চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার খোলাপাড়া গ্রামে আধ্যাত্নিক সাধক পুরুষ শাহ আবদুল কাদির শাহ রহ: স্মরণোৎসব ও বার্ষিক ওরস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাউল উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। তবে উক্ত বাউল উৎসবে ব্যাপক ভক্ত ও আশেকানদের সমাগম ঘটবে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে সারারাত ব্যাপী চলবে এই বাউল উৎসব। এছাড়া নির্মিত শাহ আবদুল কাদির শাহ পাঠাগারেরও উদ্ধোধন করা হবে। এবার গান পরিবেশন করবে ভারতের ত্রিপুরার রাজা হাসান, কুষ্টিয়ার লালন শিল্পি শবনব রাখি। রাতে অনুষ্ঠিত হবে পালাগান। গান পরিবেশন করবেন দেশ বরেণ্য বাউল শিল্পী রুমা সরকার ও জহির পাগলা।
উক্ত বাউল উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বেশেষে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এ ব্যাপারে বাউল উৎসব আয়োজক কমিটি সভাপতি ও শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরী জানান আমাদের এই বাউল উৎসবের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিকেলে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেছেন।
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া পেয়েছেন “ডাব” প্রতীক, এই আসনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন “ সিংহ” প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ পেয়েছেন “মটর গাড়ি (কার)” প্রতীক, এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন “লাঙ্গল” প্রতীক ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন “গোলাপ” ফুল প্রতীক।
উপ-নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান বিকেলে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখন থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।
উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এই আসন থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শুন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
উপ-নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু আওয়ামীলীগের তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল- মামুন সরকার বলেন, ‘এখানে যেহেতু দল কোনো প্রার্থী দেয়নি সেক্ষেত্রে দলের কথা বলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। তারা স্বেচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মূলত নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে অনেকটা অসময়ে। দলের প্রার্থীরা সময় নিয়ে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ সার কারখানায় সার উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। ২২ জানুয়ারি বুধবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিক কর্মচারীরা এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। সকাল ৮টা থেকে ২ঘন্টা পর্যন্ত প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে সার সরবরাহ বন্ধ ছিল।
মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. বজলুর রশিদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিবিএ এর সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারেক, অফিসার্স ওয়েলফার এসোশিয়েশনের মো. জহিরুল ইসলাম, ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এএফসিসিএল সিবিএর অন্যান্য কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, কারখানাটি বিগত ৯ মাস উৎপাদন বন্ধ থাকার পর ২০ জানুয়ারি থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে প্রয়োজনীয় গ্যাসের প্রেসার না থাকায় ইউনিয়া সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় কারখানার যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই কারখানাকে বাচাঁতে শ্রমিক-কর্মচারীগণ আন্দোলনে নেমেছে। তাদের এই দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন ১২শ’ মেট্রিক টন ইউনিয়া সার উৎপাদন হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ সহ দেশের ৮ জেলায় সার সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যের শুভ উদ্বোধন ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয় বিতরণ কার্যের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহবাব হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেক মিয়া, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থেকে চুরি হওয়া প্রায় ৫ টন চালসহ চোর চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের হেফাজত হতে চুরির কাজে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক ও চাল বিক্রির নগদ ১২ লক্ষ ২৭ হাজার ২শ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আশুগঞ্জ থানা পুলিশ চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে আজ ৭মার্চ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আটককৃতরা হলেন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার কোরবানপুর গ্রামের অলি উল্লার ছেলে মোঃ রিপন মিয়া(৩৬) ও ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার আব্দুর নবী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান(৫৫)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ আহাম্মেদ জানান, গত ১ মার্চ দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর খান এগ্রো ফুড এবং সোহাগপুর লাল মিয়া এগ্রো ফুড থেকে মেসার্স আল-মদিনা পরিবহন সংস্থার মাধ্যমে মোঃ ফারভেজ (২৮) ও মোঃ শাহীন (২৫) ও তাদের সহযোগি হেলপারসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন ৭৫০ বস্তা চাল (৩০ টন) নিয়ে চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে চুরি করে নিয়ে যায়। গত ৪ মার্চ আল-মদিনা পরিবহন সংস্থার স্বত্বাধিকারী মোঃ জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানার মামলা দায়ের করে।
