চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের উদ্যোগে জয় বাংলা কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৬ মার্চ সোমবার বিকেল ৪টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্ট ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন মোঃ একরাম উল্লাহ, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
ইউনির্ভাসেল মেডিকেল কলেজের সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত সংগীতানুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন, দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস। এতে সংগীত পরিবেশন করেন দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড দল মাইলস, মাকসুদ ও ঢাকা, ওয়ারফেজ, চিরকুট ব্যান্ডের পিন্টু ঘোষ, সংগীতশিল্পী ইমরান ও অপু। একসঙ্গে এক মঞ্চে এত জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ও শিল্পী দিয়ে এতবড় আয়োজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাতে এই প্রথম।
দুপুরে দিকে প্রখর রৌদের কারনে মাঠে দর্শক উপস্থিতি কম থাকলেও সন্ধ্যার আগেই দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ হয় স্টেডিয়ামটি’। সন্ধ্যা ছয়টায় শিল্পী অপু ‘আলো আলো’ গানটি ধরতেই দর্শকদের হুল্লুড়। ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’ গানটি ধরলে শিল্পীর চেয়ে যেন দর্শকদের কণ্ঠে বেশি উচ্চারণ।
জয় বাংলা কনসার্টকে ঘিরে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিলো মাতোয়ারা। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় শুরু হওয়া কনসার্ট চলে কয়েকঘন্টা। শিল্পীদের সঙ্গে দর্শকরাও নেচে গেয়ে কনসার্টকে উপভোগ্য করে তুলেন।
গানের ফাঁকে ফাঁকে মুক্তিযুদ্ধের কিছু চিত্র আয়োজনকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তুলে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ৪০ দিনে মোট ৪২২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। অবশ্য এসব ডেঙ্গু রোগীদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা। তবে জেলায় এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইজন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজন, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন, আখাউড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ভর্তি হয়েছেন। ২৪ ঘন্টায় চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি, সবচেয়ে বেশি ২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ২১ জন ভর্তি আছে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জেলায় মোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা ৬৯ জন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম ডেঙ্গু রোগী ধরা পড়ে। আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চতুর্থ তলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নতুন একটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে। তবে, তাদের জন্য কোনো শয্যা নেই। নিজেদের আনা শয্যা মেঝেতে বিছিয়ে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। সব রোগীর উপরেই মশারি টানানো রয়েছে।
ওয়ার্ডটিতে ঢোকার পথে চোখে পড়ে এক যুবকের মাথায় পানি দেওয়া হচ্ছে। জানা গেলো তার নাম সোলেমান। বাড়ি সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের বাকাইল গ্রামে। মা-বাবা মিলে তার মাথায় পানি ঢালছেন। ঘিরে আছেন অন্য স্বজনরাও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাকাইল গ্রামের যুবক সেলুনকর্মী সোলেমান ৮/১০ দিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন বলে জানান তার বাবা জয়নাল মিয়া। বাড়িতে আসার দিন থেকেই তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব। পরীক্ষা করিয়ে ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাকে এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কসবার উপজেলার ধর্মনগর গ্রামের সুফিয়া বেগম নামে এক নারী জানান, তার মেয়ে নাসিমা কয়েকদিন ধরে জ¦রে আক্রান্ত। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে শনিবার তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জ¦রসহ বমির উপক্রম আছে নাসিমার।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, জেলার সব কয়টি সরকারি হাসপাতালেই প্রতিদিন নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসা বিষয়ে সার্বিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আসা বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মিছিল করার প্রতিবাদে আজ ৪ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে সড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ অবরোধের সৃষ্টি করা হয়। এ সময় তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে পুলিশের অনুরোধ সড়ক থেকে সরে দাঁড়ায় শিক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেলা তিনটার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হন। পরে তারা কাউতলী এলাকায় গিয়ে সড়ক অবরোধ সৃষ্টি করেন। এসময় মহাসড়কের উভয়পাশে ২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় অভিযোগ করা হয়, ছাত্রলীগ মিছিল করা মানে গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃংখলা বাহিনী ব্যর্থ। তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো দৃশ্যমাণ কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। এ সময় সদর থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেন জানান, ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাও দায়ের হয়েছে। কারা কারা জড়িত তাদের সবাইকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এ সময় আন্দোলনকারিদের পক্ষে বোরহান উদ্দিন সিয়াম ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় আবার আন্দোলন করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়ায় মিছিলটি বের হয়ে পৈরতলা অভিমুখে যায়। পরে সেখানের সড়কের পাশে রাখা মোটর সাইকেলে কেক রেখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকি উদযাপন করা হয়।
