চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) নিবাসীদের জন্য পোশাক বানানোর এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণকরেন। এজন্য তিনি ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেছিলেন। নিবাসীরা নিজেদের ড্রেস নিজেরাই ব্লক ও সেলাইয়ের কাজ করে নতুন জামা প্রস্তুত করে। ৫ মার্চ রবিবার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম প্রদত্ত উপহার নিজ হাতে নিবাসীদের মাঝে বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াইল হক মীর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালি উল্লাহ, শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা প্রমুখ।
উপহার পেয়ে বাবা মা হারা মেয়েরা খুবই খুশি ও আনন্দিত। নিবাসী ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানানো হয় জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম কে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিওর ইসলাম বিরোধী বক্তব্যে প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা ও ওলামা সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে ওলামা সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ক্বারী আনাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা ইলিয়াছ চৌধুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, ওলামা সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি কাজী আবুল কালাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলার মুফতি মাকবুল হোসেন, মনিরুজ্জামান শিপু, কাজী খায়রুল ইসলাম, আবদুল আজিজ অনিক। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোমিন মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২১ নভেম্বর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, “মদ হচ্ছে একটা মেডিসিন। এটা মেডিসিন হিসাবে খায়।”
ফেসবুক লাইভে সজিবুল হুদা ভূঁইয়া নামে একজন যুবক ফিরোজুর রহমান ওলিকে প্রশ্ন করেন “আপনি সংসদ সদস্য হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মদের বার খুলবেন কি?”
জবাবে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, “সংসদ সদস্যরাই মদের লাইসেন্স দিচ্ছে। এ দেশে বিখ্যাত মদের কারখানা বানায়ে রাখছে। আগে তো রেলস্টেশনে মদের দোকান ছিল। তুমি যদি আবদার করো তাইলে দেব। তবে তোমরা এই মদ খাইতে পারবা না। সেই শক্তি তোমাদের হইছে না। মদ হচ্ছে একটা মেডিসিন। ভালো কথা বলো। এটা মেডিসিন হিসাবে খায়। তোমার যদি ইয়ে থাকে, ডাক্তার বললে ব্যবস্থা করে দেব। আমরা তো ঘুষ খাইনা। আমরা তো মানুষের মনে আঘাত দেই না। আমরা শুনি, ঘুষের টাকা কোথায় ধরা খাইছে। সরকারকে জিগাইবা কেন দেয়। তোমাদের সরকারই দিতাছে।’
তিনি বলেন, আমার ব্যবসা পবিত্র ব্যবসা। আমি হালাল ব্যবসা করি। হালাল না হলে সরকার ব্যবসা করে কেন। হালাল না হলে সরকারই বেহালাল হয়া যায়। আমি ব্যাংকের ব্যবসা করি। মদের ব্যবসার জন্য যদি ১০টা বেত মারে। তাহলে ব্যাংকের ব্যবসার জন্য একশটা বেত মারবে। ইসলাম কী কইছে না কইছে সরকার বুঝবে। ভালো কথা বলো।’
বক্তারা বলেন, ফিরোজুর রহমান ওলিও মদকে হালাল বলে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত করেছেন এবং যুব সমাজকে মাদকদ্রব্য সেবনে উৎসাহিত করেছেন।
বক্তারা বলেন, ফিরোজুর রহমান ওলিও একজন বিতর্কিত ব্যক্তি ও মদ ব্যবসায়ী। তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকের ব্যবসার প্রসার ঘটবে।
বক্তারা ফিরোজুর রহমান ওলিও বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত করায় ফিরোজুর রহমান ওলিওকে মুরতাদ ঘোষনা ও তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ ব্যাপারে ফিরোজুর রহমান ওলিওর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি হালাল ব্যবসা করি কিন্তু মদকে হালাল বলি নাই। উল্লেখ্য, ফিরোজুর রহমান ওলিওর রাজধানী ঢাকায় হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনাল, গোল্ডেন ড্রাগন ও পিকক নামে তিনটি মদের বার আছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোহনা টেলিভিশনের ১৫ বছর পদার্পন উপলক্ষে আজ ১১ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে মোহনা টেলিভিশন দর্শক ফোরামের আয়োজনে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও মোহনা টেলিভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহজাদা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া এসোসিয়েশনের সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন শাহীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেকুর রহমান, আ. ফ. ম কাউসার এমরান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, সাবেক সহ সভাপতি শেখ সহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম খান সাদাত, সৈয়দ মোঃ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আশিকুল ইসলাম, নব নির্বাচিত সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমি প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক এইচ এম সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, দৈনিক ইস্টার্নমিডিয়ার সম্পাদক ও প্রকাশক নজরুল ইসলাম বিল্লাল, দৈনিক আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক আবু নাসের রতন, গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, আরটিভি’র জেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান পায়েল, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আশিক মান্নান হিমেল, দৈনিক প্রজাবন্ধু’র নির্বাহী সম্পাদক আবুল হাসনাত সাবেরিন মোঃ লিটন, দৈনিক দিনদর্পণ’র জেনারেল ম্যানেজার হুমায়ুন কবির প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা মোহনা টেলিভিশনের উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আলোচনা সভাশেষে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) উদ্যোগে খাদ্যভিত্তিক (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৯ মে রবিবার সকালে জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসের হল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা।
