চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্জ্য থেকে সার ও জ্বালানি উৎপাদনের জন্য নবনির্মিত প্লান্ট উদ্বোধন ও পৌরসভার কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ২০ মার্চ সোমবার দুপুরে পৌর শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় স্থাপিত প্লান্টটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আব্দুল হামিদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক মীর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
এতে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস।
পরে প্লান্টটি পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত এ প্লান্টটি প্রতিদিন ১২ টন জৈব বর্জ্য থেকে ৫০০ কেজি জৈব সার ও এক টন প্লাস্টিক ও পলিথিন থেকে ৫০০ লিটার অপরিশোধিত তরল জ্বালানি উৎপাদন করতে সক্ষম। এক কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্লান্টটি স্থাপনের ফলে বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ পরিবেশ সুরক্ষিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে আটক চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম থেকে তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতে পালানোর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে আটক হন চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের ওই সংসদ সদস্য। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দেয়।
ওই মামলায় রাতেই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে চট্টগ্রামে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারের সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় ফজলে করিম কারাগারে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যান। পরে পুলিশের তত্ত্বাবধানেই তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদেরকে তিনি জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে ফজলে করিমকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার স্টেডিয়াম থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সাড়ে তিন দশকের বেশি সময় ধরে বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নাচ, গান, আবৃত্তি আর বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় সমৃদ্ধ রূপ নিয়েছে এবারের বৈশাখী উৎসব।
সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবে শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সংস্কৃতিকর্মীরাও অংশ নেন। এছাড়া বৈশাখী উৎসবে লোকজ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ছিলো সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলার শেষ দিন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯৮৩ সালে সাহিত্য একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৭ সাল থেকে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে বৈশাখী উৎসব হয়ে আসছে, যা এই এলাকার অন্যতম প্রধান একটি উৎসবে রূপ নিয়েছে। শুরু থেকেই এই উৎসবের মেয়াদ সাতদিন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি জয়দুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রাম বাংলার লোকজ-ঐতিহ্য, বিভিন্ন ধরনের লোকগান এবং লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে বৈশাখী উৎসবের আন্তরিক প্রয়াসের পরিচয় মেলে। আমরা ৩৮ বছর ধরে এই উৎসব পালন করে আসছি। এই উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে।
বৈশাখী উৎসবে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ঢল নামে। সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন বলেন, এই উৎসবের মধ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। হাজারো মানুষ আসে এই প্রাণের মেলায়।
গত শুক্রবার উৎসবের ষষ্ঠ দিনের আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামের বজলুর রহমান পাঠাগারের সদস্যরা। পাভেল রহমানের নির্দেশনায় আবৃত্তি করে নুসরাত, নওরিন, তানহা, পিয়াল, ইফরান, অর্পণ, জয়া, জুলফা।
এছাড়া সাহিত্য একাডেমির সদস্যরা নাচ ও গান পরিবেশন করেন, ছিল বিষয়ভিত্তিক আলোচনাও। বিকেলে শুরু হওয়া আয়োজন চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সচিব ড. মো. ইয়ামিন চৌধুরী, এড. আবু তাহের, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু এবং নারীনেত্রী ফজিলাতুন্নাহার। সবশেষে গান পরিবেশন করে নাসিরনগরের বাউল জারু মিয়া ও অমিয় ঠাকুর সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পীরা।
উৎসবে লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রতিদিনই থাকছে প্রাসঙ্গিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মেলা প্রঙ্গণে নানা ধরনের লোকজ পণ্য নিয়ে বসছে ২০টি দোকানও।
পহেলা বৈশাখে শুরু হওয়া এই উৎসবের উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২০ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় উৎসবের সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিনুর রহমান সুলতানসহ অনেকে। থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটর সাইকেলের লাইসেন্স না থাকা ও হেলমেট না পড়ায় ১৭ মোটর আরোহীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ৯জন মোটর সাইকেল আরোহীকে আরোহীকে ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা ও বিজয়নগরে ৮জন মোটর সাইকেল আরোহীকে ১৩ হাজার ১০০টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।
আজ ৫ জুলাই বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন শহরের থানা ব্রীজের সামনে অভিযান পরিচালনা করে ৯ মোটর সাইকেল আরোহীকে ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেন।
অপর দিকে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮ মোটর সাইকেল আরোহীকে ১৩ হাজার ১০০টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, সবার আগে নিজের নিরাপত্তা। হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালানো অপরাধ ও ঝুঁকিপূর্ন। রাস্তায় চলাচলের সময় বেশিরভাগ সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হেলমেট না থাকায় মাথায় আঘাত পায়। এই দুর্ঘটনা থেকে নিরাপত্তার জন্য হেলমেটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, দুপুরে থানা ব্রীজের পাশে অভিযান পরিচালনা করে হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালানো ও মোটর সাইকেলের লাইসেন্স না থাকায় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ধারায় ৯ মামলায় ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অপর দিকে বিজয়নগর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, সড়কে নিরাপত্তা আনয়নের লক্ষ্যে, দুর্ঘটনা এড়াতে এবং মোটর সাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ আইনের ধারা মতে হেলমেট ও লাইসেন্স বিহীন মোটরসাইকেল চালানোর অপরাধে মঙ্গলবার ৮জনকে ১৩ হাজার ১০০টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতিসংঘ ঘোষতি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ র্অজনে কাজ করা পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্ট-এর অঙ্গীকার; পৃথিবীর সকল বিপন্ন, জীবন্ত ও লুপ্ত ভাষা পুনরোদ্ধার, রক্ষা ও বিকাশে অবদান রাখা অন্যতম অভীস্ট। এ অঙ্গীকার ও অভীস্ট বাস্তবায়ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সহজতম উপায়ে ক্রীড়া-বিনোদনের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা পৃথিবীর সকল ভাষাভাষী মানুষকে শেখানোর প্রয়াসে পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছে পৃথিবীর র্সবপ্রথম মাতৃভাষা স্কুল।
