চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কৃষি প্রণোদনার আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আজ ২২ মার্চ বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপকারভোগী ৭’শ জন কৃষকের হাতে এসব কৃষি উপকরণ হস্তান্তর করা হয়।
বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুল ইসলাম সাফিক, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়ায় পৌরসভায় ৫০ জন, উত্তর ইউনিয়নে ১০০ জন, দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৯০ জন, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নে ১৫০ জন এবং ধরখার ইউনিয়নে ৬০ জন কৃষককে বিনামূল্যের সার ও বীজ দেওয়া হয়। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি উন্নত জাতের উফশী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার আশপাশের সীমান্তবর্তী কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ ১ জুন রবিবার সকালে দেখা যায়, স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কলন্দি খাল, কালিকাপুর হয়ে আব্দুল্লাপুর দিয়ে জাজি গাং, বাউতলা দিয়ে মরা গাং ও মোগড়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া হাওড়া নদী দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে পানি ঢোকার কারণে তলিয়ে যাচ্ছে ওইসব গ্রামের রাস্তা-ঘাট। এতে করে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর ও বঙ্গেরচর গ্রামের জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দিবাগতরাত থেকে এসব নদী, খাল দিয়ে পানি ঢুকছে। এতে করে এসব গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, গতরাত থেকে পানি ঢুকছে। বন্দরের আশপাশে পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত রফতানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে পানি যেভাবে বাড়ছে এতে করে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে দুইদেশের বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০/৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তবে বিপদসীমা পার করেনি। বিপদসীমা থেকে ২ মিটার নিচে আছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা. এএইচ মামুন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মানহানিকর অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
আজ ২২এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়নবাসির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি মোগড়াবাজার থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিক্ষোভকারিরা মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভা করে। এতে সুশীল সমাজ, দিনমজুরসহ ব্যবসায়ীরাও অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রতিবাদ সভায় ইউনিয়নবাসির পক্ষে বক্তব্য রাখেন, আমান মোল্লা, কাশেম ভূঁইয়া,সহিদ মেম্বার, কাইয়ুম ভূঁইয়া, মো. এরশাদ মিয়া, সালাউদ্দিন জমদ্দার, মামুন মৃধা, আবু সিদ্দীক মেম্বার,ফেরদৌস আহমেদ ভূঁইয়া, মো. হাণিফ মিয়া, হারুন মিয়া হেবজু মিয়া।
বক্তরা বলেন, প্রশাসক ডা. এ এইচ মামুন ভূঁইয়া মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পাওযার পর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেন। পাশাপাশি দেনদরবারে সর্দারি প্রথা ভেঙে দিয়ে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেন। এতে একটি স্বার্থনেষী মহল তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে। এমনকি তাকে প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ করতে ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসময় বক্তারা তাদেরকে হুশিযারি দিয়ে বলেন নির্বাচনের আগে মামুনকে প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ করা হলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৩ নভেম্বর আখাউড়া প্রতিবন্ধি কল্যাণ কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডা. এ এইচ মামুন ভূঁইয়াকে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। মামুন আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলমের ছেলে।
সম্প্রতি, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ইউনিয়নের প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ দাবি করা হয়। এমনকি ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে মানববন্ধনসহ সভা সমাবেশ করেন।
এ ব্যাপারে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা. এ এইচ মামুন সাংবাদিকদের বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই আওয়ামীলীগের এক ফ্যাসিবাদী নেতার নেতৃত্বে কয়েকজন কূচক্রি লোক আমাকে প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ইউনিয়নবাসীকে সাথে নিয়ে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করছি।
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন আগামী জুন মাসে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রেন চলাচল করবে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। তিনি রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শীবনগর এলাকায় নির্মাণাধীন আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্প পরিদর্শনকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইকথা বলেন।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ধীরে ধীরে সবগুলো রেলপথকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে পর্যায়ক্রমে মিটার গেজ থেকে ব্রডগেজে পরিনত করা হচ্ছে। তেমনিভাবে আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত যে রেলপথ আছে সেটিকেও ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি আন্দোলনের নামে পাকিস্তানের ভাবার্দশে বিশ্বাসী, ৭১এর পাকিস্তানী বাহিনীর প্রেতাত্মারা রেলের কোচ পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। রেলে আগুন দিয়েছে। তাদের আন্দোলনের গতি প্রকৃতি নিয়ে আমরা সব সময় শংকিত থাকি।
এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে সাড়ে ৩শ সদস্য রয়েছেন। বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছে তাতে কিছু যায় আসে না। এতে সংসদের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। তিনি বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে জনমত তৈরী করার আহবান জানান।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকোর কান্ট্রি ডিরেক্টর শরৎ শর্মা, এজিএম ভাস্কর বকশী, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইরকনের টিম লিডার রমন সিংলা বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সহিদুল ইসলাম, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) জাফর আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর বাধার মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর চেকপোস্ট এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের ইমিগ্রেশন বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ৮ বছর পর বৃহস্পতিবার আবারও শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। তিনি জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃপক্ষের উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও পুরোদমে শুরু হয়েছে ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ওয়ার্ক অর্ডারের পর আখাউড়া স্থলবন্দর চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে মেসার্স বিজনেস সিন্ডিকেট ইন্টারন্যাশনাল কন্সট্রকশন লিমিটেড নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তখন ইমিগ্রেশন ভবন এলাকায় নির্মাণসামগ্রী রাখার শুরুতেই ২০১৭ সালের ১১ মার্চ ভারতের বর্ডার নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশের বিজিবির মাধ্যমে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া উপজেলার ৫ নং দক্ষিণ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বেলা ১২ টার দিকে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল দক্ষিণ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে আগামী ২ বছরের জন্য অনুমোদন দেন।
এসময় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আবদুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগে সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ পারভেজ, মোসাদ্দেক ভূইয়া, সজিব ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা রাফসান জানি, ছাত্রলীগ নেতা লুৎফুর রহমান সজীব, আখাউড়া উপজেলা প্রবাসী আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
নব গঠিত সংগঠনের আরিফ ভূইয়া বলেন, ৯ জনকে উপদেষ্টা করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট দক্ষিণ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতি আমাকে সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুজন মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল চৌধুরী’কে করা হয়। এই কমিটির নবনির্বাচিত সদস্যরা নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন।