চলারপথে রিপোর্ট :
রমজানে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে আজ ২০ মার্চ সোমবার দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি মোকাম খাতুনগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় বিক্রয় রসিদ সরবরাহ করতে না পারা ও দোকানে মূল্য তালিকা না ঝোলানোয় চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলম ও মাসুদ রানা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ বলেন, বিক্রয় রসিদ সরবরাহ করতে না পারায় আরএম ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা না ঝোলানোয় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওজন স্কেল যাচাই করেন বিএসটিআই কর্মকর্তারা। ওজন নিয়ে কারচুপি রোধে সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয় নানা নির্দেশনা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কোনোভাবেই বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না। সেটি নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। রমজান মাসজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র এবং সন্মানী বিতরণ করা হয়েছে । আজ ২৬ আগস্ট শনিবার বেলা ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সনদপত্র বিতরণ কর্মসুচীর শুভ উদ্বোধন করেন মাগুরা- ১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।
একাডেমি মোড়স্থ বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ে থেকে এ সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। সংস্থার চেয়ারম্যান কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শেখ আব্দুস সালাম ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সনদপত্র বিতরণে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন সং¯হার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ পিপুল, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেসমিন জাহান মুন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুলাহ রাসেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড সাইফুল হক।
প্রধান অতিথি এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর এমপি বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় নিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম লক্ষ্য। সেই লক্ষেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে । এই কারনে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দার, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক সিদ্দিকী সোহেলী রশীদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক বিপুল আশরাফ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রফিক রহমান, জামান আকতার, রিফাত রহমান, এ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ, আব্দুস সালাম, জামান আকতার, হামিমুজ্জামান সুমনসহ অনেকে।
যেসব শিক্ষার্থী দুই মাসব্যাপী কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ড্রাইভিং কাম অটো মেকানিক্স কোর্স সফলভাবে শেষ করেছেন তাদের হাতে সনদপত্র ও সন্মানী তুলে দেন অতিথিরা। সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। কম্পিউটার ৪ ব্যাজে ১২০ জন ও ড্রাইভিং এ ২ ব্যাজে ৬০ শিক্ষার্থী সনদপত্র গ্রহণ করেন।
চলারপথে ডেস্ক :
সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি বছর হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ঘোষিত প্যাকেজ অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় হজের খরচ সর্বোচ্চ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে হজের প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়।
সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মিনার তাবুর ফি ক্যাটাগরির মূল্য অনুসারে সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, মিনার তাবুর অবস্থান সংক্রান্ত ক্যাটাগরির ভিত্তিতে বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হজের প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তাবুর অবস্থান ও অন্যান্য সুবিধা সরকারি প্যাকেজের মতো নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগের বছর হজের প্যাকেজ ছিল দুটি। এর মধ্যে প্যাকেজ-১ এর খরচ ছিল ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা। সেবারও হজের খরচ আগের বছরের চেয়ে ৫৯ হাজার টাকা বেড়েছিল।
এবার হজে যেতে সরকারিভাবে একটি প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। গতবারের প্যাকেজ-১ এর তুলনায় এ বছর ৯৬ হাজার ৬৭৮ টাকা বেশি খরচ হবে। আর প্যাকেজ-২ এর তুলনায় খরচ বেশি হবে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা।
এদিকে গত বছর বেসরকারিভাবে হজের খরচ পড়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ কত হবে, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানাবে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন (হাব)।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থেকে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ১৪ কেজি বন্যহাতির দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ আবদুল মালেক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ ২৭ মে শনিবার তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
মালেক মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার দীতেশ্বর এলাকার মৃত হাজী আবদুল আলীর ছেলে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় নগরের শুলকবহরের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, শুলকবহর এলাকার একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়া বিক্রি হচ্ছে- এমন খবরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে আবদুল মালেককে আটক করা হয়। এ সময় তার রুমের খাটের নিচে প্লাস্টিকের বস্তায় চারটি হাতির দাঁত, ছোট বড় ও মাঝারি আকারের ২০টি হাতির দাঁতের খণ্ডাংশ পাওয়া যায়, যার ওজন ১৪ কেজি। এ ছাড়া একটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা মো. নূরুল আবছার জানান, দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়া সংগ্রহ করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিলেন আবদুল মালেক। তার কাছ থেকে উদ্ধার মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
