চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি বেসরকারি অক্সিজেন প্লান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২০ জন।
নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা ফরিদ (৩৫), সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার শামসুল আলম (৫০), নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া গ্রামের মিকি রেঙি লখরেটের ছেলে রতন লখরেট (৪৫) এবং নোয়াখালীর সুধারাম থানার অলিপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবদুল কাদের (৫০)। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে।
দুর্ঘটনার কারণও তাৎক্ষণিকভাবে সুনির্দিষ্টভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। ৪ মার্চ শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কদমরসুল ইউনিয়নের ছোট কুমিরা এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্লান্টে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। একটি সিলিন্ডারে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট রাত সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আহতরা হচ্ছেন-নূর হোসেন (৩০), মো. আরাফাত (২২), মোতালেব (৫২), ফেনসি (৩০), জসিম উদ্দিন (৪৫), নারায়ণ (৬০), ফোরকান (৩৫), শাহরিয়ার (২৬) এবং জাহিদ হাসান (২৬)। আহত ১৮ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অনেকের হাত-পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহতদেরকে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আহত এবং নিহতদের নিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আসতে শুরু করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। খবর পেয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে উৎসুক মানুষের ভিড় যেমন বাড়তে থাকে, তেমনি উপস্থিত হয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। এ সময় আহত এবং নিহত স্বজনদের আহাজারিতে আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। ক্ষত-বিক্ষত শরীরের লাশগুলো আনা হয় প্যাকেটে ভর্তি করে। এছাড়া গুরুতর আহতদের ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে। যাদের মধ্যে কারও চোখ, কারও মাথায়, কেউ আবার হাত-পায়ে গুরুতর আহত হয়।
এদিকে এই ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে পাঁচ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এবিএম ফখরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এই কমিটি গঠন করে দেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্লান্টটি অবস্থিত। এই প্লান্টে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে তা বিক্রি করা হয়। সেখানে অর্ধশত শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। শনিবার বিকাল সাড়ে চারটায় গ্যাস ভরার সময় এই প্লান্টে হঠাৎ বিকট শব্দে একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে লেগে যায় আগুন। কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা বিস্ফোরণের সময় প্লান্টের ভেতরে ছিলেন। বিস্ফোরণে কারও কারও দেহের বিভিন্ন অংশ উড়ে যায়।
এ সময় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন থেকে বাঁচতে তারা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, বায়েজিদ ও সীতাকুণ্ড থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। হাতহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতাল ও আশপাশের হাসপাতালে প্রেরণ করে উদ্ধারকর্মীরা।
চমেক হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী পরিবেশ: শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চমেক হাসপাতালে অবস্থান করে দেখা যায় নিহতদের বীভৎস চিত্র। আর আহতদের দুর্বিষহ অবস্থা। স্বজনদের কেউ কেউ পাগলের মতো ছুটে প্রবেশ করতে দেখা যায় জরুরি বিভাগে। আবার কেউ স্বজনের খোঁজ নিতে ছুটতে দেখা যায় এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে।
এরই মধ্যে সাইরেন বাজিয়ে আহতদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স এলে সবাইকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। অনেকেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে না গিয়ে সরাসরি চলে আসেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যায়, একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে চল্লিশোর্ধ এক যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। ওই যুবকের মাথার খুলির একাংশ বিচ্ছিন্ন। তার হাতের কব্জি ছিল না। পেট থেকে বেরিয়ে আসে নাড়ি-ভুঁড়ি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন পরিদর্শনে আসেন।
রাত ৯টায় চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আহত ১৮ জনকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ১০ জন, ইএনটি ওয়ার্ডে ২ জন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন, অবজারবেশনে ১ জন চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বজনের খোঁজ নিতে আসা মো. আরাফাত বলেন, ‘বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমার বাবার খোঁজে হাসপাতালে এসেছি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। তিনি ওই প্লান্টে কর্মরত ছিলেন।’
খবর পেয়ে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান পরিদর্শনে এসে আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহতদের জন্য আইসিইউ প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ কাজে লাগাব।’
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি: সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হোসেনকে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই সময় তিনি ৫ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন। ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে ঘটনার কারণ উদঘাটন করে রিপোর্ট দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। চমেক হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য একটি বুথ খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০২২ সালের ৪ জুন রাতে সীমা অক্সিজেন প্লান্ট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় ২০০ লোক। ওই ঘটনার পর একই এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্লান্টের দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা এই শিল্প এলাকার মানুষকে আবারও ভাবিয়ে তুলেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় রড বোঝাই ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ জন। আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়া আমতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট এলাকার আবদুস সালামের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০) ও তার মেয়ে জেসমিন আকতার (১৮)।
