চলারপথে ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবসে (১৭ মার্চ) সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতির পিতার জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ শুক্রবার সারাদেশে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস ও নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে স্থাপন করা হচ্ছে পাঁচটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর। ইতোমধ্যে তিনটি কম্প্রেসর স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি দুইটি কম্প্রেসর বসানোর জন্য ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কম্প্রেসরগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডটি অন্যতম বৃহৎ। প্রতিদিন তিতাসের ২৩টি কূপ থেকে ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। তবে প্রাচীন এই গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ ক্রমাগত কমছে।
বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের চাপ ৭০০ পিএসআই হলেও তিতাসের কূপগুলোতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬০০ পিএসআই। ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘এ’ ও ‘সি’- তে দুইটি কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। একই কারণে নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডেও একটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘ই’ এবং ‘জি’- তে আরো দুইটি কম্প্রেসর বসানো হচ্ছে। যার ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। কম্প্রেসরগুলো স্থাপনে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। অর্থায়ন করছে জিওবি এবং জাইকা।
বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান সাংবাদিকদের জানান, তিতাস সহ অন্যান্য গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ হয়ে যাওয়া কূপগুলো ওয়ার্কওভার এবং নতুন কয়েকটি কূপ খনন করা হচ্ছে। এগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে সামগ্রিকভাবে গ্যাস ফিল্ডগুলোতে গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে।
ওয়েলহেড কম্প্রেসর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন উপলক্ষে জেলা শহরের ঘাটুরাস্থ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘এ’ লোকেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) উত্তম কুমার সরকার ও কোম্পানি সচিব মো. হাবিবুর রহমানসহ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আজ রবিবার বৈঠক ছিল বলে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তবে সেই বৈঠক আজ হচ্ছে না। বরং আগামীকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রাথমিক বিদ্যালয় কবে খোলা হবে তা নিয়ে বৈঠক করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে সার্বিক দিক আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ ২৮ জুলাই রোববার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ক্যাবিনেট (মন্ত্রিসভা) মিটিং আছে। এটা নিয়মিত মন্ত্রিসভার বৈঠক। কোনো স্পেশাল মন্ত্রিসভার বৈঠক নয়। এ বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সেখানে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া গেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আবার বৈঠক করে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। তারপর সিদ্ধান্ত জানা যাবে। এটাই হয়ে থাকে, এবারও সেটাই হতে পারে।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘চলতি সপ্তাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে গত ১৭ জুলাই রাতে দেশের ৮টি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু ছিল। ২৪ জুলাই সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের রাউজানে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য মাংস কিনতে গিয়ে সড়কে রাখা বিকল ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের বৈজ্জাখালী গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জয় চৌধুরী (৩২) ও অন্তু তালুকদার (২৮)। জয় বোয়ালখালী গোমদন্ডরী মন্টু চৌধুরী ছেলে। তিনি কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ছিলেন। আর অন্তু তালুকদার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দৌলন তালুকদারের ছেলে। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য মুরগি কিনতে বের হন জয় ও অন্তু। পথে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের বৈজ্জাখালী গেট এলাকায় বিকল ট্রাকের সঙ্গে তাদের মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে তারা গুরুতর আহত হন। রাত ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাফিক পুলিশ নুরুন বলেন, বিকল ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক টুটন মজুমদার বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম আমরা দিয়েছি, এটা সকলের জন্য। এটা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারে। যেটা আমরা করতে পেরেছি।’
