যারা ইসলামকে বিশ্বাস করে তারা অন্য ধর্মের প্রতিও সহনশীল : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 16 March 2023, 1043 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে ডেস্ক :
ধর্মের নামে বিচারের অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইসলামকে নিয়ে কেউ যেন বাড়াবাড়ি করতে না পারে, সে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যারা সত্যিকারের ইসলামকে বিশ্বাস করে তারা অন্য ধর্মের প্রতিও সহনশীল হয়। ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ ধর্মের অবমাননা ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনের সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব মসজিদের উদ্বোধন করেন।

ধর্মচর্চার পাশাপাশি মানুষ যাতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের পথে না যায়, সে বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যেই মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়া হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।

অনুষ্ঠানে বিদায় হজে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, সেই নির্দেশনাগুলো মেনে হওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো, কালোবাজারি, খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার ক্ষতিকর বিষয় নিয়ে ইমামদের জুমায় বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, পবিত্র রমজানে কিছু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে, এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। সেজন্য জুমার নামাজের যে খুতবা দেওয়া হয়, সেখানে কালোবাজারি, খাদ্যে ভেজাল দেওয়া- এটা যে গর্হিত কাজ সে ব্যাপারে ইমামদের কথা বলা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে সারা দেশে একযোগে মোট ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করেন। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন। আজকে তৃতীয় ধাপে আরও ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করছেন। এর মধ্য দিয়ে সারাদেশে মোট ১৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন হবে।

আজ যেসব এলাকায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হচ্ছে সেগুলো হলো- ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার সদর ও বোয়ালমারী, রাজবাড়ী জেলা সদর এবং পাংশা। রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর ও কালাই, নওগাঁ জেলা সদর, পত্নীতলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট, পাবনা জেলার ফরিদপুর ও রাজশাহী জেলার চারঘাট, তানোর। রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলা সদর, ফুলবাড়ী, লালমনিরহাট জেলা সদর, নীলফামারী জেলা সদর, পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া, বোদা, অটোয়ারী, রংপুর জেলার তারাগঞ্জ, দিনাজপুরের পার্বতীপুর।

ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া, নান্দাইল, নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা, কেন্দুয়া ও মদন উপজেলা। বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলা সদর, আগৈলঝাড়া। চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, লক্ষ্মীপুর সদর এবং রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা।

খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা, সদর, দামুড়হুদা, জীবননগর, ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, খুলনা জেলার তেরখাদা, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর, মিরপুর, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং যশোর জেলার সদর।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৭৫ সালের ইসলামিক ফাউন্ডেশন আইন প্রণয়ন করেন। বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার সঙ্গে সংগতি রেখে সারা দেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ইসলামি সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে উঠবে।

Leave a Reply

আন্দোলনে আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান…

অনলাইন ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে রাজধানীর Read more

বাঞ্ছারামপুরে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সহনশীলতায় বিশ্বাস করে, শান্তিপ্রিয় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাক্তন স্কাউটদের বিশেষ সাধারণ সভা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাক্তন স্কাউটস সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও Read more

আখাউড়ায় মাকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাকে দেখামাত্র অসুস্থ Read more

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইকুয়েডরকে হারাল ব্রাজিল

অনলাইন ডেস্ক : ইকুয়েডরের বিপক্ষে রদ্রিগোর একমাত্র গোলে জয়ের দেখা Read more

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের…

চলারপথে রিপোর্ট : বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জেলা ছাত্রদল, যুবদলের Read more

মালয়েশিয়ায় একদিনে অভিযানে ২২২ বাংলাদেশি আটক

অনলাইন ডেস্ক : মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ২২২ জন Read more

নবীনগরে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী…

চলারপথে রিপোর্ট : উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি ‘সুরসম্রাট’ খ্যাত Read more

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ৬ সেপ্টেম্বর ‘সুরসম্রাট’ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর Read more

জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে উদীচীর…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে Read more

সালমান শাহকে হারানোর আজ ২৮ বছর

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের বাঁক ঘোরানো তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা Read more

দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত প্রায়…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের Read more

অবৈধভাবে পণ্য মজুতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

জাতীয়, 22 January 2023, 1086 Views,

ডেস্ক রিপোর্ট :
অবৈধভাবে পণ্য মজুতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হচ্ছে। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২২-এর খসড়ায় এ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। অন্য সব অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

সম্প্রতি নতুন আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত খসড়া আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধের বিশেষ আদালতে বিচার হবে।

গত বছরের ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়। খসড়াটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সবার মতামত নেওয়া হচ্ছে। এরপর এটি আবার মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে তা সংসদে যাবে। এ আইন পাশ হলে ‘ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ ও ‘দ্য ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ বাতিল হয়ে যাবে।

উল্লে­খ্য, বছরের বিভিন্ন সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এরপর ওইসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিপুল অঙ্কের মুনাফা লুটে নেয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত চক্রটি এ কাজ করলেও সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এ কারণে নতুন আইন করা হচ্ছে।

নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়- কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন তাহলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

উৎপাদন বা বিপণন সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ডের বিষয়ে বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই ধরনের জাতের উপজাত পণ্য হিসাবে উল্লে­খ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করেন, খাদ্যদ্রব্যের মধ্য থেকে কোনো স্বাভাবিক উপাদান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অপসারণ করে বা পরিবর্তন করে উৎপাদন বা বিপণন করেন বা খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশিয়ে উৎপাদন বা বিপণন করেন- তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- সরকার খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহকালে সরকারি গুদামে রাখা পণ্য বৈধ বা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে, দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য বা সরকারি গুদামের পুরোনো বা বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এমন চিহ্নযুক্ত খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ সরকারি গুদামে সরবরাহ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধিদপ্তরের বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে- এমন চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামের খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বিতরণ, স্থানান্তর, কেনাবেচা করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।

খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- অপরাধের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আদালত থাকবে, যার নাম হবে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত হিসাবে নির্ধারণ করতে পারবে। একাধিক আদালত নির্ধারণ করা হলে প্রতিটি আদালতের জন্য স্থানীয় অধিক্ষেত্র নির্দিষ্ট করবে।

‘টিকটক বানাতে’ গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু

জাতীয়, 14 July 2023, 648 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় রেল ব্রিজের ওপর টিকটক ভিডিও করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মাহবুব আলম সিয়াম (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্য হয়েছে। আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর বাজার রেল ব্রিজে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহবুব উপজেলার দক্ষিণ হাজাতিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। তিনি এ বছর স্থানীয় রহমত আলী মিয়াজী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফল প্রত্যাশী ছিলো।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে সিয়াম বাগমারা উত্তর বাজার রেল ব্রিজের ওপর টিকটক ভিডিও তৈরি করছিলো। এ সময় হঠাৎ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রিজে উঠে যায়। এতে ট্রেনের ধাক্কায় ওই তরুণের মাথা ফেটে মগজ বেরিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেরে স্বজনরা এসে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ আলম বলেন, রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই নিহতের পরিবার দেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে গেছে। কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপন করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 2 November 2023, 890 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী।

আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) প্রতিনিধি সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে এ দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দাবির বিষয়টি মনযোগসহকারে শুনেন।

এছাড়াও দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক সমাজ তথা পুরো জেলাবাসীর পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগীতা থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পাশাপাশি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন দীপক চৌধুরী বাপ্পী।

বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন।

সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর নেতৃত্বে সংগঠনের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয় অংশ নেন।

রিমালের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে রাত ২টা পর্যন্ত জেগে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 28 May 2024, 166 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত দুর্গতদের পাশে সরকারি কর্মকর্তাদের থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের গতানুগতিক অবস্থার বাইরে এসে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

আজ ২৮ মে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম (অব.) এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনাসচিব সত্যজিত কর্মকার, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. এমদাদউল্লাহ মিয়ান।

পরিকল্পনাসচিব জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে রাত ২টা পর্যন্ত জেগে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রত্যেক জেলার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ব্যবস্থাপনা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তা ছাড়া ল্যান্ডফোনকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন। কেননা রিমালে ল্যান্ডফোনের গুরুত্ব সামনে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন, যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার যথাযথ হিসাব বের করতে হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এসেছে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তা ছাড়া দ্রুত দুর্গত এলাকায় খাবার পানির ব্যবস্থা করতে বলেছেন।

একনেক সভায় রোহিঙ্গাদের উন্নয়নসহ ১১ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে সাত হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

ট্রেনের টিকিট পেতে লাগবে অ্যাকাউন্ট ১ মার্চ থেকে নতুন নিয়ম

জাতীয়, 15 February 2023, 1030 Views,

চলারপথে ডেস্ক :

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে নিবন্ধন। আগামী ১ মার্চ থেকে এনআইডি না দেখিয়ে টিকিট পাওয়া যাবে না। ট্রেনে ভ্রমণ করা যাবে না। কালোবাজারি বন্ধে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নে এ পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে বলে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাজধানীর রেলভবনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

টিকিটে যাত্রীর নাম, এনআইডি নম্বর ও ফোন নম্বর থাকবে। ভ্রমণের সময় সঙ্গে যাত্রীদেরকে এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট অথবা ছবিযুক্ত পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। পরিচয়পত্রে ও টিকিটে থাকা নামের অমিল থাকলে, বিনা টিকিটের যাত্রী হিসেবে গণ্য করে জরিমানা করা হবে।

আন্তঃনগর ট্রেনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয় অ্যাপে ও অনলাইনে। অনলাইনে এনআইডি ও ফোন নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে টিকিট কাটতে হয়। তবে এনআইডি সঠিক কিনা তা যাচাইয়ের সুযোগ নেই। এখন থেকে যাচাই হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে, অনলাইনে টিকিট ফেরত দিয়ে অনলাইনেই টাকা ফেরত পাবেন যাত্রীরা।
রেলের অতিরিক্ত মহাসচিব সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে জীবনে একবারই অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন নেই। ভুয়া এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করলে, ভ্রমণের সময় ধরা পড়বে। একটি এনআইডি দিয়ে একটির বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।

রেল সূত্র জানিয়েছে, অন্যের এনআইডি দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ রয়েছে। সরদার সাহাদাত আলী বলেছেন, প্রমাণ দিলে যাঁর এনআইডি তাঁকে অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হবে।

রেলমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানান, সব বিভাগীয় শহরে এবং আন্তঃনগর ট্রেনের প্রারম্ভিক স্টেশনে নিবন্ধনের জন্য থাকবে হেল্প ডেস্ক। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে টিকিটিং ব্যবস্থায় এই পরিবর্তন। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা বাবা অথবা মায়ের এনআইডি দিয়ে টিকিট কিনতে পারবে। ভ্রমণের সময় সঙ্গে রাখতে হবে জন্ম নিবন্ধনের সনদের ফটোকপি। টিকিট চেকিংয়ে পয়েন্ট অব সেল (পস) মেশিন ব্যবহার করা হবে। জাল টিকিট শনাক্ত করা হবে পস মেশিনে। বিনা টিকিটের যাত্রীদের জরিমানা করে টিকিট ইস্যু করা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।