চলারপথে ডেস্ক :
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের একই বিভাগের মধ্যে আন্তঃজেলা বদলি শুরু হচ্ছে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার থেকে যা চলবে আগামী ২২ মার্চ পর্যন্ত।
আগামী ১৪ থেকে ১৫ মার্চ বুধবার শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করবেন। পরে ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে ১৮ মার্চ শনিবার পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার। এরপর ১৯ থেকে ২০ মার্চ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। ২১ থেকে ২২ মার্চ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনলাইনে নির্ধারিত সার্ভারে লগইন করে শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষকদের বদলির আবেদনের বিষয়ে চারটি শর্ত দিয়েছে অধিদপ্তর
শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষকরা সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে, কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে একটি বা দুইটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
যাচাইকারী কর্মকর্তাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ২২ ডিসেম্বর জারি করা সর্বশেষ সংশোধিত সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা অনুযায়ী শিক্ষকদের বদলির আবেদন ও কাগজপত্র যাচাই করতে হবে। কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করতে হবে। যাচাই করে পাঠানোর পর তা পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
অধিদপ্তর আরো জানায়, আবেদনকারী শিক্ষকের পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর পছন্দকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। তাই কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
চলারপথে ডেস্ক :
কালোবাজারি বন্ধে ট্রেনের টিকিটে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। অনলাইনে টিকিট কেনার সময় যাত্রীর এনআইডি যাচাই করা হবে। কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে আগাম নিবন্ধন করতে হবে। তারপর এনআইডি দেখিয়ে স্টেশন থেকে টিকিট পাওয়া যাবে। ট্রেনে ভ্রমণের সময়েও সঙ্গে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র রাখতে হবে।
আগামী ১ মার্চ থেকে এ পদ্ধতি চালু করতে চায় রেল।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তাই রেলের কর্মকর্তারা কেউ নাম প্রকাশ করে আগাম কিছু জানাতে রাজি হননি। রেল সূত্র জানিয়েছে, কাউন্টার থেকে টিকিট পেতে নিবন্ধনের জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে না। মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে।
দেশের জনগোষ্ঠীর বড় অংশ প্রযুক্তির সুবিধার বাইরে, অনেকে প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বচ্ছন্দ নয়। তারা কীভাবে নিবন্ধন করবেন- এমন প্রশ্নে রেলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আজকাল সবার মোবাইল ফোন এবং এনআইডি আছে। নিবন্ধন করতে না পারার কারণ নেই।’
যাদের ফোন নেই তারা কী করবেন- প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তারা টিকিট পাবে না। ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নে ট্রেন ভ্রমণের সময় পরিচয়পত্র রাখতে হবে। পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিটে থাকা নাম না মিললে, ওই যাত্রীকে বিনা টিকিটের যাত্রী হিসেবে গণ্য করে জরিমানা করা হবে।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিবন্ধন করা যাবে। যাত্রীদের সহযোগিতায় বড় স্টেশনগুলোতে হেল্প ডেস্ক খুলবে রেল। আগেও একবার এনআইডি দেখিয়ে আন্তঃনগর ট্রেনে প্রথম শ্রেণির টিকিট কেনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তাতে বেশি সময় লাগায় স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ সারি তৈরি হয়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হয়েছিল।
বর্তমানে আন্তঃনগর ট্রেনের অর্ধেক আসনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়। রেলের ওয়েব সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট করতে পারেন। অ্যাকাউন্ট খুলতে এনআইডি ও ফোন নম্বর দিতে হয়। তবে এসব নম্বরের সত্যতা ভেরিফাইয়ের (যাচাই) সুযোগ নেই। তাই একইব্যক্তি একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তা ঠেকাতে এনআইডি যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে রেল। তাই কেউ একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না।
ট্রেনে টিকিট চেকিংয়ে পরিবর্তন আসছে, যুক্ত হচ্ছে পয়েন্ট অব সেলস (পস) মেশিন। বিনা টিকিটের যাত্রীদের ট্রেনের ভেতরে তাৎক্ষনিক পস মেশিন টিকিট দেওয়া হবে। অনলাইনে ও নগদে টাকা পরিশোধ করা যাবে। এতে রাজস্ব বাড়বে বলে আশা করছে রেলওয়ে। টিকিট জাল কী না তাও ধরা পড়বে পস মেশিনে।
অনলাইনেই ফেরত দেওয়া যাবে টিকিট। নতুন পদ্ধতিতে, টিকিট ফেরত দিলে অনলাইনেই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা মা-বাবার এনআইডি দিয়ে টিকিট কিনতে পারবে। তবে, যার এনআইডি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক প্রমাণে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি দেখাতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাইসাইকেল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ ৩১ জুলাই সোমবার বিকেলে উপজেলা মাঠে এ সব বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম।
একশত শিক্ষার্থীকে স্কুল ব্যাগ, খাতা, কলম অন্যান শিক্ষা উপকরণসহ দশটি বাইসাইকেল দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, চর্যাপদ গবেষক প্রফেসর আলীম মাহমুদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (ইউ.এস.ও) ডা. মো. রুহুল আমীন মুকুল, সখীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাকিল আনোয়ার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাফিউল করিম, উপজেলা ট্রইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আসিস কুমার বর্মন, আদিবাসী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আশ্চার্য বর্মণ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেক মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। রয়ে যাওয়া রাজধানীবাসীর অনেকেই আষাঢ়ের প্রথম দিন মেতে উঠেছিলেন বর্ষা বন্দনায়। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার শপথে আজ ১৫ জুন শনিবার ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয় বর্ষা উৎসব। আয়োজনে ছিল বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদ। বাংলার পঞ্চকবির গান, কবিতার পাশাপাশি সম্মিলিত নৃত্যে সাজানো হয় এ উৎসব। সকাল সাড়ে ৭টায় বকুলতলার মঞ্চে মো. হাসান আলীর বাঁশির লোকজ সুরে শুরু হয় উৎসব।
