চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী বছর থেকে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে একটি জাতীয় মেধাতালিকা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ ১৫ মার্চ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় তিনি এ কথা জানান।
তরুণদের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞান মেলা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়, একই আদলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আগামী বছর মাত্র একটি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একটি ভর্তি পরীক্ষা হবে। শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে একটি জাতীয় মেধাতালিকা করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এর ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানি কমবে, ব্যয়ও কমবে।
নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা মুখস্ত নির্ভরতা কমিয়ে হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। ফলে শিক্ষার্থীরা অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং প্রসঙ্গে ডা. দীপু মনি বলেন, র্যাগিং অন্যান্য সামাজিক সমস্যার মতই একটি সমস্যা। আইন করে এটি বন্ধ করা যাবে না। র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্।
বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণকারী কলেজগুলোর অধ্যক্ষ ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে ‘বিজ্ঞান শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো প্রফেসর ড. হাসিনা খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার ও দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ সাদিকুজ্জামান সুমনসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ও গবেষক বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিজ্ঞান প্রকল্প প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। উপস্থিত ছিলেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. ফকির রফিকুল আলম, কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক রফিকুল আকবর, আয়োজক কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত খুলনা বিভাগের বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলের ১৪টি কলেজ এই বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করে। কলেজগুলোর মধ্যে রয়েছে- কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, কুমারখালী সরকারি কলেজ, ভেড়ামারা সরকারি কলেজ, ড. ফজলুল হক গার্লস কলেজ, এস এম জোহা কলেজ, গাংনী কলেজ, শোমসপুর আবু তালেব ডিগ্রি কলেজ, মেহেরপুর সরকারি কলেজ, কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, পিপলস কলেজ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, মুজিবনগর সরকারি কলেজ, দৌলতপুর কলেজ, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ।
বিজ্ঞান মেলায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মেলায় কলেজের শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনী বিভিন্ন বিজ্ঞান-প্রকল্প নিজ নিজ স্টলে প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া মেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শনের জন্য একটি স্টল ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
আধুনিকতার স্পর্শ আর সভ্যতার ক্রমবিকাশে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রযুক্তির দাপটে অস্তিত্ব হারিয়েছে অধিকাংশ খেলা। একটা সময় গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত শিশু ও যুবকরা পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলায় অভ্যস্থ ছিল। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা অবসরে দলবেঁধে খেলতো নানা প্রকারের খেলা। এসব খেলা বাড়ির উঠান থেকে শুরু করে রাস্তার আনাচে-কানাচে, খোলা মাঠে কম পরিসরেই খেলা যেত।
কিন্তু বর্তমান সময়ে মাঠ, বিল-ঝিল হারিয়ে যাওয়া, আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়া ও প্রযুক্তির বিকাশে মহাকালের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে জনপ্রিয় এসব গ্রামীণ খেলাধুলা। এখানকার দিনে শহরের শিশুরা ঘরের কোণে বসে বিভিন্ন ডিভাইস নিয়ে পড়ে থাকে। যার কারণে তাদের মেধার বিকাশও সঠিকভাবে হয় না।
গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় খেলাগুলোর মধ্যে ছিল: হা-ডু-ডু, কাবাডি, ঘুড়ি খেলা, দাঁড়িয়াবান্ধা, ডাংগুলি, গোল্লাছুট, কুস্তি, গোশত চুরি, কুতকুত, চোর-পুলিশ, হাড়িভাঙা, ইচিং বিচিং, ওপেন টু বায়োস্কোপ, কড়ি খেলা, সাপ খেলা, কানামাছি, লাঠি খেলা, ষাড়ের লড়াই, বউ-ছি, বলী খেলা, টোপাভাতি, নোনতা খেলা, নৌকা বাইচ, লুডু খেলা, রুমাল চুড়ি, পুতুল বৌ, ফুল টোক্কা, বাঘ ছাগল, বরফ পানি, মার্বেল, মোরগ লড়াই, লাটিম, লুডু, ষোল গুটি, এক্কা দোক্কা, সাত পাতা, বটি বটি, দাপ্পা, রস-কস, চারগুটি, চেয়ার সিটিংসহ আরো হাজারো প্রকার খেলা। বাংলাদেশসহ ভারত উপমহাদেশের জনপ্রিয় এসব গ্রামীণ খেলাধুলা আজ প্রায় বিলুপ্ত।
গ্রামীণ এসব খেলাধুলা হলো বিনোদনমূলক, স্বাস্থ্য সচেতনমূলক ও প্রতিভা বিকাশের অন্যতম। যা আমাদের আদি ক্রীড়া সংস্কৃতি। এসব খেলাধুলা এক সময় আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করতো। বর্তমানে গ্রামীণ খেলাগুলো বিলুপ্ত হতে হতে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমান প্রযুক্তির সুবিধা ও এর ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। তখন কেন পিছিয়ে থাকবে আমাদের প্রাণের খেলাগুলো? আমাদের সবার একটু চেষ্টাই পারে নতুন প্রজন্মকে এসব খেলার সঙ্গে পরিচিত করাতে। যা আমাদের ইতিহাস আর শিকড়কে টিকিয়ে রাখতে শক্তিশালী একটা মাধ্যম। সরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে এসব খেলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়। স্কুলে শিশুদের এসব খেলার সঙ্গে পরিচয় করানোর সুযোগ আছে। চাইলেই বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানো যায় এসব খেলাধুলায় যুক্ত করে।
