সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নীসংযোগ ও আকর্ষিক প্রাকৃতিক দূর্যোগে হতাহতদের চিকিৎসায় বিনামূল্যে জরুরী অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ আজ ১৯ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কে ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার হস্তান্তর করেছে।
এসময় জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজুর রহমান ওলিও, উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহম্মদ, উপজেলা চেয়াম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পৌরমেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী, মেয়র শিব শংকর দাস, মেয়র মোঃ তফাজ্জল হোসেন এবং রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের পক্ষে সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ শাহআলম সদস্য মাসুকুল কবির, আশিকুর রহমান পাঠান ও সালাউদ্দিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাস্থ দক্ষিণ মৌড়াইলে অবস্থিত মাদরাসাতু নূহ তাহফিজুল কুরআন এর সবক ও পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ অক্টোবর শনিবার সকাল ৯টায় মুফতি রুহুল আমীন কাসেমীর সভাপতিত্বে বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সফিক আজীজির সঞ্চালনায় শুরু হলে এতে শুভাগমন করেন আওলাদে রাসূল (সা.) সাইয়্যেদ মাওদূদ মাদানী।
সভাপতির বক্তব্যে মুফতি রুহুল আমিন কাসেমী বলেন, ছাত্র ভায়েরা উস্তাদদের কাছ শুধু অক্ষর জ্ঞান অর্জন করলেই চলবে না। এর পাশাপাশি উস্তাদদের ও আকাবির আসলাফদের চিন্তা চেতনার শিক্ষাও অর্জন করতে হবে। কারণ শুধু অক্ষর জ্ঞান অর্জনের দ্বারা বর্তমানের অবস্থা হলো এমন, শুধু অক্ষর জ্ঞান শিক্ষকরা শিখিয়ে দেয়, ছাত্ররাও গ্রহণ করে নেয়। যার ফলে ছাত্র ছাত্রের জায়গায় থেকে যায়। পরবর্তীতে ছাত্র ও ওস্তাদের মাঝে দ্বীনের সম্পর্কও থাকে না। বিপরীতে উভয়ের সম্পর্ক চিরকাল থাকে। এবং দ্বীনের কাজের জন্য সহজ হয়। এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ হিসেবে শায়খুল হিন্দ মাহমুদ হাসান দেওবন্দী ও হুসাইন আহমাদ মাদানীর ইতিহাস উল্লেখ করেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি এহসানুল হক শাহীন সাফল্য ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যের জবাবে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার শুরুলগ্ন থেকেই আমরা বিভিন্ন কুরআন প্রতিযোগিতায় সফলতার সাথে অংশগ্রহণ করে আসছি। এবং প্রতিবছরই হাফেজে কুরআনদের মাথায় পাগড়ি দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রত্যেকটা ছাত্রকে ইয়াদওয়ালা হাফেজ বানিয়ে দ্বীনের যোগ্য দায়ী হিসেবে গড়ে তোলা।
অবশেষে সাইয়্যেদ মাওদূদ মাদানী দ্বীনি বিষয়ে কিছু আলোচনা করে হাফেজদের মাথায় পাগড়ি পড়িয়ে দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করে দেন।
এসময় মুফতি বাহরুল ইসলাম, মাও. জামাল উদ্দিন, এইচ এম জাবেদ হোসাইন, হা. আবু ইউসুফ উবায়দী, হা. ইসহাক, মাও. কাউসার আহমাদ, মাও. শহীদুল হক আনসারী ও মুফতি আমীর হামজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতা ও পুলিশের উপর হামলাসহ থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও অস্ত্র লুটপাট সংক্রান্ত মামলায় মোহাম্মদ হরমুজ আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস রিলিজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোহাম্মদ হরমুজ আলী (৬০) ৯নং ওয়ার্ড সেন্দ, রামরাইল ইউপি’র মৃত রহিজ মিয়ার ছেলে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনের ৩/৬ মামলা রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২০ মে সোমবার সকালে জেলা নির্বাচন অফিস এবং বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
আগামী ০৫ জুন এই তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার হতে তিনটি উপজেলায় সরগরম নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়েছে। এদিন সকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিজ নিজ কর্মী সমর্থক সহকারে জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিস গুলোতে ভিড় জমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের আনারস প্রতীক তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী পছন্দ করায় লটারীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। পরে প্রার্থীরা কর্মীদের আনন্দ মুখর মিছিলে প্রতীক প্রচার করে এলাকায় ফিরে যান। দুপুর দুইটা হতে প্রতীক সম্বলিত লিফলেটসহ প্রচারণা মাইকিং শুরু হয়েছে তিনটি উপজেলায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন,খন্দকার মোশতাক জাতির পিতার সাথে বেঈমানি করে চিরকালের ঘৃণার পাত্র হয়ে আছেন আর জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়ে নেতার প্রতি অবিচল বিশ^াসের প্রমাণ চির স্মরণীয় হয়ে আছেন। জাতীয় চার নেতা দেশপ্রেমের উজ্জল উদাহরণ আর আনুগত্যের চরম প্রকাশ। আমরা চাই জেলহত্যার সাথে জড়িত পালিয়ে থাকা খুনীদের দ্রুত বিচার কার্যকর করা হউক।
আজ ৩ নভেম্বর শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মো.ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড.শাহানুর ইসলাম,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, জেলা কৃষকলীগ যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম ভূঞা, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের পারুলিয়া পাড়া, কলামুড়ি ও বুধল ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩ মার্চ রবিবার চালানো অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ একরামুল হক নাহিদ।
অভিযানে পুরাতন কলামুড়ি বায়তুল মামুর জামে মসজিদ থেকে ছাতিয়ান পর্যন্ত ৭৫০ ফুট অবৈধ পাইপ লাইন উচ্ছেদ, পারুলিয়া পাড়া থেকে ৫০০ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন উচ্ছেদ ও ২ কিলোমিটার এলাকার গ্যাস পাইপ লাইন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করে রবিবার সকালে অভিযানে যায় বাখরাবাদের অভিযানিক টিম। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কলামুড়ি, ছাতিয়ান, ও পারুলিয়া পাড়া এলাকায় ২ টি অবৈধ গ্যাস সংযোগের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে ৪৫ গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ অবৈধ শনাক্ত হওয়ার পর এসব সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়।
সূত্র জানায়, এই সঞ্চালন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ২০১৫-১৬ সালে সুহিলপুরের পারুলিয়া পাড়ার অবৈধ গ্যাস সংযোগ গুলো দিয়েছেন সরাইলের গ্যাস ঠিকাদার মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম ওরফে সেলিম মাস্টার।
কলামুড়ি থেকে ছাতিয়ান পর্যন্ত অবৈধ পাইপলাইন স্থাপন করে সংযোগ গুলো দিয়েছেন ঠিকাদার বাশার। অভিযানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম, উপব্যবস্থাপক গোলাম মুক্তাদির ,উপব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে। বকেয়া বিল পরিশোধ ও অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে ব্যবহার না করতে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য সকল মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন। এছাড়া অবৈধ সংযোগগুলোর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।