চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ একমাস পর শিশুদের সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রমের (ইপিআই) টিকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পৌঁছেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে মেড্ডায় ইপিআই সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ের স্টোরে এগুলো পৌঁছায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইপিআই কর্মসূচিতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন ধাপে টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি জনিত রোগ, হাম, নিউমোকক্কাল জনিত নিউমোনিয়া, রুবেলা। সময়সূচি অনুযায়ী টিকা না নিলে শিশুর মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
জন্মের পর শিশকে প্রথম বিসিজি টিকা দিতে হয়। বয়স ৬ সপ্তাহ হলে আইপিভি টিকার প্রথম ডোজ ও ১৪ সপ্তাহ বয়সে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়। একই সময়ে পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপিটি, হেপাটাইটিস-বি, হিব), ওপিভি এবং পিসিভি টিকার প্রথম ডোজ দিতে হয়। তারপর কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ/২৮ দিনের ব্যবধানে এসব টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ দিতে হয়।
শিশুর বয়স ২৭০ দিন পূর্ণ হলেই শিশুকে প্রথম ডোজ এবং ১৫ মাস বয়স পূর্ণ হলে দ্বিতীয় ডোজ এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকা দিতে হয়। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় গত একমাস ধরে বিসিজি টিকা ছাড়া শিশুদের কোনো টিকা মজুত ছিল না। ফলে শিশুদের সময়মতো টিকাগুলো দেওয়া যায়নি।
জেলার ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বছরে ৯১ হাজার শিশুকে প্রতিটি টিকা দেওয়া হয়। জেলার ৯৮টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২৪টিকে টিকাকেন্দ্রে মাসে একবার করে টিকা দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, সোমবার বিকেলে ইপিআই টিকা এসেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান যোগ দিয়েছেন। এরআগে তিনি সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ছিলেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বদলী আদেশ হয়। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব গ্রহন করেন। ২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪ তম বিসিএস-এর মাধ্যমে পুলিশে যোগ দেয়া এই কর্মকর্তা ২০১৮ সালে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পান। কর্মজীবনে এএসপি হিসেবে টাঙ্গাইল ও নোয়াখালী সদর সার্কেল এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে ঢাকায় নৌপুলিশ এবং সিলেট জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সুদানে দায়িত্ব পালন করেন। জাবেদুর রহমান সিলেট সদর উপজেলার চৌকিদেখির বাসিন্দা। পূর্বতন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলী করা হয়েছে। প্রায় ২বছর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ৭ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যান তিনি। যাওয়ার প্রাক্কালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নে বজ্রপাতে শাহজাহান (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে বজ্রপাতে ৩টি গরু মারা গেছে। আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।
মৃত শাহজাহান সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত জালু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল জানান, দুপুরের পর বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় কাঞ্চনপুর গ্রামে শাহজাহান নামে এক ব্যক্তি মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। পাশাপাশি একই সময়ে বজ্রপাতে খেওয়াই গ্রামে কৃষক মনা ভূঁইয়ার ৩টি গরু মাঠে ঘাস খাওয়া অবস্থায় মারা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বজ্রপাত মাছিহাতা ইউনিয়নে এক ব্যক্তি ও ৩টি গরু মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরাসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিরাসার গ্রামের বাবুল মিয়ার পক্ষের আলামিন, একই গ্রামের মিজান আনসারির সাহেব বাড়ি পক্ষের মহিদ মিয়া ও তার ছেলেকে মারধর করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরই জেরে শনিবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ককটেলের বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের জেলা প্রধান নিউটন দাস জানান, ভোরে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসব বাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।