চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে এক ইউপি চেয়ারম্যান তার ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তাসহ বাহিনীর ১০-১২ জন সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
পানিশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে আজ ১২ মার্চ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ তারিখ ধার্য করেন বিচারক এশারমিন নিগার।
নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে দায়ের করা মামলায় সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেহাবুর রহমান, উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ও পঙ্কজ দাশ, সহকারী পরিদর্শক দিলীপ কুমার নাথ এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগের এক উপপরিদর্শককে আসামি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মামলা আরজিতে দাবি করেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নের সীতাহরণ গ্রামে দুইপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে তিনি বিষয়টি সরাইলের ওসিকে জানান। পরে সরাইল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই একাধিক পিকআপে এবং ৫-৭টি মোটর সাইকেল সরাইল থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থল সীতাহরণ বাজারে গিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এ সময় তারা স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজকে মারধর শুরু করে।
তিনি নিজেকে ইউপি চেয়ারম্যান পরিচয় দেয়ার পরও সালিশ মীমাংসা করতে না পারার অভিযোগ তুলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পিকআপ ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি দাবি করেন, পুলিশের ভয়ে ঘটনার দিন তিনি হাসপাতালে না গিয়ে বাসায় চিকিৎসা নেন। ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি পুলিশ সুপার বরারব লিখিত অভিযোগ করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের অনুরোধ জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসেন আদালতে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিছুদিন আগে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছিল। তবে তাকে শারীরিক নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ কামরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানার পুলিশ।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বছিউড়া গ্রামের ঈদগাহ ময়দানের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ ফারুক হোসেন ও এএসআই (নিরস্ত্র) রুবেল আখন এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসময় তাঁর হেফাজতে রাখা ১০ কেজি গাঁজা উপস্থিত সাক্ষীগণের সামনে জব্দ করেন। গ্রেফতারকৃত কামরুল ইসলাম (মনিরুল) ঝিনাইদহ জেলার কালি চরণপুর উপজেলার বয়ড়া তলা এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে।
সরাইল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রফিকুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের ব্যনারে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা চত্বরে প্রবেশের প্রধান সড়কে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন হয়।
সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, সরাইল এর হিসাবরক্ষক মোঃ আবুল হাসেম ভূঁইয়া এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, জমিয়তুল মোদাররেছিন বাংলাদেশ এর সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি ও সরাইল রাহমাতুল্লিল আলামিন দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ আবু আক্কাছ হায়দার, অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ নাছির উদ্দিন, সামসুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন আর রশিদ ও শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ ফরাস উদ্দিন।
মানববন্ধন শেষে মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেজবা উল আলম ভূঁইয়া এর নিকট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: মাসুদুর রহমানসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, এলাকার সুধীজন, অভিভাবক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবি’র চোরাচালান বিরোধী অভিযানে কোটি কোটি টাকা মূল্যের উন্নতমানের বিভিন্ন অবৈধ ভারতীয় মালামাল আটক করেছে বিজিবি।
২৫ বিজিবি এর অধীনস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের একটি বিশেষ টহল দল, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স টিম এই অভিযানে অংশ নেন।
আজ ৭ আগস্ট বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে গত ৪ আগস্ট ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় ঢাকাগামী বালু বোঝাই ট্রাকে অভিযান পরিচালনা করে অভিনব উপায়ে বালু বোঝাইকৃত ট্রাকের অন্তরালে আচ্ছাদিত অবস্থায় কোটি কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের সানগ্লাস এবং চশমা আটক করে। যার মূল্য ৯ কোটি ২০ বিশ লক্ষ ৬৮ হাজার একশত টাকা। এছাড়াও গত ১ আগস্ট ২ কোটি ২৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০ টাকা মূল্যের ভারতীয় কসমেটিকস, চকলেট ও চিনি এবং ৩০ জুলাই ২০২৪ তারিখে ৩ জন আসামীসহ ভারতীয় চিনি ১৪ হাজার কেজি এবং ১টি কাভার্ড ভ্যান, যার মূল্য ৭২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সরাইল ব্যাটালিয়ন কর্তৃক আটক করতে সক্ষম হয়।
সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, বিজিওএম, পিএসসি, সিগন্যালস জানান, দেশে চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সময় রাষ্ট্রীয় সম্পদ, স্থাপনা এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সার্বক্ষণিক সচল রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যগণ কর্তৃক দিবারাত্র টহল কার্যক্রম পরিচালনাকালে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সহযোগিতায় এ বিপুল পরিমাণ চোরাচালানী মালামাল আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরো বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা কতৃর্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় অগ্নি সংযোগের কারণে আটককৃত চোরাচালানী মালামাল বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরাইল উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা শপথ নিয়েছেন।
আজ ২৮ মে মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা শপথ নেন।
চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ করান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানরা শপথ পাঠ করেন। সরাইল উপজেলা পরিষদ নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শের আলম মিয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. হানিফ আহমেদ, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোছা, রোকেয়া বেগম।
উল্লেখ্য, ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ প্রথম ধাপে সরাইল উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল বিশ্বরোডে মোড়ে নিত্যদিনের যানযট মুক্ত করতে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ ইট দিয়ে ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী করেছে খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ। এতে নিত্যদিনের অল্প সময়ের জন্য যানযটও অনেকাংশে নিরসন হয়েছে।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে অংশে বড় বড় গর্তে ইটের ভাঙ্গা সুরকি ও ইট দিয়ে ভরাট কাজ শুরু করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মারগুব তৌহিদ, এস আই মোঃ সারোয়োর হোসেন, সার্জেন্ট সুজা ইসলাম, এএসআই মো: শাহিন মিয়া, এটিএসআই মৃণাল কান্তি দেব প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ের ওপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন যাতায়াত করে। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর জেলায় নির্মাণাধীন ফোরলেন মহাসড়কের প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সড়কে খানাখন্দে ভরপুরে কুমিল্লা-সিলেট ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ। এতে যানবাহন চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মারগুব তৌহিদ বলেন, নির্মাণাধীন ফোরলেন মহাসড়কের প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার কারণে বৃষ্টি পানি জমে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে বিশ্বরোড মোড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানযট। আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল জায়গায় যোগাযোগ করে সংস্কারের জন্য বলেছি। রাস্তার সংস্কার কাজ দেরি হচ্ছে বলে হাইওয়ে থানা পুলিশ যানজট নিরসনসহ দুর্ঘটনা রোধে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রুত মহাসড়কে থাকা বিভিন্ন খানাখন্দ ও গর্তগুলো সংস্কারে উদ্যোগ নিয়ে যাত্রাপথকে আরও নিরাপদ করবে।