চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির মানববন্ধনের নামে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগ শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আজ ১১ মার্চ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগ তাদের শান্তি সমাবেশ করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
অপর দিকে, সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সামান্য দূরে রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পন্য সামগ্রী, কৃষি উপকরণ, শিক্ষা উপকরণসহ সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন করে জেলা বিএনপি।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
এদিকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে শহরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সমাবেশের আগে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির মানববন্ধনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা প্রদান করে। পরে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের পাদদেশে শান্তি সমাবেশ করে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, বিএনপি মানববন্ধনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পায়তারা করছে। এই মানববন্ধনে যারা এসেছেন তারা চিহ্নিত অপরাধী। তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
অপর দিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পন্য সামগ্রী, কৃষি উপকরণ, শিক্ষা উপকরণসহ সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে আমরা মানববন্ধন করেছি। এটা আমাদের পূর্ব নির্ধারিত ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ছিলো।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশের যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিলো। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দায়িত্ব বণ্টন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। আসনটি থেকে টানা চারবার নির্বাচিত হয়েছেন যুদ্ধাহত এ বীর মুক্তিযোদ্ধা। আগের মন্ত্রিসভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কোনো মন্ত্রী ছিলেন না।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামে। তার বাবা মো. আবদুর রউফ চৌধুরী ও মাতা মোসাম্মৎ হালিমা খাতুন চৌধুরী।
ঢাকা মাদরাসা-ই-আলিয়া থেকে ফাজিল পাস করে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা অবস্থায় ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
১৯৭০ সালে উবায়দুল মোক্তাদির ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তান বাহিনীর গুলিতে তার একটি পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে ১৯৭৩-৭৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন হলে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন উবায়দুল। ১৯৭৫ সালের কালরাত্রিতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলের নেতৃত্বদান ও ৪ নভেম্বর ঢাকার রাজপথে প্রথম প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম সংগঠক হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন তিনি।
১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ছিলেন। পরবর্তীতে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন।
২০১০ সালের ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু মৃত্যুবরণ করলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, দশম জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং একাদশ জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এখনও অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। তারা নির্বাচনে এলে তফসিল পুনর্বিবেচনারও সুযোগ রয়েছে। অবশ্য, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, সেটি তাদের ব্যাপার। তবে নির্বাচনে ভোটার কিংবা প্রার্থীদের কেউ বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।’
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার ও বান্দরবন জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা শুরু হয় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে। টানা তিন ঘণ্টা পর বৈঠকটি শেষ হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বৈঠকে একটি সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য এই বৈঠক। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনারের পক্ষে নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শুনে কিছু বিষয়ে তাৎক্ষণিক জরুরি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয় বিষয় নোট নেওয়া হয়েছে। কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোনও আসনকে হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক আসনই গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি খারাপ হতে সময় লাগে না। তাই ব্যাপক প্রস্তুতি রাখা হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে কাজ করে যাবে। নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য করতে যা যা করা প্রয়োজন, কমিশন তা করবে। সেই উদ্দেশে আমরা চার নির্বাচন কমিশনার সারাদেশে সরেজমিন যাচ্ছি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার এসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল সার্ভিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এসসাড) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) এর সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে “ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি এবং করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোঃ আবুল বসার মোল্লার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আঃ কাইয়ুম।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ একেএম শিবলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়া, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজিদুল ইসলাম, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন নাহার, নাওঘাট মাদরাসার সুপার মোঃ আবুদর রউফ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেরুন্নেছা মুনিয়া, শাহ আলম পালোয়ান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আঃ কাইয়ূম বলেন, এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় সংকট বিজ্ঞানে পড়াশোনার পর যোগ্য সম্মানের। দেখা যায় যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয় অথবা গবেষণা করে তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদান করা হয়না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের চাকুরি করতে হয়। দেশে সুযোগ সুবিধাও নেই পর্যাপ্ত। হয়তো তাদের বিদেশ পাড়ি দিতে হয়, অথবা প্রশাসনের দিকে ঝুঁকতে হয়। তাই দরকার গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো এবং বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করা যায় এমন প্রকল্প হাতে নেয়া। এই জায়গা থেকে এসসাডের কার্যক্রম সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহগীর আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রহুল আমিন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
টুর্ণামেন্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ ৯টি উপজেলার মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করছে।
উদ্বোধনী খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা টাইব্রেকারে ১ গোলে নবীনগর উপজেলাকে হারিয়ে জয় লাভ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
“অলিম্পিক খেলায় জয় লাভই বড় কথা নয়, অংশ গ্রহণই বড় কথা” এই স্মরণীয় বাক্যকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার দিনব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬২তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ নিজস্ব মাঠে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান ভূঞার সভাপতিত্বে ও স্বাগত বক্তব্যে আয়োজিত ক্রীড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোসাইন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জুলফিকার হোসেন, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, গভর্ণমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ, সাবেরার সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামান, সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, সাংবাদিক মোঃ নুরুল আরাফাত মুগ্নি, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোরায়রাহ। ছাত্রীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি মাহমুদা আক্তার জাতীয় পতাকা এবং বিশেষ অতিথি ইকবাল হোসাইন ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করেন। ক্রীড়াবিদ, যুব রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড, হলদে পাখি ও গার্ল ইন স্কাউট সদস্যাদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ-মাঠ পরিভ্রমণের পর প্রধান অতিথি শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ক্রীড়াবিদগণ শপথ গ্রহণ ও অলিম্পিক মশাল নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীরা মনোজ্ঞ শরীর চর্চা এবং নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, খেলাধুলা শরীর ও মনকে উজ্জীবিত করে। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে পরিচিতি ঘটে। তিনি আরও বলেন, খেলার পাশাপাশি পড়ালেখাও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে যথাযথভাবে তোমাদের নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পর্যাপ্ত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকেও সরকার প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে নিজ যোগ্যতাবলে এগিয়ে যেতে হবে এবং সুন্দর দেশ গড়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও সিনিয়র শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সার্বিক পরিচালনায় মোট ৩৬টি আইটেমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার ২১ শত প্রতিযোগী অংশ নেন। বিগত ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী শিক্ষায় ধারাবাহিক অবদান রেখে চলেছে। অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।