চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যায়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সমন্বয়ে সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা এক্স স্টুডেন্টস (আবেশ) এর উদ্যোগে কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠান হয়েছে।
আজ ৬ মার্চ সোমবার বিকেলে স্কুল প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানে জিপিএ ৫ সহ প্রায় ৩ শত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবেশ এর সভাপতি গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাগীর আহমেদ।
স্বাগত জানান সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইমাম শামীম, বক্তব্য রাখেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৭ ব্যাচের ছাত্র শিল্প উদ্যোক্তা খলিলুর রহমান, ৭১ ব্যাচের ছাত্র নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম ইমদাদুল হক, আবেশ এর উপদেষ্টা মোঃ হাবিবুর রহমান. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক আবদুস সাকির ছোটন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। ৩০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে টি,এ রোডস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর মিলনায়তনে প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমনের সঞ্চালনায় প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, সহ সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী,কার্যরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজকে ফুলেল অভিনন্দন জানান হয়।
এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আ ফ ম কাউসার এমরান, অর্থ সম্পাদক মোঃ আশিকুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি, কার্যকরী সদস্য শফিকুল ইসলাম।
এ সময়ে বক্তারা দুই সংগঠনের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় রাখা এবং পরষ্পরের মধ্যে সহযোগিতা বজায় রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সব শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলমের সহধর্মিনীর রুহের মাগফেরাত কামনায় ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামির আশু রোগ মুক্তি কামনায় সহ সকলের মঙ্গল কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় রায়হান মিয়া (৩৫) নামে রিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন পুনিয়াউট রেলক্রসিংয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত রায়হান কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর গ্রামের মৃত বাহার মিয়ার ছেলে। তিনি তার পরিবার নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এ ঘটনায় রায়হানের ৮ বছর বয়সি শিশুকন্যা ইকরা জাহান ইফতি আহত হয়েছে। তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটি শেষে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তিতাস কমিউটার ট্রেনে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেরেন রায়হান। পরে স্টেশন থেকে রিকশায় করে বাসায় যাওয়ার পথে পুনিয়াউট রেলক্রসিং অতিক্রমের সময় ঢাকা থেকে আসা নোয়াখালীগামী নোয়াখালী মেইল ট্রেনটি তাদের রিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রায়হান ও তার শিশুকন্যা ইফতি গুরুতর আহত হন।
তিনি আরো জানান, আহতদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়ার পর চিকিৎসক রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে কটুক্তি করায় বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের (ডিজিএনএম) মহাপরিচালক মাসকুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলায় কর্মরত সকল নার্সিং কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ডিজিএনএমসহ বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের সকল নন নার্সিং প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারনের দাবি জানান তারা।
সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন বে-সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইউনাইটেড নার্সিং কলেজ, তিতাস নার্সিং কলেজে ও মডেল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এসে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ?সিনিয়র স্টাফ নার্স রোমা খাতুন ও শেফালী আক্তার, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া, ফাহিমা আক্তার, আরিফ মিয়া, রিফাত মিয়া, ফুয়াদ রায়হান ও খাদিজা সুলতানা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের প্রশ্ন হাসপাতাল ছেড়ে আমরা কেন রাস্তায়। ডিজিএনএমের মহাপরিচালক মাসকুরা নূর আমাদের নার্সদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি যদি নার্সদের যোগ্যতা সম্পর্কে জানতেন তাহলে এই প্রশ্ন তুলতেন এবং অধিদপ্তর থেকে পালাতেন না। ডিজিএনএমের মহাপরিচালক বলেছেন, নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদা দিয়ে সরকার ভুল করেছে। আমরা তার এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মহাপরিচালককে পদত্যাগসহ অধিদপ্তর থেকে অপসারণ করতে হবে। তারা বলেন, আমরা এইচএসসি পাস করে ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করে লাইসেন্স পরীক্ষা ও নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদার পেশা সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে যোগদান করি। যোগ্যতা অনুযায়ী নার্সদের মূল্যায়ন করতে হবে। নার্সিং থেকে ডিজিএনমে আমাদের পদায়ত করতে হবে।
স্বৈরাচারী মহাপরিচালক (ডিজিএনএম) মহাপরিচালক মাসকুরা নূরের পদত্যাগ, ডিজিএনএমসহ বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের সকল নন নার্সিং প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারনের করতে হবে। নার্সদের বিসিএস করার সুযোগ দিতে হবে। নার্সিং থেকে অধিদপ্তরে আমাদের পদায়ন করতে হবে। অধিদপ্তরে যেন নার্সরা বসতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ বহিরাগত কর্মকর্তাদের জন্য নার্সিং পেশার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। তারা আমাদেরকে খেলনার পুতুল বানিয়ে রেখেছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে পদায়নের নামে তারা ঘুষ বানিজ্য করছেন। আমাদের পদায়ন করলে তাদের ঘুষ বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে বলেই নার্সিং থেকে অধিদপ্তরে নার্সদের পদায়ন করা হচ্ছে না। তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার একটি নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা আশা করি তিনি নার্সদের দরদ ও দাবি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী বিক্রির সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চার দোকানিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ১২ জুলাই বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার, সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের আনন্দ বাজারের কাঁচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে চার দোকানিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার, সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ সময় দোকানিরা ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করা, খচিরা বিক্রেতাদেরকে কোনো ধরনের রশিদ সরবরাহ না করা এবং মূল্য তালিকা না থাকায় বি-বাড়িয়া আড়ৎদারকে ৪ হাজার টাকা ও অপর তিনজন খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।