চলারপথে ডেস্ক :
বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে। এর আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাইপূর্বক ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে ১ মার্চ বুধবার।
তিনটি সেবার মধ্যে রয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটিং, টিকিট চেকিং ব্যবস্থায় পস (পয়েন্ট অব সেলস) মেশিনের প্রবর্তন এবং অনলাইনের মাধ্যমে কেনা টিকিট অনলাইনেই ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা।
রেল কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এতে কমবে টিকিট কালোবাজারি এবং যাত্রীদের ভোগান্তি। রেলওয়ে সূত্র বলছে, যাত্রীসেবা বাড়াতে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে ও বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে টিকিটিং ব্যবস্থায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে।
১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং ব্যবস্থায় সাতটি শর্ত জুড়ে যাচ্ছে।
১। ১২-১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা পিতা বা মাতার নাম ও এনআইডি দ্বারা নিবন্ধনকৃত রেলওয়ে অ্যাকাউন্ট অথবা জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে এবং জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধনকৃত অ্যাকাউন্ট দিয়ে পৃথক/এককভাবে টিকিট কিনতে পারবে। এরূপ ক্ষেত্রে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত নামের সঙ্গে যাত্রীর সম্পর্ক যাচাইয়ের জন্য ভ্রমণকালে বাধ্যতামূলকভাবে জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে।
২। বিদেশি নাগরিকেরা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে এবং পাসপোর্টের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
৩। সফলভাবে এনআইডি/ পাসপোর্ট/ জন্মনিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন ব্যতিত কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন না।
৪। ভ্রমণকালে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট/ ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড সাথে রাখতে হবে।
৫। পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬। যাত্রীরা ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন/ পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিস্টেমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
৭। দেশের বিভাগীয় শহরের রেলস্টেশন ও আন্তঃনগর ট্রেনের প্রারম্ভিক স্টেশনসমূহে সর্বসাধারণের নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য একটি করে হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হবে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রেলভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান এবং ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি আজ ৮ অক্টোবর বুধবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্যবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ’ সরকারি কর্মকর্তারা।
গত ৫ নভেম্বর রবিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এবং মদিনার মসজিদে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। শেখ হাসিনা সেখানে আসরের নামাজের পর ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
একই দিন রাতে তিনি মদিনা ত্যাগ করে মক্কায় পৌঁছান। পরে প্রধানমন্ত্রী এশার নামাজের পর মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফ) পবিত্র ওমরাহ পালন করেন।
৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘উইমেন ইন ইসলাম’ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন। সম্মেলনের ফাঁকে তিনি ওআইসি ও সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি শেখ হাসিনা উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশও নেন।
৬ থেকে ৮ নভেম্বর সৌদি আরব অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সঙ্গে যৌথভাবে সম্মেলনটির আয়োজন করে।
৫ নভেম্বর রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেন। তাকে বহনকারী প্লেন বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ২০ মে দিবাগত রাতে। নতুন করে হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে না। কোটা খালি রেখেই শুরু হবে হজ ফ্লাইট। এমনটিই জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
তিনি আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এ কথা জানান।
গতকাল হজ নিবন্ধনের বিশেষ দিন ছিল। এরপরও কোটা পূরণ হয়নি। এবার প্রায় ৩ হাজার কোটা খালি রেখেই হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে।
আজ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজের খরচ কমানোর সুযোগ নেই। কোটা খালি রেখেই হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ২৭ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন ও ফ্লাইনাস হজযাত্রী পরিবহণ করবে। হজ ফ্লাইট নিরবচ্ছিন্ন রাখতে রাজধানীর আশকোনায় হজ অফিসে হজ কন্ট্রোল রুম, হেল্প ডেস্ক চালু করতে নির্দেশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২৪ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের স্বাক্ষরিত চিঠি হজ অফিসে পাঠানো হয়েছে।
নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন শুরু হয়েছে ১৬ এপ্রিল। ভিসার আবেদন করা যাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা সব জেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ঢাকায় ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয় এবং হজ অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা যেখানে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করবেন, সেখানে তাদের পাসপোর্ট জমা দেবেন এবং রশিদ গ্রহণ করবেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সির মাধ্যমে এবং হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার আবেদন করতে পারবেন। বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদনের পর পাসপোর্ট নিজ নিজ এজেন্সির কাছে জমা দিয়ে রশিদ নেবেন।
চলতি মৌসুমে হজ নিবন্ধনের জন্য দফায় দফায় আটবার বাড়ানো হয়েছে। তারপরও হজযাত্রীদের প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি। ফলে নির্ধারিত আসন পূর্ণ না হওয়ায় বিশেষ একদিন সুযোগ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেজন্য মঙ্গলবার হজের নিবন্ধনের সার্ভার খুলে দেওয়া হয়। এই একদিনে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছে মাত্র ৪০ জন আর বেসরকারিভাবে করেছে ৭৫৭ হজযাত্রী।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সংস্কৃতি ছিল। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে এসেছে আজকে তারাই গণতন্ত্রের ছবক দেয়!
