চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) এমপি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মেগা প্রজেক্টে ঋণ দিয়ে এখন বেকায়দায় পড়েছে। সরকারের সিন্দুকে এখন ডলার সংকট। ডলার নিয়ে আইএমএফ ও সরকারের তথ্যের মিল নেই। দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের মতো হতে যাচ্ছে। তাই সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন টাকা ছাপাচ্ছে।’
আজ ১১ মার্চ শনিবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, ‘১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। এর অন্যতম লক্ষ্য ছিল বৈষম্য দূর করা। আওয়ামী লীগসহ অন্য কয়েকটি দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। মুখে মুখে কেউ কেউ গণতন্ত্রের মানস কন্যা, মানসপুত্র বললেও পৃথিবীর কোনো দেশে এখন আর বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের দেশ বলে না।’
তিনি বলেন, ‘এখন সত্য কথাও বলতে পারি না। দেশদ্রোহী মামলা হবে, ফাঁসিতে ঝুলাবে। মানুষ এখন দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে। সরকারের মদদে কেউ কেউ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করছে। দেশকে দেউলিয়া করে ফেলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। আজকের মূল্য কাল, তাও ঠিক থাকে না। আমরা দাবি তুলেছিলাম দরিদ্র মানুষকে রেশন কার্ড দিতে। কিন্তু সরকার তা করেনি।’
ডলারের প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ছে, টাকার দাম কমে যাচ্ছে। তাই জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে। এখানে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচার বিভাগ, দুদক, মানবাধিকার কমিশন সব সরকারের নিয়ন্ত্রণে।’
আগামী নিবাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টি থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সরকারকে একটি ফর্মুলা দেব, কিন্তু তা হয়তো তারা (সরকার) গ্রহণ করবে না, কারণ সরকার এখন গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছে।’
দলের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম ফয়সল চিশতী, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল কবির মোহন, হুমায়ুন কবির মুন্সী, আলমগীর কবির মজুমদার, অধ্যাপক ড. গোলাম মোস্তফা, আবুল কাশেম, জাপা নেতা নাজমুল হক সেলিম, জোসনা বেগম, সোহেল রানা, জোনাকী মুন্সী, জসিম উদ্দিন মাস্টার, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। পরে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি, হুমাযূন কবির মুন্সী সিনিয়র সহসভাপতি ও ওবায়দুল কবির মোহনকে সাধারণ সম্পাদক করে দলের দক্ষিণ জেলার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে টানা তৃতীয় বার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যাপক প্রচারণা ও ভোটারদের উদ্বুদ্ধকরণে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক প্রচার ও প্রকাশনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৪৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুলকে আর সদস্য সচিব করা হয়েছে পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খানকে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- এই কমিটি নির্বাচনী আচরণ-বিধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উপজেলায় নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়ন থেকে ৫ জন করে এবং ধরখার ইউনিয়ন থেকে ৬ জন আর উপজেলা জেলা থেকে ১৫ জন এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
নির্বাচনের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সদস্যরা হলো। আবু কাউছার ভূঁইয়া, মোহাম্মদ মনির হোসেন, মোহাম্মদ জুয়েল খান, খাইরুল বাশার রিপু, জুয়েল রানা, মোঃ সিরাজুল ইসলাম ইমরান, এবিএম সাইদ হোসেন লিটন, জাহিদ হাসান, সাইফুল ইসলাম খাদেম (রুবেল), মোঃ হান্নান মিয়া, মোঃ রানা শরীফ, রুবেল আহমেদ, রাজেশ সাহা, মোঃ মোতাহার হোসেন, জয়ন্ত দাস, মোঃ সাদেকুল ইসলাম, মোঃ শওকত চৌধুরী, হাসান মাহমুদ পারভেজ, ইকবাল হোসেন, মোঃ মশিউর রহমান, হানিফ রানা, আতিক ভূঁইয়া, মোঃ তোফাজ্জল আলী উজ্জ্বল, কাজী শাহ আলম, বিএম ফরহাদ, মোঃ আনিছুর রহমান, মোঃ রাসেল মিয়া, শরিফুল ইসলাম জনি,রুকন উদ্দিন, মোঃ মুছা মিয়া, মোঃ মোজাম্মেল খান, মোঃ জাবের ভূঁইয়া, আব্দুল আজিজ, ইকবাল হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম সবুজ, হাফেজ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আল-আমীন ভূঁইয়া, শেখ ইয়াকুব রহমান খোকন, মোঃ লোকমান হোসেন, মোঃ ইয়াছিন খান (টুক্কু) ও ইকবাল হোসেন।
উপজেলা প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সদস্য সচিব ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির খান বলেন, প্রচারনায় সকলকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দসহ উপজেলার সকল কেন্দ্র কমিটির লোকজন। আমরা মাইকিং পোষ্টারিং হেনবিল বিতরণ ঠিকঠাক মত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি দেখবাল করবো।
প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের এই কমিটি। আমাদের দায়িত্ব এই উপজেলায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনের প্রচার ও প্রচারনাকে বেগবান করা।
অনলাইন ডেস্ক :
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে দলটি। গতকাল সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। দ্বিতীয় দিন আজ ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়েছে। এ থেকে মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
তিনি জানান, ঢাকা বিভাগ থেকে ১৬৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭৮টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২২টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৩৬ টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৬৮টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৬০টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৪৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
এর আগে প্রথম দিন মোট ৮১০টি ফরম বিক্রি করেছিল ক্ষমতাসীন দলটি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২৬টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৫৬টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৭৭টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৯০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে নতুন করে কোনো আবেদনও আসেনি।
আজ রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, যতটুকু আমি জানি আজকে কিছুক্ষণ আগ থেকে, খালেদা জিয়ার হার্টে পেসমেকার লাগানের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কিডনির বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কথা আসেনি, আমি সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেব না।