রাতেই জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ফেসবুকে এ সংক্রান্ত ভিডিও ও ছবি পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, মিছিলকারীরা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষে শুভেচ্ছা শ্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা আবারো ফিরবে এবং সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ও সাবেক সাংসদ র.আ.ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীর মুক্তির পক্ষে শ্লোগান দেয়। পরে নেতকর্মীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আল আরাফা ইসলামি ব্যাংক পিএলসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আয়োজনে ১ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মসজিদ রোডে অবস্থিত এ মালেক কনভেনশন হল এন্ড কমিউনিটি সেন্টার- এ দিনব্যাপী এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মানোন্নয়নে আউটলেট অফিসিয়ালদের ভুমিকা ও কর্তব্য ব্যাচ-০২/২০২৪ শীর্ষক আউটরিচ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসইভিপি এন্ড জোনাল হেড মো. আব্দুর রহিম দোয়ারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডিএমডি আবেদ আহমেদ খান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ডিএমডি এন্ড সিআরও ফজলুর রহমান চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন, আল আরাফা ইসলামি ব্যাংক পিএলসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ম্যানেজার মো. আশেকুর রহমান।
কর্মশালায় ৩২২ জন অংশগ্রহন করেন। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সেবার মাধ্যমে ব্যাংকের সুনাম বাড়াতে হবে। সেবার মাধ্যমে নিজেদের কথা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। আর এজন্যই আজকের এই কর্মশালা, তবে এর স্বার্থকতা পেতে হলে সততার সাথে কাজ করতে হবে- কাজের কোনো বিকল্প নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ১২ দফা দাবিতে আজ ১১ আগস্ট রবিবার দুপুরে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা কলেজের উপাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক হামজা মাহমুদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ, কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো লিখিতভাবে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জমা দেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজের সকল শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেন কলেজের অধ্যক্ষ।
দাবিগুলো হলো-ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে সকল প্রকার রাজনীতি কলেজে নিষিদ্ধ করতে হবে, শিক্ষকরাও ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না এবং কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডাসহ কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পালিত হবে না। ক্লাসের মানোন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যবই পৌঁছাতে পারছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। শেণিকক্ষে পড়ানো সিলেবাসের বিষয়বস্তর উপর পরীক্ষা নিতে হবে এবং হুটহাট নোটিশে বা শ্রেণিকক্ষে ঘোষণা দিয়ে চাপানো যাবে না। শ্রেণি পরীক্ষা, অর্ধবার্ষিকী ও বাৎসরিক পরীক্ষা খাতা মূল্যায়নের পর নম্বরপত্রে নম্বর তুলে নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং মূল্যায়নের ধরণের জবাবদিহিতা শিক্ষকদের দিতে হবে। পরিকল্পিতভাবে ব্যবহারিক ক্লাসের সময় নির্ধারণসহ মানোন্নয়ন করতে হবে। কলেজে ধর্মপালন, হিজাব বা নিকাব পরিধানে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না এবং কোনো প্রকার কটুক্তি, অপমানমূলক কথা বা ইঙ্গিত কোনো শিক্ষক দিতে পারবে না। এমন হলে সেই শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মপালনে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না, সকল শিক্ষককে লিখিতভাবে এই বিবৃতি দিতে হবে এবং কলেজের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বাড়াতে হবে। প্রত্যেক শ্রেণিতে মনিটর নিয়োগ দেয়াসহ শিক্ষকরা কিভাবে পাঠদান করাচ্ছেন সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে রিপোর্ট করবেন। শ্রেণিকক্ষের উন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের দ্বারা শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রমে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভূক্তি বাড়াতে হবে। পড়াশোনায় প্রায় এক মাসের ক্ষতি হওয়ায় একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা বাতিলসহ সবাইকে অবিলম্বে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দ্বিতীয় বর্ষের পাঠদান শুরু করতে হবে।
আন্দোলন চলাকালীন কলেজের উপাধ্যক্ষ নিজের ফেসবুকের মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করেছিল। তাই উপাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। এবিষয়ে কলেজের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে হবে। মেয়েদের সঙ্গে অশোভন আচরণসহ নানা রকম অভিযোগ থাকায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ বা বদলির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ. জেড. এম. আরিফ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন। শিক্ষকদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কলেজের উপাধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস হোসেন মাতব্বর বলেছেন, গত ১৭ বছর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বিভিন্ন অন্যায়ের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। গুম, খুনের মাধ্যমে ভীতি কায়েম করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্র সমাজকে পিছপা করতে পারেনি। এই ছাত্র সমাজ তাদের রক্তের বিনিময়ে শেখ হাসিনাকে গদি ছাড়তে বাধ্য করেছে।
২২ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ জেলা শাখা আয়োজিত ছাত্র সমাগমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিয়াস হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক সংকটকালে বিএনপির সৃষ্টি হয়। যা বর্তমানে বৃহৎ দল। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র সমাজের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বৃহৎ দল হবে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। সেদিকে লক্ষ্য রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর প্রতিবেশী দেশ ভারত নানানভাবে দেশকে শোষণ করেছে। এখন তারা চট্টগ্রামকে তাদের অংশের সাথে যুক্ত করতে চায়। তাদের উদ্দেশে বলব, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণই যথেষ্ট। সবশেষে বিজেপির এই নেতা বলেন, তরুণ প্রজন্ম যেহেতু বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের হাল ধরেছে, আগামীতে (বিজেপি) সংসদ দখল করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য শাহরিয়ার হোসাইন আরিফ ও জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের জেলা শাখার প্রধান সংগঠক মেহেদী মোহাম্মদ নিশাদের পরিচালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আলম বাঁধন ও আবিদ চৌধুরী। ছাত্র সমাগম উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।