চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যায়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সমন্বয়ে সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা এক্স স্টুডেন্টস (আবেশ) এর উদ্যোগে কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠান হয়েছে।
আজ ৬ মার্চ সোমবার বিকেলে স্কুল প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানে জিপিএ ৫ সহ প্রায় ৩ শত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবেশ এর সভাপতি গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাগীর আহমেদ।
স্বাগত জানান সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইমাম শামীম, বক্তব্য রাখেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৭ ব্যাচের ছাত্র শিল্প উদ্যোক্তা খলিলুর রহমান, ৭১ ব্যাচের ছাত্র নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম ইমদাদুল হক, আবেশ এর উপদেষ্টা মোঃ হাবিবুর রহমান. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক আবদুস সাকির ছোটন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে অনুর্ধ্ব-১৭ বালক ও বালিকা গোল্ডকাপ ফুটবল টুূর্ণামেন্ট-২০২৪। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের এই টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান, জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক শাহআলম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো: ইশতিয়াক ভূইয়া, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হুরায়রা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তার।
জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার বালক ও বালিকা দল অংশগ্রহন করে।
টুূর্ণামেন্টে জেলার ৯টি উপজেলার ১০টি দল অংশ গ্রহন করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আসমাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীত বস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস.এম. শান্তুনু চৌধুরী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা সিকদার দীনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা গায়েত্রী দেবনাথ, সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রৌশন আরা, বিদ্যালয়লয়ের দাতা সদস্য এ.বি.এম তৈমুর।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
এ যেন জীবন্ত পুতুল। যেন পুতুলে প্রাণের ছোঁয়া। গানের তালে তালে নাচছে পুতুল। দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালি। মুখে হাসির ঝিলিক।
২৬ মার্চ মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে পুতুল সেজে গানের সঙ্গে নেচেছে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেনের শিশু শিক্ষার্থীরা।
সংখ্যায় ওরা ৪৮জন। সবাই সেজেছে পুতুলের সাজে। ওরা সবাই শিশু। মঙ্গলবার সকাল পৌণে দশটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে পুতুলের এই নাচ প্রদর্শিত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেনের শিশু শিক্ষার্থীরা পুতুল নাচের ডিসপ্লে করে।
ডিসপ্লের শুরুতেই হাজারো উপস্থিতি জীবন্ত পুতুলদের করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়। ডিসপ্লে চলাকালেও ছিলো বেশ উচ্ছ¡াস। পুতুল নাচের এ ডিসপ্লে জেলার বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।
পুতুল নাচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য। তবে সেটা যেন বিলিনের পথে। তবে এই প্রথমবারের মতো জেলার কোনো বড় আয়োজনে শিশুদের পুতুল সাজিয়ে নাচানো হলো। এর আগে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন নিজেদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনে শিশুদেরকে পুতুল সাজিয়ে নাচায়।
পুতুল নাচের অংশ নেওয়া মুনতাহা জানায়, সে আগে কখনো পুতুল নাচ দেখেনি। ডিসপ্লের জন্য বেশ কয়েকবার দেখেছে। এরপর প্রশিক্ষক তাদেরকে তৈরি করেছেন। এ নাচে অংশ নিতে পেরে সে বেশ খুশি।
কথা হয় অভিভাবক শ্যামল মোদক ও প্রিয়াংকা সাহার সঙ্গে। তারা বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা এ আয়োজনের গর্বিত অংশীদার হতে পেরেছে। আমাদের খুব লাগছে। এ নাচের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে।
নাচের পরিকল্পনাকারি ও প্রশিক্ষক জিয়া আমিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুতুল নাচের ঐতিহ্য ফেরাতে এই প্রচেষ্টা। এতে তিনি অনেকটা সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘পুতুল নাচ আমাদের ঐতিহ্য। আমরা চাই শিশুরা ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকুক। এ ধরণের আয়োজনকে সমৃদ্ধ করতে আমাদের সহযোগিতা থাকবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘শিশুরা পুতুল নাচের ডিসপ্লে বেশ চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছে। জেলা প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ এপ্রিল বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, শিক্ষক, গণমাধ্যম ও এনজিও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে অংশ গ্রহণকারীদের ১১টি দলে বিভক্ত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর। দলগুলো হল স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, স্মার্ট পাবলিক সার্ভিস, স্মার্ট ল এন্ড অর্ডার, স্মার্ট এডুকেশন, স্মার্ট সোশাল সার্ভিস, স্মার্ট সিটি এন্ড ভিলেজ, স্মার্ট এগ্রিকালচার, স্মার্ট হেলথ, স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন, স্মার্ট ইউটিলিটি ও স্মার্ট এনভায়রনমেন্ট। পরে অংশ গ্রহণকারী দলগুলো স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিনির্মাণে নিজ নিজ দলের স্বপক্ষে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
কর্মশালার শুরুতেই স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের উপর একটি স্লাইড শো প্রদর্শন করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো মোশারফ হোসেন।
তিনি বলেন, সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয় ১৯৪৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আনুমানিক ২০-২৫ লাখ দলিল রয়েছে। এসব দলিল স্ক্যান করে ডাটাবেইস তৈরির প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি।
পাশাপাশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নকশাকে সংরক্ষণ করে ই-নকশায় রূপান্তর করে ডাটাবেইস তৈরি করা হলে দলিল নিয়ে ভোগান্তি আর পোহাতে হবে না। কারণ, ভূমি কার্যালয়ের সকল কিছু এখন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে। সকল নথি এখন গ্রাহকদের অনলাইনে সরবরাহ করা হয়। ভ‚মি কার্যালয়ের সকল কাজ ঘরে বসে করা যায়। শুধু সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের দলিলের কাজটি অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেলে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমবে। মানুষকে আর প্রতারিত হতে হবে না।
ভূমি নিয়ে মামলা সংক্রান্ত কারনে বছরের পর বছর বিচারের আশায় আদালতে সময় ব্যয় করতে হবে না। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, জেলা বিএনপি আহবায়ক প্রয়াত জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে, শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি প্রয়াত জিল্লুর রহমানকে ব্যতিক্রমধর্মী এক প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আখ্যায়িত করে তাঁর মৃত্যুতে তাঁর দল ও জেলাবাসী একজনযোগ্য নেতাকে হারিয়েছেন।