মাতৃভাষা স্কুলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য বৈচিত্র্যর্পূণ প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর ধারাবাহিকতায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির সাথে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সংযোগ ঘটানোর প্রয়াস চলছে। ভারতের শিল্পকলা বিশেষ করে সঙ্গীত, নৃত্য ও নাটক কাশে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়রে অর্ন্তভুক্ত ভারতের সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয় একাডেমি সঙ্গীত নাটক একাডেমির জেনারেল কাউন্সিলের সদস্য ও মেঘালয়ের শিলং এর গীতাঞ্জলি ডান্স একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মিসেস মনিকা চন্দ পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্টের আমন্ত্রণে ২৮ থেকে ৩০ জুলাই ৩ (তিন) দিনের সফরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছেন। প্রথম দিন ২৮ জুলাই সড়কপথে ও ২৯ জুলাই জলপথে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী স্থান সমূহ অবলোকন করেন।
আজ ৩০ জুলাই রবিবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের এই বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাইকপাড়াস্থ ট্রাস্টের সহযোগি প্রতিষ্ঠান মাদার ল্যাংগুয়েজ স্কুলের হল রুমে সংবর্ধনা ও শিল্পী মাহমুদ শরীফ খানের পরিচালনায় মসলিন কাপড়ে হ্যান্ড-পেইন্ট শীর্ষক ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। প্রধান সমন্বয়কারী আবু নাসের সবাইকে মাদার ল্যাঙগুয়েজ বোর্ড প্রদর্শন করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে মনিকা চন্দ-এর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বিনিময়সহ ভারত বাংলাদেশর ভাষা সংস্কৃতি বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য কবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিস এন্ড হারমোনি ট্রাস্ট ও মাদার ল্যাংগুয়েজ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা কবি আনিস মুহম্মদ। সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের হেড অব ক্রিয়েটিভ আশরাফ পিকো।
প্রতিষ্ঠানের হেড অব সিভিক এ্যাঙ্গেজমেন্ট আল আমীন শাহীনের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট শিপন চন্দ্র সিংহ, পৌর কাউন্সিলর মিজান আনছারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি দৈনিক কুরুলিয়ার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া, ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের পরিচালক ওসমান গণি সজিব, কমরেড নজরুল ইসলাম, তিতাস বার্তার সম্পাদক আব্দুল মতিন শানু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য সচিব সঞ্জিব ভট্টাচার্য, সাংস্কৃতিক সংগঠক হাবিবুর রহমান পারভেজ, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সংঙ্গীত প্রশিক্ষক রওনক সুলতানা পারভিন, অংকুর শিশু কিশোর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আনিছুল হক রিপন প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন রাবেয়া জাহান তিন্নি, শারমীন আক্তার, নুসরাত জেরিন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের নৃত্য পরিচালক জিয়া আমিন এর পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করেন নৌশিন ইকরা, রিধা মনীষা। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত নৃত্য ব্যক্তিত্ব মনিকা চন্দ বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্প্রীতির বন্ধন ঐতিহ্যমন্ডিত। পিস এন্ড হারমোনি ট্রাস্টের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসে আমি খুবই আনন্দিত; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আতিথিয়তায় মুগ্ধ হয়েছি। এখানে এসে আমি ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদী ভ্রমণসহ রসুলপুর ও কুরুলিয়া খাল হয়ে বিখ্যাত উপন্যাসিক অদ্বত মল্ল বর্মণের জন্মভিটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অবস্থিত উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ কালভৈরর বিগ্রহ ও মন্দির পরিদর্শন করেছি। তিতাস পাড়ের সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ মানুষের আন্তরিক সান্নিধ্য লাভ করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সামাজিক সাংষ্কৃতিক সম্প্রীতির জন্য নিবেদিত এক ঝাঁক তরুণের সাথে আমার সেতুবন্ধন তৈরী হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা আমার জীবনের এক অনন্য অধ্যায় হয়ে থাকবে। শান্তির জন্য ভাষা এই শ্লোগানকে ধারণ করে মাদার ল্যাঙগুয়েজ স্কুলের শাখা সর্বভারতে বিস্তারের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। তিনি বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্প্রীতির বন্ধন আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দু’দেশের যৌথ নদীভিত্তিক উৎসব করার পরিকল্পনার কথা জানান। এ ছাড়াও আগামী সেপ্টেম্বর-২০২৪খ্রি. মেঘালয়ে অনুষ্ঠিতব্য সংস্কৃতি উৎসবে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে ‘১৯৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭৫ এ জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ড পর্যন্ত প্রকৃত ইতিহাস প্রজন্মকে শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। তিনি আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার খ্রীষ্ট্রিয়ান মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলাপরিষদের অর্থায়নে নির্মিত ভাষা শহীদের স্মরণে শহীদ মিনার উদ্বোধনকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্যাপটিষ্ট মিশন ইনচার্জ ফাদার টাইটাস দাস গুপ্ত জয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিরুপমা কর্মকার ও টমাস তুহীন দাস প্রমুখ মিশনের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।