চলারপথে ডেস্ক :
ডিজিটাল বাংলাদেশ কল্যাণের জন্য করা হয়েছে, অকল্যাণের জন্য নয়- জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশবিরোধী একটি শক্তি আছে, যত কাজই হোক সেটা তাদের চোখে পড়ে না। আর একটা শ্রেণি আছে যারা বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বদনাম করে। এর বিনিময়ে আর্থিক সুবিধাও পায়। বাংলাদেশের উন্নতি তাদের চোখেই পড়ে না। এ সময় তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেন।
পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী র্যাবের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছু লোক উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান জানিয়েছেন, র্যাবের ওপর যখন নিষেধাজ্ঞা আসে তখন অনেকেই ঘাবড়ে গিয়েছিল, তবে তিনি বলেছেন, ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
আজ ১৯ মার্চ রবিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে র্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৪ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। তবে পবিত্র রমজান মাসের কারণে এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ১৯ মার্চ এগিয়ে আনা হয়েছে। সংস্থাটির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে আজ। র্যাবের এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান হলো- ‘নিরাপত্তা রক্ষায় গণমানুষের আস্থায়’।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি দেশ র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। অনেকে তখন ঘাবড়ে গিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রথমে সবাই বোধহয় মন খারাপ করেছিল। তবে এখন আর চিন্তা নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অপপ্রচার চালিয়ে একটি বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। কোন উদ্দেশে তারা এটা করেছে সেটাও বের করতে হবে।’
র্যাবের কেউ অপরাধ করে পার পাবে না জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি যেহেতু সরকারে আছি কে ভালো করছে, কে মন্দ করছে সেটা আমি দেখব। কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি পাবে। পরের কথা শুনে কেউ মন খারাপ করবেন না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে।’
র্যাবকে শান্তি, নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস নির্মূলসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই র্যাবের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে।
বিএনপি দেশকে জঙ্গিবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে র্যাব বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান ছাড়া জঙ্গিরা তেমন কোনো ঘটনা ঘটাতে পারেনি। এক্ষেত্রে র্যাবের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তিনি।
কিশোর গ্যাং দমনে র্যাবকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া মাদক নির্মূলে র্যাবের ভূমিকাও উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, মাদকাসক্তি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ধনিক শ্রেণি থেকে শুরু করে দরিদ্র পর্যন্ত সবখানে এর প্রভাব। একটা পরিবারে একজন মাদকাসক্ত থাকলে অশান্তির কোনো সীমা থাকে না। র্যাব মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালাচ্ছে তাকে সামাজিক আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। সবাইকে মাদক নির্মূলে আরও সক্রিয় হতে হবে।
এ সময় তিনি ভেজালবিরোধী অভিযানে র্যাবের সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, রমজান মাস এলেই যেন কিছু মানুষের মুনাফার অভিলাস জাগে। অথচ এই মাস হলো কৃচ্ছ্বতার মাস। আরেকটি হলো খাদ্যে ভেজাল দেওয়া। এই বিষয়গুলো প্রতিরোধেও র্যাব ভূমিকা রাখছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৭০ মণ ইলিশ। এসব মাছ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরের মিথুন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়। পরে ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয় মাছগুলো।
জেলে আবুল খায়ের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি এলাকায়। এ মৌসুমে জেলেদের জালে ধরা পড়া এটাই হলো সবচেয়ে বেশি পরিমাণের ইলিশ মাছ, এমটাই জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
জেলে আবুল খায়ের বলেন, ধার দেনা করে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগে লক্ষীপুর থেকে ‘এফবি রিভার মেড’ নামের একটি ট্রলারে ১৭ জন জেলেসহ সাগরে যান। গভীর সাগরে দিনে দু’বার করে জাল ফেলার পর তার জালে ১৭০ মণ ইলিশ ধরা পরে। জালে প্রচুরসংখ্যক ইলিশ পাওয়ায় আবুল খায়ের এখন দারুণ খুশি।
মিথুন এন্টার প্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মিথুন মিয়া জানান, শনিবার বিকালে তিনি ইলিশ বোঝই ট্রলার নিয়ে ঘাটে আসেন। এসব মাছ আকারভেদে প্রতি মণ ৪৮ হাজার, ৪২ হাজার, ৩৩ হাজার, ২৭ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা করে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। গত দুই বছরের মধ্যে আমার আড়তে এই জেলেই গতকাল সবচেয়ে বেশি ইলিশ নিয়ে এসেছেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এবছর জেলে আবুল খায়ের সবেচেয় বেশি পরিমাণ ইলিশ পেয়েছেন। আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে অন্যান্য জেলের জালেও বড় সাইজের বেশি পরিমান ইলিশ ধরা পড়বে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বাদ এশা পরমানন্দপুর ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৩টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার বলেন, ‘বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিলেন। শুক্রবার রাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