তিনি বলেন, শুধু দেশের ভেতরে নয়, দেশের বাইরে গিয়েও নালিশ করা বিএনপির চরিত্র। তারা মনে করে দেশের বাহিরে থেকে এসে কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে লাভ হবে না।
২৭ মার্চ সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একটাই লক্ষ্য ছিল- এদেশের মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, বাসস্থান পায়, চিকিৎসা পায়, উন্নত জীবন পায়। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই তিনি আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ৫৩ বছর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ১৯৪৮ সালে আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন সেই আন্দোলনের পথ বেয়েই তিনি ধীরে ধীরে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন। তারই ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে এদেশ স্বাধীন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদেরকে একটি রাষ্ট্র দিয়েছেন, একটি জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন, বিশ্ব দরবারে আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য। তিনি চেয়েছিলেন তাদের ভাগ্য তিনি পরিবর্তন করবেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন। আর এসব কারণেই তিনি এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে এদেশের মানুষ লড়াই করতে নেমে গিয়েছিল। বাংলাদেশের যুদ্ধটা একটি জনযুদ্ধ ছিল। যারা ট্রেনিং নিয়ে দেশে এসেছে, দেশের মানুষকে তৈরি করেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাধা দিয়েছে। ট্রেনিংপ্রাপ্ত শুধু তা নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে গিয়েছিল। যে যেভাবে পেরেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। যেহেতু এটা গেরিলা যুদ্ধ, গেরিলা যোদ্ধারা যখন দেশে ঢুকেছে, এদেশের মা-বোনেরা রান্না করে খাওয়ার দেওয়া, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের তথ্য দেওয়া; সেই কাজগুলো করেছে। একটা জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এদেশে স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নালিশ করে তাদের ওপরে নাকি খুব অত্যাচার। অত্যাচার তো আমরা করি নাই। অত্যাচার করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। জিয়াউর রহমান এসে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। সেনা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, সৈনিক থেকে শুরু করে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে নির্বিচারে ফাঁসি দিয়েছে, গুলি করেছে, হত্যা করেছে। পরিবারগুলো তাদের লাশও পায়নি। সব লাশ গুম হয়ে গেছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করা এবং প্রথমে লেবাস পড়ে ক্ষমতায় যাওয়া, রাজনীতিকে গালি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে, আবার সেই লেবাস খুলে নিজেরাই রাজনীতিবিদ হয়ে যাওয়া আর ক্ষমতা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দখল গঠন করার কালচারটাই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে। অবৈধ দখলকারীদের হাতে তৈরি করা যে সংগঠন তারা নাকি গণতন্ত্র চায়। যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি। যাদের জন্ম মিলিটারি ডিক্টেটেডের মধ্য দিয়ে, তারা আবার গণতন্ত্র চায়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র দেয়নি, তারা গণতন্ত্র দেবে। গণতন্ত্রের জন্য নাকি তারা লড়াই করে। ওদের জিজ্ঞেস করতে হয়, তাদের জন্মটা কোথায়? অবৈধ দখলদারি এটা তো আমাদের কথা না। আমাদের উচ্চ আদালত বলে দিয়েছে যে, জিয়া-এরশাদ সম্পূর্ণ অবৈধ। তারপর তারাও নাকি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামও করে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালের ট্রেন দুর্ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
১৯ ডিসেম্বর রেলভবনে ‘সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক কারণে ট্রেনে নাশকতা সৃষ্টি’ বিষয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত না করে নির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্ঘটনা হওয়ার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, কেউ যাত্রী হয়ে ট্রেনে উঠলে নিরাপত্তা দেওয়া তো রেলের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাসের বদলে ট্রেনকেই এখন প্রধান হাতিয়ার করা হচ্ছে।
পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।
রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেই পারে কিন্তু সহিংসতা করতে পারে না বলে মন্তব্য করেন রেলপথমন্ত্রী সুজন। তিনি বলেন, কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। তারা এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে মনে করছে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা করা সম্ভব। যদিও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কিন্তু তারা কর্মসূচি না দিলে তো এটা হতো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের উড়ানী গ্রামে রান্না করার সময় চুলার ওপর গরম কড়াইয়ে পড়ে রুপালী খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রুপালী উড়ানী গ্রামের ওবায়দুল্লাহ শেখের স্ত্রী। আজ ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওবায়দুল্লাহ শেখের স্ত্রী রুপালী বেগম নিজ রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। রান্না করার এক পর্যায়ে তিনি ডিম রান্নার গরম কড়াইয়ের উপর পড়ে যান। এ সময় ননদের ৫ বছর বয়সী ছেলে মুরছালিন বিষয়টি দেখতে পেয়ে পাশেই পাট বাছাই করতে থাকা মা ইতি খানমকে গিয়ে জানালে তিনি এসে কড়াই থেকে রুপালীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ষোষণা করেন। মৃত রুপালী খানমের মাহি নামে ৩ বছরের মেয়ে ও মাহিম নামের দেড় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।