চলারপথে ডেস্ক :
দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর পর ফের ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু করা হয়েছে। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর বনানীতে এ দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে সঙ্গে নিয়ে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এ দূতাবাস উদ্বোধন করেন। এ সময় দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ।
দূতাবাস উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের মুহূর্ত। এটি কেবল একটি কূটনৈতিক বিষয় নয়, এটি আবেগপূর্ণ মুহূর্ত।
তিনি আরো বলেন, এই দূতাবাসের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। পুনরায় দূতাবাস চালুর ফলে দুই দেশের সম্পর্কেও উন্নতি হবে।
১৯৭২ সালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাংলাদেশ। এরপর ঢাকায় দেশটির দূতাবাস খোলা হলেও ১৯৭৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ভারতের দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক কার্যক্রম এবং ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা দূতাবাস খোলা হয়। কিন্তু এর কয়েক বছর পরই জান্তা সরকারের সময় অ্যাম্বাসি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনার জন্য অনবরত ভালোবাসা দেখিয়ে গিয়েছে। তারা আর্জেন্টিনাকে ভুলে যায়নি। এজন্য আমরা আবারও বাংলাদেশে দূতাবাস চালু করছি।
এর আগে নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন এবং বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও গভীর করতে আজ সোমবার সকালে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো ঢাকায় আসেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। এটাই আর্জেন্টিনার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর।
আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
চলারপথে ডেস্ক :
পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় জুমাতেও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল। ধনী-গরিব, ছোট-বড় সকলের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মসজিগুলো।
আজ ৩১ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের আজানের আগ থেকেই মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি শুরু হয়। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে প্রচণ্ড খরতাপ উপেক্ষা করে বিভিন্ন গেট দিয়ে মুসল্লিরা নামাজের জন্য প্রবেশ করেন। বেলা সোয়া ১২টা পার হতেই মুসল্লিদের ঢল নামে জাতীয় মসজিদে। বেলা ১টা বাজতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় মসজিদের ভেতর-বাহির প্রাঙ্গণ। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে দেখা যায়। ভেতরে তিল ধারনের জায়গা না থাকায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উত্তর গেটের বাহিরের সিঁড়ি ও রাস্তায় নামাজ আদায় করেন।
বায়তুল মোকাররমে খুৎবা পেশ করেন খতিব মুফতি রুহুল আমীন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এদিকে রমজান মাসের দ্বিতীয় জুমায় রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম ছাড়াও হাইকোর্ট জামে মসজিদ, লালবাগ শাহী মসজিদ, চকবাজার শাহী মসজিদ, গুলশানের আজাদ মসজিদ, ধানমন্ডি সেন্ট্রাল মসজিদ, সোবহানবাগ মসজিদ, মহাখালীর মসজিদে গাউছুল আজম, বনানী বাজার মসজিদ, মহাখালী বায়তুল মাহফুজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ, মতিঝিল ওয়াপদা মসজিদসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জামে মসজিদে লাখো লাখো মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেন। এসব মসজিদের নামাজের খুতবায় রমজানের বিশেষ গুরুত্ব তুলে ধরে বয়ান করা হয়।
এছাড়াও জুমার নামাজ শেষে খতিব ও ইমামগণ দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মার কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ মাসটি হলো মাহে রমজান। আর সপ্তাহের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ দিনের মধ্যে রয়েছে পবিত্র জুমার দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুতুবদিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে আদিয়াত নামের ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার উপজেলার আলি আকবর ডেইল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তাবালরচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আদিয়াত ওই এলাকার মো: আমান হোসাইন সুমনের পুত্র।
প্রত্যেক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাড়ির লোকজনের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় মাদক বিরোধী সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ জুলাই শনিবার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাদককে লালকার্ড প্রদর্শন করেন।
এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থানের আহ্বান জানিয়ে পাঠ করানো হয় শপথ বাক্য। শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আবুল হাসেম খান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধিকে ভোট দেওয়া যাবে না। তার কাছে মেয়ে বিয়ে দেয়া যাবে না। আত্মীয়তা করা যাবে না। তার বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া যাবে না। তাকে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে।
সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ জাহের, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লা সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী চৌধুরী, সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, শিক্ষানুরাগী মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী, শিদলাই আমীর হোসেন জোবেদা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ মিয়া ও নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বহু স্থাপনা। আজ ১৪ মে রবিবার দুপুরে মোখা উপকূল অতিক্রম শুরু করার পর প্রাথমিক আঘাতে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি অনেক বেশি। অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুনেছি গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু বৈরি পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ফলে সব খবরাখবর এখনই পাচ্ছি না।
সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সমুদ্রের পানিও বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়ছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব ধোঁয়াশা হয়ে আছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল আঘাত হচ্ছে মিয়ানমারে। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি অনেক কমেছে।
ঢাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিট্যুয়ে অঞ্চল দিয়ে যাবে। ১৪ মে রবিবার বেলা ১১টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল, এখন আর তা নেই।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার পিক আওয়ার হবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা। এ সময়ে দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। তখন ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আরো বলেন, বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোখা আমাদের অতিক্রম করে গেলেও এর প্রভাব থেকে যাবে আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরিলক্ষিত হবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে। আমরা আশঙ্কা করছি জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা যদি ৮ থেকে ১২ ফিট পর্যন্ত হয়, তাহলে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে অস্থায়ীভাবে পানির জলাবদ্ধতা থাকবে। তবে পর্যায়ক্রমে তা কেটে যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক ঝড়ঝাপটা পার করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়েছে। সাধারণত কোনও প্রকল্প শেষ হলে সেই শেষ হওয়ার অনুষ্ঠান হয় না। কখনো করা হয় না, শেষ হয়ে যায়।’
আজ ৫ জুলাই শুক্রবার বিকালে পদ্মা সেতুর মাওয়াপ্রান্তে পদ্মা সেতুর প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন। প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে যারা জড়িত, যারা জমি দিয়েছে, তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এটি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, ‘একটা সিদ্ধান্ত বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। বিশ্ববাসী এখন আমাদের সমীহ করে চলে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা ছিল না বিদেশে গেছি, তখন বাংলাদেশের নামটা শুনলে কেউ জিজ্ঞাসা করত, এটা কি ভারতের কোনও অংশ? জিজ্ঞেস করত, এদেশে তো শুধু ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্ভিক্ষ লেগে থাকে। মিসকিন হিসেবে আমাদের হিসেব করা হতো। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট, ব্যথার ছিল। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আর সেই স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা থাকবে না, আমরা মাথা তুলে কথা বলতে পারব না, আমাদের আত্মমর্যাদাবোধ থাকবে না, এটা কি ধরনের বাংলাদেশ?