চলাপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী আদর্শ দেশপ্রেমিক তৈরি করবে। নিজেদের অধিকার আদায়ে অটল থাকতে এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে বইটি অসামান্য ভূমিকা পালন করবে।’
বাহেরচর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশের তরে অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন বলেই দেশ স্বাধীনতা লাভ করছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তারই পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির মডেলকে ফলো করছে।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নির্বাচনি মনোনয়ন পর্ব শেষ হলে বুঝা যাবে আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ নির্বাচনে যাবে কিনা। কিংবা আমাদের বিরুদ্ধে যারা দাড়াচ্ছেন কোন দল বেশি শক্তিশালী, কোন দল কম শক্তিশালী সেটা পরে বুজা যাবে। আমরা চাই নির্বাচনে সকলেই অংশগ্রহণ করুক। একটি উৎসব ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের আগামী দিনের সরকার পছন্দ করে নিবে।
আজ ২২ নভেম্বর বুধবার দুপুরে চাঁদপুরস্থ কদমতলা রোডের শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সংসদীয় আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে। তাই সকলের মনোনয়ন চাইবার গনতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। মনোনয়ন কাকে দেওয়া হবে সেটা মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত কিন্তু চাইবার অধিকার সবার আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও পৌর বিএনপির মধ্যে বিরোধের জেরে হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ।
গতকাল ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সম্মেলনস্থলসহ পুরো পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবুল মুনসুর মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই এ আদেশ কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। ওই সময় উল্লেখিত স্থানের মধ্যে কোথাও কোনো ধরণের সভা-সমাবেশ করা যাবে না।
আজ ২০ নভেম্বর বুধবার সকালে এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর উপস্থিত থাকার কথা ছিলো। এরই মধ্যে সোমবার সম্মেলন বিরোধী পক্ষ মিছিল বের করলে এতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে। পরে দু’পক্ষের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন। এক পক্ষ সম্মেলন করার বিষয়ে ও অন্য পক্ষ প্রতিহতের বিষয়ে অনঢ় থাকে। এ অবস্থায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করল।
গত ২৩ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর, কসবা, আখাউড়া পৌর ও উপজেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই চারস্থানেই বিএনপি’র একাধিক পক্ষ রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, দেশ আজ হুমকির মুখে। এখন বাংলাদেশ অন্য দেশের তাবেদারিতে চলে গেছে। ওখান থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের দেশে সেভাবে বাস্তবায়ন হয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমরা জীবন দিয়েছি। আমরাই দেশকে রক্ষা ও জালেমদের উৎখাত করতে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ করব। বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে আরেকবার স্বাধীনতা যুদ্ধ করতে হবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দলের নায়েবে আমীর ফয়জুল করীমসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার ও ইসির পদত্যাগের দাবিতে আজ ১৬ জুন শুক্রবার বিকালে বরিশালে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর নেতাকর্মীরা নগরীতে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
সিইসির পদত্যাগ দাবি করে চরমোনাই পির বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে দলকে মজবুতের লক্ষ্যে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলোতে অংশ নিয়ে আসছিলাম। কিন্তু বরিশাল সিটি নির্বাচনে বর্তমান সরকার, ইসি ও প্রশাসন যে কাণ্ড ঘটিয়েছে বিশ্বে কলঙ্গের ইতিহাস হয়ে থাকবে। ধিক্কার জানাই এই সিইসিকে।
তিনি আরো বলেন, তাদের কথা এবং কার্যক্রমে লক্ষ্য করেছি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্যই ফয়জুলের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা পানির স্রোতে ভেসে আসিনি। এই জালেম সরকারকে বাংলার মানুষ উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে। তাই আসুন আমরা সবাই একত্রে জালেম, ভোটচোর, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই।
