চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, অতীতের মত ব্যক্তি স্বার্থে জেলাপরিষদ থেকে কোন প্রকল্প গ্রহণের সুযোগ নেই। পরিষদ সভায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকারকারী কয়েকজন সদস্যকে উদ্দেশ্য করে, তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় ‘গ্রাম হবে শহর’ শীর্ষক গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলাপরিষদ নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করবে।
আজ ১৯ মার্চ রবিবার জেলাপরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এর সভাপতিত্বে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজুর রহমান ওলিও, উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহম্মদ, উপজেলা চেয়াম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পৌরমেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী, মেয়র শিব শংকর দাস, মেয়র মোঃ তফাজ্জল হোসেন, নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল আজিজ, সামছুল কিবরিয়া রাজা, প্যানেল চেয়ারম্যান (২) মোঃ নাছির উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান (৩) সনি আক্তার, রুমানুল ফেরদৌসী এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিরনগর, আশুগঞ্জ, বিজয়নগর, কসবা ও বাঞ্ছারামপুর প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি সহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফুলে ফুলে সিক্ত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া। নবাগত চেয়ারম্যান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ এবং মানবতার মাতা বিশ্বনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাবো। তিনি বলেন গ্রামকে শহরে পরিণতের মিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলে একযোগে কাজ করতে হবে।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে দায়িত্ব গ্রহণ এবং ৮ম মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগনের সেবক হিসেবে কাজ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদকে একটি জবাবদিহি জেলা পরিষদ হিসেবে উপহার দিতে চাই। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ‘আমার গ্রাম, ‘আমার শহর।’ অর্থাৎ গ্রামের মানুষ সকল নাগরিক সুবিধা পাবে। এসময় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। বক্তব্যে রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান। উম্মোক্ত বক্তব্যে রাখেন নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন, নবীনগর পৌরসভার মেয়র এডঃ শিব শংকর দেবনাথ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ, রুমানুল ফেরদৌস, সনি আক্তার সূচী, সদস্য যথাক্রমে মোঃ নাছির উদ্দিন, পায়েল হোসেন মৃধা, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, সামুছল কিবরিয়া রেজা প্রমুখ। নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া, সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল আলম ভূইয়া, আখাউড়া নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাকসহ আমন্ত্রীত অতিথিবৃন্দ এবং জেলা পরিষদের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভা পূর্বে জেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান যোদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা জননেতা আল মামুন সরকারের রুহের মাগাফেরাত কামনা করে দাড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন। এর পুর্বে জেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মর্তা এবং পরিষদ সকল সদস্যগন পু®পস্তবক অর্পন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার একটানা ২২ বছরের সফল পৌর চেয়ারম্যান মৌড়াইল এর কৃতিসন্তান, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, নাট্য ব্যক্তিত্ব, সাবেক এন এম এ, শিক্ষানুরাগী, সাংস্কৃতির পুরোধা ব্যাক্তিত্ব গণ মানুষের নেতা আজিজুর রহমান মোল্লা ওরফে জারু মোল্লার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৪ মার্চ পালিত হয়েছে। মরহুমের পরিবারবর্গ কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল এর মাধ্যমে উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মরহুম জারু মোল্লা ১৯৮৭ সালের ৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম জারু মোল্লার সুযোগ্য পুত্র সাবেক সফল পৌর মেয়র ও জেলা বি এন পির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি জেলাবাসীর কাছে উনার পিতার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি গঠনের জের ধরে আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় ৮-১০ জন আহত হয়।
শনিবার বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের পাওয়ার হাউজ রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা বিএনপির পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
কমিটিতে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়।
আহবায়ক কমিটির অপর ৩জন সদস্য হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী।
এদিকে শনিবার বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের পাওয়ার হাউজ রোড (কান্দিপাড়া আখড়ার মোড়) এলাকায় আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন।
একই সময়ে শহরের শিমরাইল কান্দি বিএডিসি (শেখ হাসিনা সড়ক) মোড় থেকে সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে নব-ঘোষিত কমিটির পক্ষে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে কালীবাড়ি মোড়ের দিকে আসার পথে পাওয়ার হাউজ রোডের আখড়ার মোড়ে পৌছলে হঠাৎ করে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা লাটিসোটা ও বাঁশ নিয়ে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। প্রায় ২০-২৫ মিনিট চলে উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল বিনিময়। এ সময় হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জহিরুল হক খোকনের অনুসারীরা সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা (এই কমিটি ঘোষণার মূলহোতা) কবির আহমেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় উভয়পক্ষের ৮-১০জন নেতা-কর্মী আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে উভয়পক্ষের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমান সানি লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী। তার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সানির বড় ভাই এক সময়ের আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কবির আহমেদ ভূঁইয়া (বর্তমানে বিএনপি নেতা) এই বিতর্কিত কমিটি করেছেন।
এ ব্যাপারে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটির আহবায়ক আবদুল মান্নান বলেন, আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। নতুন কমিটি দেয়ায় আনন্দ মিছিল হয়েছে বলে শুনেছি। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীরা পাওয়ার হাউজ রোডে কেক কাটার আয়োজন করে। সেখানে সবাইকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ আসেনি। আহবায়ক কমিটির ঘোষণা করায় একটি পক্ষ আনন্দ মিছিল ও সংবর্ধনার আয়োজন করে। আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই এমপি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের আনিসুল হক তৃতীয়বারের মতো (আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়) এর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। জেলায় দুই জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পেয়ে উচ্ছ্বসিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এ দুই মন্ত্রীর হাত ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।
১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রায় ৩৫ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় উন্নয়ন তেমন হয়নি। এবার দু’জন মন্ত্রী পাওয়ায় জেলাবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, দুই মন্ত্রী পেয়ে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। আশা করি আমাদের জেলা তাদের হাত ধরে স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার বলেন, আমাদের প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির যে ফারাক ছিল তা এবার পূরণ হবে বলে আশা করি।
সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ থাকবে, নদী-প্রকৃতি সুরক্ষা করেই যেন সব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি করে ১০৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীরা। ১১ আগস্ট রবিবার রাতে শহরের কাউতুলী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তিন মাদক চোরাকারবারিকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে মাদকসহ হস্তান্তর করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা কিছুদিন যাবত শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। রবিবার রাতেও তারা যানজট নিরসনে শহরের কাউতুলী মোড়ে কাজ করছিল। রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি প্রাইভেটকারে তারা তল্লাশি চালায়। তল্লাশিকালে ১৮টি প্যাকেটে ৫৪ কেজি গাঁজা তারা উদ্ধার করে।
এসময় আটক করা হয় কাউসার আলম ভূইয়া নামের প্রাইভেটকার চালককে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে খবর দেওয়া হলে ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলমের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা সেখানে গেলে মাদকসহ প্রাইভেটকার ও আটক ব্যক্তিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার এক ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে একই স্থানে একটি প্রাইভেটকারকে তারা দাঁড়াতে সিগন্যাল দেয়। কিন্তু প্রাইভেটকারটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে শিক্ষার্থীরা মোটরসাইকেলে প্রাইভেটকারটিকে ধাওয়া করে অবকাশ এলাকায় আটক করে। এ সময় প্রাইভেটকারে তল্লাশি করে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার এবং দুইজনকে আটকের পর সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে শিক্ষার্থীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে থাকা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলম দিদার বলেন, মাদকসহ দুটি প্রাইভেটকার শিক্ষার্থীরা আটক করে হস্তান্তর করেছে। এই ঘটনায় নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।