চলারপথে রিপোর্ট :
‘প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশুরা’ এই শ্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী বসন্তকালীন আর্ট ক্যাম্পের সমাপনী ৪ মার্চ শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের তালুকদার বাড়ি খলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি কবি দেওয়ান মারুফ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনদিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এক ঝাঁক শিশু, কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীর কেউ কেউ বাড়ির বারান্দা ও আঙ্গিণায়, কেউ কেউ গাছ-গাছালির নিচে, কেউ পুকুরপাড়ে আবার কেউ তিতাস নদীর পাড়ে দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সারিবদ্ধ ভাবে আসন পেতে বসেছে। সবার হাতেই বোর্ড, সাদা কাগজ ও নানা রঙের পেন্সিল। প্রকৃতির সান্নিধ্যে তারা সবাই নিজেদের চিন্তাকে রঙ তুলিতে রাঙিয়েছেন। গত তিনদিন ধরেই তারা এঁকেছে নানা ছবি। আর্ট ক্যাম্পে অংশ নেওয়া ২৬৫জন শিক্ষার্থী তিনদিনে প্রকৃতির সান্নিধ্যে দেড় হাজারের বেশি ছবি এঁকেছে।
তিনদিন ব্যাপী আর্ট ক্যাম্পে সংগঠনের চারুকলা বিভাগের প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর ২৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিদিন সকালে শিক্ষার্থীরা একটি ও বিকেলে একটি করে ছবি এঁকেছেন। তিনদিনের এই ক্যাম্পে একজন শিক্ষার্থীকে ৬টি করে ছবি আঁকতে হয়েছে। ২৬৫জন শিক্ষার্থী ১ হাজার ৫৯০টি ছবি এঁকেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সাদা কাগজের নানা রঙের পেন্সিলের আঁচড় দিয়ে ঘর, নদী, সেতু, পুকুর, গাছ, নদীর তীরে খড়ের গাদা কিংবা প্রাকৃতিক দৃশ্য আাঁকছে।
শিক্ষার্থী ত্রিদিবা দেবনাথ ও সোহান আহমেদ বলেন, গত বছরও তারা এই আর্ট ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিলো। খোলা জায়গায় বসে গ্রামের পরিবেশে চোখের সামনে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে ছবি আঁকাটা অনেক দারুণ।
অভিজিত রায় ও রাখি আক্তার বলেন, চোখের সামনে থাকা দৃশ্য দেখে আঁকতে পেরে ভালো লেগেছে। সবাই যার যার মতো করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে বসে ছবি আাঁকছে।
অভিভাবক শ্যামল চন্দ্র সরকার, হামজা ইসলাম ও চয়ন বিশ্বাস বলেন, প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে শিশুদের দিয়ে ছবি আঁকানোর উদ্যোগটা প্রশংসনীয় ও ব্যতিক্রম। এ থেকে শিশুরা অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারবে। পাঠ্য বইয়ের বাইরে যে আরো অনেক কিছু শিখা ও জানা যায় তা তারা এখান থেকে জানতে পারবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, শিশু নাট্যম প্রতি বছরই শিশুদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী কর্মশালা আয়োজন করে থাকে। যাতে করে শিশুরা তাদের মাঝে প্রকৃতিকে খুঁজে পায়, প্রকৃতির পায়, প্রকৃতির সাথে তাদের একটা যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
এই পাথরে গড়া দালান-কোঠায় থেকে তাদের মন-মানসিকতা শক্ত হয়ে যাচ্ছে। সেই মন মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। আমরা প্রতি বছর শিশুদের গ্রামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেই। এটি আমাদের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামের সাথে শিশুদের মানসিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ও মানসিক পরিবর্তন ঘটাতেই এই আয়োজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর সদস্যদের মধ্যে মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচি (মউ) প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ঋন দেয়া হয়েছে।
আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গললবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঋন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার সৈয়দ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর ইউসিসি’এ লিঃ (বিআরডিবি) চেয়ারম্যান মোঃ আবু কাউছার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। সরকার বিআরডিবির মাধ্যমে গরিব মানুষের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছে। এই ঋণ যেন সঠিক মানুষ পায় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি ঋণের টাকা নিয়ে যেন সবাই উৎপাদনমুখী কাজে ব্যবহার করেন ও ঋনের কিস্তি সঠিকভাবে প্রদান করেন সেদিকেও খেয়াল রাখার আহবান জানান। তিনি বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে। তিনি সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সকলকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে পশ্চিম মেড্ডা মহিলা সমবায় সমিতির ১৬ জন সদস্যর মাঝে ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়।
ঋণ বিতরনের সময় উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র অফিসার অফিসার (হিসাব) মোঃ মুক্তার হোসেন, মউয়ের মাঠ সংগঠক ওয়াহিদা আক্তার, ইউসিসির পরির্দশক সুব্রত রায় ও সুব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ ৪ মার্চ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
পিঠা উৎসবের আয়োজকেরা বলেন, এটি গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য। এক সময় বাংলার ঘরে ঘরে শীত আসলে পিঠা বানানোর ধুম পড়ে যেত। কিন্তু আধুনিকতার উৎকর্ষে এ ঐতিহ্য অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্যটাকে ধরে রাখতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
