চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শন করেছেন পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার (স্থল ও নৌ বন্দর) মোঃ আশিকুল হক ভূঁইয়া। গতকাল বুধবার বিকালে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে আসেন তিনি। এ সময় বন্ধ থাকা ইমিগ্রেশন নির্মানাধীন ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গুলো ঘুরে দেখেন ।
পরে ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা আশা করছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অতি দ্রুত নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের অসমাপ্ত কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দু পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তের ১৫০ গজের ভিতরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের উন্নয়ন কাজ করতে কোন বাধা নেই তাতে দু -দেশ একমত পোষন করেছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, আশা করছি এই ভবনটি সম্পূর্ণ হলে যাত্রীদের যে দুর্ভোগ সেইটি আর থাকবে না। এক ভাবনের ভিতরে সব সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। তখন আমাদের লোকবল ও বৃদ্ধি পাবে সেই সাথে আগমনী ও বহির্গমন ডেস্ক এর সংখ্যা ও বাড়বে । যাত্রী সেবার মান আরো উন্নত হবে।
পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশের ইন্টেলিজেন্স অফিসার (ডিআইও) মোহাম্মদ শাহেদ উদ্দিন, আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস, এএসআই দেওয়ান মোর্শেদুল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে আখাউড়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে এক মুরগী ব্যবসায়ী ও তিন মুদি দোকানিকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পৌর শহরের সড়ক বাজারে অভিযান পরিচালনা করে এসব জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা স্যানিটারি ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামসহ থানা পুলিশের একটি দল।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, পণ্যের সঠিক মূল্য তালিকা দোকানে প্রদর্শন না করা ও ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ দেখাতে না পরায় তাদের সতর্কতামূলক এ জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের অবৈধ আগ্রাসনের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। আখাউড়া উপজেলা ওলামায়ে কেরাম, ইমাম পরিষদ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার আয়োজনে আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার সকালে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সড়ক বাজারের অ্যাড. সিরাজুল হক মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের লাল বাজার, রাধানগর সড়ক বাজার ঘুরে একই স্থানে এসে সমাবেশ করে। বিক্ষোভ মিছিলে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেয়। সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি তিন দফা দাবী উপস্থাপন করা হয়।
স্থানীয় মহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আসয়াদ আল হাবিবির সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা দেবগ্রাম মাজহারুল ইসলাম দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আসয়াদুজ্জান, আনন্দপুর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা উবায়দুল্লাহ, ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওঃ কাজী মাইনুদ্দিন, মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মোঃ জালাল উদ্দিন, হাফেজ মোঃ রাসেল মোল্লা, মাওলানা আবু আব্দুল্লাহ, মুফতি সোহাইল, আলহাজ¦ শেখ ইকরাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আলহাজ¦ মোঃ বিল্লাল হোসেন।
বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার ঘটনায় জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহন করে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করুন। জিহাদে অংশ নিতে ফিলিস্তিনে যাওয়ার অনুমতি প্রদান এবং ইসরাইলের পণ্য বর্জন করতে হবে। বক্তারা বলেন, বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এক হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদ করলে তারা টিকে থাকতে পারবে না। ইসরাইলকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহবান জানানো হয় সমাবেশে। পরে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের মুক্তির জন্য দোয়া পাঠ করে কর্মসূচি শেষ হয়।