চলাপথে রিপোর্ট :
‘হঠাৎ কী যে হইলো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। মনে হলো মাথায় আসমান ভেঙে পরতাছে। ছেলেকে বুকে জড়িয়ে রেখে আল্লাহকে ডাকছিলাম। মুহূর্তের মধ্যেই সব ঘটে গেল। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে এভাবেই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিলেন দ্বিতীয় জীবন পাওয়া আনোয়ারা বেগম (২৫)।
পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনাকবলিত ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের যাত্রী ছিলেন তিনি। আজ ১৯ মার্চ রবিবার ভোরে বাসটি খাদে পড়ে ১৬ জন প্রাণ হারান।
আনোয়ারা বেগম এবং তার শিশু সাজ্জাদকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
উদ্ধারের পর অনেকটা ঘোরের মধ্যে ছিলেন আনোয়ারা। কিছুক্ষণ পর ঘটনার ভয়াবহতা দেখে আঁতকে উঠলেন এবং সন্তানকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি।
বার বার আল্লাহকে ডাকছেন এবং আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জানাচ্ছেন তিনি।
ঘোর কাটলে নিজের পরিচয় দেন আনোয়ারা। জানান, বাগেরহাটের মোল্লারহাটের গারফা গ্রামের তাহিম মোল্লার স্ত্রী তিনি। মোল্লারহাট থেকে বাসে উঠেন।
আলাপচারিতায় আনোয়ারা বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িটি বেশ দ্রুত গতিতে চলছিল। কিছুক্ষণ পরেই পদ্মা সেতু। এমন আলোচনা করছিল যাত্রীরা। হঠাৎ করেই গাড়িটি রাস্তা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যাচ্ছিল। ওই সময়ে শুধু সন্তানকে জড়িয়ে রেখেছিলাম। ’
আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘বাগেরহাটের মোল্লারহাট থেকে ভোর ৬ টায় গাড়িতে উঠি। ঢাকার ধানমণ্ডি বড় বোনের বাসায় যাচ্ছিলাম। দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার মুহূর্তে মনে হয় জ্ঞান ছিল না। গাড়ির মধ্যে থেকে কে বা কারা বের করে আনছে তা মনে নাই। স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে এখনও। ’
এদিকে, খবর পেয়ে আনোয়ারার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন। এখন আর ঢাকায় বোনের বাসায় যাবেন না, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যাবেন বলে জানান তিনি।
আনোয়ারা বেগমের ছেলে সাজ্জাদকে প্রশ্ন করা হলে সে বলে, আমি কিছুই বুঝতে পারি নাই। মায়ের কোলে ছিলাম।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকাল ৮ টার দিকে শিবচরের এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকার ঢাকাগামী লেনে ইমাদ পরিবহনের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে উল্টে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। হাসপাতালে মারা যান আরও ২ জন। হতাহতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়ে। দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ, শিবচর থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের টিম উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
অনলাই ডেস্ক :
আসন্ন ২২ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাধারণ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা জমা দিতে হবে। তবে সদস্যদের তা দিতে হবে না।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এমন নির্দেশনা প্রার্থীদের অবহিত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর এস, আর, ও নং ২৭৭- আইন/২০২৩ অনুসারে চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত ফরমে হলফনামা দাখিলের বিধান রয়েছে।
এক্ষেত্রে হলফনামার সঙ্গে যে কাগজপত্র বা তথ্য জমা দিতে হবে:
(১) প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি।
(২) বর্তমানে তিনি কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত আছেন কিনা।
(৩) তার বিরুদ্ধে অতীতে দায়েরকৃত কোনো ফৌজদারি মামলার রেকর্ড আছে কিনা, থাকলে রায় কি ছিল।
(৪) তার ব্যবসা বা পেশার বিবরণী।
(৫) আয়ের উৎস বা উৎসসমূহ।
(৬) নিজের ও অন্যান্য নির্ভরশীলদের সম্পদ ও দায় এর বিবরণী।
(৭) কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে তদকর্তৃক একক বা যৌথভাবে বা তার ওপর নির্ভরশীল সদস্য কর্তৃক গৃহীত ঋণের পরিমাণ অথবা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা পরিচালক হওয়ার সুবাদে উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণের পরিমাণ।
মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার কুটি, লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখা, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়ার পুঠিয়া; ভোলার লালমোহনের ধলীগৌরনগর ও লর্ডহার্ডিঞ্জ; পটুয়াখালী সদরের কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলীর আমতলী; সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর; সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও এবং পোকখালী ইউপিতে আগামী ২৮ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ মার্চ, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ এপ্রিল, আপিল দায়েরের সময় ২ থেকে ৪ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ এপ্রিল। আর প্রতীক বরাদ্দ ৯ এপ্রিল।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতার এই সময়ে ভবিষ্যতের ধকল মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে দুর্বলদের জন্য সহনশীলতা তৈরিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আবশ্যক।
