চলারপথে ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে দুইটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। ব্ল্যাকস বিচের কাছে ওই নৌকা দু’টি সমস্যার মুখে পড়ার পর অনুসন্ধান শুরু হয়, তবে তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছার আগেই প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
আজ ১৩ মার্চ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি পরিষেবাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯১১ নম্বরে কল করে একজন নারী মার্কিন জরুরি পরিষেবাকে জানান- তিনিসহ আটজন একটি নৌকায় রয়েছেন এবং তীরে পৌঁছেছেন। কিন্তু অন্য একটি নৌকায় আট থেকে ১০ জন লোক রয়েছে এবং সেটি ডুবে গেছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, নৌকাডুবির ঘটনায় তারা নিহতদের জাতীয়তা বা তারা ঠিক কোন দেশের নাগরিক তা জানেন না, তবে তারা (নিহতরা) সবাই প্রাপ্তবয়স্ক। তবে নৌকাডুবির এই ঘটনাটি ঠিক কী কারণে ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়।
সান দিয়েগো লাইফগার্ড’র প্রধান জেমস গার্টল্যান্ড বলেছেন, বালির বার এবং স্রোতের কারণে ওই এলাকাটি ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে উল্লেখযোগ্য। উদ্ধারকারীরা কোনো জীবিতকে খুঁজে পায়নি, তবে কেউ কেউ জরুরি পরিষেবা আসার আগেই হয়তো সৈকত ছেড়ে চলে যেতে পারেন।
সান দিয়েগো কোস্ট গার্ডের সেক্টর কমান্ডার জেমস স্পিটলার বলেছেন, ছোট নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারণে ‘ঢেউয়ের মধ্যে সেটি উল্টে যায়’। তবে, অন্যটি তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। এর আগে ২০২১ সালে সান দিয়েগোর উপকূলে একটি নৌকা দুর্ঘটনার শিকার হলে চারজন মারা যায়। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও দুই ডজন মানুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
সুদানে দেশটির সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ২৯৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি।
এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মৃতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। কারণ মরদেহগুলো রাস্তায় পড়ে থাকে এবং সেগুলি সংগ্রহ করা এই মুহূর্তে খুব বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একটি সিন্ডিকেট হতাহতদের পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা বলছেন মঙ্গলবার পর্যন্ত কমপক্ষে ১৭৪ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। আহত শতাধিক।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৫ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও প্রায় চার হাজার।
এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজারও ভবন। ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গাজা উপত্যকায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ১২৮ এ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি জানায়, “নিহতদের মধ্যে ৫ হাজার ৮৪০ জনেরও বেশি শিশু এবং ৩ হাজার ৯২০ জন নারী রয়েছে।“
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজারও ভবন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
তবে কাতারের মধ্যস্থতায় হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। দেশটির মন্ত্রিসভা চার দিনের বেশি সময়ের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। আজই ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আল জাজিরা।
চলারপথে ডেস্ক :
কুয়েতে সোমবার তেলের খনিতে পাইপ লাইন ছিদ্র হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে তেল সারা মরুভূমিতে। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম আল রাই,ও আরব টাইমস এক সংবাদে প্রকাশ করেছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চল তেলের খনি থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ার ২০ মার্চ সোমবার জরুরী অবস্থা ঘোষনা করে রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি (KOC). রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানীর একজন মুখপাত্র কুসাই আল আমের, এক বিবৃতিতে জানান, তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি,তবে বিষাক্ত ধোঁয়া ও শনাক্ত করা যায়নি। তেল উতপাদনে ও কেনো ব্যাঘাত ঘটেনি বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
কুয়েত তেল কোম্পানির মুখপাত্র আরো বলেন, তেলের খনিতে পাইপ লাইন ছিদ্র হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে তেল মরুভূমিতে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিম পাঠানো হয়েছে । কুয়েতে তেল কোম্পানির টুইটার একাউন্টে ও এখবর পোস্ট করা হয়েছে। কুয়েত বিশ্বের অন্যতম তেল উতপাদন কারী দেশ, দেশটির শতকরা ৯০ ভাগ রাজস্ব আয় আসে তেল থেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিধসে ১৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় অনেকেই আটকে পড়েছেন। ভারতের কেরালায় ভূমিধসের পর বেশ কিছু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ।
চার ঘণ্টার বৃষ্টিতে আজ ৩০ জুলাই মঙ্গলবার ভোরে রাজ্যটির ওয়েনাড জেলার পাহাড়ি মেপ্পেদি এলাকায় ভূমিধস হয়েছে। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা কেরালা স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (কেসিডিএমএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র : এনডিটিভি
কেসিডিএমএ জানিয়েছে, ভূমিধস এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন কেসিডিএমএ ও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এনডিআরএফের কর্মীরা। কেরালা পুলিশের এলিট ফোর্স কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কর্পসের দু’টি ইউনিটও কাজ করছে। বিমান বাহিনীর সহায়তাও চাওয়া হয়েছে।
সেখানে বহু মানুষ আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কেসিডিএমএ বলছে, মেপ্পেদি এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বর্ষণে উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘ঢাকার রিকশা’ ও ‘রিকশা চিত্র’।
আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
জামদানি, শীতল পাটি, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার স্বীকৃতির পর বাংলাদেশের পঞ্চম বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঢাকার রিকশা ও রিকশা চিত্র এ স্বীকৃতি লাভ করেছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এর ফলে গত আট দশক ধরে চলমান রিকশা চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করল।
উল্লেখ্য, গত ছয় বছর ধরে এ চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। গত বছর (২০২২) পুনরায় নথিটি জমাদানের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।
বাংলাদেশের রিকশা চিত্র ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সভায় উপস্থিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য, মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি এ চিত্রকর্মের বৈচিত্র্যপূর্ণ বহিঃপ্রকাশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো।
এ স্বীকৃতিকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে অভিহিত করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর ৪২তম সাধারণ পরিষদের সভায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের এ ধারাবাহিক সাফল্যকে সংশ্লিষ্ট মহল বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রা হিসেবে অভিহিত করেন।