চলারপথে ডেস্ক :
মুন্সিগঞ্জের একটি অনুষ্ঠানে স্টেজ পারফর্ম করছিলেন অপু বিশ্বাস ও নিরব। নাচ চলাকালীন অপু বিশ্বাসকে কোলে ওঠাতে গিয়ে পড়ে যান নায়ক নিরব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে ট্রোলও করছেন। গত ১১ মার্চ মুন্সিগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে গিয়ে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তারা। যদিও পরিস্থিতি সামলে নাচ চালিয়ে যান অপু-নিরব।
কী কারণে পড়ে গিয়েছিলেন অপু-নিরব? এ প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন নায়ক নিরব। এ অভিনেতা বলেন, ‘‘মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার একটি রিসোর্টে এ আয়োজন ছিল। সেখানে আমরা ‘হৃদয়ের আয়না’, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’, ‘বিয়াইন সাব’সহ চারটি গানে পারফর্ম করি। এর মধ্যে শেষ গান ছিল ‘বিয়াইন সাব’। এ গানে পারফর্ম করার প্রায় শেষ মুহূর্তে হঠাৎ আমার কোল থেকে অপু পিছলে পড়ে যায়। যদিও আমরা কেউ ব্যথা পাইনি। ৫-৬ সেকেন্ড পরই স্বাভাবিকভাবে উঠে দাঁড়িয়ে আবার নেচেছি। এমনকী আবারো অপুকে কোলে নিয়েই নেচেছি।’’
কারণ উল্লেখ করে নিরব বলেন, ‘পড়ে যাওয়ার মূল কারণটা অনেকে জানেন না। সাধারণত একটি অনুষ্ঠানে যে রকম স্টেজ করা হয়, ওই স্টেজটি সে রকম ছিল না। আমরা টাইলসের ওপর নেচেছি। টাইলসে পা পিছলে যাচ্ছিল। আমরা কেউই টাইলসে নেচে অভ্যস্ত নই। যে কারণে বারবার জুতা পিছলে যাচ্ছিল। কার্পেট বা অন্য কিছু হলে এই ধরনের সমস্যা হতো না। জায়গাটা ছিল সংকীর্ণ, অপুর পোশাক ছিল পাতলা পলিয়েস্টার কাপড়ের। সেটাও কিছুটা পিচ্ছিল থাকায় কোলে নিয়ে নাচতে গিয়ে পড়ে যায়। এর বাইরে অন্য কোনো কারণ নেই।’
নিরব-অপু সর্বশেষ ‘ছায়া বৃক্ষ’ নামের সিনেমায় অভিনয় করেন। বন্ধন বিশ্বাস পরিচালিত এই সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা নাটকের নতুন মুখ অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী উর্বী। ২৭ ডিসেম্বর সালমান আহমেদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। বিয়ের ১৩ দিন পর এই অভিনেত্রী হানিমুনে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে প্রিয়ন্তী উর্বী বলেন, ‘সংসার টুকিটাকি কাজ করতে করতে সময় যে কোন দিক দিয়ে যাচ্ছে, তা টেরই পাচ্ছি না। ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হানিমুনে মালয়েশিয়া যাচ্ছি, ফিরবো ১৯ জানুয়ারি। এসেই কাজে ফিরব।’
পৃথিবীর অনেক দেশই ঘোরা হয়েছে এই অভিনেত্রীর। মালয়েশিয়ায় হানিমুনে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সালমান মালয়েশিয়ায় সাড়ে তিন বছর পড়াশোনা করেছেন। হানিমুনে তার স্মৃতির জায়গাগুলো ঘুরে দেখা হবে। এ কারণে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত দুজনে নিয়েছি।
বর্তমানে নিয়মিত নাটক ও সিরিজে সাবলীল অভিনয়ে এখন ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ উর্বী। সিনেমায়ও কাজ করেছেন। নির্মাতা সজল এ আজাদের ‘সিটি গোল্ড’ নামে একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এর আগে শেষ করেছেন ‘অনাবৃত’ ও ‘জুন’ সিনেমার কাজ।
এদিকে, বিয়ের আগে ঊর্বী শেষ করেছেন ভালোবাসা দিবসের তিনটি নাটকের কাজ। এর একটির নাম ‘প্রিয় কুন্তল’। অন্য দুইটি নাটকের নাম এখনো চুড়ান্ত হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহতম বন্যায় কবলিত দেশ। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এই মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বানভাসিদের জন্য এগিয়ে এসেছেন দেশের প্রভাবশালী অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলও।
অভিনেতা ডিপজল বরাবরের মতো এবারও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কুমিল্লা ও ফেনীতে ট্রাকে করে তার টিম ত্রাণ বিতরণ করেছে। নৌকায় করে দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে।
