চলারপথে রিপোর্ট :
চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশানের করা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকালেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। সঙ্গে সঙ্গে হাজারো দর্শকের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে খেলার মাঠ। ধারাভাষ্যকারসহ উপস্থিত দর্শকরা বলছিলেন, ‘এই তো আমাদের চিরচেনা সেই আশরাফুল। এমন আশরাফুলকে আমরা আবারো মাঠে দেখতে চাই।’
এবার রোশানের ব্যাটিংয়ের পালা। আশরাফুলের করা প্রথম দুই বল ব্যাটে স্পর্শ করতে পারেননি রোশান। শেষ পর্যন্ত যে বলটা স্পর্শ হলো সেটা সীমানা পেরিয়ে মাঠের বাইরে। সঙ্গে সঙ্গে দর্শকের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে খেলার মাঠ।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আর দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রোশানের এমন ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ মাঠে। ৭ মার্চ মঙ্গলবার একটি ক্রিকেট ফাইনাল ম্যাচে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন এই দুই তারকা। খেলার ইনিংস বিরতিতে মাঠে নামেন তারা। এই দুই তারকার আসার খবরে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হন কলেজ মাঠে।
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্রিকেট গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্টের ফাইনালে দক্ষিণ ইউনিয়ন দলকে তিন উইকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় পৌরসভার ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড দল। ২০ ওভারের ম্যাচটি ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। মাত্র এক বল হাতে রেখে জয় পায় পৌরসভার দল।
আশরাফুল তার বক্তব্যে বলেন, আমাদেরকে স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন দেখেছি বলেই আমরা আইসিসি কাপ জিতেছি। এখন নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলতে পারি। স্থানীয়ভাবেও অনেক ভালো ক্রিকেটার দেখা যায়। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে তাদেরকে তুলে আনতে হবে।
রোশান বলেন, ক্রিকেট খেলা ছিল আমার স্বপ্ন। ক্রিকেট নিয়ে আমি ভালো কিছু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একসময় নিজেকে অন্যদিকে গড়তে শুরু করি। নিজ এলাকার মাঠে এমন সুন্দর আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগছে। এটা অব্যাহত রাখতে হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক নির্জন মোশাররফ, সদস্যসচিব মো. শরীফুল ইসলাম প্রমুখ। খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন বিশ্বজিৎ পাল বাবু ও সোলায়মান ইসমাইল রুমেল।
নির্জন মোশাররফ ও মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, আখাউড়া ক্রীড়াঙ্গন অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ক্রিকেটে বড় কোনো আয়োজন দেখা যায় না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিয়মিত টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা। এখান থেকে যেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হয় সেই চেষ্টা করা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ একমাস পর ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় গেলেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ।
আজ ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারত যান। এর আগে ২ ডিসেম্বর ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনারের কার্যালয়ে হামলা চালায় উগ্রবাদী গোষ্ঠী। এরপরই সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়।
৮ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সহকারী হাই কমিশনার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা নাগাদ সময়ের মধ্যে আগরতলায় যান। এসময় তিনি একাই ছিলেন।