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর আবারও জোর দিয়ে তিনি বলেন, প্রলম্বিত যুদ্ধ এবং আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে চলেছে। যুদ্ধের প্রতিটি দিন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে এবং বিশ্বের দূরতম প্রান্তে অনেক জীবন কেড়ে নিচ্ছে এবং ধ্বংস করছে।
আজ ২১ জুলাই শুক্রবার গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের (জিসিআরজি) সভায় ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনকভাবে আমরা আজকে যখন ক্রমবর্ধমান সংকট এবং মানবতার ওপর এর বিধ্বংসী প্রভাব নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি, তখন ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। প্রকৃতপক্ষে প্রতিদিন যুদ্ধে নতুন নতুন অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আরও বেশি ধ্বংস ডেকে আনছে এবং সারাবিশ্বের মানুষের জীবনে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলছে। দারিদ্র্য ও বৈষম্য তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দরিদ্র দেশগুলোর ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এসব সমস্যা এবং অন্যান্য ধাক্কা বিশ্বজুড়ে খাদ্য, শক্তি ও অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতিতে বিলম্ব হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জ্বালানি ও খাদ্য আমদানিকারক দেশ হিসেবে ক্রমবর্ধমান আমদানি ব্যয়, মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপে ভুগছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতের ধকল মোকাবিলায় সহনশীলতা তৈরি করতে তার কয়েকটি নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সংস্কারকৃত আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামো প্রয়োজন যা স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিনা শর্তে রেয়াতি, স্বল্প মূল্যের, স্বল্প সুদের তহবিলে প্রবেশাধিকারসহ আর্থিক সুবিধা দেবে।’
তিনি বলেন, যে কারণগুলো খাদ্যের মূল্যকে প্রভাবিত করে– যেমন রপ্তানি বিধিনিষেধ, মজুদ ও সরবরাহ চেইন বিকৃতি এসবের সুরাহা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ব্ল্যাক সী ইনিশিয়েটিভের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মানুষকে খাদ্য দিতে এবং জীবন বাঁচাতে এটি আরও সম্প্রসারণ করা দরকার।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ জ্বালানি সংমিশ্রণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে জ্বালানি আমদানি হ্রাসের পাশাপাশি জ্বালানি শক্তিকে বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।
খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন পরস্পর সম্পর্কিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পৌনঃপুনিকতা ও তীব্রতা বাড়ায়। তিনি বলেন, এটি আবার কৃষি, খাদ্য উৎপাদন এবং মানুষের বাস্তুচ্যুতিকে প্রভাবিত করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আগামীকাল ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে পাঁচটি পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পণ্যগুলো হলো চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা ও খেজুর। সারা দেশে ভর্তুকি মূল্যে পণ্যগুলো বিক্রি করবে টিসিবি।
আজ ৮ মার্চ বুধবার টিসিবির যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রাজধানীর তেজগাঁও তিব্বত মোড় সংলগ্ন টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে এ বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ফ্যামেলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবার টিসিবির ডিলারদের দোকান ও স্থায়ী স্থাপনা থেকে এ পণ্য কিনতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, একজন কার্ডধারী ৬০ টাকা দরে এক কেজি চিনি, প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে সর্বোচ্চ দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল, ৫০ টাকা দরে এক কেজি ছোলা ও ১০০ টাকা দরে এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। তবে খেজুর শুধুমাত্র ঢাকা সিটি করপোরেশনে বিক্রি হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া তরুণদের নেতৃত্বে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টায় নতুন জাতীয় রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠকেরা এই দল তৈরি করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, সদস্য আকরাম হোসেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আত্মপ্রকাশের কথা থাকলেও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দলটি আত্মপ্রকাশ করতে পারে। দলটির আয়োজনে নানান কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তবে দলের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) একটি প্রতিনিধি দল।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বন্দরের স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন তাকেশী শিমোমোরা।
প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া স্থলবন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামো, বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও যাত্রী পারাপার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। মূলত বন্দরের কী কী অবাকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়ন করা যায়- সেটি যাচাইয়ের জন্যই জাইকার প্রতিনিধি দলের এ পরিদর্শন।
এ সময় আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া এবং আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।