নবীনরা এ ঐতিহ্যকে লালন করে আগামী প্রজন্মের কাছে নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে এ আয়োজন সার্থক বলে মনে করেন আয়োজকেরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খান রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে পিঠা উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।
পিঠা উৎসবে ২০টি স্টলে প্রায় শতাধিক প্রকারের দেশীয় পিঠা প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে পাপড়ি, ঝিনুক, তালের কোন, নারিকেল, পাক্কন, রেশমি, ত্রিভুজ, ঝিলমিল, ডিম সুন্দরী, হৃদয় হরণ, বেণী, চন্দ্রপুলি, চিংড়ি পিঠা, মুখ চাহনী ইত্যাদি। পরে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন (২০২৪-২০২৬) উপলক্ষে ইউনিটের প্রাক্তণ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুব প্রধানদের সাথে যৌথ মতবিনিময় সভা আজ ১৪ জুলাই রোববার বিকাল ৪টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিট কার্যনির্বাহী সদস্য মেজর প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও, প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ বি এম তৈয়মুর, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, প্রাক্তন সেক্রেটারি মোঃ উবায়দুল হক ওবায়েদ, এড. এমদাদুল হক চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এড. লোকমান হোসেন প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিটের উপ-পরিচালক পঙ্গক কুমার সরকার।
ইউনিট সেক্রেটারী সাংবাদিক মোঃ শাহজাদা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির প্রাক্তন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, সাবেক যুব প্রধান এস এম তৌফিক বেলাল, শাহজাহান সাজু, শেখ মাহবুবুর রহমান, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান, মাশুকুল কবীর, মুক্তি খান, নদী পারভীন, সাবেক যুব প্রধান সৈয়দ আজিজুর রহমান, অলি আহাদ রতন, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, ফয়সল উদ্দিন ভূঁইয়া, সাহিদুল ইসলাম অপু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট ইফতেখার বারী তানভীর, মোঃ নাজির হোসেন ভূঁইয়া, খন্দকার রায়হান।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন (২০২৪-২০২৬) আয়োজনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ সময় ইউনিটের চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট এর একটি উৎসবমূখর নির্বাচন করার জন্য আমরা সকলের সহযোগিতা চাই। আসুন আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর উৎসবমূখর নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করি।
মতবিনিময় সভাশেষে ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন (২০২৪-২০২৬) আয়োজনে ইউনিটের সকল আজীবন সদস্যদের আইডি কার্ড বানানো এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই কাজে যুব রেড ক্রিসেন্ট সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় থাকায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সকল সদস্যের উপস্থিতিতে একটি নতুন যুব রেড ক্রিসেন্ট কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের নতুন আজীবন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম বেগবান করার সিদ্ধান্ত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৯ জুলাই সোমবার দুপুর একটার দিকে জেলা শহরের ডাক বাংলো মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ফারুক মিয়া জেলা শহরের দক্ষিণ মোড়াইল এলাকার বাসিন্দা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের ডাক বাংলো মোড় এলাকা থেকে পৌর কাউন্সিলর ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদাতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রমজান মাস উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মাসব্যাপী ভর্তুকিমূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে তেল, চিনি, ডাল, বুট ও পেঁয়াজসহ পণ্যসামগ্রী বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে প্রধান ফটকের সামনে এই বিক্রয় কাজের উদ্বোধন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রধান অতিথি হিসেবে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ. মাহবুব আলম, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মিজানুর রেজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন ও সাধারণ শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে বর্তমান পেঁয়াজ ৮০টাকা কেজি, চিনি ১৩০টাকা, সয়াবিন তেল ১৬০ থেকে ১৬৫টাকা লিটার, ছানা বুট ১১৫ টাকা কেজি, খেসারী ডাল ১৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু ছাত্রলীগের উদ্যোগে পেঁয়াজ ৫০টাকা কেজি, চিনি ১০০টাকা, সয়াবিন তেল ১২০টাকা লিটার, ছানা বুট ৮০ টাকা, খেসারী ডাল প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন বলেন, বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ও ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে এসব পণ্যের ভর্তুুকির মূল্য পরিশোধ করব। পরে পরিচিতি ব্যক্তিদের সহায়তা নিব। আমরা মাসব্যাপী এই কর্মসূচী চালিয়ে যেতে চাই।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, রমজানের প্রথম দিন থেকে রমজানের পণ্যসামগ্রী বিক্রি শুরু করেছি। প্রথমদিনে আমরা পেঁয়াজ ৫০০ কেজি, তেল ৫০০ লিটার, বুট ৮০০ কেজি, ডাল ১০০০ কেজি ও চিনি ১০০০ কেজি এনেছি। মাসব্যাপী আমরা এই কর্মসূচী চালিয়ে যেতে চাই। মানুষের কাছ থেকে সাড়া মিলছে। ৪১০ টাকায় এক কেজি করে বুট, চিনি, ডাল, পেয়াজ ও এক লিটার তেল কিনতে পারছে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে এসব বিক্রি করা হচ্ছে।