এ সময় সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহেনা বেগম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সইন্টিফিক অফিসার জ্যৈার্তিলাল বড়ুয়া, বারটানের প্রশিক্ষক দীপ্রজিত সরকার উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন পেশার ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, বারটান পুষ্টি নিয়ে কাজ করে। পুষ্টিকর খাবারের সাথে আমাদের ভবিষ্যৎত প্রজন্ম জড়িত। পুষ্টিকর খাবার খেলে সুস্থ সবল প্রজন্ম পাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
উৎসব মুখর পরিবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন আজ ৯ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। উপনির্বাচনে মোঃ বিল্লাল মিয়া (ঘোড়া প্রতীক) ৭৪৩ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার দুইবারের সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন (চশমা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯০ ভোট।
অপর প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক-সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যমান শফিকুল আলম (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ১৩৩ ভোট। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে ফলাফল জানা গেছে।
বিজয়ী বিল্লাল মিয়া ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপ-নির্বাচনে তিনি সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু আল-মামুন সরকার দায়িত্বভার গ্রহনের পর এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।
বিজয়ী মোঃ বিল্লাল মিয়ার রাজনৈতিক কোন পদ-পদবী নেই। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। হেভিওয়েট প্রার্থীদের হারিয়ে তিনি চমক দেখালেন।
জেলার নয়টি উপজেলা, পাঁচটি পৌরসভা ও ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৮৪ জন।
এর মধ্যে নাসিরনগর উপজেলায় ১৭১ জন, সরাইল উপজেলায় ১১৯ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১০৪ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১৬১ জন, বিজয়নগর উপজেলায় ১৩০ জন, কসবা উপজেলায় ১৪৬ জন, আখাউড়া উপজেলায় ৮১ জন, নবীনগর উপজেলায় ২৮৮ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৮৪ জন ভোটার।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া না হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ থেকে মোঃ হেলাল উদ্দিনকে ‘সমর্থন’ দেয়া হয়।
হেলাল উদ্দিন ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হেলাল উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় দুইবার মেয়র নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
অপর প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুল আলম জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার/ পিডিয়াট্রিশিয়াদের নিয়ে যক্ষ্মা রোগী সনাক্তকরণের হার বাড়ানো এবং টিপিটি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নেটওয়ার্কিং ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অভিজ্ঞ ২১জন ডাক্তারসহ ২৫ জন ওরিয়েন্টেশনে অংশ গ্রহণ করেন।
আজ ২৮ আগস্ট বুধবার সকাল ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সিভিল সার্জন কার্যালয় সভাকক্ষে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সহাযোগিতায় ও সিভিল সার্জন কার্যালয় এর আয়োজনে ওরিয়েন্টেশন সভায় সভাপতিত্বে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
ওরিয়েন্টেশনের সভায় উপস্থাপনায় ছিলেন সিভিল সার্জন সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার মোঃ মফিজুর রহমান ফিরোজ।
অতিথি ছিলেন মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনল চন্দ্র প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জেলা ব্যবস্হাপক, মিঠু রঞ্জনসরকার, প্রোগ্রাম অফিসার এনামুল হক চৌধুরী, পিপিএম এসিস্ট্যান্ট মো: হাফিজুর রহমান, এফও মো: আব্দুর রহীম।
সভায় যক্ষ্মা কী, প্রকারভেদ, কীভাবে ছড়ায়, যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ, রোগ শনাক্তকরণ ও করণীয়, তামাকের সঙ্গে যক্ষ্মার সম্পর্ক, যক্ষ্মারোগ সম্পর্কে সামাজিক ধারণা এবং যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণকারীদের ভূমিকা, আইপিটি চিকিৎসা, এমডিআর টিবি ওটিপিটি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া ব্র্যাকের কার্যক্রম ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা কোথায় পাওয়া যায়, নিয়মিত পুরো মেয়াদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা কেন জরুরি, ডটস কী ও এর গুরুত্ব এবং ওষুধের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন চিকিৎসকরা।