চলারপথে ডেস্ক :
বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এই দলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ছিল না জয়ের রেকর্ড। একবারের মোকাবিলায় ৮ উইকেটে হার। সেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অন্যরূপে দেখা গেল বাংলাদেশকে।
চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টাইগারদের সামনে স্রেফ উড়ে গেল বাটলার শিবির। বাংলাদেশ পেয়েছে ৬ উইকেটের দাপুটে এক জয়, দুই ওভার হাতে রেখেই। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশের লিড ১-০ ব্যবধানে। জয়তু টাইগার শিবির।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে দুই ওভার হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ, ১৫৮/৪।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও আট বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার। কুরান, ওকস, আর্চার নিজেদের প্রথম ওভারে মার খাওয়ার পর চতুর্থ ওভারে আসেন স্পিনার আদিল রশিদ। এসেই উইকেট পান তিনি। বোল্ড করে দেন ১৪ বলে ২১ রান করা রনিকে। তার ইনিংসে ছিল চারটি চারের মার।
এরপর সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। পঞ্চম ওভারে আর্চারের বলে ওকসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১০ বলে দুই চারে ১২ রান করেন বাংলাদেশ ওপেনার। শান্ত ও হৃদয়ের বিধ্বংসী জুটি। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে চট্টগ্রামে ঝড় তুলে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে করে রানের চাকা ঘুরান তিনিই। উডের এক ওভারে টানা চার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচে রোমাঞ্চকর আবহ তৈরি করেন। ২৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয় পঞ্চাশ এটি তার।
এরপরই অবশ্য বিদায় নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা তৌহিদ হৃদয়। মঈন আলির বলে কুরানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৪ রান করেন হৃদয়।
ফিফটির পর আগাতে পারেননি শান্ত। উডের বলে হয়ে যান বোল্ড। ৩০ বলে আট চারে ৫১ রান করে ফেরেন শান্ত। পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেন সাকিব-আফিফ। এই জুটিতেই শেষ পর্যন্ত সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ২৪ বলে ছয়টি চারে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে দুই চারে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে একটি করে উইকেট নেন জফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উড ও মঈন আলি।
বাংলাদেশ দল : রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
ডেস্ক রিপোর্ট :
বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার তোপে দুইশ’র নিচে থামতে হলো ভারতকে। জবাবে ৩৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ল বাংলাদেশ। শঙ্কা উড়িয়ে এরপর দলকে টানলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান আরিফুল ইসলাম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আহরার আমিন। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল টাইগার যুবারা।
দুবাইতে আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২.২ ওভারে মাত্র ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারতীয়রা। লক্ষ্য তাড়ায় ৪৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ১৮৯ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট পেয়েছে তারা। এর আগে ২০১৯ সালের প্রতিযোগিতায় ভারতের কাছে হেরেই রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ।
অথচ যুব এশিয়া কাপের গত ৯ আসরে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ছিল ভারত। এর মধ্যে কেবল ২০১৭ সালে ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। ওইবার গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল দলটি। আর দশম আসরে এসে আরেকবার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো তারা। তাদের নবম শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে দিল বাংলাদেশের যুবারা।
একই সময়ে শুরু হওয়া আসরের প্রথম সেমিতে চমক দেখিয়ে জিতে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তারা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে ১১ রানে। আমিরাতের করা ১৯৩ রানের জবাবে শক্ত অবস্থান থেকে পথ হারিয়ে পাকিস্তানিরা থামে ১৮২ রানে। আগামী রোববার ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আমিরাত।