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর এলাকার লাল বাজার ভূমি অফিসের সামনে থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পথচারীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই যুবককে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এক রিকসাচালক তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার জন্য তার রিকসায় তুলেন। পরে রিক্সাচালক তাকে লাল বাজার এলাকায় রাস্তায় রেখে চলে গেলে সেখানেই সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, ওই যুবকের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এবছর মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে নায়রা। নায়রা নামের মেয়েদের পোষাকটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সারেরা, গারেরা, ডিভাইডার, গাউন, লেহেঙ্গা, স্কার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়। তবে দাম অনেকটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আখাউড়া শহরের মায়াবী শপিং কমপ্লেক্স, আদর আলী কমপ্লেক্স, আলী মার্কেট, চৌধুরী শপিং কমপ্লেক্স, সরকার প্লাজাসহ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন ডিজাইনের আকর্ষণীয় পোষাক সাজিয়ে রেখেছেন। পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের প্রতিটি বিপণিবিতানে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার সরগরম প্রতিটি জামা-কাপড়ের দোকান। বেচাকেনা জমে ওঠায় খুশি বিক্রেতারাও। নতুন জামা-কাপড়ের পাশাপাশি জুতা এবং কসমেটিকস্ দোকানগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। তবে সব পণ্যের দামই দোকানিরা অনেক বেশি চাচ্ছেন এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় প্রতিটি জিনিষেই এর প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া পোষাক তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়েছে এজন্য দাম কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে মেয়েদের পোষাকের পাশাপাশি ছেলের পোষাকের দোকানগুলোতে তরুনদের উপস্থিতি বেড়েছে। ছেলেরা জিন্স প্যান্ট বেশি কিনছেন। সাথে স্টিচ শার্ট, টি-শার্ট। এছাড়াও পাঞ্জাবি-পায়জামার চাহিদাও রয়েছে। কালারফুল পাঞ্জাবিই ছেলেদের বেশি পছন্দ।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজানের শুরুর দিকে মার্কেটে বেশি বিক্রি হয় শিশু ও নারীদের জামা-কাপড়। ঈদ যতই এগিয়ে আসে এসব পণ্যের বিক্রিও ততই বাড়ে।
সড়ক বাজারের মরিয়ম লেডিস ফ্যাসনের মালিক মোঃ কাওছার আহমেদ বলেন, রোজার প্রথম কয়েকদিন ক্রেতারা শুধু জামাকাপড় দেখে নাম শুনে চলে যেত। এখন আল্লাহর রহমতে বেচাকেনা বেড়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রির পরিমাণও তত বাড়বে। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে গত কয়েক ঈদে লোকসান হয়েছে। আশা করি, এবার করোনার লোকসান এবার পুষিয়ে উঠতে পারবো।
দুই মেয়েকে নিয়ে মার্কেটে এসেছেন স্মৃতি আক্তার। তিনি বলেন, বড় মেয়ের জন্য নায়রা কিনেছি। ছোট মেয়ে পছন্দ করেছে স্কার্ট। এবার দাম একটু বেশি। গত বছর যে পোষাক ১ হাজার দেড় হাজার টাকায় কিনেছে। সে পোষাক এবার তিন হাজার দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা।
কাজী স্নেহ ও তোড়া বলেন, তারা নায়রা কিনেছেন। কারণ এ পোষাকটি এবার অনেক চলছে। আর দেখতেও সুন্দর লাগে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে নিয়ে না যাওয়ায় আখাউড়ায় স্বামীর সাথে অভিমান করে সাথী ইসলাম (২৬) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত সাথী ওই গ্রামের অটো চালক মোস্তাফা কামালের স্ত্রী। সে কে ঘরের তীরের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের মরহদেহ উদ্ধার করে আখাউড়া থানায় নিয়ে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারনা করছে।
আখাউড়া থানা ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে সাথী ইসলাম তার স্বামীকে ঘুরতে নিয়ে যেতে বলে। ঈদ মৌসুমে গাড়ি চালিয়ে ভালো রোজগার হওয়ায় পরে ঘুরতে নিয়ে যাবে বলে অটোচালক স্বামী। এরইমধ্যে একদিন ঘুরতে নিয়ে যায়। বুধবার আবার স্বামীর কাছে ঘুরতে যাওয়ার বায়না ধরে। কিন্তু বলেন এখন যাত্রী বেশি ঈদ মৌসুম শেষ হলে আবার ঘুরতে নিয়ে যাব। একথা বলে তিনি বিকালে বাড়ি থেকে চলে যায়। রাত ১২ টার দিকে মোস্তাফা কামাল বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করলে সাথী রাগ করে দরজা না খুলে তাকে অন্য ঘরে ঘুমাতে বলে। মোস্তাফা কামাল তখন তার ভাতিজার সাথে অন্য ঘরে ঘুমায়। সকাল ৬ টার দিকে স্ত্রীকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তার স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
এ ব্যাপারে মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৩ বছর আগে মোস্তাফা কামাল ও নারায়নগঞ্জ জেলার সাথী ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে হয়। ঈদুল ফিতরের পর সাথী তার স্বামীকে কুটি কাঠের পুল এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যেতে বলে।
কিন্তু ঈদের মৌসুমে যাত্রী বেশি থাকায় কুটি না নিয়ে আখাউড়া চেকপোষ্ট এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যায়। বুধবার বিকালেও সে আবার ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। এ নিয়ে স্বামীর প্রতি অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।