চলারপথে ডেস্ক :
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎ করতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌছেছে। প্রত্যাবাসনের তালিকাভুক্ত পরিবারের বাদ পড়া সদস্য রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমার থেকে আসা প্রতিনিধি দল যাচাই-বাছাই শুরু করেছে।
আজ ১৫ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টায় টেকনাফ সদরের স্থলবন্দরে ভেতরে ভবনে প্রতিনিধি দলের সাথে রোহিঙ্গাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এসময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধিসহ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে স্পীড বোট যোগে মিয়ানমারের টেকনিক্যাল টিমের ১৭ সদস্যর প্রতিনিধি দল টেকনাফ মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাটে পৌঁছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিরাপত্তা মাধ্যমে বাসে করে লেদা-নয়াপাড়া ক্যাম্পের বসবাসকারী ২০ পরিবারের ৭০জন রোহিঙ্গাকে দাফে দাফে টেকনাফ স্থল বন্দরের ভেতরে রেস্টহাউসে পেন্ডলে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের সেখানে একে একে সবাই জিজ্ঞেসাবাদ করা হবে।
এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। মূলত ২০১৮ সালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গাদের একটি তালিকা দেয়। এরপর মিয়ানমারের ৬৮ হাজার রোহিঙ্গা ফিরতি তালিকা পাঠায়। সেখানে অনেকের পরিবারের মধ্য সদস্য বাদ পরেছে। এ বিষয়টি তাদের (মিয়ানমারকে) অবহিত করা হয়েছি। তারই অংশ হিসেবে তাঁরা (মিয়ানমার) আগ্রহ প্রকাশ করছে, বাদপড়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন, কেন বাদ পড়েছেন এবং তাদের দলিলপত্র দেখবেন। তারই অংশে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে আসা।’
মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক অংশ নিতে আসা টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেতা মো. জাফর জানান, ‘ মিয়ানমা থেকে আাসা প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ করতে আামদের ডাকা হয়েছে। আমার মতো আরো অনেকে এসেছে। মূলত মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে তাদের সাথে আমাদের আলোচনা কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপ-সচিব) খালিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের ১৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছে। পরে তাদের সাথে রোহিঙ্গাদের বৈঠকে বসার কথা রয়ছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। তিনি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় অগ্রগতির চেয়ে সামান্য বেশি হলেও মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক নয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই অগ্রগতি একটি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালযয়ের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত ৩২টি এবং জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট ৪৮ টি, মোট ৮০টি প্রকল্পের বিপরীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ৬০৮১.৮০ কোটি টাকা। তন্মধ্যে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে বরাদ্দ ৫১৯২.৬১কোটি এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত প্রকল্পে বরাদ্দ ৮৮৯.১৯ কোটি টাকা। মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত অর্থ অবমুক্ত করা হয়েছে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ৫৮.১৬% এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়িত প্রকল্পে ৫৫.৬১%।
সামগ্রিকভাবে ( জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত) প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতি বিবেচনায় সর্বোচ্চ অগ্রগতি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (৭৪.৫৪%) এবং সর্বনিম্ন অগ্রগতি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (১১.৫৯%)। মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের সার্বিক অগ্রগতি ৪৩.৩৭% যা গত বছর একই সময় ছিল ৪৪.২৭%। এসময়ে আরএডিপি অনুযায়ী জাতীয় অগ্রগতি ৪২.৩০ %।
আরএডিপিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দ ১১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। তন্মধ্যে ১১ কোটি ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা (৯৯.৮৫%) ব্যয় করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১০০% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থা সমুহের মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রগতি। অন্যদিকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরএডিপি বরাদ্দ ২৪৭ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা যেখানে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ব্যয় ১৪ কোটি টাকা (৫.৬%) এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ৩২% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সংস্থাসমূহের এডিপি বাস্তবায়নের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সরকার, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুসসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনটি আসার পথে ভাঙা ছিল রেললাইন।
রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ভিডিপির সদস্যরা লাল নিশান দেখিয়ে ট্রেনটির গতিরোধ করে দেওয়ায় এ দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন ও এর হাজারো যাত্রী রক্ষা পায়।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার চামরাব ও জিনারদীর বরাব রেলক্রসিংয়ের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। রেললাইন মেরামতের পর এ পথে ট্টেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ঘটনার সময়ে দায়িত্বে থাকা আনসার ভিডিপির দলনেতা মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও আমরা সকাল থেকে রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চামড়াব রেলক্রসিং পার হয়ে সামনের দিকে যাওয়ার পর ৮ থেকে ৯ ইঞ্চি রেললাইন ভাঙা দেখতে পাই।