প্রধানমন্ত্রী মানবিকভাবে দেখেছেন বলেই খালেদা জিয়া বাসায় থেকে ওনার ইচ্ছেমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাজা স্থগিত রেখে ওনার মুক্তির নির্বাহী আদেশটি একটা আইনের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে। সেই আইনে তাকে এখন বিদেশে যেতে দেয়া যায় না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্যে গত ৩ দিনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ৪৯ জন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে। এই আসনের জন্যে সর্বোচ্চ ১৩ জন দলের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক গত একবছর ধরে আলোচনায় এই আসন। একাদশ সংসদের মেয়াদকালে ৩ বার নির্বাচন হয়েছে এখানে। এরমধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এবং ৫ই নভেম্বর দুটি উপনির্বাচন হয়। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সংসদ থেকে তার পদত্যাগে শূন্য হয় এই আসন। সেখানে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনি স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। গত ৩০শে সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুর পর আবার ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় উপনির্বাচন।
ছয়টি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশিরা হলেন :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে দলের মনোনয়নের জন্যে ফরম নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এমএ করিম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম আলমগীর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা নাজির মিয়া ও তার স্ত্রী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মোছাম্মৎ রোমা আক্তার, ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. ইখতেশামুল কামাল, প্রভাষক ইমরান হাই জাবেদ, কৃষক লীগ নেতা আদেশ চন্দ্র দেব, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ নেতা এডভোকেট রাকেশ চন্দ্র সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের জন্যে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন সদ্য উপনির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, নারী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মাইনুদ্দিন মঈন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল হান্নান রতন, কামরুজ্জামান আনসারী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডাক্তার আশীষ কুমার চক্রবর্তী, সরাইল আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট নাজমুল হোসেন, আশুগঞ্জ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী ছফিউল্লাহ মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, সরাইল যুবলীগ নেতা এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু, জাপান যুবলীগ নেতা আবু শামীম পিয়ার পলাশ, সরাইল ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. জালাল মিয়া।
এ ছাড়া এই আসনে তৃণমূল বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়েছেন প্রয়াত আলোচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল ইসলাম তুষার। এর আগে পিতার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে তুষার আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের জন্যে মনোনয়ন চেয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সুইডেন প্রবাসী জহিরুল হক চৌধুরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আনিসুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আলহাজ্ব মো. শাহআলম, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এ কেএম বদিউল আলম জামাল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি, জেলা যুবলীগ নেতা তসলিমুর রেজা, কসবা যুবলীগের সাবেক নেতা হাজী মো. লুৎফুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল, সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অধ্যাপক নূরুন্নাহার বেগম, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. আলামিনুল হক। এই আসনে জাসদের মনোনয়নপ্রার্থী এডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন অব. এ বি তাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলাম আবুল ও এডভোকেট দিদার হোসেন রেজভী, বাঞ্ছারামপুর আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ আহমেদ বাবু, এডভোকেট হাবিবুর রহমান বাদল ও মো. গোলাম মোস্তফা কামাল, ঢাকা বাড্ডা আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান ধীরন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডাক্তার এ কে মাহবুবুল হক দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শ্রমিক দলের আয়োজনে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ অক্টোবর শনিবার বিকেলে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চে জেলা রিক্সা ভ্যান শ্রমিক দলের সভাপতি মো: দারু মিয়ার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক জননেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক খোকন। বিশেষ বক্তা ছিলেন শ্রমিক দলের সভাপতি হেবজুল বারী ও জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: বাহার চৌধুরী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, শ্রমিকদের অধিকার এবং লাইসেন্স নিয়ে বিগত সরকারের আমলে যে অপকর্ম হয়েছে, যে বঞ্চনার ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে, তা আর হতে দেওয়া হবে না। আমরা এই অন্যায় থেকে এই সেক্টরকে মুক্ত করবো। প্রত্যেক রিক্সা চালক লাইসেন্স পাবেন। কোন সিন্ডিকেট থাকবে না। তিনি আরো বলেন, অবৈধ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। তারা বারবার অবৈধ নির্বাচন করে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এজন্য তাদের পরিণতি ভয়াবহ হয়েছে। আমরা বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো এই অবস্থা চাই না। যে কাজ করে আওয়ামী লীগ বিদায় হয়েছে, আমরা বিএনপি সেই কাজ করবো না। রিকসার লাইসেন্স রিক্সাওয়ালারাই পাবে, এটা আমরা নিশ্চিত করবো। গরীব মানুষদের জন্য আমরা কাজ করবো। উল্লেখ্য, দুপুর থেকেই মিছিল সহকারে শ্রমিক দলের বিভিন্ন সেক্টরের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুনে সজ্জিত হয়ে মিছিল সহকারে জনসভায় যোগদান করেন। জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা রিক্সা ভ্যান শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মিয়া।