার লঞ্চঘাট থেকে অতিরিক্ত মালামাল ও যাত্রীবোঝাই করে একটি ট্রলার নরসিংদী জেলার মির্জারচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। বেলা তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের তিতাস নদের সীতারামপুর এলাকার সেতুর পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে এক তরুনীসহ দুই যাত্রী মারা যায়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান বলেন, অভ্যন্তরীন নৌ চলাচাল অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ অনুযায়ী আটটি মামলায় সাড়ে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিন বিকেলে একটি অবৈধ খননযন্ত্র জব্দ করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।