চলারপথে ডেস্ক :
ডিজিটাল বাংলাদেশ কল্যাণের জন্য করা হয়েছে, অকল্যাণের জন্য নয়- জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশবিরোধী একটি শক্তি আছে, যত কাজই হোক সেটা তাদের চোখে পড়ে না। আর একটা শ্রেণি আছে যারা বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বদনাম করে। এর বিনিময়ে আর্থিক সুবিধাও পায়। বাংলাদেশের উন্নতি তাদের চোখেই পড়ে না। এ সময় তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেন।
পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী র্যাবের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছু লোক উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান জানিয়েছেন, র্যাবের ওপর যখন নিষেধাজ্ঞা আসে তখন অনেকেই ঘাবড়ে গিয়েছিল, তবে তিনি বলেছেন, ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
আজ ১৯ মার্চ রবিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে র্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৪ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। তবে পবিত্র রমজান মাসের কারণে এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ১৯ মার্চ এগিয়ে আনা হয়েছে। সংস্থাটির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে আজ। র্যাবের এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান হলো- ‘নিরাপত্তা রক্ষায় গণমানুষের আস্থায়’।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি দেশ র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। অনেকে তখন ঘাবড়ে গিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রথমে সবাই বোধহয় মন খারাপ করেছিল। তবে এখন আর চিন্তা নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অপপ্রচার চালিয়ে একটি বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। কোন উদ্দেশে তারা এটা করেছে সেটাও বের করতে হবে।’
র্যাবের কেউ অপরাধ করে পার পাবে না জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি যেহেতু সরকারে আছি কে ভালো করছে, কে মন্দ করছে সেটা আমি দেখব। কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি পাবে। পরের কথা শুনে কেউ মন খারাপ করবেন না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে।’
র্যাবকে শান্তি, নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস নির্মূলসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই র্যাবের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে।
বিএনপি দেশকে জঙ্গিবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে র্যাব বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান ছাড়া জঙ্গিরা তেমন কোনো ঘটনা ঘটাতে পারেনি। এক্ষেত্রে র্যাবের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তিনি।
কিশোর গ্যাং দমনে র্যাবকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া মাদক নির্মূলে র্যাবের ভূমিকাও উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, মাদকাসক্তি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ধনিক শ্রেণি থেকে শুরু করে দরিদ্র পর্যন্ত সবখানে এর প্রভাব। একটা পরিবারে একজন মাদকাসক্ত থাকলে অশান্তির কোনো সীমা থাকে না। র্যাব মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালাচ্ছে তাকে সামাজিক আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। সবাইকে মাদক নির্মূলে আরও সক্রিয় হতে হবে।
এ সময় তিনি ভেজালবিরোধী অভিযানে র্যাবের সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, রমজান মাস এলেই যেন কিছু মানুষের মুনাফার অভিলাস জাগে। অথচ এই মাস হলো কৃচ্ছ্বতার মাস। আরেকটি হলো খাদ্যে ভেজাল দেওয়া। এই বিষয়গুলো প্রতিরোধেও র্যাব ভূমিকা রাখছে।
চলারপথে ডেস্ক :
তিন স্ত্রী তাকে পরিত্যাগ করে চলে যাওয়াই নারীদের প্রতি আসক্ততা থেকেই রাতের আধারে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাফখোলা গ্রামের ঘুমন্ত নারীদের নগ্ন ভিডিও ধারণ করতেন তিনি। যার লক্ষ্য ছিল অন্য নারীদের সাথে ব্লাক মেইল করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও অর্থ আত্মসাৎ।
আজ ৫ মে শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন তথ্য জানান পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাফখোলা গ্রামে প্রায় দুই বছর ধরে রাতের আধারে নারীদের নগ্ন ভিডিও ধারন ও ছবি তোলার বিষয়টি জানাজানির পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা শৈলকুপা থানায় চলতি মাসের ৪ তারিখ রাতে পর্নোগ্রাফী আইনে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলার আসামি জুলকার খাঁ ও জান্নাতী খাতুনকে শুক্রবার ভোর রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনবেস্টিগেশন সেল।
গ্রেফতারকৃতরা হল- উপজেলার সাফখোলা গ্রামের আদিল উদ্দিন খাঁর ছেলে জুলকার খাঁ (৩৫) এবং ওই গ্রামেরই শামসুল বিশ্বাসের কন্যা জান্নাতী খাতুন (২০)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই শৈলকুপা উপজেলার সাফখোলা গ্রামে রাতের আধারে কিছু মানুষ নারীদের নগ্ন ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করার ঘটনা সামনে আসে। বিষয়টি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। পরে থানায় মামলার পর মোবাইলে পাওয়া সিম কার্ড থেকে সুত্র ধরে মালিক সনাক্ত করা হয়। এরপর কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনায় জড়িত জুলকার খাঁ ও জান্নাতী খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের মোবাইলে প্রায় ৫০টির মত ভিডিও পাওয়া গেছে, রয়েছে নগ্ন ছবি। তবে অন্য মোবাইলে আরো ভিডিও আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই গ্রেফতারকৃত জুলকার খাঁ ওই গ্রামের এক নারীকে ব্লাক মেইল করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে অন্য নারীদের বিষয়ে জানা যায়নি এবং ব্লাক মেইল করে অর্থ আত্মসাতের পরিকল্পনা তাদের ছিল যেটা জ্ঞিাসাবাদে আসামিরা বলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, ইতোপুর্বে জুলকার খাঁর তিন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে ওই গ্রামের জান্নাতীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর জান্নাতী তার বাবার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড তাকে দেয় ব্যবহারের জন্য।
