চলারপথে রিপোর্ট :
জমি ভরাট করতে গিয়ে একটি সড়কের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। এতে সড়কের দুই পাশের প্রায় ১০০ বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক এসব জমিতে ফসলের বীজ বা চারা রোপণ বন্ধ রেখেছেন। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন কৃষকরা। ইউএনও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।
গত ১৩ মার্চ রামরাইল ও ঘাটিয়ারা গ্রামের ২০-২৫ জন কৃষক লিখিত আবেদন করেন।
মোহাম্মদপুর গ্রামের আরমান মিয়া জানান, কালভার্ট-সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে জামাল মিয়ার ছয় বিঘা জমি বছরে ৩০ হাজার টাকায় জমা নিয়ে তিনি সবজির চাষ করেন। তবে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় তিনি উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। এতে কয়েক লাখ টাকার লোকসান গুনতে হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ইউপি চেয়ারম্যানকে সমস্যাটি সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ইউএনওর কাছে আবেদন দেওয়ার পর কয়েক দিন অপেক্ষা করবেন। প্রশাসন কোনো প্রতিকার না করলে আরেকটি কালভার্ট ভরাটের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
রামরাইল গ্রামের কৃষক সুখলাল, মতিলাল, হীরালাল, দুলাল, নির্মল, চন্দন দেব, পরিতোষ দেব এবং ঘাটিয়ারা গ্রামের সোহাগ মিয়া, আব্দুল্লাহ মিয়া, হাবিব উল্লাহ, খবির মিয়া, আবু তাহের মিয়াও একই কথা বলেন। তাঁরা বলেন, ইচ্ছা করেই কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ভরাট করেছেন মালিক। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রামরাইল ও মোহাম্মদপুর গ্রামের সংযোগ সড়কের ঘাটিয়ারা গ্রামে প্রায় শত বছর ধরে কালভার্টটির মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন হয়। পার্শ্ববর্তী বিলে গিয়ে পড়ে সেই পানি। তবে এক মাস আগে মোতালেব মিয়া বাড়ি নির্মাণের জন্য জমিটি ভরাট করেন। প্রভাবশালী হওয়ায় জমি ভরাটে বাধা দেওয়ার সাহস করেনি কেউ।
এ বিষয়ে মোতালেব মিয়ার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তাঁর ছেলে স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ জুয়েল বলেন, এ কালভার্টের নিচ দিয়ে পানি যায় না। বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনে মাটি ভরাট করা হয়েছে। কারও প্রয়োজন হলে পাইপ-কালভার্ট নিজ খরচে করবেন।
রামরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমার সেলিম বলেন, ইউএনওর নির্দেশে সরেজমিন গিয়ে জমির মালিককে কালভার্টের মুখের মাটি সরিয়ে মোটা পাইপ বসিয়ে দিতে বলা হয়েছে; পানি নিষ্কাশনে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল জোনের প্রধান জহুর আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা দেন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শুক্রবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে পুষ্পস্তক অর্পন ও বেলা ১১টায় স্থানীয় আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
জেলা প্রশাসনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় শহরের কাউতলীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তক অর্পন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করতে ৩০ নভেম্বর থেকে জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় মিত্রবাহিনী পাকবাহিনীর ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালাতে থাকে। ১ ডিসেম্বর আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় ২০ পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়। ৩ ডিসেম্বর আখাউড়ার আজমপুরে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। সেখানে ১১ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। শহীদ হন ৩ মুক্তিযোদ্ধা।
এরই মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রাজাপুর এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে।
৪ ডিসেম্বর পাক হানাদাররা পিছু হটতে থাকলে আখাউড়া অনেকটাই শত্রুমুক্ত হয়। এখানে রেলওয়ে স্টেশনের যুদ্ধে পাক বাহিনীর দু’শতাধিক সেনা হতাহত হয়। ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়।
এরপর চলতে থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত করার প্রস্তুতি। মুক্তিবাহিনীর একটি অংশ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে এবং মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্ট ডিভিশন রেজিমেন্টের সদস্যরা আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও উজানিসার সড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
শহরের চারিদিকে মুক্তিবাহিনী অবস্থান নিতে থাকায় ৬ ডিসেম্বর পাক সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজাকারদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে. এম লুৎফুর রহমানসহ জেলা কারাগারে আটক অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের করুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাকিস্তানীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। পরে ৮ ডিসেম্বর কোনও ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শত্রুমুক্ত হয়।
৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল যুদ্ধের পরিচালনাকারী জহুর আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। একই দিন সন্ধ্যায় জেলার সরাইল উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পদযাত্রা করেছে জেলা বিএনপি।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