তিনি আরো জানান, এ সময় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলের দিকে আসতে দেখা যায়। পরে দ্রুত আমরা লাল নিশান দেখিয়ে ট্রেনটির গতিরোধ করে দিয়েছি। এতে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেন ও যাত্রীরা।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শহিদুজ্জামান রাজু বলেন, এ ঘটনা আমাদের সদস্যরা জানানোর পর দ্রুত রেলওয়ের প্রকৌশলী বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। এটি কোনো নাশকতা নয়, শীতের কারণে রেললাইনে এমন ভাঙন ধরে থাকে। তাই আমাদের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে আরো তৎপর থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জিনারদী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. বরকত হোসেন বলেন, রেললাইন ভাঙার খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের মিস্ত্রিরা মেরামত কাজ শুরু করেছে। তারা লোহার পাটাতন পরিবর্তন করে নতুন পাটাতন বসিয়েছে। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ সেপ্টেম্বর ‘সুরসম্রাট’ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনিই প্রথম বাঙালি, যিনি সর্বপ্রথম পাশ্চাত্যে উপমহাদেশের রাগসঙ্গীতকে পরিচিত করান।
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন খ্যাতনামা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ও সরোদবিশারদ। বাবা সঙ্গীতজ্ঞ সবদর হোসেন খাঁ ওরফে সদু খাঁ, মা সুন্দরী বেগম। ছোটবেলায় তার বড় ভাই ফকির (তাপস) আফতাব উদ্দিন খাঁর কাছে সঙ্গীতের হাতেখড়ি। সুরের সন্ধানে মাত্র ১০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যাত্রাদলে যোগ দিয়ে ঘুরে বেড়ান গ্রামে গ্রামে। ওই সময় তিনি জারি-সারি, বাউল, ভাটিয়ালি, কীর্তন, পাঁচালি প্রভৃতি গানের সাথে পরিচিত হন। পরে কলকাতায় গিয়ে প্রখ্যাত সঙ্গীত সাধক গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য ওরফে নুলো গোপালের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। বাঁশি, পিকলু, সেতার, ম্যান্ডোলিন, বেঞ্জো ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখেন সঙ্গীত পরিচালক অমৃত লাল দত্ত ওরফে হাবু দত্তের কাছে। সেই সাথে তিনি লবো সাহেব নামে এক গোয়ানিজ ব্যান্ডমাস্টারের কাছে পাশ্চাত্য রীতিতে এবং বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ অমর দাসের কাছে দেশীয় পদ্ধতিতে বেহালা শেখেন। এ ছাড়া হাজারী ওস্তাদের কাছে শেখেন মৃদঙ্গ ও তবলা। ১৯১৮ সালের পর তিনি ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘খাঁ সাহেব’ উপাধিতে ভূষিত করে। আলাউদ্দিন খাঁ ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের মাইহারে মদিনা ভবনে মারা যান। রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্ম কিংবা মৃত্যু কোনো দিবসই পালন করা হয় না। অপর দিকে তার স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে নামে-বেনামে বেদখল হয়ে যাচ্ছে জমিজমা, বাড়িঘর, নিজ হাতে তৈরি করা মসজিদের জায়গা ও পুকুর। সবমিলিয়ে নিজ জন্মভূমিতেই অবহেলিত উপমহাদেশের সঙ্গীতজগতের কিংবদন্তি ‘সুরসম্রাট’ খ্যাত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ।
অনলাইন ডেস্ক :
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আর হবে না। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফলের ভিত্তিতে অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদও দেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে আগের নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আজ ২০ জুন মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, জেএসসি ও জেডিসির আগের মতো বোর্ড পরীক্ষা হবে না। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সনদ দেবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও পরীক্ষা নেওয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এর ভিত্তিতে ফলাফল দেওয়া হবে, সনদও দেওয়া হবে।
তবে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যারা অষ্টম শ্রেণি পাসের পর কোনো কোর্সে নিযুক্ত হতে চাইবে, তাদের জন্য সনদ ও রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন পড়বে। সে কারণে রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকার আগেই অষ্টম শ্রেণি ও সমমানের ক্লাসের জন্য প্রচলিত জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করে। এছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা থাকবে না। ২০২৪ সাল থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায়।
বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ, কারিগরি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মহসিনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একে এম নাজমুল হাসান বলেন, মাদক চোরাচালান সহ সীমান্ত হত্যা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের জিরু টলারেন্স।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে চেষ্টা করছি মাদক যেন সীমান্ত দিয়ে কোনভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মাদকের মাধ্যমে ধ্বংস না হয়ে যায় সেইটি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। সীমন্ত দিয়ে মাছের বিনিময়ে মাদক আসে এই বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা চাই কোন অবস্থাতে যেন কোন মাদক না আসে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত হত্যা কারোর ই কম্য না, কখন কোন পরিস্থিতি কোন ঘটনা ঘটছে, কারোর কাঙ্খিত না একটা জীবন মেরে ফেলুক, তারাও চাই না আমরাও চাই না। তারাও চাই আমরাও চাই সীমান্ত হত্যা যতটুকু নিচে নামিয়ে আনা যায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনি (বিএসএফ) এর বাধার মুখে কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদীর ব্রিজের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, ২০১৬ সালে কাজটি শুরু হেেয় ২০২০ সালে কাজটা বন্ধ হয়ে পরেছিল। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যেন সমাধান হয়ে যায়। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার পক্ষে থেকে বিএসএফ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত একটি পজিটিভ ফলাফল আসবে এবং কসবা ও সালদা নদীর রেলওয়ে যে প্রজেক্ট আছে সেগুলোতে খুব দ্রুত এর কর্যক্রম শুরু হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে এম আজাদ ব্যুরো চিফ বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মোহম্মদ আমির মজিদ পরিচালক বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তসলিম এহসান, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মহিউদ্দিন পিএস টু ডিজি, মেজর, ফা – মিম আদনান এডিসি, সুলতানপুর ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ২৫ বিজিবি সরাইলের রিজিওন কমান্টার ব্রিঃ জেঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।