চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। ১ মার্চ বুধবার সকালে মামলা করা হয়েছে।
বর্তমানে এলাকা পুরুষশূন্য। এ ঘটনায় ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল ও একই গ্রামের হারিছ মিয়াকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
হামলায় আহত মো. মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহম্মেদ বলেন, হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকাজুড়ে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে হোসেনের ছোট ভাই মো. মোশাররফ হোসেনকে (৪০) খাদুরাইল মোড়ে একা পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষরা। তাকে আহত অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুরো এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বুধবার আহত মোশাররফের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
চলারপথে নিউজ :
বিজয়নগরে বাস থেকে নামার সময় চাকায় পিষ্ট হয়ে মো. সোহেল (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
গতকাল ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শশই নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বাদুপট্টি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা হবিগঞ্জের মাধবপুরগামী দিগন্ত পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে করে শশই যাচ্ছিলেন সোহেল। শশই বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামার সময় মহাসড়কে পড়ে যান তিনি। এসময় ওই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সোহেল।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় বাস ও বাসের এক স্টাফকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে আইনশৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মোঃ মোজাহারুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি জমির উদ্দিন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাছুম, উপজেলা জামাতের আমীর আবু সাঈদ, উপজেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ জিয়াদুল হক বাবু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দবীর উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার আইনের শাসন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। কেউ যাতে বিনা অপরাধে মামলায় হয়রানি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আইন নিজের হাতে তোলা যাবে না। মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে মাদক থেকে দূরে রাখা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন কারনে গত ২৪ ঘন্টায় তিন জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে।
২১ আগস্ট দিবাগত রাতে চান্দুরা ইউনিয়নের আলাদাউদপুর গ্রামের বাদল সাহার স্ত্রী সুচিত্রা সাহা (২৮) নিজ ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
অপর দিকে পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মোঃ কালাম মিয়া (৪৫) সকালবেলা পরিবারের সাথে রাগারাগি করে বিষপান করার পরে তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের শিশাউড়া জালালপুর গ্রামের এক পুকুর থেকে ভোর সকালে একটি অজ্ঞাত লাশ পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে খবর দিলে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেন। পরে বিজয়নগর থানা পুলিশের চেষ্টায় লাশ সনাক্ত করে জানতে পারে লাশের বাড়ি মৌলভী বাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর মাজদিহি এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীন এর ছেলে হোসেন মিয়া (৫০)।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, পৃথক ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগর উপজেলার কৃতি সন্তান, উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তানবীর ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির পরপর দুইবারের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে ফুলের সংবর্ধনায় সিক্ত হয়েছেন।গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল ৫ টায় উপজেলার বেগম মরিয়ম মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে সংগঠনের সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল হাসান শান্তের সঞ্চালনায় এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আজ্জম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মাহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আশিকুর রহমান মাস্টার, আপ্যায়ন সম্পাদক মহিউদ্দিন রুবেল, সহ-সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াস সরকার, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, আল মামুন রমজান, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সাদ্দাম দেওয়ান প্রমুখ।
বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগরে মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম (৩৫) এর ছুরিকাঘাতে অপর চাচাতো ভাই মোঃ নিয়ামুল (২৫) নিহত হয়েছে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত নিয়ামুল নলগরিয়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত আশরাফুল ইসলাম একই বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসা করতো। মাদক ব্যবসা নিয়েই তাদের মধ্যে বিরোধ ছিলো।
এই বিরোধের জেরে বুধবার বিকেল চারটার দিকে আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে তার বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করে আশরাফুল।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ামুলকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আশরাফুল নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করলে হাসপাতালে নেয়ার পর নিয়ামুল মারা যায়। আমরা ঘাতক আশরাফুলকে গ্রেফতার করেছি। নিয়ামুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।