উল্লেখ্য, সাফখোলা গ্রামে একটি বাড়িতে এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ রাতে জানালা দিয়ে নারীদের ভিডিও ধারনের সময় বাড়ির লোকজন ব্যক্তিটিকে হাতে আঘাত করে। সেসময় ওই ব্যক্তি মোবাইল ফোনিটি ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি জানাজানি হয়।
ডেস্ক রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন সংগ্রাম করে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি। আজকে নির্বাচনী সংস্কার আমরা করেছি। আজকের জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কাকে তারা নির্বাচিত করবে। কে সরকারে আসবে।
তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাস-খুন করে জনগণের হৃদয় জয় করা যায় না। এটা তাদের (বিএনপি-জামায়াত) জানা উচিত এবং তাদের সে অনুযায়ী কাজ করা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ায়, আন্দোলনের নামে রেল গাড়িতে যাতে দুর্ঘটনা হয় সেজন্য মৃত্যুর ফাঁদ তৈরি করে রাখে। মানুষ হত্যা করে, মানুষকে পুড়িয়ে মারে। জিয়াউর রহমান যেমন মানুষ হত্যা করেছে, খালেদা জিয়া এসেও একই কাণ্ড করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, কোটালিপাড়া বোমা রেখে দেওয়ার মত বহু ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। ঠিক একই ভাবে আজকে লন্ডনে বসে হুকুম দেওয়া হচ্ছে। ওখান থেকে হুকুম দেওয়া হয় আর এখন থেকে তাদের দল আগুন দেয়। এই যে আগুন নিয়ে খেলা এই খেলা ভালো নয়। বাংলাদেশের মানুষ এটা কখনো মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানোবো যারা অগ্নি সন্ত্রাসী, তাদের বিরুদ্ধে সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ওরা হরতাল দিয়ে লুকিয়ে থাকে। ঘরে বসে থাকে। তার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছে সে সুযোগ নিয়ে গুপ্তস্থান থেকে তারা হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দেয় আর মানুষ হত্যার নির্দেশ দেয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, লন্ডনে বসে সে এসবের হুকুমদাতা।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে তাদের কিসে ভালো কিসে মন্দ। আর কোন দল ক্ষমতায় থাকলে তাদের কল্যাণ হয়।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোন অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর পকেট থেকে উঠে আসেনি। আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি মানুষের সংগঠন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এই সংগঠন গড়ে উঠেছে। কাজেই এই সংগঠনের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। আওয়ামী লীগকে এভাবে তারা কোনদিনই উৎখাতও করতে পারবে না, দাবাতেও পারবে না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও সুজীত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল আলম মিলন এমপি, কেন্দ্রীয় নেত্রী মেরিনা জাহান কবিতা, এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শেখ বজলুর রহমান ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি এবং সহপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে শপথ নিয়ে আমরা সংসদে যাবো।
আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর সেনপাড়ার বাসায় রংপুর বিভাগের এমপি প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, তাই এ মুহূর্তে শপথ না নিয়ে পিছু হবো না। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আমরা সংসদে যাবো।’
তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘এ নির্বাচন সরকার যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে, সেখানে সুষ্ঠু করেছে। আর যেখানে চেয়েছে তাদের লোকজনকে জেতাতে, সেখানে জোর করে সিল মেরে আমাদের লোকজনকে হারিয়ে দিয়েছে।’
‘রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির হেরে যাওয়া প্রার্থীদের অনেকেই হতাশায় ভুগছিলেন’ জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এজন্য সবার সঙ্গে বসে সমস্যা শুনলাম এবং লিখিত স্টেটমেন্ট নিলাম। এ তথ্যগুলো পরবর্তী ফলোআপে কাজে লাগবে আমাদের।
এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুর সদরে আম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. রাকিব হোসেন নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মান্দারি ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গন্ধ্যব্যপুর আতর আলি ভূঁইয়া বাড়ি জামে মসজিদ মাদরাসার ছাদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ওই মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। কুশাখালি ইউনিয়নের মিডাইর খিল গ্রামের ইলিয়াস মৌলভি সাহেবের বাড়ির নুর আলমের ছেলে তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষক রাকিব হোসেন গাছ থেকে আম পাড়ার জন্য মাদ্রাসার চাদের উপর উঠেন। চাদের উপর দিয়ে একটি হাই ভোল্টেজের বিদ্যুতের লাইন ছিল। আম পাড়তে গিয়ে অসাবধানতাবসত তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে সেখানেই মারা যান তিনি। মান্দারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটওয়ারী দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেছেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
আজ ২১ এপ্রিল রবিবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন জমা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিন্নির আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান।
এর আগে গত বছরের ৮ মে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন তিনি। পরে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় এলে পরে আর শুনানি হয়নি।
গত বছরের ১১ জানুয়ারি মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।
পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
খালাস পান মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা।
পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।
হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।