এর আগে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার প্রথম জানাযা শনিবার সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়। পরে সড়কপথে মরদেহ সরাইল উপজেলা সদরে আনা হয়। শনিবার বাদ আসর সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হয় অরুয়াইল আব্দুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ মাঠে। বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় পরমানন্দপুর গ্রামে। শনিবার বাদ এশা পরমানন্দপুর ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এ দিকে সরাইল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. রাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা প্রমুখ। এ সময় সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ উপস্থিত ছিলেন। তবে জানাজায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না।
উকিল আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার।
জানা যায়, আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতিও ছিলেন।
আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ২ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন এ নেতা। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘ভারতের সাথে সম্পর্ক হবে প্রতিবেশীর মতো। সম্পর্ক তিক্ততার হবে কি না তা ভারত কাজের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত যদি মনে করে বিগত ১৬ বছর যেভাবে আওয়ামী লীগকে নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশকে শুষে নিয়েছে, সেটা আবারও পাওয়া যাবে। সেই সুযোগ বাংলাদেশের জনগণ আর দিবে না।’
আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়ায় ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সফরে গিয়ে তিনি সাংবাদিকের এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘বগুড়ায় আমি প্রথম এসেছি। বগুড়া নেমেই যা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে ৬৪ জেলার মধ্যে নামের কারণেই বগুড়া জেলা ১৬ বছর বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বগুড়া নামের কারণেই ১৬ বছরে বগুড়ার কোনো উন্নয়ন হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মানুষ এখন শতভাগ ঐক্যবদ্ধ। ভারতের কিছু মেরুদণ্ডহীন মিডিয়া সাম্প্রদায়িক প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু মিডিয়ার মাধ্যমে।’
বগুড়া শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার বটতলায় অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর বাসায় সারসিজ আলম পারিবারিক সফরে যান। সঙ্গে তার বাবা-মা ছিলেন। সারজিস আলম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার আগেই বলেন, ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। যে বাড়িতে তিনি গিয়েছিলেন সেই বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলীও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) বৃহস্পতিবার পালিত হবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
সভায় সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সফর মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। রবিবার থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিত হবে।
আরবি ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’র শাব্দিক অর্থ- মহানবীর (স.) জন্মদিনের আনন্দোৎসব। মুসলমানরা ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হয়রত মুহম্মদ (স.) এর জন্ম ও মৃত্যু (ওফাত) দিবস হিসেবে পালন করে। কারণ এ দিনেই রাসুলে করীম (স.) ইন্তেকালও করেন। সেই হিসেবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ১২ রবিউল আউয়াল। বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) দিন সাধারণ ছুটি।
মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে মক্কার কুরাইশ বংশে জন্ম নেন। আরবের মরুপ্রান্তরে শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রচার শুরু করেন তিনি। তার আবির্ভাব এবং ইসলাম ধর্মের প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলাম ধর্ম প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ১২ রবিউল আউয়ালই মহানবী (স.) মৃত্যুবরণ করেন। দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) হিসেবে সারা পৃথিবীর মুসলমানরা পালন করে থাকে।
ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) দিনে মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মহা. বশিরুল আলম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মহা. আসাদুর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের সহকারী প্রশাসক মো. শাহরিয়ার হক, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার আল-কোরআন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুবাই থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় হত্যা মামলার এক আসামীকে আটক করেছে আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ। আটক ব্যক্তি হলো মোহাম্মদ বাদল রিয়াজ (৪৮)।
তিনি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার আলোচিত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যার মামলার ৫নং আসামী। বাদল রিয়াজ তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ত্রিপুরার আগরতলা ইমিগ্রেশন হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। এসময় তার পাসপোর্ট নম্বরটি কালো তালিকাভূক্ত থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আটক ব্যক্তি একটি হত্যা মামলার আসামী মর্মে ইমিগ্রেশন পুলিশকে অবহিত করেছিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার পাসপোর্টটি কালো তালিকাভূক্ত করা হয়। বিকালে আগরতলা হয়ে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে এলে তাকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, পূর্বশত্রুতা ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের জেরে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে য্বুলীগ নেতা জামাল হোসেন (৪০) কে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বোরকা পরে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে।
জামাল হোসেন তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। তিনি তিতাসের জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের জিয়ারকান্দি নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তবে গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।