পরে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ফেনী জেলার দাগনভূইয়া ও চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলায় অভিযুক্ত রিপন মিয়া (৩৬) ও মফিজুর রহমান (৫৫) কে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের হেফাজত হতে চুরি হওয়া ৪৭শ কেজি চাল-যার মূল্য ২লক্ষ ৪৬হাজার ৩শ টাকা ও চুরি করা চাল বিক্রির নগদ ১২লক্ষ ২৭ হাজর ২শ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-৩৬৯৮) ও (ফেনী-ট-১১-০৯৩৪) জব্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আটককৃতদের আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে ওসি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
একই বিদ্যালয়ে পাশাপাশি দুটি ভবন। একটি নির্মাণের চার বছর পর আরেকটি নির্মাণ করা হয়। পুরাতন ভবনটির সব ঠিক থাকলেও পরবর্তীতে নির্মাণ করা ভবনটি মাত্র ১৭ বছরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের পিলারে পলেস্তারা খসে পড়ে দেখা দিয়েছে ফাটল এবং বের হয়ে এসেছে রড। বিদ্যালয়ের ছাদ থেকেও খসে পড়ছে পলেস্তারা। ছাদের বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হলেও মেলেনি কোনো সাড়া। ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান।
এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা পূর্বপাড়ায় ১৯৬৮ সালে খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে ২৪৭ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ১০৮ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ১৩৯ জন আছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও একজন সংযুক্তি শিক্ষকসহ পাঁচজন আছেন।
২০০১-২০০২ অর্থ বছরে বিদ্যালয় চত্বরের পূর্বদিকে একটি পাকা ভবন এবং ২০০৫-০৬ অর্থবছরে পশ্চিমদিকে আরেকটি পাকাভবন নির্মাণ করা হয়। দুটি ভবনই পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০০৫-২০০৬ সালে নির্মাণ করা বিদ্যালয়ের পশ্চিমদিকের ভবনের নিচের পিলার, বিমের পলেস্তরা খসে পড়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় রড বের হয়ে গেছে। পশ্চিমদের ভবনে শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, দপ্তরের ছাদের ওপর একাধিক জায়গায় ফাটল আছে। খসে পড়ছে পলেস্তরা। এর মধ্যেই প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগমসহ অন্য শিক্ষকরা ঝুঁকি নিয়েই সেখানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। পশ্চিমদিকের জরাজীর্ণ ভবনে দুটি শ্রেণিকক্ষ, একটি দাপ্তরিক কাজ ও শিক্ষকদের বসার জন্য একটি কক্ষ এবং শৌচাগার আছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমদিকের ভবনে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাক প্রাথমিকের এবং সাড়ে ১২টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলে। পাশের ভবনে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির পাঠদান চলে। প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম গত বছরের শেষ দিকে বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের কথা উল্লেখ করে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখেন। একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভবনটির দুরবস্থার কথা জানালেও কোনো কাজ হয়নি। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সেখানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল হাই, রোমান মিয়া, জোনাকি আক্তার জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করতে তাদের ভয় লাগে। ছাদের রড বের হয়ে গেছে। স্কুলের ছাদ থেকে সিমেন্ট খসে খসে পড়ে। সিঁড়ির দেওয়ালও ভেঙে গেছে। সিঁড়ির দিকের ফাটল দেখলে ভয় লাগে। ভয় নিয়ে আমরা ক্লাস করি।
স্থানীয় হানিফ মিয়া বলেন, চার বছর আগে নির্মাণ করা ভবন ভালো আছে। পরে নির্মাণ করা ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে আতঙ্ক নিয়ে চলে শিক্ষা কার্যক্রম।
খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম বলেন, সর্বশেষ ২০২২ সালের শেষের দিকে বিদ্যালয়ের একটি ভবনের জরাজীর্ণের অবস্থা উল্লেখ করে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। আগেও বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাঠদান চালানোর জন্য বিকল্প কোনো ভবন নেই। তাই বাধ্য হয়েই জরাজীর্ণ ভবনে শ্রেণির কার্যক্রম এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, জেলা ও সব উপজেলার জরাজীর্ণ ভবনের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের তালিকায় এ বিদ্যালয়ের নামও আছে।