প্রতিপক্ষের ইনিংসের প্রথম তিনটি উইকেটই যায় মারুফের ঝুলিতে। শেষদিকে বল হাতে ফিরে আরও একবার উচ্ছ্বাস করেন তিনি। সব মিলিয়ে ৪ উইকেট নিতে ১০ ওভারে তিনি দেন ৪১ রান। চারে নামা আরিফুল অল্পের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন। ৯০ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসে তিনি করেন ৯৪ রান। তার ব্যাট থেকে ৯ চারের সঙ্গে আসে ৪ ছক্কা। ব্যাটিংয়ের শুরুতে ভারত কেঁপে ওঠে মারুফের তীব্র আঘাতে। ডানহাতি পেসার রোহানাত দৌলা বর্ষণ উইকেট শিকারে যুক্ত হলে মহাবিপর্যয়ে পড়ে তারা। এরপর মুশির খান ও মুরুগান অভিষেকের ফিফটিতে তিন অঙ্কের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা এড়ায় দলটি।
তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই রাখে বাংলাদেশ। বর্ষণ ৭ ওভারে ৩৯ রানের বিনিময়ে পান ২ উইকেট। অফ স্পিনার শেখ পারভেজ জীবন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আঁটসাঁট বোলিং উপহার দেন। ৮.৪ ওভারে ২৯ রানে তার শিকার নিচের সারির ২ উইকেট। মাঝে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু পাইয়ে দেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। মুশির ও অভিষেকের ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন বাঁহাতি বোলিং অলরাউন্ডার। বাকিটি রানআউট। প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। টাইগার পেসারদের তোপ সামলানোর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না তারা। একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফেরায় ১৬তম ওভারে দলীয় ৬১ রানে পতন হয় তাদের ষষ্ঠ উইকেটের।
সপ্তম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মুশির ও অভিষেক। তাদের ব্যাটে দুইশর কাছাকাছি পর্যন্ত যেতে পারে ভারত। ছয়ে নামা মুশির ৩ চারে ৬১ বলে করেন ৫০ রান। আটে নামা অভিষেকের ব্যাট থেকে ৬ চার ও ২ ছয়ে আসে ৭৪ বলে ৬২ রান। ভারতের ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। বাই, লেগ বাই ও ওয়াইড মিলিয়ে ২০ রান পায় তারা। এছাড়া, দুই অঙ্কে যেতে পারেন দলটির আর মাত্র তিন খেলোয়াড়।
অনলাইন ডেস্ক :
এবিজি বসুন্ধরা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। কিংস অ্যারেনায় আজ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে ৪-১ গোলে। জোড়া গোল করে আলো ছড়িয়েছেন দরিয়েলতন গোমেজ। কিংসের অন্য দুটি গোল রাকিব হোসেন ও রবসন রোবিনহোর।
ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-২ গোলে হারিয়ে লিগ শুরু করেছিল চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কিংস। পুলিশের কাছে ২-০ গোলে হারের পর আজ কিংসের কাছেও বড় ব্যবধানে হারল চট্টগ্রাম আবাহনী।
ম্যাচের গতিপথ বুঝে ওঠার আগেই এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতে কিংস।
ঘড়ির কাটায় দুই মিনিট পেরোনোর আগেই দরিয়েলতন গোমেজের গোল। মধ্যমাঠের খানিকটা ওপর থেকে টুটুল হোসেন বাদশার ক্রস গিয়ে পড়ে দরিয়েলতনের মাথায়, দারুণ হেডে দলকে এগিয়ে নেন এই ব্রাজিলিয়ান। এবারের মৌসুমে এটিই সবচেয়ে দ্রুততম গোল। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে জোর চেষ্টা চালায় চট্টগ্রাম আবাহনী।
দশম মিনিটেই পেয়ে যায় ম্যাচে ফেরার গোল। ডান প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ছয় গজ বক্সে বাদশা ক্লিয়ার করতে না পারায় বল পান ডেভিড ওজুকু, তাঁর ছোট পাসেই জোরাল শটে বল জালে পাঠান আজিজ আবোলাজি।
সময় বাড়ার সঙ্গে নিজেদের গুছিয়ে নেয় কিংস। কেন তারা সেরা, সেটির প্রমাণ রাখে দ্রুতই। ২৮ মিনিটে রাকিব হোসেনের গোলে আবারও এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
মধ্যমাঠ থেকে রবসন রোবিনহোর বাড়ানো পাস ধরে বক্সে ঢুকে গতির শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। প্রথমার্ধেই ব্যবধান ৩-০ করে কিংস। নিজের দ্বিতীয় এবং কিংসের তৃতীয় গোলটি করেন দরিয়েলতন। গোললাইনের ওপর থেকে রফিকুলের কাটব্যাক গিয়ে পড়ে দরিয়েলতনের পায়ে। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি। আগের ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন দরিয়েলতন।
দ্বিতীয়ার্ধে কিংসের পায়েই বল ছিল বেশিক্ষণ। সুযোগও আসে একাধিক কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারছিল না। হ্যাটট্রিকের সুযোগও নষ্ট করেন দরিয়েলতন। ৮৫ মিনিটে বক্সে মাসুক মিয়া জনিকে ফেলে দেন রায়হান হাসান। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে কার্পণ্য করেননি রেফারি, সফল স্পট কিকে জয়ের ব্যবধান আরো বাড়ান রোবিনহো। এক বছরেরও বেশি সময় পর এ ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন কিংসের মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ। গত মৌসুমের শুরুতে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন মাঠের বাইরে। অস্ত্রোপচারের পর পুর্নাবসন প্রক্রিয়া শেষ করে আজ মাঠে ফিরলেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে এবার ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন অপারেশন অগ্নিপথ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
