চলারপথে রিপোর্ট :
২২ বছরের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত ওই তরুণী হলো শান্তা আক্তার। সে তার মা মাজেদা বেগমের নিজ বাড়ি বাউতলা গ্রামে বসবাস করতো। তার পিতা ফারুক মিয়া জেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশহর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর আগে শান্তার তার মাজেদা বেগম তার বাবা ফারুক মিয়াকে তালাক দেয়। এরপরে বাউতলার গ্রামের নাসির মিয়ার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নাসির মিয়াকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। বাবাকে তালাক দেওয়া এবং মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি নিতে পারেনি বাকপ্রতিবন্ধি শান্তা। এ নিয়ে মায়ের সাথে তার মনোমালিন্য ছিল। মা তাকে প্রায় সময়ই মারধর করতো। মঙ্গলবার সকালে শান্তা পাশের বাড়ি চলে গেলে সেখান থেকে শিকল দিয়ে বেঁধে বাড়িতে নেয় মা। এর কিছুক্ষণ পরই প্রতিবেশীরা জানতে পারে শান্তা গলায় ফাঁস দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, শান্তা অনেক সময় রাস্তায় চলে যেত। এজন্য মা শাসন করতো। এটা সে মানতো না। সকালে তার মা যখন নাস্তা তৈরি করছিল তখন সে পাশের রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ভেকু দিয়ে কৃষি জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার দায়ে দুই ব্যক্তিকে এক লক্ষ জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
পুলিশের সহায়তায় আদালত পরিচালনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম। জরিমানা দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন বনগজ গ্রামের রৌশন আলী বেপারী ও ভাটামাথা গ্রামের মোঃ সালাহ উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা বিক্রির উদ্দেশ্য ভেকু দিয়ে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটছিল। খবর পেয়ে বেলা ২ টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম ঘটনাস্থল বনগজে গিয়ে মাটি কাটার সময় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে মাটি কাটার সত্যতা পাওয়ায় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় শীতার্ত অসহায় ও দুস্থ মানুষের উষ্ণতা দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পাশে দাঁড়াল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য ও সাংবাদিক মো: সাইফুল ইসলাম। আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে তার নিজস্ব অর্থায়নে দুইশত কম্বল অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এই সময় জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আখাউড়ায় ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে শীত জেঁকে ধরেছে সবাইকে। হিম ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় নাকাল জনজীবন। শীতের এই তীব্রতা বেশি কাবু করে নিয়েছে মানুষকে।
কম্বল বিতরণকালে সকলের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের ঘরের সন্তান। এই শীতে আপনারা কষ্ট করবেন, তা মেনে নেয়া যায় না। আপনাদের প্রতি বুকভরা ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, সম্মান ও সহমর্মিতা নিয়ে আমি এখানে এসেছি, পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে। এ সময় তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিশেষ অভিযানে আলোচিত মোরছালিন ভূঁইয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে। তিনি ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন।
৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে থানা পুলিশ এ তথ্য জানায়।
আখাউড়া থানার ওসি মো.নূরে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে দুপুরে ধরখার হাইওয়ে রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল্লাহকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে ডেকে নিয়ে মোরছালিন ভূঁইয়াকে (২৬) হত্যা করা হয়। পরদিন রবিবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে মঙ্গল মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহর তালাবদ্ধ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মোরছালিন উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
নিহতের স্বজনদের দাবি, পাওনা টাকা চাওয়ায় আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর আব্দুল্লাহসহ অন্য আসামিরা গা-ঢাকা দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পারিবারিক কলহের জের ধরে রুনা আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩১মে শনিবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ঘোলখার গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের শিকার রুনা আক্তার একই ইউনিয়নের রাণীখার গ্রামের শিক্ষক শেখ নাছির উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের বড় ভাই শেখ জসিম উদ্দিন জানান, তিন বছর আগে পাশের গ্রামের সাইদুর রহমানের সাথে পারিবারিকভাবে রুনার বিয়ে হয়। তাদের ১০ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। ঢাকায় সেলুনে কাজ করেন সাইদুর। সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে জমি কেনার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা নেন সাইদুর। এরপর আবার টাকা নেয়ার জন্য রুনাকে চাপ দিলে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এ বিষয় নিয়েই রুনার ওপর শারীরিক নির্যাতন চলছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনন্ত কুমার ভক্ত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ভিকটিম মারা যায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ভিকটিমর বুকে গভীর ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা প্রাণঘাতি ছিল।
হাসপাতালের মর্গে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মোছা: শিরিন আক্তার। তিনি জানান, ভিকটিমের বাম বুকের উপরে গলার নিচে সাড়ে সাত ইঞ্চি গভীর ও ২ ইঞ্চি প্রস্থের ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার অনামিকায় কাটা রক্তাক্ত জখম রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পরই ভিকটিমের স্বামী সাইদুর রহমানকে বাড়ি থেকে এবং তার শ্বশুর আব্দুস সালামকে হাসপাতাল থেকে আটক করে থানার হাজতে রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আখাউড়ায় ট্রেন যাত্রীদের সেবা প্রদান করেছে স্কাউট ও রোভাররা। আজ ৫ জুলাই বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমনকারী যাত্রীদেরকে ট্রেনে আরোহন, মালামাল উঠানো-নামানোসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করেছে স্কাউট সদস্যরা।
আখাউড়া রেলওয়ে জেলা স্কাউট দুই দিনব্যাপী ঈদ যাত্রী সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। ট্রেনে উঠা-নামায় সহযোগিতা, যাত্রীদের সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা এবং ষ্টেশন চত্বরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে স্কাউটস সদস্যরা। সেবামূলক এ কাজে ৬টি স্কাউট গ্রুপের ৩০/৩৫ জন সদস্য অংশ নিচ্ছে।
জেলা স্কাউট সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন হয়ে হাজার হাজার ট্রেন যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে।
এসময় ষ্টেশনে প্রচুর ভীড় হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট ট্রেন এবং ট্রেনের বগি খোঁজে পাওয়া এবং নারী-শিশুদের নিয়ে ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
এ অবস্থায় যাত্রীদের সুবিধার্থে আখাউড়া রেলওয়ে জেলা স্কাউট ২ দিন ঈদ যাত্রী সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। এ কার্যক্রমে অগ্নিবীণা, গোধুলী, সূর্য সৈনিক, হলি চাইল্ড, দিগন্ত এবং প্রত্যাশী রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের স্কাউট ও রোভার এবং কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছে। এসময় যাত্রী সেবার পাশাপাশি অনলাইন টিকেটের রেজিষ্ট্রেশন করে দেওয়া হয়।
সেবা কার্যক্রমে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে জেলা স্কাউট সম্পাদক এস.কে. খাদেম সেলিম, সাবেক সম্পাদক আহসান কবির লিটন, সহকারী কমিশনার কাজী হান্নান খাদেম, সহকারী কমিশনার তোফাজ্জল আলী উজ্জল, হলি চাইল্ড সম্পাদক আকতারুজ্জামান রান, জেলা রোভার প্রতিনিধি মোঃ সাকিবুল হাসান, সূর্য সৈনিক যুগ্ম সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, রোভার রাব্বি চৌধুরী, গার্ল ইন রোভার সাদিয়া সুলতানা, স্কাউট নাসিবা হক, লামিয়া ইসলাম, পল্লী চিকিৎসক বিনা আক্তার।