উৎসবে শিল্পী সাজেদ আকবর পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত ‘বহু যুগের ওপার হতে আষাঢ় এলো’; সালমা আকবর পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’। বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি শোনান নজরুলগীতি ‘বরষা ওই এল বরষা’। অনিমা রায় শোনান রবীন্দ্রসংগীত ‘নীল অম্বর ঘন কুঞ্জ ছায়ায়’। নবনীতা জাইদ চৌধুরী শোনান আধুনিক গান ‘এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে’। এদিন একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন আবিদা রহমান সেতু, শ্রাবণী গুহ রায়, স্নিগ্ধা অধিকারী, রত্না সরকার, ফেরদৌসী কাকলী।
দলীয় সংগীত পর্বে বৃষ্টি নামার গানের সঙ্গে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে লোকসংগীত ‘গাঙ্গে যাইতাছে দেখো ভাই’। বহ্নিশিখা পরিবেশন করে নজরুল সংগীত ‘রুমুঝুম রুমুঝুম কে বাজায়’। সুরবিহার পরিবেশন করে লোকসংগীত ‘এসো শ্যামল সুন্দর’। এদিন পঞ্চভাস্বর, সীমান্ত খেলাঘর আসর, সুরনন্দনের শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে বর্ষার গান শোনান।
আবৃত্তি পর্বে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’। ত্রপা মজুমদার পাঠ করেন ইন্দ্রানী সমাদ্দারের কবিতা ‘বৃষ্টি’। তিনি শোনান প্রদীপ বালার কবিতা ‘যে বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে’। নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি শোনান জয় গোস্বামীর কবিতা ‘মেঘ বালিকা’। সম্মিলিত নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্তনালয়, স্পন্দন, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি অব ফাইন আর্টস, কথক নৃত্য সম্প্রদায়।
কথন পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরেণ্য চিত্রশিল্পী আবুল বারক আলভী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় নগরে বসন্ত উৎসব, শরৎ উৎসব, নবান্ন উৎসব আর বর্ষা উৎসব পালন করি আমরা। আমাদের শস্য, গাছপালা আর ফলন যেটির কথা বলি না কেন, তার সবটাই বর্ষার ওপর নির্ভরশীল।
বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিগার চৌধুরী নগরে বৃক্ষায়নে গুরুত্বারোপ করে বলেন, যারা বাড়িঘর বানাতে গিয়ে গাছ কেটে ফেলেছেন তারা আরও বেশি করে গাছ লাগান। আমরা প্রকৃতির বন্ধু হতে চাই।
পরে এ উৎসবের রীতি অনুযায়ী শিশুদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষের চারা বিতরণ করেন অতিথিরা।
প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করা যাবে না-উদীচী : প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংস করে প্রকল্প বা স্থাপনা গড়ে তোলা চলবে না। অপরিকল্পিত নগরায়ণ বন্ধ করতে হবে। শহরে-বন্দরে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে গাছ কাটা, পশু-পাখির আবাসস্থল ধ্বংস করা চলবে না। অবিলম্বে দেশের বিলুপ্তপ্রায় পশুপাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হোক। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর বর্ষা উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব দাবি জানান বক্তারা। বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানাতে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ ‘প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বিশ্ব বিবেক’ এ স্লোগানে আয়োজন করে বর্ষা উৎসবের। সকাল ৭টায় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব আয়োজন করা হয়।
ঢাকা মহানগর উদীচীর সভাপতি নিবাস দের সভাপতিত্বে বর্ষা কথনপর্বে আলোচক ছিলেন কৃষি ও কৃষকবন্ধু রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা।
আলোচক ছিলেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি ও বর্ষা উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। উপস্থাপনা করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কবি রহমান মুফিজ।
সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূর।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুরের পার্বতীপুর ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল দাদি-নাতনির। আজ ১৮ আগস্ট শনিবার বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুর-পার্বতীপুর রেলওয়ে রুটে পার্বতীপুরের পুরাতন বাজার তিলাই নদীর রেল সেতুতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন-চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের রানীবন্দর মহিলা কলেজ পাড়ার আব্দুল মজিদ ওরফে বাবুর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬০) ও নাতনী মো. সাপিয়ার রহমানের মেয়ে সাথী (৭)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দাদি মর্জিনা বেগম তার নাতনি সাথীকে নিয়ে পার্বতীপুর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নামাপাড়ায় মেয়ের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে যান। সকালে মর্জিনা বেগম তার নাতনি সাথীকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে গিয়ে রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন। এসময় চারজন তিলাই নদীর রেল সেতু পার হওয়ার সময় দুইজন নদীতে লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও দাদি ও নাতনি দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটির ধাক্কায় মারা যায়।
পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নুরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে ডেস্ক :
২০২৩ সালের শুরু থেকে নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলছে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে। এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনও প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী। এ গাইডলাইনের বিষয়ে পরে স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
১৩ মার্চ সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনও পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান-প্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনও রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী থাকবেন।