চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের অনুমতিক্রমে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ ১২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন। গত মঙ্গলবার রাতে নতুন কমিটি অনুমোদন দেয়া হলেও আজ ১৫ মার্চ বুধবার দুপুরে কমিটি প্রকাশ করা হয়।
নতুন গঠিত কমিটিতে শাহ জামাল রানাকে আহবায়ক ও অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল-হেলালকে সদস্য সচিব করা হয়।
কমিটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির নির্বাহী কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় পার্টি ও বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মোঃ মামুনুর রশীদকে সম্মানিত সদস্য করা হয়েছে।
কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে ফিরোজ খান, আবদুল আজিজ, আবুল কালাম, অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, মেরাজ সিকদার, হুমায়ূন কবির ও আবদুল্লাহকে রাখা হয়েছে।
কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব হলেন সৈয়দ মোকাব্বের, অ্যাডভোকেট ইজাজ আহমেদ জীবন, সোলায়মান ও আজিম খান বাবু।
এ ব্যাপারে নব-ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল-হেলালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নতুন কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১২৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অতিরিক্ত মহাসচিব ও জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান জি.এম. কাদের এমপি ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি ছাড়া অন্য কারো কমিটি গঠন করার কোন এখতিয়ার নেই। বেগম রওশন এরশাদ এমপি আমাদের দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। তিনি কোন কমিটি গঠন করার কোন এখতিয়ার রাখেন না। নতুন কোন কমিটি গঠন করা হলে এটা হবে সম্পূর্ণ অবৈধ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ দেশের দুর্যোগে মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারণায় অবদান রাখায় বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মো: মানসুরুল হক।
‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস, ২০২৪ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে তাকে উক্ত সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জাতিসংঘের ডি আর আর ফেলো- মো: মানসুরুল হক মডেলিং, নাট্যাভিনয় সহ উপস্থাপনার মাধ্যমে মিডিয়া জগতে পরিচিত হলেও মূলত তিনি দেশের প্রথম স্যাটেলাইট চ্যানেল এটিএন বাংলায় প্রচারিত ‘উন্নয়নে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার মাধ্যমেই দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন।
এছাড়া মানসুরুল হকের পরিকল্পনা ও উপস্থাপনায় চ্যানেল আই- তে ‘দুর্যোগ কথা’ -ও আরটিভিতে ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে নিয়মিতভাবে। সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে কর্মরত মানসুর সাম্প্রতিক সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, তার পিতা মোঃ জহিরুল হক ছিলেন বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী মোঃ মানসুরুল হক কর্মজীবনে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার হাস্যোজ্জ্বল প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব ও মানবিক কার্যক্রমের জন্যও তিনি সুপরিচিত। একজন উপদেষ্টা হিসেবে ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের সাথে সম্পৃক্ত মানসুরুল হক দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। দেশের কল্যাণে আজীবন কাজ করে যাওয়া তার অন্যতম স্বপ্ন ও লক্ষ্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা কারা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা কারাগার অভ্যন্তরে মাদকমুক্ত রাখতে বক্তারা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। কারাবন্দিদের বিনোদন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে জানিয়েছেন বর্তমান জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান যোগদানের পর থেকে কারাবন্দীদের জন্য চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এরমধ্য মোবাইল সার্ভিসিং বিদ্যুৎ ওয়াইরিং প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। চিত্তবিনোদনের মধ্যে রয়েছে, ফুটবল খেলা, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টনসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার বিষয়ে কারাবন্দীদেরকে উদ্বুদ্ধ করা। এখানে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, কারাবন্দিদেরকে মাদক সেবন থেকে বিরত রাখা, মাদকের কুফল সম্পর্কে ধারণা দেয়া, এবং তারা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েও যেন পরবর্তীতে মাদকাসক্ত না হয়ে পড়ে এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দেয়া।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে আসা আসামীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, বর্তমান জেল সুপার গত ৩০ অক্টোবর ২৪ ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের পরিস্থিতি, আগের তুলনায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। যা কারাবন্দীদের ও দর্শণার্থীদের চোখে পড়ার মতো। আসামিদের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসা অভিভাবকরাও স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে বলে জানা যায়। জেল সুপার মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলার, কামরুল ইসলাম। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি না পেয়ে এক নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী। অভিযোগে ডিবি পুলিশের সদস্য রেজাউল করিমসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ডিবি পুলিশের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা আরও আটজনকে আসামি করা হয়।
