চলারপথে ডেস্ক :
২০২৩ সালের শুরু থেকে নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলছে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে। এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনও প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী। এ গাইডলাইনের বিষয়ে পরে স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
১৩ মার্চ সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনও পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান-প্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনও রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী থাকবেন।
ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামীকাল ১৭ ডিসেম্বর রবিবার। এদিন অফিস চলাকালীন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে ইচ্ছুকরা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি। বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৮৫ জন।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, ৩৫টি আপিল দায়ের হয়েছিল রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে। আর বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি। মোট ৫৬০টি আপিল দায়ের হয়েছিল।
গত ছয়দিনে (১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) আপিল শুনানিতে বাতিল আপিলের বিরুদ্ধে ২৮০টি আবেদন কমিশন মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩৫টি গ্রহণ আপিল আবেদনের মধ্যে পাঁচটি মঞ্জুর বা পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। দুটি আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে, ২৮টি নামঞ্জুর করা হয়েছে। এই হিসেবে ইসিতে আপিল শুনানি শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০জন। তবে এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে হাইকোর্টে দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। এতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে।
তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। এদিন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমবে। ১৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই।’
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো। বিএনপির দাবি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে না। অন্যদিকে সংবিধানের বাইরে ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুই দলের এমন অবস্থানের মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এখনও স্থিতিশীল হয়ে ওঠেনি মন্তব্য করেন হাবিবুল আউয়াল বলেন, যেকোনো কারণেই হোক নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা অনাস্থা তৈরি হয়েছে। আগের নির্বাচনগুলো নিয়ে বিতর্ক আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই হবে না নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। নির্বাচনকে দৃশ্যমানভাবে স্বচ্ছ করতে হবে। নির্বাচনকে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন এককভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র নির্বাচনে সহযোগিতা করতে বাধ্য। কোনো নির্বাচনই পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ হয়নি। আমাদের এখনও নিরবচ্ছিভাবে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ আসেনি। তবে অস্বাভাবিক সহিংসতা কাম্য নয়।
নির্বাচনকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনীতি ও নির্বাচনী সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়নি। এখনও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। আপনাদের সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আশা করি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে প্রাণ হারালেন ২ ছেলেসহ বাবা। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বহদ্দারকাটা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আনোয়ার হোসেন (৭০), তার ২ ছেলে শাহাদত হোসেন (৪৮) ও শহীদুল ইসলাম (২১)।
পুলিশ জানায়, সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে বিষক্রিয়ায় শাহাদাত ও শহীদুল ঘটনাস্থলে মারা যান। এসময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আনোয়ার হোসেন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ।
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন বিষয়ে সংযোজন-বিয়োজন ও মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তনের সম্ভাবনা জানিয়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, এই শিক্ষাক্রমে বেশকিছু ইনপুট (সংযোজন-বিয়োজন প্রয়োজনীয়তা) এসেছে। সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। যেসব বিষয় পরিবর্তন করা প্রয়োজন, আমরা অবশ্যই সেগুলো পরিবর্তন করব।
আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত নিজস্ব বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মূল্যায়ন পদ্ধতি, যেখানে ইতিমধ্যে বেশকিছু ইনপুট এসেছে। ফলে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমেও বেশকিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এই শিক্ষাক্রম যে শতভাগ স্থায়ী, বিষয়টি এমন না। এর আগেও আমরা বলেছি, শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে যেসব সমস্যা দেখা দেবে, সেগুলো বিচার বিবেচনা করে সংশোধন করা হবে।’
তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, ‘কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট সব দক্ষতা আমরা শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। এতে করে শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের শিক্ষা বিষয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারবে। তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার বিষয়ে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। কর্মমুখী শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা সাজাতে চাই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
সিরাজগঞ্জে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে ৬০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারীকে আটক করেছে। আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রওশন আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলো কুড়িগ্রাম জেলার কাচিচর স্কুলপাড়া গ্রামের মৃত ছোমেদ আলীর ছেলে বিপ্লব মিয়া (২৮) ও একই জেলার রাজারহাট থানার মৃত সফর উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (৩৫)।
ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রওশন আলী জানান, সিরাজগঞ্জ শহরের হোটেলের সামনে মাদক বিরোধী অভিযান ও চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। ভোর চারটার দিকে পিকআপটি থামানো হলে আটক দুজনের আচরণে সন্দেহ হয়। এ সময় পিকআপ গাড়ি তল্লাশিকালে ব্যাক বডিতে বিশেষ কায়দায় রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে দুজনকে আটক এবং পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।