ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার একটানা ২২ বছরের সফল পৌর চেয়ারম্যান মৌড়াইল এর কৃতিসন্তান, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, নাট্য ব্যক্তিত্ব, সাবেক এন এম এ, শিক্ষানুরাগী, সাংস্কৃতির পুরোধা ব্যাক্তিত্ব গণ মানুষের নেতা আজিজুর রহমান মোল্লা ওরফে জারু মোল্লার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৪ মার্চ পালিত হয়েছে। মরহুমের পরিবারবর্গ কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল এর মাধ্যমে উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মরহুম জারু মোল্লা ১৯৮৭ সালের ৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম জারু মোল্লার সুযোগ্য পুত্র সাবেক সফল পৌর মেয়র ও জেলা বি এন পির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি জেলাবাসীর কাছে উনার পিতার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বিভিন্ন পূজামন্ডপে গিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় ও মন্ডপ পরিদর্শন করছেন।
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার রাতে আনন্দময়ী কালিবাড়ি পূজামন্ডপসহ বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পূজা চলাকালীন সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে কেউ যাতে কোন বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সেলিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সুনীল চন্দ্র দেব, আনন্দময়ী কালিবাড়ি পূজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আশীষ পাল, উত্তম রায়, সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রবীর চন্দ্র দেব, সাংবাদিক নেতা পীযুষ কান্তি আচার্য্য, এড. রাখেশ রায়সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পরিদর্শনকালে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সনাতনী ধর্মলম্বীদের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় ও শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অমর কথাশিল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মরণে শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী অদ্বৈত গ্রন্থমেলা। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট এলাকায় এ মেলার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি মো আবদুল কুদদূসের সভাপতিত্বে ও কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়ের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্ট সাহিত্যিক অশোকানন্দ রায়বর্ধন, ছড়াকার বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ফেরদৌস রহমান, গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভৌমিক ও অদ্বৈত গ্রন্থমেলার সদস্য সচিব কবি আমির হোসেন। অদ্বৈত গ্রন্থমেলায় ২০টি স্টল বইয়ের সমাহার সাজিয়েছে। উদ্বোধনী দিনে আলোচনা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক কবি মো আবদুল কুদদূস জানান, তিতাসপাড়ের শ্রেষ্ঠতম সন্তান অদ্বৈত মল্ল বর্মণকে ব্রান্ড করে বিশ্বের কাছে তিতাসপাড়ের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ও সেরা সৃজনশীল মানুষদের উপস্থাপন করতেই অদ্বৈত গ্রন্থমেলার উদ্যোগ।
অদ্বৈত মল্লবর্মণকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা গোকর্ণঘাটে অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে শটগানের কার্তুজ রাখায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরের কাউতলী স্টেডিয়াম এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি পুলিশ) কনস্টেবল মোঃ শাখাওয়াত হোসেন (২৯) ও কনস্টেবল মোঃ সোহরাব হোসেন (৩০)। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসাইন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাওয়া যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দুই সদস্যের বাসায় অবৈধভাবে গোলাবারুদ সংরক্ষিত আছে। এমন খবরে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের একটি টিম কাউতলী স্টেডিয়াম এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তাদের বাসা থেকে অবৈধভাবে রাখা শটগানের ৬৭ পিস কার্তুজ, ২৭টি ভারতীয় শাড়ী ও একটি রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেলসহ তাদের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক মোঃ সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রেতাকে ওজনে কম দেয়ায় এক মুরগীর ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ২২ মার্চ বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের আনন্দ বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
জরিমানাপ্রাপ্ত দোকানের নাম বিসমিল্লাহ ব্রয়লার হাউজ। এছাড়াও একটি সবজি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার টাকা ও একটি মুদি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আনন্দ বাজারের বিসমিল্লাহ ব্রয়লার হাউজে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের সময় দেখা যায় ওই ব্যবসায়ী একজন ক্রেতাকে ৩ কেজি ওজনের মুরগীকে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বলে ক্রেতার কাছ থেকে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের দাম রাখছে। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ওই ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীকে বেশি দামে মুরগী বিক্রি না করতে মৌখিকভাবেও সতর্ক করা হয়।
তিনি বলেন এ সময় একটি সবজির দোকান ও একটি মুদি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার টাকা করে মোট ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ড্রেজার দিয়ে কৃষি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কাটার দায়ে ৪ জনকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল ১১ মার্চ সোমবার বিকেলে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের চান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই অর্থদন্ড করেন।
জরিমানাপ্রাপ্তরা হলেন শহরের কালাইশ্রীপাড়ার দিলীপ সাহা, একই এলাকার দীপ্ত সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের আলাউদ্দিন ভূঁইয়া ও চান্দি এলাকার রাশেদুল আলম।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, একটি চক্র সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও মালিকানাধিন কৃষি জমিতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করছিলেন। স্থানীয়রা ওই চক্রের সদস্যদের মাটি উত্তোলনে বাঁধা দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার বিকেলে তিনি ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৭ক ধারা লঙ্ঘন করে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে চারজনকে ২লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।