সমাবেশ শুরুর আগে নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে জড়ো হন। এ সময় তারা সিইসির কুশপুত্তলিকা ও কফিন নিয়ে প্রতিকী প্রতিবাদ করেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সভাস্থলে পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার গলাচিপা বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ মাছ ধরছেন ইজারাদার। বাঁধের কারণে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বাঁধের দু’পাশে কচুরিপানা আটকে ফসলি জমিতে উঠে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রূপসদী ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের পশ্চিমপাশে রূপসদী মৌজায় গলাচিপা বিল। এর পাশে ছলিমাবাদ ইউনিয়নের পাঠামারা, রূপসদী ইউনিয়নের খাউরপুরা, হোগলাকান্দি ও রূপসদী গ্রাম। গ্রামগুলোতে অবস্থিত বাজারে বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া করেন ব্যবসায়ীরা। চলতি বছর ২২ একর আয়তনের বিলটি ৫৩ হাজার ৩০০ টাকায় ইজারা নেন রূপসদী ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রবীন্দ্র দাস। ইজারা নিয়ে বিলের দক্ষিণ ও উত্তরপাশে বাঁশ ও জাল দিয়ে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করেন। বাঁধের কারণে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন চার গ্রামের মানুষ।
গলাচিপা বিলে গিয়ে দেখা গেছে, হোগলাকান্দা বাঞ্ছারামপুর সড়কের গলাচিপা সেতুর দক্ষিণপাশে বাঁশ ও জাল দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বিলে কোনো নৌকা প্রবেশ করতে পারছে না। বিলের উত্তরপাশেও বাঁশ ও জাল দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধের কারণে রূপসী দক্ষিণপাড়া জামাই বাজার, হোগলাকান্দা বাজার, দক্ষিণ বাজার ও খাউয়ূরপুরা বাজারের ব্যবসায়ীরা নৌপথে পণ্য আনতে পারছেন না। বাঁধের কারণে কচুরিপানা সরতে না পারায় ফসলি জমিতে উঠে যাচ্ছে।
খাউয়ূরপুরা গ্রামের কৃষক লিল মিয়া জানান, বাঁধের কারণে কচুরিপানা সরতে না পেরে বর্ষার পানি বাড়ায় তা ফসলি জমিতে উঠে গেছে। ধইঞ্চা, পাট ও ধানক্ষেতের অবস্থা খুবই খারাপ।
হোগলাকান্দি গ্রামের সুমন মিয়া বলেন, ‘বর্ষাকালে আমরা নৌকা দিয়ে পাশের জমিতে ও খালে মাছ ধরতাম। কিন্তু বিলে বাঁধ দেওয়ার কারণে নৌকা নিয়ে কোথাও যেতে পারছি না। বর্ষাকাল এলে আমরা এটার ওপরেই চলতাম। এখন মাছ ধরতে না পারায় পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি।’
রূপসদী দক্ষিণপাড়া জামাই বাজারের ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়ার দাবি, বর্ষাকালে গলাচিপা বিল দিয়ে নৌকায় করে পণ্য বহন করতেন তারা। কিন্তু এখন বিলে বাঁধ থাকায় পণ্য বহন করতে পারছেন না। এতে অনেকদূর ঘুরে পণ্য আনতে হচ্ছে। ফলে খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
গলাচিপা বিলের ইজারাদার রবীন্দ্র দাস জানান, বিল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে সময়মতো মাছ ধরতে পারেননি। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করতে হচ্ছে। এতে কারও ক্ষতি হচ্ছে না। বিলের পাশের জমিও বিলের আওতায়, তাই সেখানেও বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ভূমি অফিসের লোকজনও জানে। তবে গলাচিপার বিলে বাঁধের বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি করেছেন রূপসদী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান।
রূপসদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিমের ভাষ্য, বিলে বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি তাঁকে অনেকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে আলাপ করতে হবে। বাঁধ দেওয়ার কারণে এই এলাকার মানুষের নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদা আক্তার জানান, প্রবহমান জলাধারের কোনো জায়গায় বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের সুযোগ নেই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান বলেন, ‘বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কি মিত্র চাকমার ভাষ্য, বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা যাবে না। বিশেষ করে নৌচলাচল ব্যাহত হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।