আরিফ মোহাম্মদও তার যাওয়ার বিষয়টি স্থলবন্দর এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন। তবে কবে নাগাদ সেখানকার কার্যক্রম চালু হতে পারে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার ভারতীয় অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার হরিজন সম্প্রদায়ের এক নারী তার মেয়েকে ফিরে পেতে সাংবাদিকদের কাছে এ আকুতি জানিয়েছেন। আজ ২১ মে রবিবার দুপুরে হরিজন কলোনীর নিজ বাড়িতে করা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আকুতি জানান।
ভুক্তভোগী মেয়েকে ফেরত পেতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এক পর্যায়ে বলে ফেলেন, ‘এই পুলার ভয়ে আমি কম বয়সে মায়ারে বিয়া দিছি। বিয়ার পরে এই পুলা আমার মাইয়ারে অপহরণ কইরা নিয়া গেছে। অহন থানাত গিয়া বিচার দিলে ভাগায় দেয়। অহন আমি আফনেরার কাছে বিচার চাই। আমার মায়ারে জামাইয়ের কাছে ফিরাই দেন।’
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারীর ভাতিজা লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মেয়েকে ফেরত পেতে সহযোগিতা চান।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, আল্পনা (ছদ্মনাম) নামে হরিজন কলোনীর এক মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। কলেনীর রানা হরিজন নামে এক ছেলে তাকে উত্যক্ত করতো। এ অবস্থায় স্থানীয়ভাবে সালিশও হয়। এতেও রানা দমে না যাওয়ায় মেয়েটিকে গত ৩ মে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সারতে মেয়েটি বাবার বাড়িতে এলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রানা। এ বিষয়ে থানায় মামলা দিতে গেলে সেটা নেওয়া হয়নি।
রানা হরিজনের ভাই নয়ন হরিজন বলেন, ‘নানা কারণে আমার ভাই রানাকে ত্যাজ্য পুত্র করেছে বাবা। তবে এটা ঠিক যে আমার ভাই ওই মেয়েকে অপহরণ করেনি। বরং ওই মেয়ে আমার ভাই নানাভাবে বকায়দায় ফেলে তাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। তবে মেয়েটির এক কাকাতো ভাই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে।’
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। উভয় পক্ষকে সোমবার বিকেলে থানায় ডাকা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘরে এসে সিরিজ হারিয়ে গেছে আফগানিস্তান। ওই সিরিজই বিশ্বকাপ ম্যাচ নিয়ে বাড়তি হাইপ তুলেছে। হাইপ ওঠা ওই ম্যাচে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পানসে বানিয়ে ছেড়েছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটের বড় জয়ে দুই পয়েন্টের সঙ্গে ১.৪৮ বোনাস পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে।
শনিবার ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে বল করতে নামে বাংলাদেশ। দুই আফগান ওপেনার ভালো শুরু করলেও ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশও। তিনে নামা মেহেদী মিরাজ ও চারে নামা নাজমুল শান্ত ওই ধাক্কা সামলে দলকে জয়ের প্রান্তে তুলে নেন। পরে মিরাজ ফিরলেও ফিফটি করে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন শান্ত।
এর আগে দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ৪৭ রানের জুটি দেন। সাবলীল শুরু করা ওই জুটি ভাঙতে সপ্তাম ওভারে বল হাতে নেন সাকিব আল হাসান। দলকে দরকারী ব্রেক থ্রু দেন।। তরুণ ওপেনার ইব্রাহিমকে ২২ রানে ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এরপর রহমত শাহকেও (১৮) তুলে নেন বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার সাকিব।
ওই ধাক্কা সামাল দেওয়ার লড়াইয়ে ব্যর্থ হন গুরবাজ ও হাসমতুল্লাহ শাহেদী। চারে নামা শাহেদী ১৮ রান করে মিরাজের বলে ক্যাচ দেন। দলের রান তখন ১১২। সেখান থেকে ১৪ রান হতেই আরও তিন উইকেট হারায় আফগানরা। ফিরে যান ৬২ বলে ৪টি চারের সঙ্গে এক ছক্কায় ৪৭ রান করা ওপেনার গুরবাজ। ব্যর্থ হন পাঁচে নামা নাজিবউল্লাহ (৫) ও ছয়ে নামা মোহাম্মদ নবী (৬)।