পদযাত্রাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে কালিবাড়ি মোড় গিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বেগম খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ৪০তম ঐতিহাসিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস্তবায়ন দিবস-২০২৪খ্রি. পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে বাংলা ব্যাকরণ স্রষ্টা জেলা সদরের পূর্ব পাইকপাড়ার প্রয়াত অধ্যাপক হরলাল রায় রোডস্থ সংগঠণের অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রস্তাবিত বাউল বাড়ি রিসোর্ট এন্ড কমপ্লেক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী সারোয়ার লিটন।
আলোচনা সভায় আজ হতে ৪০ বছর পূর্বে ১৯৮৩ সালে মহকুমা হতে জেলা দাবীতে ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন, চূড়ান্ত পর্বে ২৭ নভেম্বর হরতালের দিন রেলওয়ে ষ্টেশনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বরণের প্রেক্ষিতে ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে প্রায় লাখ মানুষের সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ ঐ সময়ের ১৯টি মহকুমাকে আনুষ্ঠানিক জেলায় বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ার স্মৃতিচারণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি তফাজ্জল হোসেন জীবন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, শামসুল আলম বাবু, এজাজ আহমেদ মনির, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, সদর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি প্রভাষক মোঃ মোশাররফ হোসেন, মহিলা সম্পাদক রুমানা আক্তার শ্যামলী, কার্যনির্বাহী সদস্য শরীফ আহমেদ খান, এড. শেখ জাহাঙ্গীর, সাংগঠণিক সম্পাদক কামরুল হাসান নান্টু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী মাকসুদুল আলম দেলোয়ার, আমির হোসেন ফারুক। উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সম্পাদক বশির আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, আনিসুর রহমান রুহেল, হারিছা খাতুন, মোঃ নজরুল আলম।
সর্বশেষে জেলা আন্দোলনে শহীদ উবায়দুর রউফ পলু, জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হাসনাত অপু’র মাতা মরহুমা শামসুন্নাহার খানম, গত বুধবার সদ্য প্রয়াত যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস এর ভাবী বীর মুক্তিযোদ্ধা সেহেলী মাসুদ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
খোকন নামের এক মাদকসেবিকে ৩ মাসের কারাদন্ড ও এবং ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই যুবককে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদা আক্তার জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে টিকেট কালোবাজারি মুক্ত করতে প্রায়ই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে টিকেট কালোবাজারিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে স্টেশনে খোকন নামে এক যুবকের আচরণবিধি সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করা হলে তার কাছে ট্রেনের একটি টিকেট ও এক পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে ওই যুবককে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩ মাসের কারাদন্ড এবং ৫০০টাকা জরিমানা করা হয়। ট্রেনের টিকেটটি যাচাই করে এর বৈধতা পাওয়া যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের অ্যাডহক নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৮ অক্টোবর বুধবার সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম স্বাক্ষরিত একপত্রে ১০ সদস্য বিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দেন। (স্মারক নং-এসজি (ইউ.এ)- ১৮৫০/২০২৩)।
কমিটিতে সৈয়দ মিজানুর রেজাকে ভাইস-চেয়ারম্যান, মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবদুল কবির তপন, মশিউর রহমান লিটন, মোঃ জায়েদুল হক, আশিকুর রহমান পাঠান, মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, আবদুল আজিজ, এম.এ. এইচ মাহবুব আলম ও নদী পারভীন।
পত্রে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটে বর্তমানে কোন কমিটি না থাকায় সংশ্লিষ্ট ইউনিটের কার্যক্রমকে সচল ও গতিশীল রাখতে এবং একটি নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সোসাইটির মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে ১৮ অক্টোবর ২০২৩ হতে ১৭ই জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত তিন মাস মেয়াদে একটি এ্যাডহক নির্বাহী কমিটি গঠন করা হলো।
উল্লেখ্য যে, বর্ণিত এ্যাডহক কমিটির কোন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কমিটি তাদের মেয়াদের মধ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির গঠন করে নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
এখানো উল্লেখ্য যে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত ভাইস-চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ইউনিটের সকল কার্যক্রম সম্পাদন করবেন।
এছাড়াও ২০১৩ সালে অডিট এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯৩৭ জন আজীবন সদস্যের প্রত্যেকেই ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন এবং তাদের প্রত্যেকের উন্নয়ন ফি এর ১৫০০ টাকার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য অনুরোধ করা হল।