চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এর স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে সরাইল প্রেসক্লাবে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১০ মার্চ শুক্রবার বাদ আছর সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন সরাইল প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল করিম, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিপন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ সামসুল আরেফিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক দীপক কুমার দেবনাথ, উপজেলা ঠিকাদার সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেলু, সরাইল উপজেলা উদীচী শিল্পি গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক সুমন পারভেজ, ন্যাপ নেতা আব্দুল জব্বার প্রমুখ।আলোচনা সভা শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খান।
সভায় সাংবাদিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে সরাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করার পাশাপাশি শোক সন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। সাংবাদিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে সরাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়।
এদিকে প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাস্টারের অসুস্থতায় দোয়া করাসহ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকদের সার্বিক মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
সভা শেষে উপস্থিত সকল সাংবাদিকবৃন্দ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাস্টারের বাসায় তাঁকে দেখতে যান ও সার্বিক খোঁজ খবর নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপিদের তথ্য চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ঋণ খেলাপিকে অবৈধ ঘোষণা করতেই অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক হতে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।
এজন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।
এই অবস্থায় নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার ও শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আবদুল হাকিম মোতাঈদের ছেলে সুবেল মোতাঈদ (২৫), একই ইউনিয়নের মোঃ আবু ছিদ্দিকের ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (২৪), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহপুর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া ও একই উপজেলার বেঙ্গাডোবা গ্রামের অহিদুল্লাহর ছেলে মোঃ আনু মিয়া।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন জানান, শনিবার রাতে উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকা ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মিজান মিয়া আনু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের জলিল শাহ’র মাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী সুবেল মোতাঈদ ও রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত হুমায়ূন মিয়া (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিহত হুমায়ূন মিয়া সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি গ্রামের ভোলা সরদারের বাড়ির মরহুম লাল মিয়ার ছেলে। আজ ৩ মার্চ রবিবার দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে নিহত হুমায়ূন মিয়ার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ভোলা সরদারের বাড়ির হুমায়ূন মিয়া ও একই এলাকার এজামতের বাড়ির মিজান মিয়ার মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ধদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। দুইপক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গত ১ ফেব্রুয়ারি গ্রামে সালিশ বসে। সালিশের মধ্যেই দুইপক্ষ বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে সালিশসভা পন্ড হয়।
এ ঘটনার জেরে ২ ফেব্রুয়ারি এজামতের বাড়ির মিজান মিয়া ও তার অনুসারীরা হুমায়ূন মিয়ার জমিতে সীমানা পিলার বসায়। এ নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের প্রথমে মধ্যে হাতাহাতি ও পরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে ভোলা সরদারের বাড়ির হুমায়ূন মিয়া মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে হুমায়ূন মিয়া মারা যায়।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চত্বরে নিহত হুমায়ূন মিয়ার ছোট ভাই আনোয়ার মিয়া বলেন, মিজান মিয়া ও তার অনুসারীরা আমার ভাই হুমায়ূন মিয়াকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমি আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে তাদের ফাঁসির দাবি করি।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আগে একটি মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ইঁদুর মারার ট্যাবলেট খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাকিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হচ্ছে- উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাকিয়া এলাকার ইলিয়াস মিয়ার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৪) ও একই এলাকার কাশেম মিয়ার মেয়ে জান্নাত (৪)। তারা সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো বোন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, দুপুরে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাকিয়া এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে দুই শিশু খেলা করছিল। খেলার কোনো এক ফাঁকে ঘরের পাশে ইঁদুরের গর্তে ইঁদুর মারার জন্য রাখা সাদা ট্যাবলেট চকলেট মনে করে খেয়ে ফেলে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। পরে স্বজনেরা তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক শিশুর মৃত্যু হয়। অপর শিশুকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত হয়।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তরুণ-তরুণীদের মতো ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়েছেন প্রবীণ ভোটাররাও। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে খুশি তারা।
আজ ৮ মে বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নাতির কোলে করে আসেন ৯০ বছর বয়সী কাশেম মিয়া। নাতির কোল থেকে নেমে দাঁড়ানোটাই অসাধ্য কিন্তু ভোট দেওয়ার ইচ্ছে ধরে রাখতে পারেননি এই বৃদ্ধ। কথা হলে কাশেম মিয়া বলেন, ‘ভোট দিতাম আইসি।’
এ ছাড়া যেন আর কোনো কথাই মুখে ফুটছে না। এ সময় নাতি ইদ্রিস বলেন, সকাল থেকেই ভোট দিতে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছেন। বয়স হয়ে গেছে, তারপরও ভোট দিতে এসেছেন। দাদাকে কোলে নিয়ে ভোট দেওয়াটা হয়ত একদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ৭০ বছরের ওসমান গণি বলেন, ছেলের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে এসেছি। এই বয়সে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে কষ্ট হত। কিন্তু তা হয়নি বলে বেশ ভালোভাবেই ভোট দিতে পেরেছি। ভোট দিয়ে ভালো লাগছে।
এদিকে বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার বাড়িউড়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ইবতেদায়ি মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর কথা হয় প্রবীণ নাগরিক রহিমার সঙ্গে। প্রায় ৯০ বছরের এই নাগরিক ভোট দিতে এসেছেন ছেলের স্ত্রী সাকেরা বেগমের হাত ধরে।
রহিমা বেগম বাড়িউড়া গ্রামের মৃত জারু মিয়ার স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভোট দিতে আইসি। কবে মরে যাই কইতে পারি না।’
অন্যান্য ভোটকেন্দ্রগুলোতেও প্রবীণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে প্রতিটি কেন্দ্রেই বয়স্ক ভোটারদের লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। তারা সরাসরি ভোট দিয়েছেন।
সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মোমিনুর রহমান বলেন, নাতির কোলে করে আসা বৃদ্ধ কাশেম মিয়াকে আমি নিজে ভোট দিতে সাহায্য করেছি। তাছাড়া পুলিং অফিসারদের বলা ছিল এ সমস্ত ভোটারদের যেন আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বাড়িউড়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রিসাইডিং অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রবীণ ভোটাররা যে কষ্ট করে ভোট দিতে আসেন এটাই সৌভাগ্য। ভোট দিতে এসে তারা যেন হেনস্তা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি।