চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন প্রকল্পে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে পিডি হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কোনো দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন হয় না। তিনি বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে শুধু দালান তৈরি না হয়। সেদিকে নজর রাখতে হবে। কেননা বিল্ডিং তৈরির পর দেখা যায় লোকবল নেই, যন্ত্রপাতি নেই ফলে বিল্ডিং কোনো কাজে লাগে না। ভবিষ্যতে এসব কাজ করা যাবে না।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গ্রাম আদালত সক্রিয়করণসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে । এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ১ হাজার ৯৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
আজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনার কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ইমদাদউল্লাহ মিয়ান এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বৈঠকে দেশীয় মাছ চাষে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুরের মতো মাছ চাষ বাদ দিয়ে দেশীয় পুঁটি, খলিসা, টেংরা ও চিংড়ি চাষ বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে চিংড়ি ঘেরে যদি বালু পড়ে যায় তাহলে বালু অপসারণ বা অন্য কোনো ফসল চাষ করা যায় কিনা- সে বিষয়ে চাষীদের পরামর্শ দিতে হবে। পাশাপাশি জমি পতিত ফেলে না রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।
‘এ ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি গাড়ি না কিনে প্রগতির গাড়ি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রগতির জিপ ব্যবহার করলে দেশীয় কোম্পানি লাভবান হবে। এখন থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ না বলে বলতে হবে মানবসম্পদ উন্নয়ন। নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার বাদ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ডাল চাষ বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন।’
ব্রিফিং এ পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে একটু বেড়েছে। মার্চেও বাড়বে। তবে তারপরে কমে যাবে। রোজার আগে অনেকে তেল, ডাল, পেঁয়াজ ও চিনি মজুত করে রাখে। যার কারণে দাম বাড়ে। এর প্রভাব পরে মূল্যস্ফীতিতে।
তিনি বলেন, কার্তিক ও চৈত্র মাসে আমাদের দেশে খাবারের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে একটু সংকট থাকে। তবে বোরো ধান যদি ভালোভাবে ঘরে তোলা যায় তাহলে সমস্যা থাকবে না। এ ছাড়া রেমিট্যান্স এবং রিজার্ভ ভালো থাকলে আমাদের আর কোনো চিন্তা নেই। এ সবই এখন ভালোর পথে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প। এ ছাড়া ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১১২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প, পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের সমীক্ষা, দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প, ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন, প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন এবং গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প।
চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, প্রত্যেক ধর্মই মানবিকতার কথা বলে। ধর্ম মানুষকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে রাখে। মানুষকে সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে ধর্ম পথ দেখায়। এই অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজ ৩ মে বুধবার বিকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা অর্ন্তগত স্থায়ী দূর্গা মন্দির সংস্কারে নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সব ধর্মের মানুষকে একত্রিত করেছিলেন। ধর্ম যার যার; রাষ্ট্র সবার, এরকম একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম এবং সেই মুক্তিযুদ্ধে কোন ধর্মগোষ্ঠী বা কোন বর্ণগোষ্ঠী একক কোন ভূমিকা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। আমরা সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ একত্রে মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে আমরা জয়যুক্ত হয়েছি।
বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি অহেতুক ভিত্তিহীন আন্দোলন করছে। তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। বিকল্প পথে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। তাদের সেই স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যাবে। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা বদলের কোনো সুযোগ নেই।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রীমান গোপন চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব, সহসভাপতি শফিউল আজম খান বারকু, শাক্তা ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, কালিন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসান মোস্তান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা অর্ন্তগত ৩৪ টি মন্দিরকে ৩৪ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৭ সালে দুটি সাবমেরিনের কমিশনিং অনুষ্ঠানে বলেছিলাম, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চাই না। তবে কেউ আমাদের আক্রমণ করলে তার সমুচিত জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের সবসময় থাকবে। আমি সে কথাই আজ পুর্নব্যক্ত করছি।
আজ ২০ মার্চ সোমবার কক্সবাজারের পেকুয়ায় দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’র কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিশনিং অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তাঁর অনুমতিক্রমে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল ঘাঁটির অধিনায়ক কমডোর মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন। এর মধ্য দিয়ে ঘাঁটিটি নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করল।
সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপদ জেটি সুবিধার জন্য নির্মিত এ ঘাঁটিতে ছয়টি সাবমেরিন রাখা যাবে। সংবেদনশীল ও কৌশলগত রণতরী হিসেবে সাবমেরিনের সর্বোত্তম ব্যবহার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষায়িত ও স্থায়ী ঘাঁটির গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা, ঐকান্তিক আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় ২০১৭ সালের ১২ মার্চ ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ নির্মাণে ঘাঁটির নামফলক উন্মোচিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে এই সাবমেরিন ঘাঁটি একটি আধুনিক সামরিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত হবে। ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গড়ে তুলতে সাবমেরিন সংযোজন ছিল একটি মাইলফলক। স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট নৌবাহিনী গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করতে হলে সমুদ্র সম্পদের টেকসই ও বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কাজেই সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বার্থ রক্ষায় নৌবাহিনীকে আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিল রেখে সক্ষম রাখতে সবসময় সচেষ্ট রয়েছি। এ বাহিনীর প্রয়োজন শুধু যুদ্ধকালীন নয় বরং শান্তিকালীন সময়েও প্রতি মুহূর্তে জনসাধারণের দৃষ্টিসীমার আড়ালে থেকে বাহিনীটি কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সমুুদ্রে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিশাল এক অর্থনৈতিক কর্মক্ষেত্র অর্জিত হয়েছে। মৎস্য সম্পদ আহরণ এবং সমুদ্রপথে মালপত্র পরিবহনের প্রচলিত কর্মকাণ্ডের পরিধি বিস্তারের ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। বন্দরের সংখ্যা ও সক্ষমতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে। প্রচলিত এসব কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সমুদ্রকে পর্যটন শিল্পের মূল আকর্ষণ, খনিজ সম্পদ ও জ্বালানির উৎস হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
দেশের সার্বভৌমত্ব, সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা রক্ষা ও চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালনের জন্য নৌবাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ ঘাঁটিতে ভিডিও টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হলে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল তাকে স্বাগত জানান। এ সময় সাবমেরিনারদের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষকতায় নৌবাহিনী আজ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং আধুনিক সমরাস্ত্রসহ সুদক্ষ নৌসদস্য নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একটি মর্যাদাপূর্ণ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
নৌবাহিনী সূত্র জানায়, বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটিতে সাবমেরিন নিরাপদে রাখতে বেসিন ও এন্ট্রি চ্যানেল, সাবমেরিন ফ্লিট হেডকোয়ার্টারস, যুদ্ধ জাহাজের বার্থিং ফ্যাসিলিটিজ এবং সাবমেরিন সংক্রান্ত সকল প্রকার বেস সাপোর্ট ফ্যাসিলিটিস রয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাবমেরিনের অর্ন্তভুক্তির পর থেকে এর অবস্থান ছিল কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী বানৌজা ঈসা খানে। সাবমেরিনের অপারেশনাল কার্যক্রম, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপদ বার্থিংয়ের জন্য বিশেষায়িত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ ঘাঁটি খুবই জরুরি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম, কক্সবাজার-২ আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, মুক্তিযোদ্ধা, নৌ কমান্ডো, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, নৌ সদর দপ্তরের পিএসও, বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং উর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
১৪ আগস্ট বুধবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিউমার্কেট থানা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের মধ্য কেশবকাঠী গ্রামে গাছ থেকে পড়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মধ্য কেশবকাঠী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. হারুন মৃধার ছেলে ব্যবসায়ী মো. বেল্লাল মৃধা (৪৮) নিজ বাড়ির গাব গাছের ডাল কাটতে গিয়ে পড়ে আহত হয়। স্বজনরা তকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাখাল বিশ্বাস বেল্লালকে ঘোষণা করেন। উজিরপুর থানা পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রেলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের নতুন যোগাযোগ চালু হতে এখন আর মাত্র মাস দেড়েকের অপেক্ষা। পাঁচ বছর আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর অবশেষে আসছে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক এ পথে ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
৬ জুন সোমবার বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চ পর্যায়ের একটি দল আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্মাণকাজের ৮৫ ভাগ শেষ হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
এরপর সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
পরিদর্শন দলে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এ রেললাইন স্থাপনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের নতুন ধারা সৃষ্টি হবে। ভারতীয়রা খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারবে। আমাদের দেশ নানাভাবে সুবিধা পাবে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর জানান, রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষের পথে বাংলাদেশ অংশে মাত্র এক কিলোমিটার রেললাইন বসানোসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আশা করা হচ্ছে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ এ পথ দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো যাবে।
এর আগে প্রকল্প পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ সংযোগ প্রকল্পটি দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ রেলপথ চালু হলে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হবে। দুই দেশের বাণিজ্য আরো প্রসারিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, জুন মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আপনারা জানেন যে কোনো প্রজেক্টেরই এক বছর ডিফিকাল্ট লায়াবিলিটি থাকে। আগামী ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত আছে। আমরা আশা করছি চলতি বছরের জুনের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব। এরপর এক বছর ট্রায়াল রান হবে।
এ সময় রেলমন্ত্রী আরো বলেন, যেহেতু এটি দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আছে। তফসিল ঘোষণা হলে বড় কোনো প্রকল্প উদ্বোধন করা যায় না। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এ প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে।
আখাউড়া থেকে গঙ্গাসাগর হয়ে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে ২০১৮ সালের জুলাইয়ের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ১৮ মাস। এরপর করোনাসহ নানা কারণে পাঁচ দফা এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। দুই দেশের এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।