চলারপথে রিপোর্ট :
৭০ কেজি গাঁজা, ৩১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ এবং ১৬২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ ইয়ার হোসেন (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা। এ সময় মাদকদ্রব্য বিক্রির নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা ও মাদকদ্রব্যবাহী একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
আজ ৫ মার্চ রবিবার সকালে র্যাব-১৪-এর সদস্যরা ও বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা (২৫ ব্যাটালিয়ন) জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
রবিবার দুপুরে র্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকাল ১০টায় র্যাব ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ইয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ইয়ার হোসেন আখাউড়া উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা, মাদকদ্রব্য বিক্রির নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা ও মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
অপর দিকে বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা (২৫ বিজিবি) রবিবার সকালে জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ এবং ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কেরাত, হামদ, নাত ও গজল গেয়ে শিক্ষার্থীরা পেয়েছে ল্যাপটপ, ট্যাব, স্পিকারসহ নানা পুরস্কার। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থী গজল পরিবেশন করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় ট্যাব পুরস্কার পেয়েছে।
৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আখাউড়া পৌর এলাকার বড়বাজার দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় পুরো উপজেলা থেকে বাছাই করা ৪২ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা সব ধর্মের জন্য উন্মুক্ত থাকায় চূড়ান্ত পর্যায়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী মণি দাস গজলে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
কেরাত প্রতিযোগিতায় মাহমুদুল হাসান রাফি প্রথম, আব্দুল্লাহ বিন কাদির দ্বিতীয়, ইকরাম হোসাইন তৃতীয় স্থান লাভ করে। হামদ, নাত ও গজলে যোবায়ের আহমেদ প্রথম, মণি দাস দ্বিতীয় ও ফয়সাল আহমেদ তৃতীয় স্থান অধিকার করে। প্রথম স্থান অধিকারীকে ল্যাপটপ, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ট্যাব ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে স্পিকার উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক ও দেবগ্রাম জামিয়া মাজহারুল হক মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মো. আসাদুজ্জামান। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি সাইফুজ্জামান, হাফেজ হামিদুল হক ও হাফেজ এমদাদ উল্লাহ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসলাম যে সমতায় বিশ্বাস করে এটারই প্রমাণ আজকের এই আয়োজন। প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনও চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পুরস্কার নিতে পেরেছে।
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব শেষ হয়। করোনার কারণে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল আয়োজন করতে পেরেছি। প্রতিবছরই এমন একটি আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সম্পদের তথ্য গোপনসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মিহির কুমার ঘোষ ও তার স্ত্রী শিল্পী রাণী ঘোষের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ ৩ জুলাই বুধবার দুপুরে দুদকের সমন্বিত কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান খান তাদের নামে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামী শিল্পী রাণী ঘোষ (৪২) ও তাঁর স্বামী মিহির কুমার ঘোষ (৫১) জেলা শহরের টি.এ. রোড এলাকার মৌড়াইলের বাসিন্দা।
মিহির জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ছিলেন। বর্তমানে একই পদে বিজয়নগরে কর্মরত রয়েছেন। একটি মামলায় মিহিরকে এবং অপর মামলায় স্ত্রী শিল্পী ও তার সহযোগী মিহিরকে আসামী করা হয়। শিল্পি ও মিহিরের মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে দুদক অনুসন্ধান শেষে শিল্পী রানী ঘোষ ও তার স্বামী মিহির কুমার ঘোষের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য পান। দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (১) ধারামতে ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট স্বপ্না রানীর কাছে সম্পদ বিবরণী নোটিশ ও ফরম জারি করে দুদক। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুদকের কুমিল্লার সমন্বিত কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণ করে পাঠান শিল্পী।
শিল্পী রানী দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮২ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪১ টাকার অস্থাবর সম্পদের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৬ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪১টাকার অস্থাবর সম্পাদ অর্জনের তথ্য পায় দুদক। পারিবারিকসহ অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ৮ লাখ ২৬ হাজার ২৯১ টাকা। পারিবারিক ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসহ তার নামে মোট ৬৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৮ টাকার সম্পদ পায় দুদক। তিনি ২০১০-১১ করবর্ষে আয়কর নথি খোলেন। সেসময় গৃহ সম্পদ ও ব্যবসা থেকে তার আয় ছিল ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৯ টাকা। শিল্পীর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সম্পদের তারতম্য পাওয়া যায়। তার জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমান ২৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩৯ টাকা। তিনি সম্পদ বিবরণীতে ৫২ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৩ টাকার সম্পদ উল্লেখ করলেও দুদক অনুসন্ধানে পান ৫৫ লাখ ২৪ হাজার ৬৭ টাকা। তিনি সম্পদ বিবরণীতে ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৪৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। ২০১০-১১ সালের আয়কর নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই আয়বর্ষে ব্যবসা থেকে তিনি আয় দেখান ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। কিন্তু সেসময় ব্যবসার পুঁজি দেখান মাত্র ২ হাজার টাকা। এতে বুঝা যায় যে, আয়কর নথি খোলার পূর্বে তার নামে কোন প্রকার ব্যবসা ছিল না। তার স্বামী মিহির কুমার অবৈধ পন্থায় উপার্জিত অর্থ দিয়ে ২০১০-১১ সালে ৫ তলাবিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেন।