ওই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি আফগানরা। অলআউট হয় ৩৭.২ ওভারে। জবাব দিতে নেমে ১৯ রানের মধ্যে ফিরে যান লিটন (১৩) ও তানজিদ তামিম (৫)। তিনে নামা মিরাজ ও চারে নামা শান্ত ৯৭ রানের জুটি দিয়ে ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন। মিরাজ ৭৩ বলে পাঁচটি চারের শটে ৫৭ রান করে আউট হন। এরপর সাকিব ১৪ রান করে ফিরে যান। তাতে জয়ের পথ কঠিন হয়নি। শান্ত ৮৩ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ৫৯ রান করে ৯২ বল থাকলে দলকে জয় এনে দেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই অলরাউন্ডার সাকিব ও মেহেদী মিরাজ। সঙ্গে ফিফটি করে মিরাজ ম্যাচ সেরা হয়েছেন। দুই উইকেট দখল করেছেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। আফগানদের হয়ে তিন পেসার ফারুকি, নাভিন উল ও ওমরজাই একটি করে উইকেট নিয়েছেন। রশিদ খান কিংবা মুজিব উরকে উইকেট দেয়নি বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। তার স্বামী শাকিব খান মঙ্গলবার তার সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বুবলী তার ফেসবুক পেইজে শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, কিছু দিন পর পর হঠাৎ-হঠাৎ করে আমাকে নিয়ে আপনার এ রকম নিউজ দেখে খুব অবাক হয়ে ভাবি, হচ্ছেটা কি!! শেহজাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আপনাকে নিয়ে অনেক কিছুই বলতে চাই না। এড়িয়ে যাই; কিন্তু আমার ছেলের সম্মানের জন্য যদি মা হয়ে আমাকে কথা বলতে হয়, সময় হলে আমি অবশ্যই বলব…।
বুবলী আরো লেখেন, আমরা জাস্ট একটা সুন্দর ঈদ কাটালাম। শেহজাদকে সহও একসঙ্গে ঈদ কাটিয়েছি, গাড়িতে ঘুরেছি, গান শুনেছি, আপনার আপকামিং মুভির ঈদ নিয়ে গানও শোনালেন, আপনার জোকস শুনে হেসেছি, একসঙ্গে খাবার খেয়েছি, আপনাকে খাইয়েও দিয়েছি, গল্প করেছি…। শেহজাদ ছাড়াও কয়েক দিন আগেও আমরা এই ঈদ এবং ঈদের পরও একসঙ্গে থেকেছি, টাইম স্পেন্ড করেছি…।
ঢালিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, কিন্তু কিছু দিন পর পর কী উদ্দেশ্যে আপনি আপনার স্ত্রী (এখনো আপনার সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়নি) এবং আপনার সন্তানের মাকে নিয়ে আপত্তিকর ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলে সংবাদ করে ক্ষীণও চিন্তা প্রকাশ করেন?
তিনি পোস্টে লেখেন— মিস্টার শাকিব খান, আপনার বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকার খুব অপরিচিত লাগে, কেমন যেন! বাস্তবে দেখা আপনার সঙ্গে মেলে না।
তিনি বলেন, আপনি কি সবসময় সজ্ঞানে কথা বলেন নাকি অজ্ঞানেও মাঝেমাঝে কথা বলেন? নাকি আপনার হয়ে আপনার একান্ত মুখপাত্ররাও কথা বলেন?
তিনি বলেন, এগুলো কিন্তু আর্কাইভে থেকে যাবে এবং শেহজাদ কিছু দিন পর বড় হয়ে এসব দেখবে এবং ভাববে কী নোংরাভাবে আপনি তাকে ক্যাশ করে তার মাকে প্রতিনিয়ত হেয় করেছেন।
বুবলী বলেন, আপনাকে তো কোথাও কখনো অসম্মান করিনি বা অসম্মান করে কথা বলিনি; বরং যে কোনো অবস্থায় আপনাকে সম্মান দিয়ে পাশে থেকে নানাভাবে সাপোর্ট দিয়েছি। আপনার সমসাময়িক এত বিষয় থাকতে আপনি বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকারে শুধু কিছু দিন পর পর আমাকে নিয়ে নিউজে খোঁচান কেন? উদ্দেশ্য কী? আগে তো কখনো এ রকম করতেন না? নাকি আপনার বিশেষ সাক্ষাৎকারে আর অন্য কোনো বিষয় তখন একান্ত মুখপাত্ররা পাশে থেকে কেউ ডাবিং করে দেয় না।
তিনি আরও বলেন, সব কিছুর ঊর্ধ্বে একজন মানুষ হিসেবে কিছু কথা বলতে চাই আপনাকে— ভালো ভালো সিনেমা করুন, তবে মনে রাখবেন সুপারস্টারডোম জীবনের একটা অংশ; কিন্তু এটাই পুরো জীবন নয়।
শাকিব খানের উদ্দেশে বুবলী আরও লেখেন, অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে নিজের জীবনটাকে গোছান, সেটি যেভাবেই আপনার ভালো লাগে, আমি কখনই আপনাকে কোনো ব্যাপারে ফোর্স করিনি, সব সিদ্ধান্ত দিনশেষে আপনারই ছিল।
সবশেষে তিনি শাকিবের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনো আপনার কোনো কিছু মনে হলে সেই সিদ্ধান্তও একান্তই আপনার, সেটা যেই সিদ্ধান্তই হোক আমি অবশ্যই শুভকামনা জানাব; কিন্তু বিনীত অনুরোধ করব— আবারও কোনো লুকোচাপা করে আর কোনো বাজে কনফিউশন তৈরি করবেন না। শেহজাদের বাবা হিসেবে আমি যেমন আপনাকে সম্মান দিই, আপনিও সেটি করবেন।