ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি, টেলিভিশন জার্লালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এবং দৈনিক জনকণ্ঠের ষ্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামির অকাল মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এফ এস জামিল পাভেল ও সাধারন সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দরা জামীর মৃত্যুতে ৫ দিনের শোক কর্মসুচি ঘোষণা করেনএবং কালো ব্যাচ ধারন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত প্রয়োজন। একে অপরের প্রতি সহনশীলতা, সহমর্মিতা হতে মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। সভ্যতার প্রয়োজনে আবারও আমাদের পরষ্পরের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকল দলের, ধর্মের ও সর্বশ্রেণীর মানুষের, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জনপদের জন্য সকল মতের মানুষের পারষ্পরিক সহযোগিতা ও সহাবস্থান অপরিহার্য। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে শান্তিপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
আজ ২১ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘জননিরাপত্তা’ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, যুব সংগঠন প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইস্যুতে মানুষের মধ্যে একধরণের শংকা বিরাজ করছে, মব জাষ্টিস, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা এসকল ক্ষেত্রে জনগনণর অসন্তুষ্টি মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) এর কাছে দৃশ্যমান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে এই গোল-টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এমএএফ। ইউকেএইড এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত বাংলাদেশ ষ্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল একাউন্টিবিলিটি ফর সিটিজেন এমপাওয়ারমেন্ট (বি-স্পেস) প্রকল্প এই উদ্যোগের সহায়তা প্রদান করেছে। সভায় বক্তারা যে সকল সমস্যা তুলে ধরেন। সভায় তলে ধরা সমস্যা ও সুপারিশ সমূহঃ
১. শহরে নারী নিরাপত্তার অভাব রয়েছে, রাস্তায়, বাসে, শিক্ষাঙ্গনে নিয়মিত হয়রানীর শিকার হতে হয়। ৬৫% নারী মনে করে পুলিশ যথাযথ সহায়তা করে না ফলে তারা কোন অভিযোগ দায়ের করতে চায়না।
২. সাইবার ও অনলাইন প্রতারণা নিয়মিত ঘটনা, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি
৩. বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের অযথা মব জাষ্টিস না করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের হাত তুলে দেওয়া উচিত। অথযা রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে তাকে হয়রানী করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৪. সকল ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব, এক্ষেত্রে কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে । সকল ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাই হল সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা ।
৫. কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, মাদক মানুষের জীবনমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা জননিরাপত্তার জন্যও হুমকি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসাবে মোহাম্মদ রুহুল আমিন, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী। জাতীয় পার্টির সদস্য আবু কাওছার খান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শামীমা বাছির স্মৃতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুমানুল ফেরদৌসি। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণ-অধিকার পরিষদ, মুসলিম, খ্রীষ্টান ও হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন যুব সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ম্যাফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক এবিএম মমিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের তরুণ ফেলো সাঈদ হাসান সানি, সমির চক্রবর্তী, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পৌর এলাকায় এক যুবক ৭ জনকে দাঁ দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় আরজুদা বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৯ জুলাই বুধবার বেলা ১১টায় পৌর ভাদুঘর এলাকার সাবর বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরজুদা বেগম ভাদুঘর এলাকার সবুজ আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় ঘাতক সিহাব মিয়াকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- সাজু মিয়া (৫০) নয়ন মণি (১৪) মুখলেস মিয়া (৪৫) ওমর আলী (৮০) খালেদা বেগম (৪৪) ও রাবেয়া বেগম (৫০)। আহত ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহত নয়ন মণি বলেন, আমরা বাড়ি থেকে বের হয়ে পুকুর পাড়ে যাওয়ার সময় সিহাব আমাকে দাঁ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আঘাতে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা কয়েকজনকেও এলোপাতাড়ি আঘাত করে দাঁ দিয়ে। পরে এলাকাবাসী আমাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়।