সম্পদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্বামী মিহিরের অবৈধ সহায়তায় অসৎ উদ্দশ্যে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাত্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
মিহির কুমার ঘোষ (৫১) দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা হিসাব/তথ্য প্রদানসহ ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৭২২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযাগ্য অপরাধ করেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ১৫০জন শীতার্তের গায়ে শীতবস্ত্র কম্বল জড়িয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা। তিনি গত সোমবার রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে উপজেলার মোগড়া বাজার, আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন, খড়মপুর মাজার, আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনে থাকা অসহায় ও ছিন্নমূল ১৫০ জন শীতার্তের শরীরে কম্বল জড়িয়ে দেন। এ সময় শীতার্তরা কম্বল পেয়ে সরকার ও ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কম্বল বিতরণকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী জানান, গত ৪-৫ দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট বেড়ে যায়। তাই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আসা কম্বল রাতের বেলা বিতরণ করা হয়। তিনি বলেন, সোমবার রাত পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় তিন হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। কেউ অপরাধ করলে তার বিচার হবে। আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স দ্বারা বিচার থেকে বাচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সেই জামানা আর নাই। এখনের জামানা ভিন্ন। এখন বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে আখাউড়া আজমপুর রেলস্টেশন চত্বরে উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠন আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুস এর বিচার প্রসঙ্গে তিনি এসবকথা বলেন।
হিলারি ক্লিনটনকে ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, একজন দুইবার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। যার নির্বাচনে ডঃ ইউনুস টাকা দিয়েছিলেন উনি এখন ডঃ ইউনুসকে বাঁচানোর সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলছেন। এটা কিসের সংগ্রাম। বাংলাদেশের মানুষের সাথে সংগ্রাম। বাংলাদেশের মানুষ বিচার চায় এটা কি অন্যায় প্রশ্ন তাঁর। আমাদেরকে এটা অপমান করার সামিল। তিনি বলেন আমরা সুষ্ঠু বিচার করতে জানি। উনি (ডঃ) ইউনুস যদি অন্যায় না করে থাকেন তাহলে তিনি খালাস পাবেন।
আর যদি অনুচিত হয়, বিচারক বিচার করবেন। বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন। তিনি বলেন, আপনারা কোন উছিলায় বাংলাদেশকে অপমান করবেন, বিচার বিভাগকে অপমান করবেন সেই চেষ্টা বন্ধ করুন।
সভা শেষে সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে টিআইবি’ট মন্তব্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের সাথে তিনি বলেন, টিআইবি যা বলেছে এর কোনটায় সত্য নয়। সাংবাদিকরা এবং জনগণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পাশে সিকিউরিটি আইন রেখে পড়লে তারা বুঝতে পারবে কতটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এবং যেখানে উনাদের (টিআইবি) আপত্তি ছিল সেগুলো দূর করা হয়েছে।
নির্বাচনে খরচ করার জন্য সরকার সার্বজনীন পেনশন স্কীম করেছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মাথায় গিলু থাকলে কেউ এ কথা বলে।
উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল কাওছার জীবন, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূইয়া স্বপন প্রমুখ।
এর আগে তিনি আখাউড়া-সিঙ্গারবিল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কের মেরামত কাজ উদ্বোধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে খাইরুল ইসলাম নামে পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
৬ মে শনিবার আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূপুর কুমার দাস বাদী হয়ে ৫৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলায় শুক্রবার রাত থেকে আজ ০৭ মে রবিবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক কারবারিসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হবে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. হৃদয় (২৫), মো. রুবেল ভূঁইয়া (৪৫), মো. মমিন ভূঁইয়া (৪৩), মো. মঙ্গল মিয়া (৬৩), মো. বাবু (২৫), সোহাগ রানা প্রকাশ বশির (৪২), মো. পারভেজ (৩৮), মো. রুহুল আমিন (২৯), মো. ইয়াসিন সরকার (৩৮), মো. জালু মিয়া (৪৪), মো. সোলেমান (৪০), মো. ইব্রাহিম (৪৫), মো. আউয়াল মিয়া (৫০), মো. আমির খা (৩৫), সবুজ খন্দকার (৩৫), মাসুদ (৩২), আমিনুল ইসলাম (৩২), মো. ওয়াসিম (৩৫), মো. দিপু চৌধুরী (২৩), মো. মামুন মিয়া (২৯), মো. ইকবাল হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম (২৪), মো. রাজ্জাক মিয়া (৪০), মো. ইউনুস (৪৫), মো. রুবেল মিয়া (২৮), আব্দুল কাদের প্রকাশ বাবু (২৩), মো. বোরহান উদ্দিন (২৫), কাপ্তান মিয়া (৫০), মো. মানিক মিয়া (৪২), মো. কিবরিয়া (২৬), মো. আনোয়ার হোসেন (৬২), মো. আলেক মিয়া (৩২), মো. মানিক মিয়া (২৪), মো. শফর আলী ভূঁইয়া (৫০), মো. আনোয়ার হোসেন প্রকাশ, আইনাল হক প্রকাশ, আনাল পাগলা (৩০) ও মনোয়ারা বেগম (৪২)।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসন বলেন, পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমারা তিন দিনের সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক কারবারিসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল, ৭০ বোতল বিয়ার, চার কেজি গাঁজাসহ দেশিয় অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর থেকেই সব মাদক কারবারিরা এলাকা ছেড়ে দিয়েছেন। তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ, গত শুক্রবার রাতে আখাউড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে মাদক উদ্ধারের অভিযান চালানো হয়। সেখানে শিবনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে সেলিম ও সোহেল নামের দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, মাদক উদ্ধারের সময় দুইজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল খাইরুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কারবারিরা। এতে তিনি মাথায় ও পেটে গুরুতর আঘাত পান। পরে আহত অবস্থায় পুলিশ সদস্য খায়রুলকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।