ডিপজলের পাঠানো ত্রাণের মধ্যে রয়েছে- বিশুদ্ধ পানি, বিস্কুট, চিড়া, গুড়, স্যালাইন, লাইটার, মোমবাতি, লুঙ্গি, শাড়িসহ প্রয়োজনীয় পণ্য। ডিপজলের এই ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন তার সহকারী ফয়সাল।
তিনি বলেন, ‘ডিপজল সাহেব আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুরো ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার। আমরা তার নির্দেশমতো দিন-রাত পরিশ্রম করে পণ্য প্যাকেট করে ট্রাকে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।’ যতদিন প্রয়োজন ততদিন বন্যার্তদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যেকোনো দুর্যোগে এবং সাধারণ মানুষের সমস্যায় সবসময়ই পাশে দাঁড়ান ডিপজল। প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমার সময় সময় শত শত বাস বিনাভাড়ায় মুসল্লিদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন এই অভিনেতা। এ ছাড়া সারাবছরই চলচ্চিত্রে বেকার শিল্পী ও কলাকুশলীদের নানাভাবে সহযোগিতা করেন তিনি। ফলে চলচ্চিত্রে দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ডিপজল।
এর আগে, ২০২২ সালেও সিলেটের সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার সময় দুর্গত এলাকায় দশ ট্রাক পণ্য পাঠিয়েছিলেন ডিপজল। বরাবরই দেশের দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং অন্যদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এই অভিনেতা।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের বাঁক ঘোরানো তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা ও ফ্যাশন আইকন ছিলেন সালমান শাহ। আজ এই স্বপ্নের নায়ককে হারানোর ২৮ বছর। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সালমান শাহ।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পুলিশের একাধিক তদন্ত শেষে বলা হয়, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে তার পরিবার ও ভক্তরা এই তদন্ত কখনও গ্রহণ করেননি। বরং তাদের দাবি, সালমানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য আজো উদঘাটিত হয়নি।
বলা হয়, সালমান শাহ ছিলেন কালোত্তীর্ণ নায়ক। কোনো কালের মধ্যে তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার ফ্যাশন সচেতনতা, স্টাইলিশ চলাফেরা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য। ভক্তদের চোখে তিনি ছিলেন ‘স্বপ্নের নায়ক’।
১৯৮৫ সালে বিটিভিতে মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে সালমান শাহ’র ক্যারিয়ার শুরু হয়। পরবর্তীতে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনে।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে অমর এই নায়কের। এতে তার নায়িকা ছিলেন মৌসুমী। প্রথম সিনেমাতেই দর্শকদের মন জয় করে নেন সালমান। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন বছরে সালমান শাহ অভিনয় করেছেন ২৭টি সিনেমায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমাই ছিল সুপারহিট। তালিকায় রয়েছে- ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখি’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘জীবন সংসার’, ‘আনন্দ অশ্রু’র মতো সিনেমা।
ক্ষণজন্মা এই নায়কের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। সালমানের নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে সালমানের আসা নানার কারণেই।
সালমানের পারিবারিক নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড় ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। ইমন নামে অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে পাস করেছিলেন তিনি।