আজ ৭ জুলাই রবিবার যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সরকারি চাকরিজীবী তারাই পেনশন পায় আর বাকিরা বঞ্চিত থাকে। কাজেই কেউ যাতে বঞ্চিত না থাকে সেজন্য এই পেনশন স্কিমে বিভিন্ন স্তর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের যুব মহিলা লীগের প্রত্যেকেই এই সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারো। যুক্ত হতে পারো নিজেদের একটা ভবিষ্যতের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘যখন মানুষের বয়স হয়ে যাবে বা তারা কর্মক্ষম থাকবে না এর মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবকা নির্বাহের জন্য একটি নিশ্চিত অর্থ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। এটা কিন্তু আজীবন পাবে। আমি মনে করি যারা আমাদের রাজনীতির সাথে যুক্ত তাদের এ ধরনের পেনশন স্কিমে ঢোকা দরকার।’
আর যারা একেবারে প্রান্তিক বা নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে তাদের জন্য এতে বিশেষ প্রণোদণা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০২ সালের ৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের এক ঝাঁক সাবেক নেত্রীকে নিয়ে যুব মহিলা লীগ গঠন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে সাইবার ইউনিটগুলো কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ ৯ জুলাই রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিকদের নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর। মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এনআইডি সেবা আমাদের অধীনে আসেনি, আমরা এখনো কার্যক্রম শুরু করিনি। এখনো এ কার্যক্রমটা নির্বাচন কমিশনের হাতেই রয়েছে। যে ঘোষণাটা (এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত) দেওয়া হয়েছে, আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে, সেগুলো শেষ করে শীঘ্রই এটা আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসবে। তখন থেকে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আপনি যে বিষয়গুলো (তথ্য ফাঁস) বলছেন সেটা আমরাও শুনছি। এ বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে, জেনে আপনাদেরকে উত্তর দিতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বিস্তারিত নেই। আপনারা যেভাবে শুনেছেন আমরাও ঠিক সেরকমভাবে শুনছি। না জেনে উত্তর দেওয়ার মতো তথ্য আমার কাছে নেই।’
‘কী ঘটেছে, কতখানি কী ফাঁস হয়েছে- সেটা আমাদের দেখতে হবে। দেখে যদি দেখি কেউ এর সঙ্গে যুক্ত আছে, কেউ এতে সহযোগিতা করেছে- সেক্ষেত্রে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা আমরা নেব। এক্ষেত্রে আমরা কাউকে ছাড় দেই না। সেটা আপনারা দেখেছেন। পুরো বিষয়টি আমরা জেনে নিয়ে তদন্ত করে এটার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘শুরু করার মতো কোনো উপাদান এখন আমাদের হাতে আসেনি। আমরা প্রস্তুত হয়েছি জানার জন্য। আমাদের সাইবার ইউনিটগুলো ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে আরও তথ্য জানার জন্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কী ফাঁস হয়েছে, আমাদের প্রোটেকশনের কী আছে, সেটা আমাদের দেখতে হবে। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্পণ হতে যাচ্ছে। আমরা সেই ব্যবস্থা নেব। কোনো ফাঁক-ফোকর থাকবে না। প্রোটেকশনের ব্যবস্থা আমরা নেব।’
বিএনপি আগস্টে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে যাচ্ছে- সেই বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিগোষ্ঠী, স্বাধীনতাবিরোধীরা কিংবা যারা চক্রান্ত করে তারা আগস্ট মাসকে বেছে নেয়। আমরা ১৫ আগস্ট দেখেছি। ২১ আগস্ট আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বোমায় বোমায় উড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সারাদেশে ৬৩ জেলায় ১৭ আগস্ট বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা তারা করেছিল। কাজেই আগস্ট মাস তাদের খুব প্রিয় মাস। তারা আগস্টকেই বেছে নেয়। আমার মনে হয় সেই ধরনের একটা ইঙ্গিত তারা (বিএনপি) দিচ্ছে কি না তারাই জানেন।’
তিনি বলেন, ‘তারা যে রকমভাবে আন্দোলনের কথা বলছে, আমাদের জনগণ ইতোমধ্যে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের কোনো আন্দোলনে জনগণ সমর্থন ও সহযোগিতা করছে না। তারা আন্দোলনের কথা বলছে, বছরের পর বছর বলছে ওমুক দিন করবে, তমুক দিন করবে- এটা আমরা শুনেই আসছি। আন্দোলনে যদি জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকে, আন্দোলনে যদি জনগণ যুক্ত না হয়, সেটা কোনো আন্দোলনই হয় না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তারা আন্দোলনের কথা বলেছে। তারা যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়, মানুষ হত্যার কোনো পরিকল্পনা থাকে, সেগুলোর আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী দেখবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’