প্রযোজক রহমত উল্লাহ ও তার আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁঞা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৩ এপ্রিল এই প্রযোজক শাকিব খানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৯/৫০০/৫০১ ধারায় ঢাকার সিএমএম কোর্টে মো. রশিদুল আলমের আদালতে আরও একটি মানহানি মামলা করেছিলেন। মামলা নম্বর- সিআর-২৪৯/২৩ (রমনা)। মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে বাটপার-প্রতারক ও আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে রহমত উল্লাহর পক্ষে তার আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁঞা শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
অপরদিকে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে গত ১৮ মার্চ রাতে গুলশান থানায় যান শাকিব খান। কিন্তু সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি। পরের দিন ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন শাকিব খান। পরবর্তীতে গত ২৩ মার্চ চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন শাকিব খান। গত ২৬ এপ্রিল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। ওই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান রহমত উল্লাহ। শাকিব খান পরবর্তীতে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকা ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ বিকালে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি এই প্রযোজক সশরীরে এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে রহমত উল্লাহ উল্লেখ করেন, নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ (২০১৭) সিনেমায় অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ (মামলা নং: ৬২৪৯৪৯৫৯) এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধন, চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অভিযোগ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরিফুল ইসলামকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে পৌর মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল গণি, সিনিয়র সাংবাদিক সুবীর বসাক, মোস্তফা কামাল, মেয়রপত্নী সুলতানা নাসরিন ঝুমা, কিশোরগঞ্জের ক্রিকেট কোচ আশরাফ উদ্দিন স্বপন, সাবেক ক্রিকেটার শহীদুল হক লাভলু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ক্রিকেটার আরিফুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকার চেক ও একটি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনার জবাবে ক্রিকেটার আরিফুল ইসলাম বিশ্বমানের ক্রিকেটার হওয়ার আকাংখা প্রকাশ করে বলেন, আমি বড়দের বিশ্বকাপ জেতাতে চাই। এর জন্য যত পরিশ্রম করতে হয় আমি করবো ইনশাল্লাহ।
পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, নিজ জেলার কৃতী ক্রিকেটারকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। শুধু ক্রিকেটার নয়, যে কোনো ক্ষেত্রে যিনি ভালো অবদান রাখবেন তাদেরকেও আমি অনুপ্রাণিত করবো। এ জেলার ক্রিকেট তথা খেলাধুলার মান উন্নয়ন ও প্রসারে ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ক্রিকেটার আরিফুল ইসলাম সম্প্রতি শেষ হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপ ২০২৪ এ বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের আফজাল হোসেন ও ফারজানা পারভীন দম্পতির সন্তান তিনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার পিতা-মাতাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সকলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ১৫ মে সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর আট মাস।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে রওশন হোসেন পাঠান শরৎ। তিনি জানান, ফারুকের মরদেহ মঙ্গলবার ভোরের ফ্লাইটে দেশে আনা হবে।
দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে অভিনয় করেন বহু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রে। ‘মিয়াভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবে খ্যাতি পান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন এই নন্দিত চিত্রনায়ক। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।