অতীতের সময়ে প্রতিবছর সব স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাগুলোতে নানা ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হতো। বর্তমানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোনো খেলার মাঠও নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশ ঘটছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়ত অচিরেই গ্রামীণ খেলাধুলা আমাদের সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাবে। পরিণত হবে রূপকথার গল্পে।
এখন, মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে প্রজন্মকে রক্ষা ও গ্রামীণ খেলাকে বাঁচাতে এদেশের সচেতন ব্যক্তিদের এগিয়ে এসে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। এরসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ বৃদ্ধির মাধ্যমেই কেবল অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দেশের হাসপাতালেই যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই তিনি এখন অনেকটা সুস্থ দাবি করে মন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়ার কিছু অসুখ সারার মতো না। সেগুলো চিকিৎসা করে কমিয়ে রাখতে হবে।
আজ ২৪ জুন সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনকে গত শুক্রবার গভীর রাতে জরুরি ভিত্তিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে গতকাল ২৩ জুন রবিবার তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার লাগানো হয়েছে। এখনো ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বিদেশে নিয়ে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার দাবি উঠলেও আইনি বাধার কথা বলে তাতে সাড়া দেয়নি সরকার।
সচিবালয়ে সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে আইনমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রীর যে চিকিৎসা প্রয়োজন তিনি যে হাসপাতালে আছেন, সেই হাসপাতাল থেকে সেটি পাচ্ছেন বলেই এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন। তবে তার যেসব অসুখ আছে তারমধ্যে কিছু সারার মতো না, সেগুলোকে ট্রিটমেন্ট করে কমিয়ে রাখতে হবে।’
‘খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না’ বিএনপির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হলেও তা উড়িয়ে দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘যখন দেশের চিকিৎসকরা মনে করেছিলেন বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে তার কিছু চিকিৎসা করতে হবে, তখন সরকার কিন্তু এর অনুমতি দিতে কার্পণ্য করেনি। সে সময়ও আমি সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি দিয়েছি। আমার জন্য খালেদা জিয়া চিকিৎসা পাচ্ছেন না, যারা এই কথা বলছেন তারা নিজেকেই হাস্যরসে পরিণত করছেন।’
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ভারসাম্য ঠিক নেই বলেই তারা এসব বলছেন। সংবাদ সম্মেলন করে যদি তারা আমার প্রতি রাগ, উষ্মা প্রকাশ করতে চান সেটা তাদের ব্যাপার। বাংলাদেশে সবকিছুর স্বাধীনতা আছে। তারা সেটা করতে পারে, কিন্তু আমি আশা করব তারা সত্য কথা বলবেন এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না।’
সরকারের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতারা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার আন্তরিক বলেই বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখানকার চিকিৎসকরা বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার পরামর্শ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার অনুমতি দিতে একটুও কার্পণ্য করেনি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় অস্ত্র-গুলিসহ সোহাগ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৬০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আজ ৫ মে শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার মো. সোহাগ (৩৯) সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আহাম্মদ কোতোয়ালী মোরশেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে দৌলতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় সাদা রঙের একটি শপিং ব্যাগ থেকে দেশীয় রিভলভার, ২ রাউন্ড গুলি ও ৬০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে থানায় মামলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কুড়িগ্রামের বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে ভারতীয় ৩ কিশোর বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। এ ঘটনায় আটক ওই তিন যুবককে সোনাহাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য বিএসএফ’র নিকট হস্তান্তর করেছে।
আটককৃত তিন কিশোর ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার ধুবরী সদর থানার তিস্তাপাড়া এলাকার শাসসুর রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম (১৬), শহর আলীর ছেলে নুর ইসলাম (১৬) এবং আশকান আলীর ছেলে ইসমাইল সেখ (১৫) বলে জানা যায়।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরের দিকে ওই তিন কিশোর রাস্তা ভুল করে সোনাহাট স্থলন্দরের বাংলাদেশ-ভারত সংযোগ সড়ক বেয়ে একটি মেটরসাইকেলযোগে জিরো লাইন রেখা পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এসময় স্থলবন্দরে চেকপোষ্টে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করে সোনাহাট ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে রবিবার বিকেলে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসফের নিকট তাদের হস্তান্তর করে স্থানীয় বিজিবি। এতে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আসামের গোলকগঞ্জ থানার সোনাহাট বিএসএফের সহকারী কমিশনার পুনেক কুমার কৌশিক ও বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের সোনাহাট ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার গোলাম রাব্বানী।
চলারপথে ডেস্ক :
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির আমন্ত্রণে দোহায় অনুষ্ঠেয় তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামে অংশ নিতে আগামী ২৩-২৫ মে কাতার সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
তিনি জানান, দোহায় অনুষ্ঠেয় তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে।
সেহেলী সাবরীন আরো জানান, ব্লুমবার্গের সহায়তায় আয়োজিত কাতার ইকোনমিক ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, মন্ত্রী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদসহ প্রযুক্তি, অর্থ ও ব্যবসা খাতের বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করবেন।