চকরিয়ার মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আহমেদ জানান, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী একটি রড বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে চকরিয়াগামী সিএনজিচালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিক্সার ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চালকসহ ৩ জন। তাদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। ট্রাক ও অটোরিক্সা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুলনার বটিয়াঘাটার ডেউয়াতলায় ইজিবাইক চালক শাওন হাওলাদার ওরফে বাবু (২২) হত্যায় ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন মোসলেম গাজী (৫৩), আনিছুর রহমান (৪২) ও রুহুল আমিন (৪০)। তাদের নিকট থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ৩০ আগস্ট বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
ইজিবাইক চালক শাওন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বর্শিবাওয়া গ্রামে সেলিম হাওলাদারের ছেলে। ২৬ আগস্ট খালিশপুর ভাড়াবাসা থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ২৭ আগস্ট বিকালে শাওনের লাশ বটিয়াঘাটার ডেউয়াতলা কাজীবাছা নদীর তীর থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট নিহতের পিতা সেলিম হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা করেন।
পুলিশ ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল সেটসহ মোসলেম গাজীকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে লবনচরা রূপসা ব্রিজ এলাকা থেকে আনিছুর রহমান ও নতুন বাজার চর স্কুল গলি থেকে রুহুল আমিন গ্রেফতার হয়। এরা সবাই হত্যায় জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, ২৬ আগস্ট সন্ধ্যায় হত্যাকান্ডে জড়িত চার জন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শিববাড়ি থেকে দাকোপের পানখালী যাওয়ার জন্য শাওনের ইজিবাইকটি ভাড়া করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডেউয়াতলা শ্মশানের নিকট পৌঁছে তারা কৌশলে শাওনকে নদী তীরে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিরা শাওনের ইজিবাইক, ব্যবহৃত মোবাইল ও তার পকেটে থাকা ২৬০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। বাকি অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সে ইজিবাইক নিয়ে রূপসা ব্রিজ পার হয়ে বাগেরহাটের দিকে গেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে নির্বাচিত ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), বগুড়া-৪ আসনের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ), বগুড়া-৬ আসনের রাগেবুল আহসান রিপু (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মু. জিয়াউর রহমান (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. আব্দুল ওদুদ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঞা (স্বতন্ত্র) শপথবাক্য পাঠ করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার তাঁর সংসদ ভবন কার্যালয়ে তাদের শপথ পাঠ করান।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু, শিরীন আখতার, ফখরুল ইমাম, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) ও ফেরদৌসী ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শপথ গ্রহণ শেষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজশাহী মহানগরীতে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া ১৮ লাখ টাকা বোয়ালিয়া মডেল থানায় জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ ১৮ আগস্ট রবিবার ভোর ৫টার দিকে মহানগরীর ভদ্রা এলাকার একটি গলি থেকে ব্যাগভর্তি টাকা পাওয়া যায়। বেলা ১১টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় গিয়ে টাকাগুলো জমা দেন। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নগরীর বড়কুঠি ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল আলম এবং সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার ইকবাল হোসেন বোয়ালিয়া মডেল থানায় আসেন।
এ সময় উভয়ের উপস্থিতিতে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাগসহ টাকাগুলো গ্রহণ করেন। বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি এসএম মাসুদ জানান, থানায় টাকা জমা দিতে আসেন নাটোরের সিংড়ার রহমত ইকবাল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আকাশ আলীসহ কয়েকজন। তাদের বাড়ি ভদ্রা এলাকায়।
টাকা কুড়িয়ে পাওয়া শিক্ষার্থী আকাশ সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাতভর নগরীর ভদ্রা এলাকায় অবস্থান করছিলাম। রাতের ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে এলাকার একটি ছাত্রাবাসের সামনে থেকে টাকার ব্যাগটি কুড়িয়ে পাই। তিনি আরো বলেন, ব্যাগটি খুলে দেখা যায়, ভেতরে ১ হাজার টাকার নোটের ১৮টি বান্ডিল। মোট টাকার পরিমাণ ১৮ লাখ। ব্যাগে একটি সোনালি রঙের ধাতব বস্তুও পাওয়া যায়।
ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে টাকাগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। সেনা সমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কারাগারের থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির মুখে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে দিনটি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
মুক্তি পেয়েই চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে।
এরপর ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে। একই বছর ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় লাভ করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় মহাজোট সরকার।
সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।