চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ শনিবার বেলা ১১টায় শহরের রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক সরকার নয়। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর রাতের আঁধারে আইন-শৃংখলা বাহিনী এবং আওয়ামীলীগের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভর্তি ক্ষমতায় এসেছিল।
বর্তমানে মানুষ ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়না। কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, তা পৃথিবীর গণতন্ত্রের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা উকিল আবদুস সাত্তার ভ‚ইয়াকে আওয়ামীলীগের লোকেরা পাহারা দিয়ে উপ-নির্বাচনে জয়লাভ করিয়েছে।
তিনি বলেন, আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে। শেখ মুজিবুর রহমান তখন ক্ষমতায়, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইঞ্জিনিয়ার রশিদ সাহেব বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন এবং খন্দকার মোশতাক বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। সেদিন হেলিকপ্টারে ব্যালট বাক্স ঢাকায় নিয়ে মোশতাককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। যিনি পরবর্তীতে শেখ মুজিবের লাশ সিড়িতে ফেলে রেখে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ থেকে লুন্ঠন করে ১৪ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তারা কানাডায় বেগম পাড়া গড়েছেন। তিনি বলেন, কানাডা সরকার আইন করেছে বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়ে যেন কেউ আর বাড়িঘর না করতে পারে। এর চেয়ে আর লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে শপথ নিয়ে আমরা সংসদে যাবো।
আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর সেনপাড়ার বাসায় রংপুর বিভাগের এমপি প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, তাই এ মুহূর্তে শপথ না নিয়ে পিছু হবো না। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আমরা সংসদে যাবো।’
তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘এ নির্বাচন সরকার যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে, সেখানে সুষ্ঠু করেছে। আর যেখানে চেয়েছে তাদের লোকজনকে জেতাতে, সেখানে জোর করে সিল মেরে আমাদের লোকজনকে হারিয়ে দিয়েছে।’
‘রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির হেরে যাওয়া প্রার্থীদের অনেকেই হতাশায় ভুগছিলেন’ জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এজন্য সবার সঙ্গে বসে সমস্যা শুনলাম এবং লিখিত স্টেটমেন্ট নিলাম। এ তথ্যগুলো পরবর্তী ফলোআপে কাজে লাগবে আমাদের।
এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির আয়োজনে “ফার্মেসীতে মানসম্পন্ন ঔষধ বিক্রয় নিশ্চিত করতে ও নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় প্রতিরোধে এক আলোচনা সভা আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সভাপতি আহাম্মদ হুসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউছারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, ঔষধ প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শাহজালাল ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহরুল ইসলাম মোল্লা।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আপনারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করবেন।স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রেখে মানুষকে না ঠকিয়ে ব্যবসা করবেন। ঔষধ নিয়ে কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় না করতে ফার্মেসীর মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, মানুষ তার জীবন রক্ষা করার জন্য ঔষুধ সেবন করে, তাই জীবন রক্ষাকারী ঔষধ বিক্রিতে আপনারা কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি ঔষধ ব্যবসায়ীদের ন্যায় সঙ্গত দাবির প্রতি সব সময় পাশে থাকার ঘোষনা দেন।
আলোচনা সভায় জেলার ৯টি উপজেলা থেকে প্রায় চারশতাধিক ফার্মেসীর মালিক যোগদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আত্মহত্যা করতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে হাত হারিয়েছেন শেফালী বেগম (৩৫) নামের এক নারী।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে পৌরশহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শেফালী বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগৎসার গ্রামের সালাউদ্দিনের স্ত্রী।
শেফালী বেগমের স্বামী সালাউদ্দিন বলেন, আমাদের সংসারে দুটি সন্তান আছে। সুখে-শান্তিতে আমাদের সংসার চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি শেফালী মানসিকভাবে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন। শুধু আত্মহত্যার কথা বলতেন। কী কারণ ছিল তা বলেননি। সকালে বাজারে ওষুধ আনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তাকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুরে জানতে পারি আমার স্ত্রী ট্রেনে কাটা পড়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ বক্সে দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্টেবল ইমন বলেন, ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাতেম আলী ভূঁইয়া বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী ট্রেনে ওই নারী কাটা পড়েন। পরে দমকল বাহিনীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার মাথায় আঘাত লেগেছে এবং ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, ওই নারীকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে আকস্মিক আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যার পর তিনি প্রেসক্লাবে পৌঁছে আড্ডায় মেতে উঠেন।
তাকে স্বাগত জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, কালো টাকার আধিপত্য আগেও ছিলো এখনো আছে। ভবিষ্যতে সমাজ যতো উন্নত হবে কালো টাকার দাপট কমে যাবে।
তিনি আরো বলেন, মানুষ তাকেই তাদের প্রতিনিধি বানাবে যাদের সমাজের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা আছে। সেটা অবকাঠামোগতও হতে পাওে, বুদ্ধিভিত্তিকও হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জনগণের সহায়তায় আগামী দিনে নির্বাচিত হয়ে একবছরের মধ্যে সাংবাদিকদের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওবিজ্ঞ পিপি অ্যাড. মাহাবুল আলম খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. মহসিন, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনাড়ম্বর আয়োজনে ৩ ফুট উচ্চতার যুবকের সঙ্গে আড়াই ফুট উচ্চতার তরুণীর বিয়ে দিয়েছে দুই পরিবার।
১০ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়ন উলচাপাড়া গ্রামের মন মিয়ার ছেলে মো. ফরহাদ মিয়ার সঙ্গ বিয়ে হয় পূর্ব তালশহর ইউনিয়ন পুথাই গ্রামের আলী আকবর এর মেয়ে মোছা. আরিফা আক্তারের। দুজনেরই শারীরিক উচ্চতা অস্বাভাবিক।
বরের মামা জুয়েল মিয়া বলেন, ফরহাদের বয়স ২৭ বছর। কিন্তু তার উচ্চতা মাত্র তিন ফুট। বিয়ের বয়স হওয়ার পর থেকে কনে খুঁজছিলাম। দীর্ঘদিন কনে খুঁজে না পেয়ে, অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পুথাই গ্রামে একটি মেয়ে খুঁজে পাই। মেয়েটির উচ্চতা আড়াই ফুট। আমরা দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে তাদের বিয়ের আয়োজন করি। বিয়েতে ৪০ বরযাত্রী গিয়েছি। দেড় লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়।
বরের প্রতিবেশী শেখ তারেক আহমেদ বলেন, বর ফরহাদের জন্ম দরিদ্র পরিবারে। সে রুপার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তার উচ্চতা তিন ফুট হলেও তাকে পরিবারের সদস্যসহ গ্রামবাসী খুব আদর করেন। পরিবারের সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় তার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কনের উচ্চতাও আড়াই ফুট। বিয়ের পর বর-কনেকে দেখতে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন ভিড় করছেন। তাদের বিয়ের আয়োজনে আমরা খুব খুশি।
বর মো. ফরহাদ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দু’জনের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে। বিয়ে করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। দেশবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই। আমরা যেন সুন্দরভাবে সংসার করতে পারি।