র্যাব জানায়, ১৯৭৬ সালে বাবার সঙ্গে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি এলাকায় হাতির দেখভাল করার জন্য যান তিনি। তার বাবার কয়েকটি হাতি ছিল। ১৯৯৮ সালে তার বাবা মারা গেলে হাতির ব্যবসা দেখভাল করার জন্য তিনি ছয় বছর ধরে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির মারিশ্যা এলাকায় থাকতেন। তিনি একজন লাইসেন্সধারী হাতির পালক। ২০১০ সালের পরে লাইসেন্স প্রভিশন হলে তিনি পুনরায় লাইসেন্স করেন। তবে তিনি স্থায়ীভাবে তখন বাঘাইছড়ি থাকতেন না। দু’চার দিন থেকে আবার মৌলভীবাজার চলে যেতেন। তার বৈধভাবে ছোট বড় ১২টি হাতি আছে। তবে স্থানীয় তথ্যানুযায়ী তার আরো ২৪/২৫টি রেজিস্ট্রেশনবিহীন হাতি রয়েছে, যা দিয়ে তিনি বিয়ে বাড়িতে ভাড়াসহ পাহাড়ি এলাকায় গাছ টানার কাজ করেন। পাহাড়ি এলাকা থেকে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন বন্যপ্রাণির চামড়া, হাতির দাঁত সংগ্রহ করে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করে আসছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছেলেদের আসার অপেক্ষায় রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মহাসড়কের পাশে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন সত্তরোর্ধ্ব প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত এক বৃদ্ধ।
মহাসড়কের ওপর দিনরাত হাজারও গাড়ি যাতায়াত করছে। অনেক গাড়ি স্টেশনে থামার পর যাত্রী নামছে। যাত্রীসহ সব পথচারীর মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দুই চোখের পানি ঝরাচ্ছেন। চোখের পানি শুকিয়ে গেলেও আসছে না তার সন্তানরা।
তার পরও আশা ছাড়েননি এই রোগাক্রান্ত বৃদ্ধ। কেউ জানতে চাইলে বলছেন, আমার ছেলেরা এসে আমাকে নিয়ে যাবে। আমাকে এখানে বসে থাকতে বলেছে, তারা আসবে…।
গত ৬ অক্টোবর ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বড়গোবিন্দপুর স্টেশন এলাকায় বসে আছেন সাদা চুল-দাঁড়ির এই বৃদ্ধ। পাশে এক ভাঙা হুইলচেয়ার। বেশ কয়েক দিন অযত্ন-অবহেলায় পাগলের মতো দেখা যাচ্ছে তাকে। প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বাম হাত ও পা তেমন নাড়াচাড়া করতে না পেরে একই স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন এই বৃদ্ধ। দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ কেটে গেলেও খোঁজ নিতে আসেননি তার সন্তানরা। স্থানীয়দের মধ্যে অধিকাংশই এক নজর দেখে বাড়তি ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যান। আবার কারও মন কাঁদলেও আইনি ঝামেলার ভয়ে দূরে থাকেন।
তবে সবার থেকে এক ব্যতিক্রম নারী দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের বাসিন্দা রাইহানা ইসলাম রুনা। তিনি জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর আমার বাবা মারা গেছেন। গত ৮ অক্টোবর সকালে আমি মহাসড়কের গোবিন্দপুর স্টেশনে নেমে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠব, তখন দেখি এই বৃদ্ধ লোকটিকে ঘিরে রেখেছেন অনেক মানুষ। ওনাকে দেখার পর আমার বাবার কথা মনে পড়ে আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। ওই বৃদ্ধ লোকটির সঙ্গে কথা বলার পর জানতে পারি ৫ অক্টোবর রাতে ওনার ছেলেরা নাকি হাসপাতাল থেকে বাড়ি নেওয়ার কথা বলে হুইলচেয়ারে বসিয়ে এখানে ফেলে যান।
তাকে সেবা দিতে আমি চান্দিনা থানা পুলিশের কাছে, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করি। কিন্তু আমার কথা কেউ কানে নেয় না। এক সপ্তাহ যাবৎ বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করেও কোনো কূলকিনারা করতে না পেরে অবশেষে সাংবাদিকদের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানাই।
গতকাল শনিবার বিকালে মহাসড়কের গোবিন্দপুর স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের ঠিক পাশেই বসে আছেন এই বৃদ্ধ। হুইলচেয়ার থেকে পড়ে চোট পেয়েছেন কপালের পাশে ও পায়ে। মলমূত্র ত্যাগ করে নিজেই ধুলো দিয়ে চাপা দিলেও দুর্গন্ধে একাকার। অসুস্থতার পাশাপাশি অনাহারে মুখ দিয়ে ঠিকমতো কথা আসছে না তার।
অস্পষ্ট কথায় তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ, আমাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতে গাড়ি থেকে নামিয়ে এখানে রেখে যায় আমার ছেলে হারুনসহ আরও দুজন।
তিনি জানান, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ভবানী জীবনপুরের নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি। বড় ছেলে হারুন, মেঝ ছেলে মঈন, ছোট ছেলে জসিম উদ্দিন সবাই চাকরি করে।
চান্দিনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন খান জানান, এ ঘটনায় আমাকে কেউ অবহিত করেনি। যেহেতু এখন জেনেছি নিশ্চয়ই ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নেব।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাপস শীল জানান, আমি এখনই (শনিবার রাত সাড়ে ৯টা) গিয়ে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেব।
অনলাইন ডেস্ক :
আরও ১৮ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে আগামী হজের নিবন্ধনের। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হজের নিবন্ধন আগামী রোববার (৩১ ডিসেম্বর) শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৪৭৮ জন হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২২ হাজার ৫৪৯ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৯২৯ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটা এক লাখ ১৭ হাজার জন।
সময় বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তি, হজ এজেন্সি, হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হতে হজ চুক্তির আগেই হজযাত্রীর চূড়ান্ত সংখ্যা জানানোর তাগিদ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ বিবেচনায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। এসময়ের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন বা প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে।
প্রাথমিক নিবন্ধন করা হলে প্যাকেজের অবশিষ্ট মূল্য আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় হজে যাওয়া যাবে না এবং প্রদত্ত অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।