নয়ন মণীর ভাই জুনায়েদ বলেন, সিহাব গত ১ মাস আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। সে মানসিকভাবে সুস্থ নয়। প্রায়ই মানুষদের রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, ঘাতক সিহাব নারী বিদ্বেষী ছিলেন। তিনি প্রতিনিয়ত নারীদের রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো বলে এলাকাবাসী জানান। ঘাতক সিহাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে
চলারপথে রিপোর্ট :
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে দুই দালালকে আটক করে জরিমানাসহ কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আজ ২৩ জুন সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের নার্গিস আক্তার (৬০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মধ্যপাড়ার লক্ষণ সূত্রধর (৩২)। নার্গিস বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কলেজপাড়ায় বসবাস করেন। লক্ষণ সূত্রধরকে পাঁচ দিনের কারাদন্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা এবং নার্গিস আক্তারকে ১৫ দিনের কারাদন্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী তাদেরকে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন। জানা গেছে, ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরী বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে দালাল চক্রের সদস্যরা গরিব ও অসহায় রোগীদের ভুল বুঝিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে নিয়ে যান। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে লক্ষণকে গত শুক্রবার রাতে এবং নার্গিসকে গত রবিবার রাতে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজিরা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে লক্ষণকে পাঁচদিনের কারাদন্ড ও নার্গিসকে ১৫দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। সেসময় তাদের প্রত্যেককে ২০০ টাকা করে আর্থিক জরিমানা প্রদান করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, দালাল চক্রের সদস্যরা হাসপাতালে গ্রামের অসহায় রোগীদের বিভিন্নভাবে প্রতারিত করে আসছে। তারা রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যান। এই ধরণের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পুলিশের এই ধরণের অভিযান হাসপাতালে অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় হরণ গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘন্টাব্যাপী সংর্ঘষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বড় হরণ গ্রামের ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার মালিকানাধীন একটি দোকানের মালিকানা নিয়ে মলাই মিয়ার সাথে একই এলাকার রমজান মিয়ার বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে বিষয়টি মামলা মোকদ্দমায় গড়ায়। এর মধ্যে এক পক্ষ খবর পায় বিরোধ নিস্পতি হওয়ার আগেই মলাই মিয়ার লোকজন দোকানটি দখলের পায়তারা করছেন। এমন খবর পেয়ে রমজান মিয়ার লোকজন দুপুর ১টার দিকে বড় হরণ বাজারে গিয়ে দোকান দখলের পায়তারার বিষয়টি জানতে চায় মলাই মিয়ার পক্ষের লোকজনের কাছে। পরে এ নিয়ে মলাই মিয়ার পক্ষের সাথে রমজান মিয়ার লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে রেল লাইনের উপর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। একে অপরের দিকে রেললাইনের পাথর নিক্ষেপ করলে উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। তবে তাৎক্ষনিক ভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
রমজান মিয়ার পক্ষের কামরুল ইসলাম জানান, দোকান নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা চলমান আছে। আদালত থেকে স্থিতাবস্থা দেয়া হয়েছে। তারপরও অপর পক্ষের লোকজন দোকানটির দখলের পায়তারা করছিলেন। আমাদের লোকজন বাজারে গেলে মলাই মিয়ার লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারা আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে।
মলাই মিয়া পক্ষের বাবুল মিয়া জানান, বাজার কমিটির লোকজন সহ স্থানীয় মুরুব্বিরা দোকানের চলমান বিরোধটি মিমাংসার জন্যে বসেছিলেন। তারা হঠাৎ আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো: সাফায়েত উল্লাহ জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে দিশু দাস (৫৯) ও রবীন্দ্র চন্দ্র দাস (৩৭) নামে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দিশু দাস ওই এলাকার ধরনি দাসের ছেলে ও রবীন্দ্র চন্দ্র দাস একই এলাকার গৌরাঙ্গ দাসের ছেলে।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিনুল হক জানান, দিশু দাস ও রবীন্দ্র চন্দ্র দাস ভোরে তিতাস নদীতে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার সময় থেকেই বৃষ্টি পড়ছিল। বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বজ্রপাতে দুই জন মারা যান।