আজ ১৩ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ আদালতের বিচারক বেগম আফরিন আহমেদ হ্যাপীর বরাবর অভিযোগটি জমা দেন ভোক্তভোগী বন্যা বেগম।
আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগে সদর উপজেলার চান্দিয়ারা এলাকার এনামুল হক, একই এলাকার তার স্বজন সামসুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম ও ভাই মো. সাগর এবং ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমসহ ডিবি পুলিশের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা আরও ৮ জনকে আসামি করা হয়।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে আসামি গ্রেপ্তার করতে সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদিপ্রবাসী নূরুল আলমের বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। আসামি নুরুল ইসলামকে না পেয়ে বাড়ির নারী ও শিশুদের মারধরসহ একপর্যায়ে ডিবির সদস্য রেজাউল করিম আসামির স্ত্রী বন্যা বেগমের মাথায় পিস্তল ঠেকান বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ) মো. জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন ও পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) হাবিবুল্লাহ সরকার।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় দায়ের করা মমালার বাদী এনামুল হক, তার আত্মীয় সামছুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম এবং ভাই মো. সাগর সঙ্গে পুলিশকে নিয়ে ভূক্তভোগীর বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে বাড়িতে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আসামি নুরুলের স্ত্রী বন্যা বেগম (৩৩) ও তার নয় বছর বয়সী মেয়েকে মারধর করে। এক পর্যায়ে বন্যার মাথায় বন্দুক তাক করেন। দুটি গুলিও করে ডিবি সদস্যরা।
বন্যা বেগমের আইনজীবী মো. শওকত আলী বলেন, সোমবার ভুক্তভোগী বন্যা বেগমের বাড়িতে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা, শিশুসহ কয়েকজনকে মারধর দুটি গুলি করেছেন ইত্যাদি উল্লেখ করে এজাহার আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এই এজাহারের বিষয়ে আদালতে কোনো শুনানি হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাক্তন স্কাউটদের সমন্বয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্স স্কাউটস (বেশ) এর উদ্যোগে আগামী ১৮ মার্চ ২০২৩ শনিবার ঢাকার মৌচাক জাম্বুরী মাঠে আয়োজিত পূর্নমিলনী সফলের লক্ষ্যে এক সভা ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত সভার প্রথম ধাপে পরিচিতি পর্বে সভাপতিত্বে করেন আলাউদ্দিন মুক্ত স্কাউট দলের স্কাউটার ডাঃ এ এম এম মুসা খান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন তিতাস মুক্ত স্কাউট দলের স্কাউটার মোঃ হাবিবুর রহমান সাজু ।
দ্বিতীয় পর্বে স্মৃতিচারণে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ স্কাউট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু।
প্রাক্তন স্কাউট আল আমীন শাহীনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সামসুর রহমান খান মুস্তফা, মোঃ শাহজাহান ওমর ফারুকী শেখ শাহীন মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন আহমেদ রুমি, এ এফ এম আবদুস সাকির, ইব্রাহিম খান সাদাত, বদরুজ্জামান আলাল, মমিনুল হক বাবু,সাইফুল আলম, প্রবাল বিশ্বাস,অলি আহাদ রতন, মাহিন উদ্দিন, মোঃ সাগর প্রমুখ।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাক্তন স্কাউটদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামী ১৮ মার্চ মৌচাকে পূর্ণমিলনী সফল করার আহবান জানান হয়। এ ছাড়া প্রাক্তন স্কাউটদের রেজিস্ট্রেশন পক্রিয়া আগামী ৭ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার আহবান জানান হয়েছে। সভায় বক্তারা স্কাউটিং জীবনের সোনালী দিনের স্মৃতিচারণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় হরণ গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘন্টাব্যাপী সংর্ঘষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বড় হরণ গ্রামের ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার মালিকানাধীন একটি দোকানের মালিকানা নিয়ে মলাই মিয়ার সাথে একই এলাকার রমজান মিয়ার বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে বিষয়টি মামলা মোকদ্দমায় গড়ায়। এর মধ্যে এক পক্ষ খবর পায় বিরোধ নিস্পতি হওয়ার আগেই মলাই মিয়ার লোকজন দোকানটি দখলের পায়তারা করছেন। এমন খবর পেয়ে রমজান মিয়ার লোকজন দুপুর ১টার দিকে বড় হরণ বাজারে গিয়ে দোকান দখলের পায়তারার বিষয়টি জানতে চায় মলাই মিয়ার পক্ষের লোকজনের কাছে। পরে এ নিয়ে মলাই মিয়ার পক্ষের সাথে রমজান মিয়ার লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে রেল লাইনের উপর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। একে অপরের দিকে রেললাইনের পাথর নিক্ষেপ করলে উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। তবে তাৎক্ষনিক ভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
রমজান মিয়ার পক্ষের কামরুল ইসলাম জানান, দোকান নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা চলমান আছে। আদালত থেকে স্থিতাবস্থা দেয়া হয়েছে। তারপরও অপর পক্ষের লোকজন দোকানটির দখলের পায়তারা করছিলেন। আমাদের লোকজন বাজারে গেলে মলাই মিয়ার লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারা আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে।
মলাই মিয়া পক্ষের বাবুল মিয়া জানান, বাজার কমিটির লোকজন সহ স্থানীয় মুরুব্বিরা দোকানের চলমান বিরোধটি মিমাংসার জন্যে বসেছিলেন। তারা হঠাৎ আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো: সাফায়েত উল্লাহ জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।