সালমান শাহ চলে গেছেন দুই যুগের বেশি সময় হয়ে গেছে। সে সময় থেকেই তাকে অনুকরণ করার চেষ্টা ছিল অনেকের মধ্যেই, যা এখনো চলমান। এ নায়ককে নিয়ে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘পোড়ামন ২’-তে বর্তমান প্রজন্মের নায়ক সিয়াম আহমেদ একটি গান উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের। গানের শিরোনাম ছিল ‘নাম্বার ওয়ান হিরো’। এ ছাড়া সালমান শাহর সাবলীল অভিনয়ের দক্ষতার জন্য আজও বাংলা সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়করা তাকে তাদের আইডল মানতে দ্বিধা করেন না।
ভক্তদের হৃদয়ে এখনও অমর তাদের ‘স্বপ্নের নায়ক’। তার মতো কেউ ছিলেন না, কেউ নেই আর কেউ আসবেনও না। সালমান শাহ বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে দর্শকদের অন্তরে।
অনলাইন ডেস্ক :
অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শক-অনুরাগীদের মুগ্ধ করেছিলেন নার্গিস ফাখরি। সময়ের পালাবদলে বলিউডের সাথে এ অভিনেত্রীর দূরত্ব বেড়েছে। সিনেমার আলোচনা থেকে এখন বহুদূরে এই অভিনেত্রী।
জানা গেছে, বলিউডে দুই দুইবার মন ভাঙার পর সব কিছু গুটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান নার্গিস। প্রথমবার রণবীর কাপুরের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। দ্বিতীয়বার উদয় চোপড়ার সাথে নার্গিসের সাথে প্রেমের আলোচনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয় বলিউডজুড়ে। কোনো সম্পর্কই তাকে শান্তি দেয়নি। এবার গোপনে বিয়ে করে আবারও সংবাদের শিরোনামে এলেন নার্গিস।
নার্গিস ফাখরির বিয়ের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন জাগে-পাত্র কে? জানা গেছে, উদয় চোপড়ার সাথে প্রেম ভাঙার পরই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক টোনি বেগের সাথে মন দেওয়া-নেওয়া শুরু হয় নার্গিস ফাখরির। বছর খানেক সম্পর্কের পর এবার তার সাথেই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন এ অভিনেত্রী।
ঢাকঢোল পিটিয়ে জাঁকজমক পরিবেশে নয়, বরং লস অ্যাঞ্জলসে দুই পরিবারকে সাক্ষী রেখে গোপনে সাধারণ পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেন নার্গিস ফাখরি। এ সময় তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও উপস্থিত ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ‘ওয়েডিং কেক’র ভাইরাল ছবি নিয়ে তার বিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। যেখানে বর-কনের নামের আদ্যাক্ষর লেখা- ‘এনএফ’ এবং ‘টিবি’। সাথে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে ‘শুভ বিবাহ’।
বলিউড সূত্রে জানা যায়, টোনি বেগ যুক্তরাষ্ট্রের একজন সফল উদ্যোক্তা। মূলত তিনি কাশ্মীরি পরিবারের ছেলে। যুক্তরাষ্ট্রেই তার বেড়ে ওঠা। বিগত তিন বছর ধরে নার্গিস ফাখরির সাথে প্রেম করেছেন। যদিও সম্পর্কে থাকাকালীন বিষয়টা গোপনেই রেখেছিলেন টনি-নার্গিস। এবার তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারি হিলসের একটি বিলাসবহুল হোটেলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়ের কোনো ছবি এখনো প্রকাশ্যে আসেননি। কিন্তু বর্তমানে এ দম্পতি সুইজারল্যান্ডে হানিমুন করছেন। সেখান থেকে একটি ছবি শেয়ার করেই অনুরাগীদের মাঝে বিয়ের জল্পনা-কল্পনায় নতুনামাত্রা যোগ করলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ১৫ মে সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর আট মাস।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে রওশন হোসেন পাঠান শরৎ। তিনি জানান, ফারুকের মরদেহ মঙ্গলবার ভোরের ফ্লাইটে দেশে আনা হবে।
দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে অভিনয় করেন বহু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রে। ‘মিয়াভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবে খ্যাতি পান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন এই নন্দিত চিত্রনায়ক। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।