ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি, বাংলা টিভির প্রতিনিধি আল আমীন শাহীনের পিতা রফিকুল ইসলাম খন্দকার (জানু মিয়া)’র আজ ৭ মার্চ ৩৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯৮৭ সালের ৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিস্ট ব্যবসায়ী লাখীবাজারস্থ শাহীন ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী সরাইল উপজেলার দেওড়া গ্রামের সন্তান মরহুম রফিকুল ইসলাম খন্দকার জানু মিয়ার সৌদি আরবের রিয়াদে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তর পৈরতলাস্থ বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মরহুম রফিকুল ইসলাম জানু মিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করার জন্য সকলের প্রতি জানান হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে সাদেক মিয়া (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনা ঘটেছে আজ ৩ জুলাই বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের কলেজ গেইট এলাকায়। নিহত সাদেক মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত বিশ্বাস জানান, চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহ অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর দেড়টায় জেলা শহরের কলেজ গেইট এলাকায় পৌঁছালে সাদেক মিয়া ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত সংগঠন (ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশন) এর সমন্বয়ে শতাধিক প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরাও আমাদের মত মানুষ। তাদের পাশে আমাদের সকলকে থাকতে হবে। তাহলেই একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব।
ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সঞ্চালনায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব রুহুল আমিন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান হোসেন , জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত,স্বপ্নতরী সমাজ উন্নয়ণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী তাহের উদ্দিন ভূইয়া, প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজকর্মী বশির আল হাসানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে অনুষ্ঠিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফা দাবি বাস্তবায়নে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপির ১৪টি ইউনিটের ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করা না পর্যন্ত তারা সম্মেলনে যাবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ছাড়া আগামীকাল ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি. এম মোমিনুল হক,অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি তারেকুল ইসলাম খান রুমা, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে জহিরুল হক খোকন সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার দাবিগুলো পড়েন। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বার বার কারাগারে গিয়েছি। দীর্ঘদিন জেল খেটেছি আমরা। বিভিন্ন সময় আমাদের ওপর হামলা করেছে। আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির রাজনীতি বেশিদিন চলতে পারে না। আমাদের দাবি পরিস্কার, স্বচ্ছ ভোটার তালিকার মাধ্যমে গোপন ব্যালটে কাউন্সিল হোক। এখানে কোনো স্বচ্ছ ভোটার তালিকা নেই। জননেতা তারেক রহমানের কাছে দাবি তুলে আসছি, একটা স্বচ্ছ ভোটার তালিকা আপনার নজরে নিয়ে কাউন্সিল হোক। কেন্দ্রীয় বিএনপি আমাদের বলেছে আজ বিকেলে তারেক রহমানের সাথে তাদের বৈঠক আছে। আমরা আশা করি তিনি এই বিষয়টিকে আমলে নিয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান দিবেন।
সভাপতির বক্তব্যে হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে সম্মেলন হতে যাচ্ছে, সেই সম্মেলনে জেলার ১৪টি ইউনিটের মধ্যে ৮টি ইউনিটের ভোটার তালিকা করা হয়েছে। সেখানেও জাল জালিয়াতি করা হয়েছে। বাকি ৬টি ইউনিটকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেয়ার অধিকার তাদের নাই। দলের কাছে তাদের কোনো গ্রহনযোগ্যতা নাই। আমরা একটা জিনিসই চাই, ১ হাজার ৪১৪ ভোটের সংস্কার করে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত সম্মেলন যাতে না করতে পারে আমরা রাজপথে প্রস্তুত থাকব। আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা ন্যায়ের পথে আছি। ন্যায়ের কার্যক্রমে আগামীদিনের সম্মেলনে প্রমাণ করে দিব আমরাই আসল, তারা নকল। আমরা কোনো অন্যায়, দুঃশাসন, স্বৈরাচার চাই না। আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করেছিলাম ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।